হারিয়ে যাওয়া কালি কলম (প্রবন্ধ) শ্রীপান্থ – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর

শ্রেণী দশম শ্রেণী (মাধ্যমিক)
বিষয় মাধ্যমিক বাংলা
প্রবন্ধ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম
লেখক নিখিল সরকার (শ্রীপান্থ)

 

  1. ‘ শ্রীপান্থ ‘ ছদ্মনামে লিখেছেন –

(A) সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

(B) সমরেশ বসু

(C) বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়

(D) নিখিল সরকার

Ans: (D) নিখিল সরকার

 

  1. নীচের কোন্ বইটি শ্রীপাস্থের নয় — 

(A) আজব দুনিয়া 

(B) মিছিলনগরী

(C) আজবনগরী 

(D) আনন্দনগরী

Ans: (C) আজবনগরী

 

  1. লেখক যে – অফিসে কাজ করতেন , সেটি হল –

(A) সরকারি অফিস 

(B) পত্রিকা অফিস 

(C) সওদাগরি অফিস 

(D) বেসরকারি অফিস

Ans: (B) পত্রিকা অফিস

 

  1. লেখকের অফিসে সবাই –

(A) ফাঁকিবাজ 

(B) লেখক 

(C) ইঞ্জিনিয়ার

(D) গম্ভীর 

Ans: (B) লেখক

 

  1. লেখকের হাতে ছাড়া আর কারও হাতে কী নেই ? 

(A) সময় 

(B) ঘড়ি 

(C) কাজ 

(D) কলম 

Ans: (D) কলম

 

  1. লেখক ছাড়া তাঁর অফিসের আর সকলের সামনেই রয়েছে –

(A) ক্যালকুলেটর 

(B) কম্পিউটার 

(C) টাইপরাইটার 

(D) টেলিফোন 

Ans: (B) কম্পিউটার

 

  1. লেখকের লেখাকে ভালোবেসে ছাপার জন্য তৈরি করে দেন – 

(A) তাঁর অধস্তন কর্মচারী 

(B) তাঁর বন্ধু

(C) তাঁর সহকর্মীরা 

(D) তাঁর সহকারী 

Ans: (C) তাঁর সহকর্মীরা

 

  1. একদিন কোনো কারণে অফিসে কী নিয়ে যেতে ভুলে গেলে বিপদ ? 

(A) চাবি 

(B) কলম 

(C) চশমা 

(D) ঘড়ি 

Ans: (B) কলম

 

  1. কীসে লিখে লেখকের সুখ নেই ?

(A) কম্পিউটারে 

(B) টাইপরাইটারে

(C) গলা – শুকনো ভোঁতা – মুখ কলমে

(D) ফাউন্টেন পেন – এ 

Ans: (C) গলা – শুকনো ভোঁতা – মুখ কলমে

 

  1. বাংলা প্রবাদটি হল — কালি নেই , কলম নেই , বলে আমি –

(A) কলমচি 

(B) মুনশি 

(C) লেখক

(D) মন 

Ans: (D) মন


  1. লেখক ছোটোবেলায় থাকতেন—

(A) গ্রামে 

(B) শহরে 

(C) মফস্সলে 

(D) বিদেশে 

Ans: (A) গ্রামে

 

  1. লেখক জন্মেছেন ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধরচনার— 

(A) ২০ – ২৫ বছর আগে 

(B) ৩০ বছর আগে

(C) ৫০–৬০ বছর আগে

(D) ৭৫ বছর আগে 

Ans: (D) ৭৫ বছর আগে

 

  1. লেখকরা ছোটোবেলায় কলম তৈরি করতেন –

(A) পাখির পালক দিয়ে 

(B) নলখাগড়া দিয়ে 

(C) হাড় দিয়ে 

(D) রোগা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে

Ans: (D) রোগা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে

 

  1. কলমের কালি ধীরে ধীরে চুঁইয়ে পড়ার জন্য কী করণীয় ? 

(A) কলমের মুখটা চিরে দিতে হবে 

(B) কলমের মুখটা সাপ করতে হবে

(C) কলমের মুখটা ঘষে নিতে হবে

(D) কলমের মুখটা একটু ভোঁতা হতে হবে 

Ans: (A) কলমের মুখটা চিরে দিতে হবে

 

  1. লেখকরা হোমটাস্ক করতেন

(A) শুকনো তালপাতায়

(B) কলাপাতায়

(C) পদ্মপাতায়

(D) শালপাতায়

Ans: (B) কলাপাতায়

 

  1. অক্ষরজ্ঞানহীনকে লোকে বলে – 

(A) অশ্বের কীবা দিন কীবা রাত 

(B) ক অক্ষর গোমাংস 

(C) কুয়োর ব্যাং 

(D) চোখ থাকতেও অন্ধ

Ans: (B) ক অক্ষর গোমাংস 

 

  1. ছোটোবেলার কালি তৈরি করতে লেখকদের সাহায্য করতেন— 

(A) মা – পিসি – দিদিরা 

(B) বাবা – কাকা – দাদারা 

(C) স্কুলের মাস্টারমশাইরা

(D) বন্ধুবান্ধবরা

Ans: (A) মা – পিসি – দিদিরা

 

  1. ত্রিফলা বলতে যে – তিনটি ফলকে বোঝায় , সেগুলি হল – 

(A) হরীতকী ,  সুপারি , এলাচ 

(B) হরীতকী , সুপারি , আমলকী

(C) বহেড়া , হরীতকী , আমলকী 

(D) বহেড়া , সুপারি , আমলকী

Ans: (C) বহেড়া , হরীতকী , আমলকী

 

  1. ছোটোবেলায় লেখকদের বাড়িতে রান্না হত 

(A) গ্যাসে

(B) স্টোভে

(C) সৌর কুকারে

(D) কাঠের উনুনে

Ans: (D) কাঠের উনুনে

  1. কাঠের উনুনে রান্নার ফলে কড়াইয়ের তলায় জমত—  

(A) কালি 

(B) তেল 

(C) কাঠের গুঁড়ো 

(D) ছাই

Ans: (A) কালি

  1. কড়াইয়ের তলার কালি ঘষে তোলা হত –

(A) কচু পাতা দিয়ে

(B) শিউলি পাতা দিয়ে 

(C) লাউ পাতা দিয়ে

(D) কুমড়ো পাতা দিয়ে

Ans: (C) লাউ পাতা দিয়ে

  1. ছোটোবেলায় লেখকদের লেখালেখির প্রথম উপকরণগুলি ছিল –

(A) খাগের কলম , মাটির দোয়াত , ভূর্জপত্র , ভেষজ কালি 

(B) পালকের কলম , তুলট কাগজ , কাচের দোয়াত , ঘরে বানানো কালি

(C) বাঁশের কলম , মাটির দোয়াত , কলাপাতা , ঘরে তৈরি কালি 

(D) স্লেট , পেনসিল

Ans: (C) বাঁশের কলম , মাটির দোয়াত , কলাপাতা , ঘরে তৈরি কালি 

  1. লেখক প্রাচীন মিশরে জন্মালে কী দিয়ে লিখতেন ?

(A) বাঁশের কঞ্চি

(B) নলখাগড়ার কলম

(C) পালক 

(D) হাড়ের কলম

Ans: (B) নলখাগড়ার কলম

  1. লেখক প্রাচীন ফিনিসীয় হলে লেখার জন্য ব্যবহার করতেন—

(A) পালক

(B) স্টাইলাস

(C) হাড়

(D) নলখাগড়া

Ans: (A) পালক

  1. ‘ স্টাইলাস ‘ আসলে কী ?

(A) প্ল্যাটিনাম শলাকা 

(B) লৌহ শলাকা

(C) ব্রোঞ্জের শলাকা 

(D) তামার শলাকা

Ans: (C) ব্রোঞ্জের শলাকা

  1. সিজার কলম দিয়ে কাকে আঘাত করেছিলেন ?

(A) রোমুলাসকে

(B) কাসকাকে

(C) হেনরিয়েটাকে

(D) ডরোথিকে

Ans: (B) কাসকাকে

  1. চিনারা চিরকাল লিখে আসছে –

(A) তুলিতে

(B) ব্রোঞ্জের শলাকাতে

(C) কুইলে

(D) খাগড়ার কলমে

Ans: (A) তুলিতে

  1. জ্ঞানাঞ্জন শলাকা আসলে –

(A) কাজল পরার কাঠিবিশেষ

(B) কলম 

(C) পেনসিল 

(D) হাড় থেকে তৈরি পেনবিশেষ

Ans: (B) কলম

  1. খাগের কলম একমাত্র দেখা যায় – 

(A) নববর্ষের সময় 

(B) সরস্বতী পূজার সময় 

(C) পরীক্ষার সময়

(D) সরস্বতী পুজোর সময় 

Ans: (B) সরস্বতী পূজার সময়

  1. কাচের দোয়াতে কালির বদলে থাকে –

(A) জল 

(B) রং 

(C) মধু 

(D) দুধ

Ans: (D) দুধ

  1. কুইল হল – 

(A) খাগের কলম

(B) খাগড়ার কলম

(C) পালকের কলম

(D) কঞ্চির কলম

Ans: (C) পালকের কলম

  1. ‘ বাবু কুইল ড্রাইভারস ‘ কথাটি কাদের বলা হত ?

(A) গরম গরম ইংরেজি বলা বাঙালি সাংবাদিকদের 

(B) সরল হিন্দি ভাষায় কথা বলা সাংবাদিকদের 

(C) ভাঙা ভাঙা হিন্দিভাষী সাংবাদিকদের 

(D) সাবলীল বাংলাভাষী সাংবাদিকদের

Ans: (A) গরম গরম ইংরেজি বলা বাঙালি সাংবাদিকদের

  1. ‘ বাবু কুইল ড্রাইভারস ‘ কথাটি বলেছেন—

(A) লর্ড বেন্টিঙ্ক 

(B) লর্ড কার্জন

(C) উইলিয়াম কেরি

(D) হেস্টিংস

Ans: (B) লর্ড কার্জন

  1. পালকের কলম এখন দেখতে পাওয়া যায়

(A) পত্রিকার অফিসে 

(B) সরস্বতী পুজোর সময় 

(C) বিশ্বকর্মা পুজোর সময়

(D) পুরোনো দিনের তৈলচিত্র ফোটোগ্রাফে

Ans: (D) পুরোনো দিনের তৈলচিত্র ফোটোগ্রাফে

  1. কার ছবিতে সামনে দোয়াতে গোঁজা পালকের কলম দেখা যায় ?

(A) দেবী সরস্বতীর 

(B) রবীন্দ্রনাথের

(C) উইলিয়াম জোন্স কিংবা কেরি সাহেবের 

(D) বিদ্যাসাগরের

Ans: (C) উইলিয়াম জোন্স কিংবা কেরি সাহেবের

  1. লেখকের মতে তিনিই হলেন দার্শনিক , যিনি – 

(A) দর্শনের অধ্যাপক 

(B) কানে কলম গুঁজে দুনিয়া খোঁজেন

(C) চোখে চশমা এঁটে বই পড়েন

(D) ভাবের জগতে থাকেন

Ans: (B) কানে কলম গুঁজে দুনিয়া খোঁজেন

  1. লেখক ছেলেবেলায় কাকে পায়ের মোজায় কলম রাখতে দেখেছিলেন ?

(A) মন্ত্রীমশাইকে 

(B) দারোগাবাবুকে 

(C) মাস্টারমশাইকে

(D) পণ্ডিতমশাইকে

Ans: (B) দারোগাবাবুকে

  1. কোনো কোনো অতি আধুনিক ছেলে কোথায় কলম রাখে ?

(A) বুক পকেটে 

(B) পাঞ্জাবির পকেটে 

(C) কাঁধের ছোট্ট পকেটে 

(D) পায়ের মোজায় 

Ans: (C) কাঁধের ছোট্ট পকেটে

  1. ‘ কায়স্থ ‘ আর ‘ রাজপুত ‘ – কে চেনা যায় যথাক্রমে –

(A) কলম ও গায়ের রঙে 

(B) কলম ও গোঁফে

(C) আভিজাত্য ও গোঁফে

(D) দেশপ্রেম ও সত্যবাদিতায়

Ans: (B) কলম ও গোঁফে

  1. কালির অক্ষর নাইকো পেটে , চন্ডী পড়েন –

(A) কালীঘাটে 

(B) বাবুঘাটে 

(C) গঙ্গাঘাটে 

(D) খেয়াঘাটে

Ans: (A) কালীঘাটে

  1. দেশে সবাই সাক্ষর না হলেও কলম এখন – 

(A) অস্পৃশ্য 

(B) সর্বজনীন 

(C) দুর্লভ 

(D) মহার্ঘ

Ans: (B) সর্বজনীন

  1. কলমের দুনিয়ায় সত্যিকারের বিপ্লব ঘটায় –

(A) ব্রোঞ্জের শলাকা

(B) বল – পেন

(C) ফাউন্টেন পেন

(D) কুইল বা পালকের পেন

Ans: (C) ফাউন্টেন পেন

  1. ফাউন্টেন পেনের বাংলা নাম ‘ ঝরনা কলম ‘ দেন – 

(A) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

(B) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(C) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

(D) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর 

  1. ফাউন্টেন পেনের স্রষ্টা— 

(A) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

(B) লুইস অ্যাডসন

(C) পিটার পার্কার

(D) লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান 

Ans: (D) লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান

  1. লেখক প্রথম যে – ফাউন্টেন পেনটি কিনেছিলেন , তার নাম হল 

(A) শেফার্ড 

(B) পার্কার 

(C) ওয়াটারম্যান 

(D) জাপানি পাইলট

Ans: (D) জাপানি পাইলট

  1. লেখক তাঁর প্রথম ফাউন্টেন পেনটি কবে নাগাদ কেনেন ? 

(A) প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর

(B) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর 

(C) ভারতের স্বাধীনতার পর 

(D) ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময়

Ans: (B) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর

  1. বিখ্যাত লেখক শৈলজানন্দের ফাউন্টেন পেনের সংগ্রহ ছিল –

(A) ডজন খানেক 

(B) হাফ ডজন

(C) ডজন দুয়েক

(D) ডজন তিনেক

Ans: (C) ডজন দুয়েক

  1. শৈলজানন্দ ফাউন্টেন পেন সংগ্রহের নেশা পেয়েছিলেন 

(A) শরৎচন্দ্রের থেকে 

(B) রবীন্দ্রনাথের থেকে

(C) অবনীন্দ্রনাথের থেকে

(D) তারাশঙ্করের থেকে

Ans: (A) শরৎচন্দ্রের থেকে

  1. আদিতে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল – 

(A) ঝরনা কলম 

(B) রিজার্ভার পেন 

(C) ওয়াটারম্যান 

(D) শেফার্ড

Ans: (B) রিজার্ভার পেন

  1. উন্নতমানের ফাউন্টেন পেনের নির্মাতা কে ছিলেন ? 

(A) ওয়াটারম্যান 

(B) লুইস ওয়াল্টার

(C) অ্যান্ডারসন 

(D) জন স্টিভেনসন

Ans: (C) অ্যান্ডারসন

  1. লেখক কঞ্চির কলমকে ছুটি দেন – 

(A) শহরে হাই স্কুলে ভরতির পর 

(B) কলেজে ওঠার পর

(C) এমএ পরীক্ষার সময়

(D) চাকরিতে ঢোকার পর

Ans: (A) শহরে হাই স্কুলে ভরতির পর

  1. বিদেশে উন্নত ধরনের টেকসই নিব তৈরি হত –

(A) বাঁশ বা কঞ্চি কেটে 

(B) পালক কেটে 

(C) গোরুর শিং বা কচ্ছপের খোল কেটে 

(D) প্ল্যাটিনাম কেটে

Ans: (C) গোরুর শিং বা কচ্ছপের খোল কেটে

  1. প্রথম দিকে লেখা শুকনো করা হত –

(A) ব্লটিং পেপার দিয়ে 

(B) শুকনো বালি দিয়ে 

(C) চক দিয়ে 

(D) কাপড়ের টুকরো দিয়ে

Ans: (B) শুকনো বালি দিয়ে

  1. প্রথম দিকে শুকনো বালি দিয়ে কালি শুকনো করলেও পরের দিকে তা করা হত –

(A) ব্লটিং পেপার দিয়ে 

(B) চক দিয়ে

(C) শুকনো কাপড় দিয়ে 

(D) কোনোটিই নয়

Ans: (A) ব্লটিং পেপার দিয়ে

  1. সোনার দোয়াত কলমের সত্যতা লেখক জেনেছিলেন –

(A) অবনীন্দ্রনাথের দোয়াত সংগ্রহ থেকে 

(B) শৈলজানন্দের কাছ থেকে

(C) সুভো ঠাকুরের দোয়াত সংগ্রহ দেখে

(D) শরৎচন্দ্রের কলম সংগ্রহ থেকে 

Ans: (C) সুভো ঠাকুরের দোয়াত সংগ্রহ দেখে

  1. ফাউন্টেন পেনের পর বাজারে এল –

(A) খাগের কলম 

(B) কঞ্চির কলম 

(C) পালকের কলম 

(D) বল – পেন

Ans: (D) বল – পেন

  1. কম্পিউটার কাদের জাদুঘরে পাঠাবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছে ? 

(A) ফাউন্টেন পেনকে 

(B) খাগের কলমকে 

(C) বল – পেনকে 

(D) সব কলমকে

Ans: (D) সব কলমকে

  1. যারা ওস্তাদ কলমবাজ তাদের বলা হত – 

(A) স্টেনোগ্রাফার 

(B) ক্যালিগ্রাফিস্ট 

(C) টাইপিস্ট 

(D) জার্নালিস্ট

Ans: (B) ক্যালিগ্রাফিস্ট

  1. ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ রচনায় লেখকের বয়স কত বলে ধারণা করা হয়েছে – 

(A) চল্লিশ – পঞ্চাশ 

(B) পঞ্চাশ – ষাট 

(C) পঁয়তাল্লিশ – পঞ্চাশ 

(D) ষাট – সত্তর

Ans: (B) পঞ্চাশ – ষাট

  1. উনিশ শতকে বত্রিশ হাজার অক্ষর লেখানোর পারিশ্রমিক ছিল – 

(A) আটআনা 

(B) ষোলোআনা 

(C) বারোআনা 

(D) চারআনা 

Ans: (C) বারোআনা

  1. কলমের শক্তিকে কীসের শক্তির সঙ্গে তুলনা করা হয়ে থাকে ? 

(A) বক্তব্যের 

(B) বন্দুকের 

(C) তলোয়ারের 

(D) কামানের

Ans: (C) তলোয়ারের

.৬২ ‘ অনেক ধরে ধরে টাইপরাইটারে লিখে গেছেন মাত্র একজন । তিনি হলেন – 

(A) সত্যজিৎ রায়

(B) অন্নদাশঙ্কর রায় 

(C) রাজশেখর বসু

(D) সুবোধ ঘোষ

Ans: (B) অন্নদাশঙ্কর রায়

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | হারিয়ে যাওয়া কালি কলম (প্রবন্ধ) শ্রীপান্থ – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Hariya Jawa Kali Kolom Question and Answer : 

  1. ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থের আসল নাম কী ?

Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ’ প্রবন্ধের লেখক শ্রীপাস্থের আসল নাম নিখিল সরকার । 

  1. লেখে তিনজন ? – এই তিন জন কে কে ?

Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে বর্ণিত বাংলা প্রবাদ অনুযায়ী এই তিন জন হল- কালি , কলম আর মন । 

  1. লেখক যেখানে কাজ করেন সেটা কীসের অফিস ?

Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থ যেখানে কাজ করেন , সেটা লেখালেখির অফিস । 

  1. ‘ কিন্তু আমি ছাড়া কারও হাতে কলম নেই / –কেন ?  

Ans: লেখক শ্রীপান্থ কাজ করতেন একটি সংবাদপত্র অফিসে । সেখানে একমাত্র তিনিই কলমে লিখতেন , বাকি সকলেই লিখতেন কম্পিউটারে । তাই কারও হাতে কলম থাকত না । 

  1. লেখকরা মাঝে মাঝে লেখা থামিয়ে পর্দার দিকে তাকাচ্ছেন কেন ?

Ans: লেখকরা ইতিমধ্যে যা লিখেছেন , তা পর্দায় ফুটে উঠেছে । সেগুলি পড়ার জন্যই তারা মাঝে মাঝে পর্দার দিকে তাকাচ্ছেন ।

  1. কারা , কীভাবে লেখকের লেখাকে ছাপার জন্য তৈরি করে দেন ? 

Ans: লেখকের সহকর্মীরা তাঁকে ভালোবেসে তাঁর লেখা কম্পিউটারে টাইপ করে ছাপার জন্য তৈরি করে দেন ।

  1. একদিন যদি কোনও কারণে কলম নিয়ে যেতে ভুলে যাই তবেই বিপদ । — কী ধরনের বিপদের কথা বলা হয়েছে ?

Ans: লেখক শ্রীপাস্থের অফিসে তিনি ছাড়া সকলেই কম্পিউটারে লিখতেন । কলম নিতে ভুলে গেলে কলম পাওয়া ভার ছিল । আর পেলেও তাতে তিনি লিখে সুখ পেতেন না । 

  1. ‘ দায়সারা ভাবে কোনও মতে সেদিনকার মতো কাজ সারতে হয় । বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী ?

Ans: লেখক অফিসে কলম নিয়ে না – এলে সেদিন তাঁর লেখায় ব্যাঘাত ঘটত । চেষ্টা করে যদিও বা ভোঁতামুখ একখানি কলম জুটত , তাতে লিখে সুখ পেতেন না । লেখক কাজটি তখন দায়সারাভাবে সারতেন ।

  1. ‘ কালগুণে বুঝি বা আজ আমরাও তা – ই’— বক্তব্যটি প্রশ্ন পরিস্ফুট করো ।

Ans: লেখকের লেখালেখির অফিস , অথচ কলম নেই । তাই ‘ কালি নেই , কলম নেই , বলে আমি মুনশি ‘ প্রবাদটির মাধ্যমে তিনি বলতে চেয়েছেন আমরাও যেন তা অনুসরণ করছি ।

  1. ‘ বড়োরা শিখিয়ে দিয়েছিলেন , ‘ — বড়োরা কী শিখিয়ে দিয়েছিলেন ?

Ans: লেখকরা ছোটোবেলায় বাঁশের কঞ্চি দিয়ে কলম বানাতেন । বড়োরা তখন কলমের মুখটা সরু করার সঙ্গে সঙ্গে চিরে দেওয়ার কথাও শিখিয়ে দিতেন , কালি যাতে চুইয়ে পড়ে ।

  1. ‘ আর সেগুলি বান্ডিল করে নিয়ে যেতাম স্কুলে ।— ‘ সেগুলি বলতে কীসের কথা বলা হয়েছে ?

Ans: লেখকরা ছোটোবেলায় কলাপাতাকে কাগজের মতো করে কেটে তাতে স্কুলের কাজ করতেন । মাস্টারমশাইকে দেখানোর জন্য সেগুলি বান্ডিল করে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে । 

  1. গোরু খেয়ে নিলে অমঙ্গল / – গোরু কী খেয়ে নিলে অমঙ্গল এবং সেই অমঙ্গল এড়ানোর জন্য কী করা হত ।

Ans: যে – কলাপাতায় লেখকরা ছোটোবেলায় হোমটাস্ক করতেন , সেগুলি বাইরে ফেললে যদি গোরু খেয়ে নেয় , তবে অমঙ্গল হতে পারে । অমঙ্গল এড়াতে সেগুলো পুকুরে ফেলে দেওয়া হত ।

  1. ‘ আমরা কালিও তৈরি করতাম নিজেরাই কালি তৈরির পদ্ধতিটি কীরুপ ছিল ? 

অথবা , লেখকেরা কীভাবে সহজ পদ্ধতিতে কালি তৈরি করতেন ?

Ans: কড়াইয়ের ভুসো কালি জলে গুলে তাতে হরীতকী ঘষে বা আতপ চাল পোড়া মিশিয়ে , সবশেষে খুস্তিকে লাল করে পুড়িয়ে সেই জলে ছাঁকা দিয়ে কালি তৈরি হত । 

  1. ‘ দোয়াত মানে মাটির দোয়াত ।— ‘ দোয়াত ‘ বলতে কী বোঝায় ?

Ans: ‘ দোয়াত ’ হল কালি রাখার পাত্র । ছোটোবেলায় কালি তৈরির পর ন্যাকড়ায় হেঁকে লেখকরা মাটির দোয়াতে ঢেলে রাখতেন । দোয়াত মাটি ছাড়াও কাচ ও অন্যান্য ধাতুর হত । 

  1. প্রাচীনদের কালি তৈরি প্রসঙ্গে অভিমত কী ছিল ? 

Ans: প্রাচীনেরা তিল , ত্রিফলা আর শিমুল ছাল ছাগলের দুধে ফেলে লোহার পাত্রে রেখে অন্য একটি লোহার খুন্তি দিয়ে উপকরণগুলি ঘষে কালি বানাতেন ।

  1. লেখক ভারতে না – জন্মে যদি প্রাচীন মিশরে জন্মাতেন । তবে কী করতেন ?

Ans: লেখক যদি ভারতে না – জন্মে প্রাচীন মিশরে জন্মাতেন তবে , নীলনদের তীর থেকে নলখাগড়া ভেঙে সেটাকে ভোঁতা করে তুলি কিংবা ছুঁচোলো করে কলম বানাতেন ।

  1. ‘ কলম সেদিন খুনিও হতে পারে বইকি ।’— বক্তব্যটি স্পষ্ট করো ।

Ans: খ্রিস্টের জন্মের আগে রোমের অধীশ্বর জুলিয়াস সিজার ব্রোঞ্চের কলম বা স্টাইলাস দিয়ে কাসকাকে আঘাত করেছিলেন । সে – কথাই এখানে বলা হয়েছে ।

  1. ‘ পালকের কলমও আর চোখে পড়ে না । ‘ –’হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধ থেকে পালকের কলম সম্পর্কে কী জানা যায় ? অথবা , কুইল কী ?

Ans: পালকের কলমের ইংরেজি নাম ‘ কুইল ’ । কার্জন বাঙালি সাংবাদিকদের ইংরেজি দেখে নাম দেন ‘ বাবু কুইল ড্রাইভারস ‘ । এখন এই ‘ কুইল ‘ কেবল পুরোনো দিনের ছবিতেই দেখা যায় ।

  1. ‘ যন্ত্রটা এক ধরনের পেনসিল সার্পনারের মতো । —কোন যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে ?

Ans: পালককে কেটে কলম বানানোর জন্য সাহেবরা একটা ছোটো যন্ত্র বের করেছিলেন । যার মধ্যে পালক ঢুকিয়ে চাপ দিলেই তৈরি হয়ে যেত কলম , সেই কথাই বলা হয়েছে । 

  1. কলম বিক্রি পেশা সম্পর্কে হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে লেখক কী বলেছেন ?

Ans: শ্রীপান্থ তাঁর প্রবন্ধে কলম বিক্রির পেশা সম্পর্কে এক বিদেশি সাংবাদিকের কথার প্রতিধ্বনি করে বলেছেন যে , ‘ চৌরঙ্গির ফুটপাতের প্রতি তিনজন বিক্রেতার একজন হলেন কলম বিক্রেতা ।

  1. “ ও দিদি , আপনার খোঁপায় কলম । প্রসঙ্গটি বুঝিয়ে দাও ।

Ans: অনেক সময় ভিড় ট্রামে – বাসে যাতায়াত করতে গিয়ে কারও বুক পকেটে রাখা পেন আটকে যায় কোনো মহিলা যাত্রীর খোঁপায় । সেই প্রসঙ্গেই বক্তার এমন সরস মন্তব্য । 

  1. ‘ কলম তাদের কাছে অস্পৃশ্য । — কেন ?

Ans: বর্তমানে ডট – পেন বা বল – পেনের রমরমার যুগে কলম অত্যন্ত সত্তা ও সর্বভোগ্য হয়ে পড়েছে । পকেটমারদের কাছে তাই হাতসাফাইয়ের বস্তু হিসেবে কলম অস্পৃশ্য ।

  1. ‘ আবার তিনি ছুটলেন কালির সন্ধানে । — কে , কেন কালির সন্ধানে ছুটেছিলেন ?

Ans: ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কর্তা লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে চুক্তিপত্র সই করার সময় দোয়াত উলটে সব কালি পড়ে যায় । তখন তিনি কালির সন্ধানে ছোটেন ।

  1. ‘ জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন। — ফাউন্টেন পেনের জন্মবৃত্তান্তটি উল্লেখ করো ।

Ans: লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান একবার এক চুক্তিপত্র সই করার সময় দোয়াত উলটে যাওয়ায় চুক্তি বাতিল হয়ে যায় । এরই বিহিত করতে তিনি ফাউন্টেন পেন আবিষ্কার করেন । 

  1. লেখক কোথা থেকে তাঁর জীবনের প্রথম ফাউন্টেন পেনটি কিনেছিলেন ?

Ans: লেখক শ্রীপান্থ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের বেশ কয়েক বছর পরে কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের এক নামি দোকান থেকে তাঁর জীবনের প্রথম ফাউন্টেন পেনটি কিনেছিলেন ।

  1. পেনের নিব ঠিক আছে কিনা তা দোকানদার কীভাবে লেখককে দেখিয়েছিলেন ? 

Ans: দোকানদার টেবিলের একপাশে দাঁড় করানো একটা কাঠের বোর্ডের ওপর কলমটা ছুড়ে দিলেন । তারপর সেটা খুলে নিয়ে লেখককে । দেখালেন যে , নিবটা অক্ষত আছে । 

  1. এই নেশা পেয়েছি আমি শরৎদার কাছ থেকে । – কোন্ নেশার কথা বলা হয়েছে ? 

Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে প্রবন্ধকার শ্রীপাখ শৈলজানন্দের ফাউন্টেন পেন সংগ্রহের নেশার কথা বলেছেন । তাঁর সংগ্রহে মূল্যবান কলম ছিল প্রায় দু – ডজন ।

  1. লেখক হাই স্কুলে পড়ার সময় কী ধরনের কালি ব্যবহার করতেন ? 

Ans: হাই স্কুলে পড়ার সময় লেখক লাল , নীল কালির ট্যাবলেট দিয়ে কালি বানাতেন । এ ছাড়া দোয়াতে আর বোতলে তৈরি কালিও পাওয়া যেত । 

  1. ‘ অবাক হয়ে সেদিন মনে মনে ভাবছিলাম / – লেখক কী ভাবছিলেন ?

Ans: সুভো ঠাকুরের বিখ্যাত দোয়াত সংগ্রহ দেখে লেখক শ্রীপাদ ভেবেছিলেন যে , শেকসপিয়র থেকে শুরু করে আমাদের শরত্চন্দ্র পর্যন্ত সাহিত্য ও ইতিহাসের বিখ্যাত চরিত্ররা সেইসব দোয়াত ব্যবহার করেই অমর সব রচনা লিখে গেছেন । 

  1. ‘ যন্ত্রযুগ সকলের দাবি মেটাতেই তৈরি । — কী ধরনের দাবির কথা বলা হয়েছে ? 

Ans: ফাউন্টেন পেনের বিজ্ঞাপনে ব্যক্তিবিশেষের চাহিদা ও পছন্দের কথা প্রসঙ্গে শ্রীপান্থের এই উক্তি । কোম্পানি বিভিন্ন শ্রেণির লেখকদের জন্য সাতশো রকমের নিব ও ধনীদের জন্য সোনায় গড়া হিরে বসানো কলমও তৈরি করেছিল ।

  1. ‘ কিন্তু ইতিহাসে ঠাই কিন্তু তার পাকা।— কার , কেন ইতিহাসে ঠাঁই পাকা ?

Ans: কম্পিউটারের যুগে কলমের সুদিনের অবসান হয়েছে । তবু ইতিহাসে কলমের স্থান পাকা । মোগল – সহ বিশ্বের সব দরবারেই লিপিকুশলীরা বিশেষভাবে সম্মানিত হয়ে এসেছেন এই কলম দিয়ে লিখেই । 

  1. শ্রীপান্থের লেখা ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধটি থেকে আঠেরো শতকের লিপিকরদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে কী জানতে পারা যায় ? 

Ans: অষ্টাদশ শতকে একজন লিপিকর চারখণ্ড রামায়ণ কপি করে পেয়েছিলেন নগদ সাত টাকা , কিছু কাপড় আর মিঠাই । 

  1. ‘ সম্ভবত শেষ পর্যন্ত নিবের কলমের মানমর্যাদা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন একমাত্র সত্যজিৎ রায় । ‘ –এ কথার যৌক্তিকতা কতখানি ?

Ans: সত্যজিৎ রায়ের লিপিশিল্পের প্রতি আকর্ষণ সর্বজনবিদিত । তাঁর হস্তলিপির কুশলতা তাঁর অন্যান্য শিল্পকর্মের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত । তাই তিনিই কেবল নিবের কলমের মানমর্যাদা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ।

  1. মনে মনে সেই ফরাসি কবির মতো বলেছি — ফরাসি কবি কী বলেছিলেন ? 

Ans: ফরাসি কবি বলেছিলেন— ‘ তুমি সবল , আমি দুর্বল । তুমি সাহসী , আমি ভীরু । তবু যদি তুমি আমাকে হত্যা করতে চাও , আচ্ছা , তবে তা – ই হোক । ধরে নাও আমি মৃত ।

  1. ‘ সেই আঘাতেরই পরিণতি নাকি তাঁর মৃত্যু । -কোন্ আঘাতের পরিণতির কথা বলা হয়েছে ।

Ans: বাংলা সাহিত্যে ‘ কঙ্কাবতী ’ ও ‘ ডমরুধর ’ – এর স্রষ্টা ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় নিজের হাতের কলম অসাবধানতাবশত বুকে বিঁধে মারা যান । সেই ঘটনার কথা বলা হয়েছে ।

  1. ‘ দোয়াত যে কত রকমের হতে পারে প্রবন্ধে কত রকমের দোয়াতের কথা বলা হয়েছে ?

Ans: হারিয়ে যাওয়া কালি কমল ‘ প্রবন্ধে লেখক মাটির , কাচের , কাট – গ্লাসের , পোর্সেলিনের , শ্বেতপাথরের , জেডের , পিতলের , ব্রোঞ্জের , ভেড়ার শিংয়ের ও সোনার তৈরি দোয়াতের কথা বলেছেন ।

  1. লেখক শ্রীপান্থ ছোটোবেলায় কীসে ‘ হোম – টাস্ক ’ করতেন ? 

Ans: লেখক শ্রীপান্থ ছোটোবেলায় কলাপাতা কেটে কাগজের মতো সাইজ করে নিয়ে তাতে ‘ হোম – টাস্ক ‘ করতেন । ‘ খাগের কলম দেখা যায় একমাত্র সরস্বতী পুজোর 

  1. সময়’- কেন এমন বলা হয়েছে ?

Ans: এখনকার স্কুলের ছেলেমেয়েরা কলমে লেখে । শহর কিংবা গ্রাম কোথাও আর বাঁশের কঞ্চির কলমের কোনো ব্যবহার নেই । তাই সরস্বতী পুজোর সময়েই একমাত্র খাগের কলম দেখা যায় ।

  1. ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কারক কে ?

Ans: ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কারক হলেন লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান । ‘ নামটা রবীন্দ্রনাথের দেওয়াও হতে পারে 

  1. রবীন্দ্রনাথের দেওয়া নামটি কী ?

Ans: রবীন্দ্রনাথের দেওয়া ফাউন্টেন পেনের নামটি হল ঝরনা কলম । 

  1. দুজন সাহিত্যিকের নাম করো যাঁদের নেশা ছিল ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ করা ।  

Ans: শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হলেন সেই দুজন সাহিত্যিক , যাঁদের নেশা ছিল ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ করা ।

  1. লেখক ছোটোবেলায় কেমন করে কলম তৈরি করতেন ?

Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধ অনুসারে লেখকেরা রোগা বাঁশের কঞ্চি কেটে কলম তৈরি করতেন । আর কলম শুধু ছুঁচোলো হত না , তার মুখটাও চিরে দিতে হত । 

  1. ‘ দার্শনিক তাকেই বলি’— কাকে প্রাবন্ধিক দার্শনিক বলেন ? 

Ans: হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক ; যিনি কানে কলম খুঁজে রেখে তা সারাদুনিয়ায় কলম খুঁজে বেড়ান , তাকেই দার্শনিক আখ্যা দিয়েছেন । 

  1. … দু’একটা পাশ দিতে পারলেই বুড়ো বুড়িরা আশীর্বাদ করতেন— কী বলে আশীর্বাদ করতেন ? 

Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ রচনা অনুসারে দু – একটা পাস দিতে পারলেই বুড়োবুড়িরা আশীর্বাদ করে বলতেন , বেঁচে থাকো বাছা তোমার সোনার দোয়াত – কলম হোক ।

  1. ‘ আমি যেখানে কাজ করি— লেখক কোথায় কাজ করতেন ? 

Ans: হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ রচনার লেখক একটি লেখালেখির অফিস তথা সংবাদপত্রের অফিসে সাংবাদিকতার কাজ করতেন ।

  1. ‘ ভাবি , আচ্ছা , আমি যদি যিশু খ্রিস্টের আগে জন্মাতাম তাহলে কী হত বলে লেখক মনে করেন ?

Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে লেখক মনে করেন তিনি জিশু খ্রিস্টের আগে জন্মালে হয়তো নলখাগড়া ভেঙে ভোঁতা করে তুলি বানিয়ে কিংবা বন থেকে হাড় কুড়িয়ে কলম তৈরি করে , মিশরীয় বা ফিনিসীয়দের মতো লিখতেন । 

  1. ‘ মোগল দরবারে একদিন তাদের কত না খাতির , কত না সম্মান এখানে তাঁদের বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে ?

Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধ অনুসারে , এখানে ‘ তাঁদের ’ বলতে ‘ ক্যালিগ্রাফিস্ট ‘ বা লিপিকুশলী ওস্তাদ কলমবাজদের কথা বলা হয়েছে ।

  1. ‘ যার পোশাকি নাম স্টাইলাস’— ‘ স্টাইলাস ‘ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? 

Ans: রোম সাম্রাজ্যের অধীশ্বর জুলিয়াস সিজার যে – ব্রোঞ্জের শলাকা বা কলম ব্যবহার করতেন , তার পোশাকি নাম ছিল ‘ স্টাইলাস ‘ ।

  1. ‘ কুইল ড্রাইভারস ‘ কাদের বলা হত ?

Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ’ প্রবন্ধ অনুসারে , পালকের কলমকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘ কুইল ‘ । লর্ড কার্জন বাঙালি সাংবাদিকদের গরম গরম ইংরেজি দেখে তাঁদের ‘ বাবু কুইল ড্রাইভারস ‘ আখ্যা দিয়েছিলেন ।

  1. কালি তৈরির উৎকৃষ্ট পদ্ধতি সম্পর্কে প্রাচীনদের বলা ছড়া বা প্রচলিত প্রবাদটি উল্লেখ করো । অথবা , ‘ প্রাচীনেরা বলতেন — প্রাচীনেরা কী বলতেন ? 

Ans: হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে উল্লিখিত প্রাচীনদের বলা ছড়াটি হল , “ তিল ত্রিফলা সিমুল ছালা / ছাগ দুগ্ধে করি মেলা / লৌহপাত্রে লৌহায় ঘসি / ছিঁড়ে পত্র না ছাড়ে মসি । 

  1. ‘ যন্ত্রযুগ সকলের দাবি মেটাতেই তৈরি / — কী ধরনের দাবির কথা বলা হয়েছে ?

Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধ অনুসারে এক ফাউন্টেন পেন কোম্পানির বিজ্ঞাপনে ছিল গায়ক , স্টেনোগ্রাফার , লেখক প্রভৃতি বিভিন্ন পেশার মানুষদের জন্য তাদের সাতশো রকম নিবের বন্দোবস্ত রয়েছে । অর্থাৎ যন্ত্রযুগ সকলের চাহিদা পুরণের জন্যই প্রস্তুত এ কথাই লেখক বলেছেন । 

  1. ক্যালিগ্রাফিস্ট কাদের বলে ?

Ans: হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ’ প্রবন্ধ অনুসারে মধ্যযুগে এবং তার পরবর্তীকালে যাঁরা ছিলেন ওস্তাদ কলমবাজ বা লিপিকুশলী , যে সমস্ত লিপিকরদের লেখা পুথি দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায় , তাদের বলা হত ক্যালিগ্রাফিস্ট ।

  1. ‘ বাংলায় একটা কথা চালু ছিল— কথাটি কী ? 

Ans: পাঠ্য রচনা অনুসারে চালু কথাটি হল , ‘ কালি নেই , কলম নেই , বলে আমি মুনশি । 

  1. ‘ তখন মনে কষ্ট হয় বই কী ! — কখন মনে কষ্ট হয় ? 

Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ রচনা অনুসারে লেখকদের প্রথম লেখালেখির সূত্রপাত ঘটেছিল বাঁশের কলম , মাটির দোয়াত , ঘরে তৈরি কালি আর কলাপাতায় । কিন্তু পরে সে – সমস্তই কালের নিয়মে হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হলে তার মনে এমন অনুভূতি হয়েছিল । 

  1. ‘ এই দেখো । নিব ঠিক আছে । কোন্ ঘটনায় বক্তা এরুপ বলেছিলেন ? 

Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ’ রচনা অনুসারে এক দোকানি লেখককে একটি জাপানি পাইলট কলম দেখিয়ে আচমকা খাপ সরিয়ে সেটি ছুড়ে দিয়েছিলেন টেবিলের এক পাশে দাঁড় করানো একটি কাঠের বোর্ডের ওপর । তারপর অক্ষত কলমটি বোর্ড থেকে খুলে নিয়ে তিনি আলোচ্য মন্তব্যটি করেছিলেন । 

  1. কোন্ প্রধান কবি বা লেখক টাইপরাইটারে লিখতেন ?

Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ রচনা অনুসারে লেখক অন্নদাশঙ্কর রায় টাইপরাইটারে লিখতেন ।

  1. ‘ কঙ্কাবতী ‘ এবং ‘ ডমরুধর ’ উপন্যাস দুটির লেখক কে বা কারা ? 

Ans: ‘ কঙ্কাবতী ‘ এবং ‘ ডমরুধর ‘ উপন্যাস দুটিরই লেখক হলেন ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় । 

  1. ‘ ওর কাছে ক ’ অক্ষর গোমাংস –’ক ‘ অক্ষর গোমাংস কথার অর্থ কী ?

Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধ অনুসারে ‘ ক’অক্ষর গোমাংস ‘ বলতে অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষকে বোঝানো হয় । যার অর্থ গোরুকে অক্ষর খাওয়ালে পাপ কিংবা অমঙ্গল হয় ।

  1. পকেটমাররা এখন আর কলম নিয়ে হাত সাফাইয়ের খেলা দেখায় না কেন ?

Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থর মতে কলম এখন এতই সস্তা এবং সর্বভোগ্য হয়ে গেছে যে , পকেটমাররাও আর তা নিয়ে হাত সাফাইয়ের খেলা দেখায় না ।

  1. ‘ রিজার্ভার পেন ‘ কী ? 

Ans: হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ রচনা অনুসারে আদিতে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল ‘ রিজার্ভার পেন ‘ । লুই ওয়াটারম্যান তাকেই অনেক উন্নত করে ফাউন্টেন পেন তৈরি করেন । 

  1. ‘ কিন্তু সেসব ফাঁকি মাত্র।- তাৎপর্য লেখো । 

Ans: পালক কলম অর্থাৎ কুইল এবং দোয়াত কলমের পরিবর্তে অফিসে ছদ্মবেশী বল – পেন সাজানো থাকে , যাকে লেখক বলেছেন ‘ ফাকি মাত্র ’ ।

  1. ‘ আমি যদি হতাম স্বয়ং জুলিয়াস সিজার – তাহলে কী হত ?

Ans: লেখক শ্রীপান্থ কল্পনা করেছেন তিনি জুলিয়াস সিজার হলে শ্রেষ্ঠ কারিগরেরা তাঁর হাতে বড়োজোর একটা স্টাইলাস নামের ব্রোঞ্জের শলাকা তুলে দিত , এর বেশি কিছু নয় ।

  1. ‘ আমরা এতকিছু আয়োজন কোথায় পাব ? – ‘ এতকিছু আয়োজন ‘ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? 

Ans: ভালো কালি তৈরি করতে তিল , ত্রিফলা ও শিমুলের । ছাগলের দুধে ফেলে লোহার পাত্রে রেখে , আর একটি লোহার খুক্তি দিয়ে ঘষে কালি বানাতে হত । এখানে এই আয়োজনের কথাই বলা হয়েছে । 

  1. ‘ ফাউন্টেন পেনের এক বিপদ — বিপদটি কী ? 

Ans: ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ রচনা অনুসারে ফাউন্টেন পেনের এক বিপদ হল তা লেখককে নেশাগ্রস্ত করে । লেখক পয়সাওয়ালা হলে তাঁকে দামি কলম সংগ্রহের নেশায় পেয়ে বসে । 

  1. ‘ এত বছর পরে সেই কলম যখন হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম— কলম হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম কেন ? 

Ans: শ্রীপান্থের মতে ফাউন্টেন , বল – পেন কিংবা ডট – পেনের বহুল প্রচলনের ফলে বাঁশের কলম আজ হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম । 

রচনাধর্মীয় প্রশ্নোত্তর | হারিয়ে যাওয়া কালি কলম (প্রবন্ধ) শ্রীপান্থ – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Hariya Jawa Kali Kolom Question and Answer : 

1. ‘ কালগুণে বুঝিবা আজ আমরাও তা – ই ।— ‘ আমরা ‘ কারা ? বক্তব্যটির সাহায্যে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন ?

Ans: প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থের ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে উদ্ধৃত ‘ আমরা ’ শব্দটি পাই । কালি – কলমে যাঁরা ছোটোবেলা থেকে লিখে এসেছেন । এখন তাঁরাই কম্পিউটারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন । ‘ আমরা ‘ বলতে সেইসব আত্মসমর্পণকারী অগণিত মানুষকে বোঝানো হয়েছে । লেখক যা বলতে চেয়েছেন । | লেখক শ্রীপান্থ তাঁর প্রবন্ধ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – এ যা বলতে চেয়েছেন প্রবন্ধের নামকরণেই তা লুকিয়ে আছে । তিনি এই প্রবন্ধে কতগুলি প্রবাদের সাহায্যে বিষয়টিকে আলাদা একটা মাত্রা দিয়েছেন । লেখার জগতে যন্ত্র – নির্ভরতা বেড়ে যাওয়ায় ক্রমশ বিদায় নিচ্ছে কালি – কলম । বাংলায় একটা প্রবাদ আছে ‘ কালি – কলম – মন , লেখে তিনজন ” অর্থাৎ এই তিনের সামঞ্জস্যই সুন্দর লেখার মূল । বর্তমানে মন থাকলেও কালি – কলম প্রায় লুপ্ত । লেখক সংবাদপত্রের অফিসে কর্মরত । সেখানে তিনি ছাড়া প্রায় সকলেই । কম্পিউটারে লেখালেখির কাজটা করতেন । কোনো কারণে একদিন লেখক কলম না নিয়ে গেলে বিপদে পড়তেন । আর যদিও – বা খুঁজে পেতে কলম একটা জুটত তবে তাতে তিনি লিখে সুখ পেতেন না । সেদিন সব কাজ তিনি দায়সারাভাবে সারতেন । এই বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে কালি নেই , কলম নেই , বলে আমি মুনশি ‘ প্রবাদটি তুলে ধরেছেন । আমরাও যে সময়ের পরিবর্তনে সেই দিকেই এগোচ্ছি অর্থাৎ কালি – কলম না থেকেও আমি লেখক সে – কথা বোঝাতেই উক্ত প্রসম্পটির অবতারণা করেছেন ।

2. ‘ আমরা কালিও তৈরি করতাম নিজেরাই / -কালি তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে যা জান লেখো ।

Ans: কালি – কলমের অতীত সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে লেখক শ্রীপান্থ বাঁশের কঞ্চির কলম তৈরির কথা বলেছেন । একইসঙ্গে সেই কঞ্চির কলম যে কালিতে ডুবিয়ে লেখা হত সেই কালি কীভাবে তৈরি করা হত তাও বলেছেন । লেখকরা নিজেরাই এই কালি তৈরি করলেও মা , পিসিদের সাহায্যও নিতেন । প্রবন্ধে লেখক কালি তৈরির যে দু – রকম পদ্ধতির কথা বলেছেন , তার মধ্যে প্রথমটি আয়োজন – নির্ভর ; সেইসব উপকরণ লেখকদের পক্ষে সংগ্রহ করা কঠিন ছিল । প্রাচীন এই পদ্ধতিতে তিল , ত্রিফলা ( হরীতকী , বহেড়া , আমলকী ) লোহার পাত্রে ছাগলের দুধে ভিজিয়ে রাখতে হত । তারপর একটি লোহার দণ্ড দিয়ে সেটি ভালো করে ঘষে নিতে হত । এই কালি এতটাই টেকসই হত যে , লেখার পাতা ছিঁড়লেও কালি উঠত না । 

  লেখকদের কালি তৈরির পদ্ধতিটি ছিল বেশ সহজ । বাড়িতে কাঠের উনুনে যে – কড়াইয়ে রান্না হত তার তলায় কালি জমত ; সেই কালি লাউপাতা দিয়ে ঘষে তুলে নিয়ে পাথরের বাটিতে রাখা জলে লেখকরা কালি তৈরি গুলে নেওয়া হত । কেউ কেউ এর মধ্যে হরীতকী যেভাবে করতেন ঘষতেন ও পোড়া আতপচাল গুঁড়িয়ে মেশাতেন । সবশেষে খুন্তিকে লাল করে পুড়িয়ে সেই জলে ডোবালে জল ফুটে উঠত । ঠান্ডা হলে ন্যাকড়ায় হেঁকে দোয়াতে ভরে নেওয়া হত ঘরে তৈরি এই কালি । 

3. ‘ ভাবি , আচ্ছা , আমি যদি জিশু খ্রিস্টের আগে জন্মাতাম ! ‘ — জিশু খ্রিস্ট কে ? লেখক তাঁর আগে জন্মালে কী হত বলে জিশু খ্রিস্ট কে ? 

 Ans: জিশু খ্রিস্ট হলেন খ্রিস্টধর্মের অনুসারীদের উপাস্য ঈশ্বরপুত্র , যিনি প্রেম ও প্রশান্তির সপক্ষে দাঁড়িয়ে ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন । জিশু খ্রিস্টের জন্মের সময় থেকে ইংরেজি সাল বা খ্রিস্টাব্দের হিসাব করা হয় । শ্রীপান্থ ছদ্মনামের আড়ালে লেখক নিখিল সরকার কল্পনা করেছেন যে , জিশু খ্রিস্টের আগে জন্মালে তিনি হয়তো ভারতে নয় , জন্ম নিতেন প্রাচীন মিশরে । বাঙালি না হয়ে হতেন প্রাচীন সুমেরিয়ান বা ফিনিসিয়ান । হয়তো নীলনদের তীর থেকে নলখাগড়া ভেঙে লেখকের পূর্বে এনে তাকে ভোঁতা করে তুলি বানিয়ে লিখতেন । কিংবা ছুঁচোলো করে কলম তৈরি করতেন । ফিনিসীয় হলে হয়তো বন থেকে হাড়ের টুকরো কুড়িয়ে নিয়ে কলম বানাতেন । যদি তিনি রোমের অধীশ্বর স্বয়ং জুলিয়াস সিজার হতেন , তবে হয়তো স্টাইলাস নামক ব্রোঞ্জের শলাকাই হত তাঁর কলম । প্রাবন্দির এভাবেই কখনও সুমেরীয় বা ফিনিসীয় , আবার কখনও রোমান হিসেবে নিজেকে কল্পনা করে কলমের ঐতিহাসিক পূর্বসুরিদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়েছেন । এর ফলে তিনি সুকৌশলে হাজার হাজার বছর ধরে । কলমের যাত্রাপথটিকে পাঠকের চোখের সামনে অনায়াসে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন । 

4. ‘ হারিয়ে কালি কলম ‘ প্রবন্ধে যে নানা ধরনের কলমের বর্ণনা রয়েছে , তা সংক্ষেপে আলোচনা করো । 

Ans: হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে লেখক শ্রীপাৰ্শ্ব নানা ধরনের কলমের কথা লিখেছেন । একসময় কলম তৈরি হত সরু বাঁশের কঞ্চি কেটে । তারও বহুকাল আগে , জিশু খ্রিস্টের জন্মের আগে হাড় , নলখাগড়া প্রভৃতি দিয়ে কলম বানানো হত । তারপরে এল স্টাইলাস বা ব্রোঞ্চের শলাকা দিয়ে তৈরি কলম । এ ছাড়া চিনারা চিরকালই তুলিতে লেখে । আবার সরস্বতী পুজোয় দেখা যায় খাগের কলম । একসময় পাখির পালকের মুখ সরু করে তৈরি হত কলম , যার নাম ছিল ‘ কুইল ‘ । আধুনিক যুগে সস্তা ও সহজলভ্য কলমকে বলে ডট – পেন বা বল – পেন । তবে কলমের দুনিয়ায় বিপ্লব এনেছিল ফাউন্টেন পেন বা ঝরনা কলম । একইসঙ্গে আভিজাত্য ও সাবলীলতাই ছিল এই ফাউন্টেন পেনের বিশেষত্ব । একসময় এই কলমের নাম ছিল রিজার্ভার পেন । এভাবে বিভিন্ন কলমের বৈচিত্র্যপূর্ণ বর্ণনা প্রসঙ্গো প্রাবন্ধিক মুনশিয়ানার সঙ্গে কলমের উন্মেষ , বিকাশ ও বিবর্তনের যাত্রাপথটিকেও ফুটিয়ে তুলেছেন ।

5. ‘ জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন । — ফাউন্টেন পেনের স্রষ্টা কে ? বাংলায় কে এই পেনের নামকরণ করেছিলেন ? ফাউন্টেন পেনের জন্মবৃত্তান্তটি সংক্ষেপে লেখো ।

Ans: উদ্ধৃতাংশটি লেখক শ্রীপান্থের ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম নামক প্রবন্ধ থেকে গৃহীত । প্রবন্ধে ফাউন্টেন পেনের স্রষ্টা বলা হয়েছে লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যানকে । বাংলায় এই পেনের নামকরণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ । তিনি এই পেনের নাম দেন ঝরনা কলম । 

  পৃথিবীর প্রতিটি আবিষ্কারের পিছনেই থাকে নানান গল্প বা ঘটনা । তবে গল্প বা ঘটনা যাই থাক না কেন প্রয়োজনের তাগিদেই যে আবিষ্কার এ কথা সকলেই মানতে বাধ্য । লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যানের ফাউন্টেন পেন আবিষ্কারের পিছনেও এমনই একটি বৃত্তান্ত রয়েছে । তিনি ছিলেন একজন ব্যবসায়ী । সেকালের অন্য ব্যবসায়ীদের মতো তিনিও দোয়াত – কলম নিয়ে কাজে বের হতেন । একবার তিনি এক ব্যবসায়ীর ফাউন্টেন পেনের সঙ্গে চুক্তিপত্র সই করতে গিয়েছিলেন । দলিল জন্মবৃত্তান্ত কিছুটা লেখা হয়েছে এমন সময় দোয়াত হঠাৎ উপুড় হয়ে পড়ে গেল কাগজে । আবার তিনি ছুটলেন কালির সন্ধানে । ফিরে এসে তিনি শোনেন , ইতিমধ্যে আর একজন ব্যবসায়ী সইসাবুদ করে চুক্তি পাকা করে ফেলেছেন । এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিমর্ষ ওয়াটারম্যান প্রতিজ্ঞা করেন যে , এর একটা বিহিত তাঁকে করতেই হবে । এরপরেই তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন । 

6. ‘ আমার মনে পড়ে প্রথম ফাউন্টেন কেনার কথা ।— ‘ আমার ‘ বলতে কার কথা বোঝানো হয়েছে ? তাঁর ফাউন্টেন কেনার ঘটনাটি সংক্ষেপে বিবৃত করো । 

Ans: শ্রীপাস্থের ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে ‘ আমার ‘ বলতে এখানে স্বয়ং লেখককে বোঝানো হয়েছে । পেন কেনার অভিজ্ঞতা 

  লেখকের প্রথম ফাউন্টেন কেনার অভিজ্ঞতাটি তাঁর মনে রয়ে গেছে । সময়টা ছিল দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের কয়েক বছর পর । লেখক কলেজ স্ট্রিটের এক নামি দোকানে ফাউন্টেন পেন কিনবেন বলে গিয়েছিলেন । কী পেন কিনবেন দোকানি এ কথা জানতে চাওয়ায় লেখক কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান । তারপর দোকানি তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে পার্কার , শেফার্ড , ওয়াটারম্যান , সোয়ান , পাইলট প্রভৃতি পেনের দামসহ নামগুলি মুখস্থ বলতে লাগলেন । ইতিমধ্যে দোকানদার তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে পকেটের অবস্থা আন্দাজ করে সস্তার এক পাইলট নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন । জাপানি পাইলট কতটা টেকসই তা বোঝানোর জন্য দোকানি খাপ খুলে সার্কাসের ছুরির খেলা দেখানোর আদলে একটা কার্ডবোর্ডের ওপর সেটি ছুঁড়ে মারেন । তারপর পেনটি কার্ডবোর্ড থেকে খুলে লেখককে নিরটি যে অক্ষত আছে তা দেখালেন । এইভাবে সেদিন লেখক জাপানি পাইলটে মুগ্ধ হয়েছিলেন । দিনের শেষে একখানি জাদু পাইলট নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন । নামিদামি ফাউন্টেনের ভিড়ে সেই জাপানি পাইলটকে লেখক অনেক দিন অবধি বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ।

7. ‘ আমি ছিলাম কালি কলমের ভক্ত / -উদ্ধৃতিটির অর্থ বুঝিয়ে দাও । ফাউন্টেন পেনের নানা ধরনের নিবের বর্ণনা দাও ।

Ans: হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থ নিজের উদ্ধৃতিটির অর্থ ছেলেবেলার স্মৃতিচারণ করেছেন । তিনি ‘ কালি – কলম ‘ ভক্ত বলতে বোঝাতে চেয়েছেন দোয়াত ও নিবের কলমকে । একে তিনি ‘ কালি – খেকো কলম ’ বলে রসিকতাও করেছেন । এই কলমই তাঁর সবচেয়ে পছন্দ । 

  ফাউন্টেন পেনের শৌখিনতা ও আভিজাত্য ছিল উল্লেখযোগ্য । তাদের জন্য ছিল বিদেশি কালি । নিব এবং হ্যান্ডেলও ছিল নানা ধরনের । যেমন ছিল ছুঁচোলো মুখের নিব , তেমনই চওড়া মুখের ফাউন্টেনের নানা নিবও ছিল । বিদেশে গোরুর শিং বা কচ্ছপের খোল ধরনের নিব কেটে টেকসই ও উন্নতমানের নিব তৈরি হত । কখনো কখনো শিংয়ের নিবের মুখে বসানো হত হিরে । প্ল্যাটিনাম , সোনা ইত্যাদিতে মুড়ে তাকে আরও দামি আর মজবুত করা হত । পালকের কলম তাড়াতাড়ি ভোঁতা হয়ে যায় বলে ফাউন্টেন পেনের নিবকে মজবুত করতে এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হত । এই প্রসঙ্গ আলোচনাকালে ‘ কালি – থেকো কলম ’ – এর প্রতি লেখকের ব্যক্তিগত ভালোবাসা ও দুর্বলতাটিও স্পষ্টরূপে ফুটে ওঠে । বিশেষত কলমপ্রিয় এক লেখকের বিভিন্ন ধরনের কলমের শৈল্পিক বিশেষত্ব ও সুষমার প্রতি আগ্রহ – আকর্ষণের দিকটিও এখানে প্রচ্ছন্ন থাকে না । কলমের সঙ্গে তার ভক্তের যে পরমমমতার সম্পর্ক , পাঠক যেন তার চিরকালীন সাক্ষী হয়ে ওঠে ।

8. দোয়াত যে কত রকমের হতে পারে , না দেখলে বিশ্বাস করা শম্ভু ।— ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে লেখক শ্রীপাদ কালির দোয়াতের যে – বৈচিত্র্যোর কথা লিখেছেন , তা আলোচনা করো । 

Ans: হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ কালির দোয়াতের নানা বৈচিত্র্যের কথা জানিয়েছেন । দোয়াত নানারকমের হয় কাচের , কাটগ্লাসের , পোর্সেলিনের শ্বেতপাথরের , জেডের , পিতলের , ব্রোঞ্ঝের , ভেড়ার শিংয়ের , এমনকি সোনারও । একসময়ে মেধাবী ছেলেমেয়েরা পরীক্ষায় ভালোভাবে পাস করলে , গুরুজনরা ‘ সোনার দোয়াত কলম হোক ‘ বলে আশীর্বাদ করতেন । সোনার দোয়াত – কলম যে সত্যিই হত , প্রাবন্ধিক তা প্রত্যক্ষ করেছিলেন স্বনামধন্য সুভো ঠাকুরের ব্যক্তিগত দোয়াত সংগ্রহ দেখতে গিয়ে । তাঁর সংগ্রহের কোনো কোনো দোয়াতের সঙ্গে সাহিত্য ও ইতিহাসের নানা চরিত্রের যোগ পর্যন্ত ছিল । এই সমস্ত দোয়াত দেখে বিস্মিত প্রাবন্ধিকের মনে হয়েছিল শেকসপিয়র , দাস্তে , মিলটন , কালিদাস , ভবভূতি , কাশীরাম দাস , কৃত্তিবাস , রবীন্দ্রনাথ , বঙ্কিমচন্দ্র , শরৎচন্দ্র প্রমুখ দিপাল ব্যক্তি তাঁদের অমর সৃষ্টি রচনা করেছেন এমনই কোনো – না – কোনো দোয়াতের কালি দিয়ে । পৃথিবীর বিখ্যাত সমস্ত কাব্য – নাটকের জন্ম এ হেন সব দোয়াতের কালি থেকে ভেবে প্রাবন্ধিক রোমান্বিত হয়েছেন । 

10. ‘ ফলে আমার মতো আরও কেউ কেউ নিশ্চয় বিপন্ন বোধ করছেন । আমার মতো আরও কেউ কেউ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে । তাঁরা বিপন্ন বোধ করছেন কেন ?

Ans: আমার মতো আরও কেউ কেউ – কারা উত্তর হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধের রচয়িতা শ্রীপান্থ ‘ আমার মতো আরও কেউ কেউ বলতে তাঁর মতো কলমপ্রিয় মানুষের কথা বোঝাতে চেয়েছেন । বিশেষত সেইসব লেখক , যাঁরা কালি – কলমের বিশেষ ভক্ত , তাঁদের কাছে কম্পিউটারের রমরমা এক দুঃসংবাদ । কারণ এতে কালি – কলমের ব্যবহার ক্রমশ কমতে কমতে একসময় সম্পূর্ণ লুপ্ত হবে । 

  কম্পিউটারের আবিষ্কার মানুষকে বেগ দিলেও তার আবেগ কেড়ে নিয়েছে । হাতের লেখার মধ্যে যে – মর্মস্পর্শিতা থাকে , তা যান্ত্রিক হরফে খুঁজে পাওয়া যায় না । মানুষের দীর্ঘদিনের লেখার সাথি কালি – কলমকে ধীরে ধীরে অবলুপ্তির পথে ঠেলে দিচ্ছে এই কম্পিউটার । ফলে যেসব মানুষজন আজও কম্পিউটারের কি – বোর্ডের তুলনায় কালি – কলমকেই বেশি আপন মনে করেন , শ্রীপান্থের মতো সেইসব লোকজন বিপন্ন বোধ করছেন । এই বিপন্নতা কলমের সঙ্গে তার ভক্তের সম্পর্কচ্ছেদের বিপন্নতা । কলমের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক বহু পুরোনো । প্রাচীনকাল থেকে কলমের নানা বিবর্তনের সাক্ষী থেকেছে মানুষ । তার ভাব প্রকাশের হাতিয়ারের অবলুপ্তির আশঙ্কায় সন্দিহান প্রাবন্ধিক আন্তরিক বেদনাবোধ থেকে এমন মন্তব্য করেছেন ।

11. ‘ মোগল দরবারে একদিন তাঁদের কত না খাতির , কত না সম্মানি ‘ — ‘ তাদের বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে ? তাঁদের খাতির ও সম্মানের পরিচয় দাও । 

Ans: হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে উদ্ধৃত অংশে ‘ তাঁদের বলতে ওস্তাদ কলমবাজাদের বোঝানো হয়েছে । পারিভাষিক শব্দে এদের বলে ‘ ক্যালিগ্রাফিস্ট ‘ বা ‘ তাদের পরিচয় ‘ লিপিকুশলী ‘ । খাতির ও সম্মান → যাঁরা ওস্তাদ কলমবাজ , তাঁদের স্থান ইতিহাসে পাকা । মোগল দরবারে তাঁদের প্রচুর খাতির ও সম্মান ছিল । শুধু মোগল দরবার নয় , পৃথিবীর সর্বত্রই তাঁদের কদর ছিল । এমনকি বাংলা দেশেও রাজা – জমিদাররা লিপিকুশলীদের গুণের কদর করতেন । তাঁদের ভরণ – পোষণের ব্যবস্থাও করা হত । সাধারণ গৃহস্থেরাও এই লিপিকরদের ডেকে পুথি নকল করাতেন । আজও সেসব পুথি দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায় । সংস্কৃতে যাকে বলে ‘ সমানি সমশীর্ষাণি ঘনানি বিরলানি চ ’ অর্থাৎ সব অক্ষর সমান , প্রতিটি ছত্র সুশৃঙ্খল ও পরিচ্ছন্ন । এইসব লিপিকরদের হস্তাক্ষর ছিল মুক্তোর মতো । অথচ এঁদের রোজগার ছিল সামান্যই । অষ্টাদশ শতকে এক লিপিকুশলী চারখণ্ড রামায়ণ কপি করে নগদ সাত টাকা , কিছু কাপড় আর মিঠাই সাম্মানিক হিসেবে পেয়েছিলেন অর্থাৎ সেসময়ে এদের উপার্জন কম হলেও গুণের সমাদর ছিল ।

12. ‘ কলমকে বলা হয় তলোয়ারের চেয়েও শক্তিধর । —বিষয়টি ব্যাখ্যা করো । এমন বলার কারণ কী বলে তোমার মনে হয় ?  

Ans: শ্রীপান্থ লিখিত ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি একটি প্রবাদপ্রতিম বাক্য । প্রাবন্ধিক ঈষৎ ঠাট্টার হলে এটিকে আক্ষরিক অর্থে ব্যবহার করেছেন । তলোয়ারের চেয়ে বন্দুকের শক্তি বেশি । তাই ফাউন্টেন পেন যেন আভাসে – ইঙ্গিতে সে কথাই বলতে চায় । কারণ ফাউন্টেন পেনের বিভিন্ন অংশগুলিকে ‘ ব্যারেল , ‘ কার্টিজ ’ ইত্যাদি নামে ডাকা হয় । এই শব্দগুলির সঙ্গে গোলা – বন্দুকের যোগাযোগের কথা কে না জানে । তবে বারুদের সঙ্গে কলমের কোনো সম্পর্ক নেই । ইতিহাসে এমন অনেক লেখকের উল্লেখ পাওয়া যায় , যাঁদের লেখনীর ধার , তলোয়ারের চেয়েও বেশি । আর সেই ক্ষুরধার কলমকে হাতিয়ার করে তাঁরা অনেক কুর , মিথ্যেবাদী প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই চালিয়েছেন । উদ্ধৃত বক্তব্যের কারণ 

  এখানে কলমের শক্তির অন্তর্নিহিত অর্থ হল , মানুষের লিখন – দক্ষতা বা লেখনীর ক্ষমতা । বন্দুক বা তলোয়ারের মতো অস্ত্র প্রয়োগ করে মানুষকে হত বা আহত করা যায় , কিন্তু মানুষের চিন্তাশক্তি তথা লেখনীর শক্তি শত সহস্র মানুষের ভাবনা , আদর্শ কিংবা দর্শনকে কেবল প্রভাবিতই করে না , সম্পূর্ণ বদলেও দিতে পারে । আর লেখার এই প্রভাব বা প্রতিক্রিয়া যুগযুগান্তরব্যাপী স্থায়ী হয় । তাই কলমকে তলোয়ারের চেয়েও শক্তিধর বলে বিবেচনা করা হয় । বরং এক্ষেত্রে বলা চলে , কলমই সর্বশ্রেষ্ঠ অস্ত্র ।

12. ‘ সুতরাং , যখন দেখি এত পরিবর্তনের মধ্যে কেউ কলম আঁকড়ে পড়ে আছেন তখন বেশ ভালো লাগে’- কোন পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে । ‘ কলম আঁকড়ে পড়ে থাকা ‘ – র কয়েকটি নিদর্শন প্রবন্ধ অনুসারে লেখো । কোন পরিবর্তন ধরার বিবর্তন । 

Ans: প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ উদ্ধৃত অংশে কলমের প্রাচীন থেকে আধুনিক যুগে বিবর্তনের কথা বলেছেন । এই বিবর্তন আসলে কালি – কলম ছেড়ে কম্পিউটারের কি – বোর্ড আঁকড়ে ‘ কলম আঁকড়ে পড়ে থাকা – র নিদর্শন আধুনিক যুগে কম্পিউটারের ব্যবহার অপ্রতিরোধ্য হওয়া সত্ত্বেও এই যুগের সাহিত্যিকদের অধিকাংশই কলম ব্যবহারেই স্বচ্ছন্দ । অন্নদাশঙ্কর রায় ও সুভাষ মুখোপাধ্যায় টাইপরাইটার ব্যবহার করলেও , অন্যেরা প্রায় সকলেই কলমে লিখতেন । সত্যজিৎ রায় নিবের কলম ব্যবহার করেছেন । সারাজীবন । লিপিশিল্প ছিল তাঁর শখ । স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও যে চিত্রশিল্পী হিসেবে সম্মান লাভ করেছিলেন তারও সূত্রপাত তাঁর পাণ্ডুলিপিতে । তিনি অক্ষর কাটাকুটি করতে গিয়ে সৃষ্টি করেছিলেন ছন্দবদ্ধ সাদা – কালো চিত্রের । কম্পিউটারের আঁকা ছবি কতটা মানবিক , এই প্রশ্ন তোলেন প্রাবন্ধিক । এই যন্ত্রসভ্যতার যুগেও কলমের সঙ্গে লেখকের মানবিক বন্ধনটুকু সযত্নে রক্ষা করে চলেছেন যাঁরা , প্রাবন্ধিক তাঁদের দেখে আনন্দিত হন এবং আশ্বস্ত বোধ করেন । এই বিবর্তমান সভ্যতার মাঝে লেখকের সঙ্গে কলমের চিরকালীন অপরিবর্তনীয় ধ্রুব সম্পর্ককে আঁকড়ে ধরেই তিনি বেঁচে থাকতে চান ।

13. কালি – কলমের প্রতি ভালোবাসা ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে কীভাবে ফুটে উঠেছে , তা আলোচনা করো ।

Ans: শ্রীপান্থের লেখা ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে দোয়াত , কলম , কালি প্রভৃতি লেখার সরঞ্জামগুলিকে ঘিরে লেখকের মমতা , স্মৃতিমেদুরতা আর ভালোবাসা ফুটে উঠেছে । কলমের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ ছোটোবেলায় লেখক তাঁর গ্রামের বাড়িতে নিজের হাতেই কালি , কলম বানিয়ে নিতেন । বাঁশের কঞ্চি কেটে তৈরি হত কলম । রান্নার কড়াইয়ের নীচের ভুসো কালি লাউপাতা দিয়ে ঘষে জলে গুলে ফুটিয়ে কালি বানানো হত । ক্রমশ বাঁশের কলমের বদলে জায়গা করে নিল ফাউন্টেন পেন । সে – পেনের প্রেমে পড়ে গেলেন লেখক । এরপর বাজারে বল পয়েন্ট পেন এলেও সে – পেন লেখকের মনে ধরল না । যদিও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে তার কাছেই আত্মসমর্পণ করতে হল তাঁকে । যন্ত্রসভ্যতার হাত ধরে এল কম্পিউটার । দিন ফুরোল কলমের । এখন সবাই কম্পিউটারেই লেখে । কিন্তু লেখক এবং তাঁর মতো কিছু মানুষ এখনও কলম ফেলে কম্পিউটারকে আপন করে নিতে পারেননি । তাই যন্ত্রের দাপটে কালি – কলমের এই হারিয়ে যাওয়ার যুগে লেখক বারবার আঁকড়ে ধরেছেন তাঁর ছেলেবেলার কলমের স্মৃতিকে । হারিয়ে যাওয়া সেইসব কালি – কলমের কথা ভেবে ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছে তাঁর মন ।

14. ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে লেখক আধুনিক যন্ত্রযুগকে মেনে নিতে চাইছেন না — মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো ।

  ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে লেখক শ্রীপান্থ কলমের উদ্ভব – বিবর্তন ও পরিণতির দীর্ঘ যাত্রাপথের এক মনোগ্রাহী বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছেন । সুদূর অতীতে নীলনদের তীরে নলখাগড়া ভেঙে কলম বানানো থেকে ফিনিসীয়দের মতো হাড়কে কলম হিসেবে ব্যবহার কিংবা জুলিয়াস সিজারের স্টাইলাস নামের শলাকা , তাঁর কাল্পনিক পথ – পরিক্রমায় বাদ যায়নি কোনো কিছুই । এসবই হয়ে উঠেছে কলমের প্রতি লেখকের আন্তরিক ভালোবাসার প্রমাণ । তিনি পরমমমতায় নিজের ছোটোবেলার গ্রামের বাড়িতে কঞ্চি কেটে কলম এবং রান্নার কড়াইয়ের নীচের ভুসো কালি লাউপাতা দিয়ে ঘষে জলে গুলে ও ফুটিয়ে কালি তৈরির গল্প বলেছেন । প্রসঙ্গক্রমে এসেছে কঞ্চি , খাগ কিংবা পালকের কলমের সঙ্গে বিভিন্ন রকমের দোয়াতের প্রসঙ্গ । সে – সময়ে লেখালেখি যে ছোটোখাটো একটা অনুষ্ঠান ছিল , তা যেন আমাদের কাছে জীবন্ত হয়ে উঠেছে । এরপর আবিষ্কৃত হল ফাউন্টেন পেন ; লেখক তার প্রেমে পড়লেন । কলমের সঙ্গে এক চিরকালীন মানবিকতার সম্পর্কে আবদ্ধ হলেন । তারপর কালের নিয়মে হাজির হল কম্পিউটার । দিন ফুরোল কলমের । এখন সবাই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে কম্পিউটারের সঙ্গে । কিন্তু এত পরিবর্তনের মধ্যেও লেখক কলমকে আঁকড়ে ধরেই বেঁচে থাকতে চান । তাঁর সঙ্গে কলমের আশৈশব ভালোবাসা – দুর্বলতার সম্পর্ক । কলমের কাছে এক ভক্তের সমর্পণের সেই ছবিই রচনায় ফুটে ওঠে ; যে – যন্ত্রযুগকে অস্বীকার করে আজও কলমের স্বপ্ন – সম্ভাবনায় বিভোর হয়েই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে চায় । 

15. ‘ কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য – কলম কাদের কাছে অস্পৃশ্য ? প্রবন্ধ অনুসারে অস্পৃশ্য হওয়ার কারণ লেখো ।

Ans: শ্রীপান্থর হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ’ প্রবন্ধ অনুসারে এখন পকেটমারেরাও আর কলম নিয়ে হাতসাফাইয়ের কলম যাদের কাছে অস্পৃশ্য খেলা দেখায় না । সস্তা কলম আজ তাদের কাছেও নিতান্তই অস্পৃশ্য । অস্পৃশ্য হওয়ার কারণ

   লেখক পাঠ্য রচনায় কলমের সর্বজনীন হয়ে ওঠার বিবরণ দিয়েছেন । কঙি , খাগ কিংবা পালকের কলমকে সরিয়ে ক্রমে ফাউন্টেন পেন সকলের মন জয় করে নেয় । এরপর ডট – পেন কিংবা বল – পেন আসার পরে দেখা দেয় কলমের বিস্ফোরণ । একসময় বলা হত , ‘ কলমে কায়স্থ চিনি , গোঁফেতে রাজপুত । ‘ কিন্তু বর্তমানে কলম বা গোঁফ কোনোটাই আর বিশেষ কারও নয় । এক বিদেশি সাংবাদিকের মতে চৌরঙ্গি অঞ্চলের প্রতি তিনজন ফেরিওয়ালার একজনের পেশা কলম বিক্রি । ফলে সবাই সাক্ষর না – হলেও প্রত্যেকের পকেটে এখন কলম । অতিআধুনিক ছেলেদের কলম আবার বুক – পকেটে নয় ; কাঁধের ছোট্ট পকেটে শোভা পায় । কেউ কেউ আবার তা চুলেও ধারণ করেন । ট্রামে – বাসে ভিড়ের পরিণামে মহিলাযাত্রীর খোঁপাতেও কলম আটকে যায় । অর্থাৎ কলম আজ অত্যন্ত সস্তা , সহজলভ্য এবং সর্বজনভোগ্য । তাই কলমের কোনো মূল্য বা দাম না থাকায় পকেটমারেরাও আর কলমকে নিয়ে হাতসাফাইয়ের খেলা দেখায় না । কলমের অস্পৃশ্য হয়ে ওঠার এই কারণের কথাই লেখক বলেছেন । 

16. ‘ এত বছর পরে সেই কলম যখন হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম , তখন মনে কষ্ট হয় বইকী ! – লেখক যেসব কলমের কথা বলেছেন তার পরিচয় দাও । এই প্রসঙ্গে কালি তৈরির ঘরোয়া পদ্ধতিটি বর্ণনা করো ।

Ans: হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধ অনুসারে লেখক তাঁর ছোটোবেলায় প্রথম লেখালেখি প্রসঙ্গে বাঁশের কঞ্চির কলমের কথা বলেন । সরু বাঁশের কঞ্চি কেটে মুখটি ছুঁচোলো করে , কলমের পরিচয় সাবধানে চিরে দিতে হত । যাতে একসঙ্গে কালি গড়িয়ে না পড়ে যায় । এ ছাড়াও তিনি খাগের কলম এবং পালকের কলম বা কুইলের কথাও বলেছেন । 

  1. নং প্রশ্নের উত্তরের দ্বিতীয় অংশটি দ্যাখো ।

17. এক কালে বাংলায় তাকে বলা হতো ঝরনা কলম —তাকে বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? ঝরনা কলমের ইতিহাস সংক্ষেপে লেখো ।

Ans: 5. নং প্রশ্নের উত্তর দ্যাখো । 

18. ‘ আশ্চর্য , সবই আজ অবলুপ্তির পথে । — কোন্ জিনিস আজ অবলপ্তির পথে । এই অবলুপ্তির কারণ কী ? এ বিষয়ে লেখকের মতামত কী । 

Ans: হারিয়ে যাওয়া কলম ‘ রচনায় লেখক শ্রীপান্থ , আধুনিকতার কালপ্রবাহে ক্রমশ অবলুপ্ত হতে চলা কলমের কথা উপরিউক্ত উদ্ধৃতাংশে বলতে চেয়েছেন । B [ ] নবীন বল – পের্ন দোয়াত , কালি , নিবের কলমের স্থান দখল করেছে অনেক আগেই । বিজ্ঞানের ক্রমোন্নতির সোপান ধরে কম্পিউটারের কল্যাণে নবীন বল – পেনও তার মহিমা হারাতে বসেছে । অবলুপ্তির কারণ এযুগের নবীন লেখকেরা গোড়া থেকেই কম্পিউটারে লিখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন । কালপ্রবাহে কলমের অবলুপ্তিতে লেখক বিস্ময় প্রকাশ করেছেন , আশ্চর্য হয়েছেন । কলম ছাড়া লেখালেখির কথা কিছুকাল আগেও মানুষ ভাবতে পারেনি । কলম আর লেখকের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য , আলাদা করার কথা মানুষের মনেও আসত না । কম্পিউটারের কল্যাণে লেখকের মতামত কলমের অবলুপ্তিতে লেখক বিপন্ন বোধ করছেন । তিনি মনে করছেন , কম্পিউটার যেন তাদের জাদুঘরে পাঠাবে বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে । বাঁশের কলম , খাগের কলম ছেড়ে বল – পেনে আত্মসমর্পণ করেও লেখক আজ বিপন্ন বোধ করেছেন । ‘ যদি হাতের লেখা মুছে যায় চিরকালের জন্য ‘ — এই হতাশাব্যঞ্জক চিন্তায় তিনি বিচলিত হয়ে উঠেছেন । কম্পিউটারের বিশ্বব্যাপী প্রভাবে সর্বপ্রকার কলমের অবলুপ্তির কথা ভেবেই লেখক একইসঙ্গে আশ্চর্য ও আতঙ্কিত হয়েছেন ।

19. ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ রচনাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো । 

Ans: ‘ নামকরণের সার্থকতা ‘ অংশটি দ্যাখো । 

20. ‘ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের বেশ কয়েক বছর পরের ঘটনা’ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ কী ? তার বেশ কয়েক বছর পরের ঘটনাটি কী ছিল ? 

Ans: ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর হিটলারের জার্মানির পোল্যান্ড আক্রমণের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের আরম্ভ হয় । প্রায় ২১৪৯ দিন ধরে চলে ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ২ সেপ্টেম্বর জাপানের দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ আত্মসমর্পণের মাধ্যমে এই মহাযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে । পৃথিবীর বহু দেশ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সেইসময় দুটি শপ্তিশিবিরে ভাগ হয়ে যায় । এর একটি হল — ইংল্যান্ড , ফ্রান্স , রাশিয়া ও আমেরিকাকে নিয়ে মিত্রশক্তি এবং জার্মান , ইটালি ও জাপানকে নিয়ে গড়ে ওঠে অক্ষশক্তি এ যুদ্ধ প্রথম মহাযুদ্ধের চেয়ে অনেক বেশি সর্বাত্মক আর ধ্বংসাত্মক হওয়ায় যুদ্ধের শেষে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন দেশে নেমে এসেছিল শ্মশানের 

  1. নং প্রশ্নের উত্তরের দ্বিতীয় অংশটি দ্যাখো । 

21. ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে কোন্ কোন্ লেখক ও কবির নাম এসেছে প্রসঙ্গসহ আলোচনা করো । 

Ans: প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ কলমের ঐতিহাসিক বিবর্তন বর্ণনাকালে কলমের সঙ্গে নানাভাবে জড়িয়ে থাকা বিখ্যাত ব্যক্তিদের প্রসঙ্গও আলোচনা করেছেন । প্রথমেই এসেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা । কারণ ফাউন্টেন পেনের ঝরনা কলম নামটি সম্ভবত তাঁরই দেওয়া । এরপর লেখক ফাউন্টেন পেন জমানোর গল্প বলতে গিয়ে ঔপন্যাসিক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেছেন । শৈলজানন্দের ফাউন্টেন পেনের সংগ্রহ ছিল ঈর্ষণীয় । প্রায় ডজন দুয়েক মহার্ঘ কলমের মধ্যে তাঁর কাছে প্রবন্ধে বর্ণিত লেখক পার্কার কলমই ছিল বেশ কয়েকরকম । শৈলজানন্দই ও কবিদের প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিককে বলেছিলেন এই কলম জমানোর নেশা তিনি পেয়েছেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে । আসলে কথাশিল্পী শরৎচন্দ্রেরও দামি ফাউন্টেন পেন সংগ্রহের নেশা ছিল । শ্রীপান্থ সোনার দোয়াত – কলম যে সত্যিই হয় ; তা চাক্ষুষ করেছিলেন চিত্রশিল্পী ও সংগ্রাহক সুভো ঠাকুরের কাছে । এভাবেই কলমের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনাকালে আধুনিক যন্ত্রযুগ এবং টাইপরাইটার ও কম্পিউটার – এর ক্রমবর্ধমান প্রসার প্রসঙ্গে তিনি অন্নদাশঙ্কর রায় আর সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কথা বলেন । সেইসঙ্গে মনে করিয়ে দেন লিপিশিল্পী হিসেবে সত্যজিৎ রায়ের পারদর্শিতার কথা । তিনিই শেষপর্যন্ত নিবের কলমের মানমর্যাদা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন । এ ছাড়া বিশ্ববন্দিত চিত্রশিল্পী রবীন্দ্রনাথের সূচনা যে – কলম নিয়ে পাণ্ডুলিপির খাতায় অক্ষর কাটাকুটি করতে গিয়ে , তাও আমাদের জানাতে ভোলেন না । রচনাটির শেষে শ্রীপান্থ জানান যে , কলমকে কেবল একবার খুনির ভূমিকায় দেখা গেছে । স্বনামধন্য লেখক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের অসাবধানতাবশত নিজের হাতের কলম বুকে ফুটে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ।