পরিবেশের জন্য ভাবনা (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর

 1.    মিথেন হাইড্রেট থেকে পাওয়া যায়
a. হাইড্রোজেন গ্যাস b. মিথেন গ্যাস c. বায়োগ্যাস d. অ্যাসিটিলিন গ্যাস                             
উত্তরঃ[b] মিথেন গ্যাস


2.    বায়ুর প্রধান গ্যাসীয় উপাদান হল
a. নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন b. অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন c. নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন d. অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড                          
উত্তরঃ[c] নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন


3.    বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে মেরুজ্যোতি দেখা যায়
a. ট্রপোস্ফিয়ার b. স্ট্রাটোস্ফিয়ার c. মেসোস্ফিয়ার d. থার্মোস্ফিয়ার                                    
উত্তরঃ[d] থার্মোস্ফিয়ার


4.    প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসটি হল
a. মিথেন b. কার্বন ডাইঅক্সাইড c. নাইট্রাস অক্সাইড d. ক্লোরোফ্লুরো কার্বন                                                             
উত্তরঃ[b] কার্বন ডাইঅক্সাইড


5.    একটি অপ্রচলিত শক্তির উৎস হল
a. কেরোসিন b. বায়োগ্যাস c. ডিজেল d. পেট্রোল                                                                
উত্তরঃ[b] বায়োগ্যাস


6.    কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয়
a. কয়লা b. ডিজেল c. সৌরশক্তি d. পেট্রোল                                                                      
উত্তরঃ[c] সৌরশক্তি


7.    প্রতি কিলোমিটার ওপরে উঠলে বায়ুর উষ্ণতা কমে প্রায়
a. 5°C করে b. 5.5°C করে c. 6°C করে d. 6.5°C করে   
উত্তরঃ[d] 6.5°C করে


a. সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে জীবজগৎকে রক্ষা করে
8.    ট্রপোস্ফিয়ার b. থার্মোস্ফিয়ার c. ওজোনস্ফিয়ার d. ম্যাগনেটোস্ফিয়ার                             
উত্তরঃ[c] ওজোনস্ফিয়ার

শূন্যস্থান পূরণ করো: (মান – 1) পরিবেশের জন্য ভাবনা (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন 

  1. ওজোন গ্যাসের সংকেত ________।                                                                           

উত্তরঃ[O2]

  1. বায়ুর জলীয় বাষ্পের উৎস বিভিন্ন________।                                                            

উত্তরঃ[জলাশয়]

  1. বায়ুমণ্ডলের________স্তর থেকে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়।                                      

উত্তরঃ[আয়নোস্ফিয়ার]

  1. রাতের বেলায়________বায়ু প্রবাহিত হয় ।                                                                

উত্তরঃ[স্থল]

  1. অক্সিজেনের অণু অতিবেগুনি রশ্মির________কণার দ্বারা বিয়োজিত হয়।                      

উত্তরঃ[ফোটোন]

  1. রেফ্রিজারেটারে________জৈব দ্রাবক রূপে ব্যবহৃত হয়।                                            

উত্তরঃ[ক্লোরোফ্লুরোকার্বন]

  1. অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে মানুষের________ক্যানসার হয়।                                         

উত্তরঃ[ত্বক] 

  1. বায়ুশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বায়ুকলে________উৎপাদন করা হয়।                                   

উত্তরঃ[বিদ্যুৎ]

  1. বায়োগ্যাস রান্নার কাজে গ্যাসীয়________রূপে ব্যবহৃত হয়।                                         

উত্তরঃ[জ্বালানি]

  1. সূর্য থেকে তাপ________পদ্ধতিতে পৃথিবীতে আসে।                                                   

উত্তরঃ[বিকিরণ]

  1. জোয়ারভাটার সময় জলস্রোতকে কাজে লাগিয়ে ________উৎপন্ন করা হয়।                   

উত্তরঃ[বিদ্যুৎ]

সত্য বা মিথ্যা নির্বাচন করো: (মান – 1) পরিবেশের জন্য ভাবনা (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন 

  1. বায়ুর একটি গ্যাসীয় উপাদান হল ধূলি কণা। [F]
  2. খনিতে মিথেন হাইড্রেট বরফের খাঁজের মতো চাঁই আকারে অবস্থান করে। [T]
  3. বায়ুমণ্ডলের ট্রপোস্ফিয়ারে ঝড়বৃষ্টি হয়। [F]
  4. ভূপৃষ্ঠ থেকে যত ওপরে ওঠা যায় বায়ুর উষ্ণতা তত বাড়তে থাকে। [F]
  5. কলকাতা অপেক্ষা দার্জিলিং-এ বায়ুর চাপ কম হয়। [T]
  6. অক্সিজেন অণু অতিবেগুনি রশ্মির ফোটোন কণার দ্বারা বিয়োজিত হয়ে  অক্সিজেন পরমাণুতে পরিণত হয়। [T] 
  7. গ্রিনহাউস এফেক্টের জন্য দায়ী দুটি গ্যাস হল নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন। [F]
  8. বায়োগ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। [T]
  9. সৌরকোশে বায়ুশক্তি তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। [F]
  10. ওজনস্ফিয়ারের মূল উপাদান ওজোন গ্যাস। [T]

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: (মান – 1) পরিবেশের জন্য ভাবনা (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন 

  1. কলকাতা ও দার্জিলিংয়ের মধ্যে কোন জায়গায় উষ্ণতা অপেক্ষাকৃত কম?

উত্তরঃ কলকাতা অপেক্ষা দাৰ্জিলিংয়ের উষ্ণতা কম।

  1. বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদান কী কী?

উত্তরঃ অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন।

  1. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরকে শান্তমণ্ডল বলে?

উত্তরঃ স্ট্রাটোস্ফিয়ারকে।

  1. ওজনস্ফিয়ারের প্রধান কাজ কী?

উত্তরঃ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করা।

  1. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তর থেকে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়?

উত্তরঃ আয়নোস্ফিয়ার স্তর থেকে।

  1. গোবর গ্যাস বা বায়োগ্যাসের উপাদান কী?

উত্তরঃ মিথেন (60%) এবং কার্বন ডাই অক্সাইড (40%)।

  1. সূর্য থেকে তাপ কোন পদ্ধতিতে পৃথিবীতে আসে?

উত্তরঃ বিকিরণ পদ্ধতিতে।

  1. কলকাতা ও দার্জিলিংয়ের মধ্যে কোন জায়গাতে বায়ুর চাপ কম হয়?

উত্তরঃ দার্জিলিংয়ে।

  1. সমুদ্র বায়ু কখন প্রবাহিত হয়?

উত্তরঃ দিনের বেলায়।

  1. ট্রপোস্ফিয়ারকে ক্ষুব্ধমণ্ডল কেন বলা হয়?

উত্তরঃ মেঘ, ঝড়, বৃষ্টি প্রভৃতি আবহাওয়াগত বায়বীয় গোলযোগ এই স্তরে ঘটে বলে ক্ষুদ্ধমণ্ডল বলা হয়।

  1. বায়ুমণ্ডলের গ্রিন হাউস গ্যাস হ্রাস করার একটি উপায় উল্লেখ করো।

উত্তরঃ বনভূমি সংরক্ষণ ও নতুন বনভূমি সৃষ্টি।

  1. স্থলবায়ু কোন দিক থেকে কোন দিকে প্রবাহিত হয়?

উত্তরঃ স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে।

  1. নাইট্রোজেন ঘটিত একটি যৌগের নাম লেখো যা ওজোন স্তর ধ্বংসে সহায়তা করে?

উত্তরঃ নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড।

  1. ক্লোরোফ্লুরোকার্বনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার উল্লেখ করো।

উত্তরঃ জৈব দ্রাবকরূপে রেফ্রিজারেটর ও বাতানুকূল যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়।

  1. ওজোন স্তরের প্রধান ভূমিকা কী?

উত্তরঃ সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করা।

  1. একটি প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসের নাম লেখো।

উত্তরঃ কার্বন ডাই অক্সাইড।

  1. প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদান কী?

উত্তরঃ মিথেন (প্রধান), ইথেন ও প্রোপেন।

  1. কোন জীবাশ্ম জ্বালানির তাপন মূল্য সবচেয়ে বেশি?

উত্তরঃ পেট্রোল।

19.জীবাশ্ম জ্বালানির দহনে উৎপন্ন হয় এমন দুটি বায়ু দূষক গ্যাসের নাম

উত্তরঃ কার্বন ডাইঅক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইড।

  1. সৌরকোশ কী কাজে ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ সূর্যের আলোকশক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করতে ব্যবহার করা হয়।

  1. সোলার হিটারের একটি ব্যবহার উল্লেখ করো।

উত্তরঃ জল গরম করতে সোলার হিটার ব্যবহার করা হয় ।

  1. দুটি অপুনর্ভব শক্তি উৎসের নাম লেখো।

উত্তরঃ সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি।

  1. LPG-এর পুরো কথাটি কী?

উত্তরঃ লিকুইফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (Liquified Petroleum Gas)।

  1. CFC-এর পুরো কথাটি কী?

উত্তরঃ ক্লোরোফ্লুরো কার্বন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: (মান – 2) পরিবেশের জন্য ভাবনা (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন 

  1. কী কী কারণে ওজোন গহ্বর সৃষ্টি হয় ?

উত্তরঃ প্রাকৃতিক কারনে ও মনুষ্যসৃষ্টি কারনে ওজোন গহ্বর সৃষ্টি হয়ে থাকে। মনুষ্যসৃষ্ট কারণের মধ্যে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFC) যৌগসমূহ, নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ (NO, NO2 NO3 ইত্যাদি), হ্যালোন যৌগসমূহ যেমন- হ্যালোন 1211 ও হ্যালোন 1301) ওজোন স্তরের বিনাশ ঘটায়।

  1. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার (Stratosphere) : ট্রপোস্ফিয়ারের ওপর থেকে অর্থাৎ 20 কিমি থেকে 50 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলের স্তরটি হল স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। এই স্তরে বাতাসের পরিমাণ কম এবং ধূলিকণা ও জলীয় বাষ্প না থাকায় এই স্তরকে শান্তমণ্ডল বলে। এই স্তরে কোনো বায়বীয় গোলযোগ না ঘটায় এই স্তরে জেট প্লেনগুলি সহজেই চলাচল করে। এই স্তরের ওপরের দিকের উষ্ণতা 0°CI

  1. মিথেন হাইড্রেট কী?

উত্তরঃ মিথেন হাইড্রেট হল এক ধরনের কঠিন ক্ল্যাথরেট যৌগ, যা জল অণু (H2O) দিয়ে গঠিত বরফের মতো। কেলাসের মধ্যে অধিক পরিমাণে মিথেন (CH4) আবদ্ধ হয়ে এটি সৃষ্টি হয়। সংকেত  CH4. 5.7 H2O বা 4CH4. 23H2O। এটি সমুদ্রের ভূগর্ভস্থ স্তরে থাকে। মিথেন হাইড্রেটকে চাপ হ্রাস বা উত্তপ্ত করলে মিথেন উৎপন্ন হয়। এক লিটার কঠিন মিথেন হাইড্রেট থেকে STP-তে প্রায় 170 লিটার মিথেন গ্যাস পাওয়া যায়। ভবিষ্যাতে জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় এটি বিশেষ সহায়ক হবে।

  1. ভূপৃষ্ঠ থেকে ওপরে উঠলে বায়ুর চাপের কী পরিবর্তন হয় তা কারণসহ উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ভূপৃষ্ঠে সমুদ্রতল বরাবর বায়ুর চাপ সবচেয়ে বেশি। ভূপৃষ্ঠ থেকে যত ওপরে ওঠা যায় বায়ুর ঘনত্ব তত কমতে থাকে ফলে বায়ুর চাপও কমতে থাকে। ভূপৃষ্ঠা থেকে প্রতি কিমি ওপরে উঠলে বাতাসের চাপ পায় ৪.5 সেমি কমে যায়। সমুদ্র সমতলে চাপ যতটা থাকে পাহাড়ের চূড়ায় বায়ুর চাপ তার চেয়ে অনেক কম হয়।

  1. গ্রিনহাউস এফেক্ট কাকে বলে?

উত্তরঃ গ্রিনহাউস প্রভাব বা এফেক্ট হল পরিবেশকে দূষিত করার একটি অন্যতম পদ্ধতি। বায়ুমণ্ডলে মূলত CO2 -এর ঘনত্ব বৃদ্ধির জন্যই পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটনাকে বলে গ্রিনহাউস প্রভাব বা এফেক্ট। 

  1. গ্রিনহাউস গ্যাস কাকে বলে ? কয়েকটি গ্রিনহাউস গ্যাসের নাম লেখো।

উত্তরঃ গ্রিনহাউস গ্যাস : বায়ুমণ্ডলে যে সমস্ত গ্যাসের উপস্থিতির জন্য গ্রিনহাউস ক্রিয়া সংঘটিত হয় তাদের গ্রিনহাউস গ্যাস বলে। যেমন- CO2 (প্রধান), জলীয় বাষ্প, মিথেন, ক্লোরোফ্লুরোকার্বন, নাইট্রাস অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস প্রভাব সৃষ্টি করে।

  1. জ্বালানি কাকে বলে?

উত্তরঃ জ্বালানিঃ যেসব দাহ্যবস্তুর দহনের ফলে প্রচুর তাপশক্তি উৎপন্ন হয় তাকে জ্বালানি বলে। সাধারণ কার্বন ঘটিত জ্বালানির মধ্যে কার্বন কিংবা কার্বন ও হাইড্রোজেন যুক্ত অবস্থায় থাকে। জ্বালানির দহনের সময় জ্বালানির মধ্যে উপস্থিত কার্বন ও হাইড্রোজেনের সঙ্গে বায়ুর অক্সিজেনের তাপ উৎপাদী রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। ফলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়।

  1. জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর দেহবশেষ থেকে উৎপন্ন জ্বালানিকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলে। যেমন— কয়লা, পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস।

  1. বায়োমাস বা জীবভর বলতে কী বোঝো? এটি কী কাজে ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ বায়োমাস বা জীবভর বলতে বোঝায় কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের মোট ভর জীবভরের মধ্যে সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তিরূপে অবস্থান করে। উদ্ভিজ্জ জীবভর, যেমন- কাঠ, পাতা, ডালপালা আগাছা ইত্যাদি এবং প্রাণীজ জীবভর, যেমন মৃত প্রাণীদেহ, প্রাণীর মল-মূত্ৰ ইত্যাদি। উদ্ভিজ্জ জীবভরকে সরাসরি জ্বালিয়ে অথবা কাঠকয়লায় পরিণত করার পর তা জ্বালিয়ে আমরা তাপশক্তি পেয়ে থাকি। এই তাপশক্তির সাহায্যে বাষ্প তৈরি করে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎশক্তি উৎপন্ন করা হয়।