অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | জ্ঞানচক্ষু গল্প – SAQ প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Bengali Gyanchakshu Golpo Short Question and Answer :
- ‘ রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই । – কথাটির অর্থ কী ?
Ans: কেবলমাত্র গুণী ব্যক্তিই অপরের গুণের কদর করতে পারে । তাই তপনের লেখা গল্পের প্রকৃত সমঝদার যদি কেউ থাকেন তবে তিনি তার লেখক মেসোমশাই ।
- তপনের গল্প পড়ে তার নতুন মেসোমশাই কী বলেন ?
Ans: তপনের লেখা গল্প পড়ে তার নতুন মেসোমশাই তাকে উৎসাহ দিয়ে বলেন , গল্পটা ভালোই হয়েছে , একটু কারেকশন করে দিলে সেটা ছাপানোও যেতে পারে ।
- ‘ বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা কোন্ কথাটা ?
Ans: লেখক মেসোমশাইকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন যে একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলেছে , এই কথাটা বিকেলে চায়ের টেবিলে উঠেছিল ।
- তপনদের মতোই মানুষ ‘ — এ কথা বলার কারণ কী ?
Ans: লেখক যে কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয় আর সকলের মতোই সাধারণ মানুষ ; নতুন মেসোকে দেখে তপন এই সত্য টের পায় ।
- ‘ সারাবাড়িতে শোরগোল পড়ে যায় — শোরগোলের কারণ কী ?
Ans: তপনের লেখা গল্প পত্রিকায় ছাপা হয়েছে , এই শুনে সারাবাড়িতে শোরগোল পড়ে যায় ।
- ‘ তিনি নাকি বই লেখেন , ‘ — এখানে কার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: এখানে তপনের নতুন মেসোমশাইয়ের কথা বলা হয়েছে ।
- ‘ মেসো তেমনি করুণার মূর্তিতে বলেন— কী বলেন ?
Ans: মেসো তেমনি করুণার মূর্তিতে তপনের মাসিকে বলেন যে , তিনি ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – র সম্পাদককে বলে তপনের গল্পটা ছাপিয়ে দেবেন ।
- ‘ তা ঘটেছে , সত্যিই ঘটেছে— কী ঘটেছে ?
Ans: তপনের লেখা গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ।
- ‘ একটু ‘ কারেকশান ’ করে হয়ে করে দিলে ছাপাতে দেওয়া চলে । –কে , কী ছাপানোর কথা বলেছেন ।
Ans: তপনের লেখক মেসোমশাই তপনের অপরিণত হাতের লেখা পর গল্পটি একটু ‘ কারেকশান ‘ ও ‘ ইয়ে করে ‘ ছাপানোর কথা বলেছেন ।
- ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পটি কার লেখা ? এর উৎস উল্লেখ করো ।
Ans: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পটির উৎস হল তাঁর ‘ কুমকুম ‘ নামক ছোটোদের গল্পসংকলন ।
- ‘ কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল। কোন কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল ?
Ans: লেখকরা ভিন্ন জগতের প্রাণী — এটিই ছিল তপনের ধারণা । কিন্তু তার নতুন মেসোমশাই একজন লেখক শুনে বিস্ময়ে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল ।
- ‘ তিনি নাকি বই লেখেন ।’— কার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: তপনের ছোটোমাসির বিয়ের পর সে জানতে পারে তার নতুন মেসোমশাই একজন লেখক । এখানে তাঁর কথাই বলা হয়েছে ।
- ‘ সত্যিকার লেখক ।’— এই উক্তির মধ্য দিয়ে তপনের মনের কোন্ ভাব প্রকাশিত হয়েছে বলে তোমার মনে হয় ?
Ans: এই উক্তির মধ্য দিয়ে তপনের মনের বিস্ময় প্রকাশ পেয়েছে । লেখকরা আদৌ বাস্তব জগতের মানুষ নন – এই অলীক ভাবনা নতুন মেসোর সঙ্গে পরিচয়ে ভেঙে যাওয়াতেই এমন উক্তি ।
- ‘ আর সেই সুযোগেই দেখতে পাচ্ছে তপন । — কোন্ সুযোগে তপন কী দেখতে পাচ্ছে ?
Ans: লেখক মেসোমশাইকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়ে তপন বুঝতে পারে লেখকরা কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয় , তাদেরই মতো মানুষ ।
- ‘ তপনদের মতোই মানুষ ।’— এ কথা বলার কারণ কী ?
Ans: ছুটিতে মামার বাড়িতে এসে নতুন মেসোকে দেখে ও তাঁর লে সঙ্গে সময় কাটিয়ে তপনের বিশ্বাস হয় যে , লেখকরা কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয় ; তাদের মতোই মানুষ ।
- তপনের মনে লেখক হওয়ার বাসনা জাগল কেন ?
Ans: লেখক নতুন মেসোমশাইকে দেখে তপন বুঝেছিল লেখকরা আসলে তাদের মতোই সাধারণ মানুষ । তাই উৎসাহিত তপন তার এতদিনের গল্প পড়ার ও শোনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে লেখক হতে চায় ।
- ‘ ছোটোমাসি সেই দিকে ধাবিত হয় । — তপনের ছোটোমাসি কোন্দিকে ধাবিত হয়েছিলেন ?
Ans: তপন মেসোর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গল্প লিখে মাসিকে দেখায় । মাসি গল্পটিতে চোখ বুলিয়ে গল্পটির উৎকর্ষ বিচারের জন্য তপনের মেসো যেখানে ঘুমোচ্ছিলেন সেদিকে ধাবিত হয়েছিলেন ।
- ‘ তখন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায় ।’— কে , কেন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায় ?
Ans: ছোটোমেসো তপনের লেখাটা ছাপানোর কথা বললে তপন প্রথমে সেটাকে ঠাট্টা বলে ভাবে । কিন্তু মেসোর মুখে করুণার ছাপ দেখে তপন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায় ।
- ‘ মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা — উক্তিটি কার ? কোন্টা মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে ?
Ans: উক্তিটি তপনের ছোটোমাসির । তাঁর মতে , তপনের লেখা গল্পটা ছোটোমেসো যদি একটু কারেকশন করে ছাপানোর ব্যবস্থা করে দেন , তবে সেটাই মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে ।
- ‘ না করতে পারবে না । ‘ – কে , কাকে , কী বিষয়ে না – করতে পারবে না ?
Ans: তপনের লেখক ছোটোমেসো ‘ সন্ধ্যাতারা ’ পত্রিকার সম্পাদককে তপনের লেখা গল্পটা ছাপানোর জন্য অনুরোধ করলে সম্পাদকমশাই না করতে পারবেন না ।
- তপনের বয়সি আর পাঁচটা ছেলেমেয়ের লেখার সঙ্গে তপনের লেখার তফাত কী ?
Ans: তপনের বয়সি ছেলেমেয়েরা সাধারণত রাজারানি , খুন – জখম – অ্যাকসিডেন্ট অথবা না – খেতে পেয়ে মরা- এইসব বিষয়ে গল্প লেখে । কিন্তু তপনের লেখার বিষয় ছিল তার প্রথম দিন স্কুলে ভরতির অভিজ্ঞতা ।
- এটা খুব ভালো , ওর হবে । — কে , কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন ?
Ans: তপন তার স্কুলে ভরতির প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে = একটি গল্প লিখেছিল । মাসির মাধ্যমে লেখাটি তার লেখক মেসোর কাছে পৌঁছোলে সেটি পড়ে মেসো এমন মন্তব্য করেছেন ।
- ‘ নতুন মেসোকে দেখে জানলে সেটা।- তপন কী জেনেছিল ?
Ans: তপন ছোটো থেকেই বহু গল্প শুনেছে ও পড়েছে । কিন্তু সে জানত না যে , সাধারণ মানুষ সহজেই তা লিখতে পারে । নতুন মেসোকে দেখে সেটাই জানল ।
- ‘ মাথার চুল খাড়া হয়ে উঠল । — এর কারণ কী ছিল ?
Ans: নতুন মেসোর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তপন নিজেই চেষ্টা করে একটা গল্প লিখে ফেলে । নিজের সৃষ্টিতে রোমাঞ্চিত হয়ে তার মাথার চুল খাড়া হয়ে ওঠে ।
- ‘ ভালো হবে না বলছি ।’— কে , কাকে , কেন এই কথা বলেছে ?
Ans: তপনের লেখা গল্পটা কিছুটা পড়েই ছোটোমাসি তার প্রশংসা করেন । তারপর তিনি জিজ্ঞাসা করেন লেখাটা অন্য কোনো স্থান থেকে টোকা কিনা । তখন বিরক্ত হয়ে তপন আলোচ্য উদ্ধৃতিটি করে ।
- ‘ কিন্তু গেলেন তো — গেলেনই যে ! – কার প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে ?
Ans: তপনের লেখা গল্প সামান্য কারেকশন করে ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – য় ছাপিয়ে দেবেন বলে ছোটোমেসো তা নিয়ে যান । তারপর অনেকদিন কেটে গেলেও সে – ব্যাপারে কোনো সংবাদ না পাওয়ায় এ কথা বলা খা হয়েছে ।
- ” যেন নেশায় পেয়েছে । কোন নেশার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: নতুন মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন যে – গল্প লিখেছিল তা মাসির উৎসাহে মেসো ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেন । এরপর থেকে ক তপনকে গল্প লেখার নেশায় পায় ।
- ‘ বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের।- তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠার কারণ কী ছিল ?
Ans: গল্প ছাপানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন অদৃশ্য থাকার পর হঠাৎই একদিন ছোটোমাসি ও মেসো ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকা হাতে নিয়ে তপনদের বাড়িতে আসেন । তাতে তার গল্প ছাপার কথা ভেবে তপনের বুকের রক্ত ছলাত করে ওঠে ।
- পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে ? – এখানে কোন্ ঘটনাকে অলৌকিক ঘটনা বলা হয়েছে ?
Ans: পত্রিকায় তপনকুমার রায়ের লেখা গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হওয়া এবং সেই পত্রিকা বহু মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার ঘটনাকেই ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পে অলৌকিক ঘটনা বলা হয়েছে ।
- ‘ তা ঘটেছে , সত্যিই ঘটেছে । — কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: তপনের লেখক মেসো তার একটি গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদককে বলে ছাপিয়ে দিয়েছিলেন । এই অবিশ্বাস্য , অভূতপূর্ব ঘটনার কথাই এখানে বলা হয়েছে ।
- ‘ বাবা , তোর পেটে পেটে এত ! ‘ — কে , কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছিলেন ?
Ans: ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পে তপনের লেখা গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর বাড়িময় শোরগোল পড়ে যায় । তখন তপনের মা এই কথাটি তপনের সুপ্ত প্রতিভা সম্পর্কে বলেন ।
- ‘ এর মধ্যে তপন কোথা ? ’ – উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও ।
Ans: সন্ধ্যাতারা ‘ – য় ছেপে বেরোনো তপনের গল্পটা মেসোর হাতে পড়ে কারেকশনের নামে আগাগোড়াই পালটে যায় । বাড়ির সকলের অনুরোধে গল্পটা পড়তে গিয়ে তপন লেখার মধ্যে নিজেকে আর খুঁজে পায় না ।
- ‘ ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে ।’— কোন্ কথা ছড়িয়ে পড়ে ?
Ans: ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – য় তপনের গল্প প্রকাশকে কেন্দ্র করে বাড়িতে শোরগোল পড়লেও পরে জানা যায় যে , তার লেখাটি মেসো কারেকশন করে ছাপারে ব্যবস্থা করেছেন — এই কথাটিই ছড়িয়ে পড়ে ।
- তপনের লেখা সম্পর্কে তার বাবার কী বক্তব্য ।
Ans: তপনের বাবা মনে করেন , তপনের লেখক ছোটোমেসো তপনের লেখাটা কারেকশন করে দিয়েছিলেন বলেই এত সহজে সেটা পত্রিকায় ছাপানো সম্ভব হয়েছে ।
- তপনের লেখা পত্রিকায় ছেপে বেরোতে দেখে তার মেজোকাকু কী বলেন ?
Ans: তপনের লেখা ছেপে বেরোনোর কৃতিত্ব তপনকে না – দিয়ে মেজোকাকু ব্যঙ্গ করে বলেন , তাঁদের ওরকম লেখক – মেসোমশাই থাকলে তাঁরাও গল্প লেখার চেষ্টা করে দেখতেন ।
- ‘ গল্পটা ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা , সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।- উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আহ্লাদিত না – হতে পারার কারণ কী ?
Ans: নিজের লেখা ছেপে বেরোলে যে – তীব্র আনন্দ হওয়ার কথা সেই আহ্লাদ খুঁজে পায় না তপন । তার কৃতিত্বের চেয়েও যেন বড়ো হয়ে ওঠে ছোটোমেসোর গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কৃতিত্ব ।
- ‘ বোবার মতো বসে থাকে / – কে , কেন বোবার মতো বসে থাকে ?
Ans: নিজের লেখা গল্প ছেপে বেরোনোর পর পড়তে গিয়ে তপন দেখে কারেকশনের নাম করে মেসো লেখাটা আগাগোড়াই বদলে দিয়েছেন । তাই স্তম্ভিত তপন তা দেখে বোবার মতো বসে থাকে ।
- ‘ তাই জানতো না’- কে , কী জানত না ?
Ans: জলজ্যান্ত একজন লেখককে যে এত কাছ থেকে দেখা যায় , ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের নায়ক তপন তাই জানত না ।
- ‘ তপন কৃতার্থ হয়ে বসে বসে দিন গোনে । – তপন ‘ বসে বসে দিন গোনে কেন ?
Ans: পত্রিকায় গল্প ছাপা হওয়ার আশায় তপন কৃতার্থ হয়ে বসে বসে দিন গোনে ।
- ‘ গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের- তপনের গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল কেন ?
Ans: তপনের নিজের লেখা গল্প , যা কারেকশনের পর সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল তা পাঠ করে তার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল ।
- ‘ জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের মেসো কোন্ মহত্ত্ব দেখিয়েছিলেন ?
Ans: লেখক মেসোমশাই সকলের সামনে তপনের গল্পের প্রশংসা করেন এবং গল্পটি সংশোধন করে ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন ।
- ” তপন বইটা ফেলে রেখে চলে যায় , তপনের বই ফেলে রেখে যাওয়ার কারণ কী ?
Ans: পত্রিকায় গল্প প্রকাশিত হওয়ায় তপনের যে – আনন্দ হয়েছিল তা মুহূর্তেই স্তিমিত হয়ে যায় । কারেকশনের নামে তার লেখাটা আগাগোড়াই বদলে গেছে । তাই অভিমানে তপন বই ফেলে চলে যায় ।
- বইটা ফেলে রেখে তপন কী করে ?
Ans: বইটা ফেলে রেখে তপন ছাতে উঠে গিয়ে শার্টের তলাটা তুলে চোখের জল মোছে ।
- ‘ তপন আর পড়তে পারে না । – তপনের আর পড়তে না পারার কারণ কী ?
Ans: নিজের লেখা গল্প পত্রিকায় ছেপে বেরোনোর পর পড়তে গিয়ে তপন দেখে কারেকশনের নাম করে ছোটো মেসোমশাই তার লেখাটা পুরোটাই পালটে দিয়েছেন । তাই তপন আর পড়তে পারে না ।
- “ তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন ! – দিনটিতে কোন্ উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছিল ?
Ans: জীবনের প্রথম লেখা গল্প ছেপে বেরোনোর পর তপন দেখে কারেকশনের নামে নতুন মেসো পুরো গল্পটাই বদলে দিয়েছেন । গল্পের স্বকীয়তা হারানোয় ব্যথিত তপনের সেই দিনটা সবচেয়ে দুঃখের মনে হয়েছে ।
- ‘ এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন , প্রশ্ন ২.৩৮ —সংকল্পটি কী ?
Ans: তপন সংকল্প করেছিল , ভবিষ্যতে যদি কখনও আর কোনো লেখা ছাপাতে হয় , তবে সে নিজে হাতে সেই লেখা পৌঁছে দিয়ে আসবে পত্রিকার অফিসে ।
- ‘ তপনকে যেন আর কখনো না শুনতে হয় ….. —এখানে কী শোনার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: তপনকে যেন আর কখনও শুনতে না – হয় যে , অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে ।
- ” তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই , — কীসের কথা বলা হয়েছে ?
Ans: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গঙ্গে তপনের মনে হয়েছে নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়ার চেয়ে দুঃখের আর কিছুই নেই ।
- ‘ তপন প্রথমটা ভাবে ঠাটা- তপন কোন্ কথাকে প্রথমটায় ঠাট্টা ভেবেছিল ?
Ans: লেখক নতুন মেসোমশাই যখন তপনকে জানান তার গল্প দিব্যি হয়েছে , এমনকি একটু সংশোধন করে দিলে ছাপতেও দেওয়া যায় তখন সম্পূর্ণ বিশ্বাস করতে না পেরে তপন এই কথাটাকে নিছক ঠাট্টা বলে মনে করেছিল ।
- ‘ দুপুরবেলা , সবাই যখন নিথর নিথর’- তখন তপন কী করেছিল ?
Ans: বিয়েবাড়ির দুপুরবেলা সবাই যখন নিথর , তখন তপন হোমটাস্কের খাতা নিয়ে তিনতলায় উঠে একাসনে বসে আস্ত একটা গল্প লিখে ফেলেছিল ।
- ‘ না না আমি বলছি — তপনের হাত আছে – কখন বক্তা এ কথা বলেন ?
Ans: বিকেলে চায়ের টেবিলে তপনের গল্পের কথা শুনে সবাই হেসে ওঠায় লেখক মেসোমশাই এ কথা বলেন ।
- তপনের বাবা – কাকা – মামাদের সঙ্গে লেখক মেসোমশাইয়ের কী কী মিল আছে ?
Ans: তপনের বাবা – কাকা – মামাদের মতোই তার লেখক মেসোমশাইও দাড়ি কামান , সিগারেট খান , খেতে বসে খাবার তুলে দেন , সময়মতো স্নান করেন , ঘুমোন , খবরের কাগজ পড়েন , এমনকি সিনেমাও দেখেন ।
- নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু গেল তপনের এখানে কোন জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে ?
Ans: এখানে লেখকেরাও যে নিছক সুস্থ – স্বাভাবিক ও সাধারণ মানুষ , তপনের এই জ্ঞানলাভ ের কথাই বলা হয়েছে ।
- ‘ নতুন মেসোকে ’ দেখে তপন কী জেনেছিল ?
Ans: লেখকেরা যে অন্য গ্রহ থেকে পড়া কোনো জীব নয় , আর পাঁচ জনের মতোই নিছক সাধারণ মানুষ ; নতুন মেসোকে দেখে তপন এ কথাই জেনেছিল ।
- এর মধ্যে তপন কোথা ? – কেন এমন বলা হয়েছে ?
Ans: লেখক মেসোমশাইয়ের সংশোধনের পরে তপনের নামে প্রকাশিত গল্প তার কাছেই অপরিচিত ও নতুন হয়ে ওঠে । তাই এমন কথা বলা হয়েছে ।
- ‘ এবিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের / —কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল ?
Ans: লেখকদের যে বাস্তব জীবনে কখনও দেখা যেতে পারে , তাঁরাও যে তপনের বাবা , ছোটোমামা বা মেজোকাকার মতোই সাধারণ মানুষ— সে – বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল ।
- তপনের নতুন মেসোমশাই শ্বশুরবাড়িতে এসে রয়েছেন কেন ?
Ans: তপনের নতুন মেসোমশাই একজন অধ্যাপক । এই সময় তাঁর কলেজে গরমের ছুটি থাকায় তিনি শ্বশুরবাড়িতে এসে রয়েছেন ক – দিন ।
Part 2
- “ এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের ” —কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল ?
Ans: একজন লেখকের আচরণও যে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই হয়ে থাকে সেই বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল ।
- ” বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা ” —চায়ের টেবিলে কোন কথা ওঠে?
Ans: তপনের লেখা গল্পটি তার নতুন মেসোমশাই সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবেন — এই কথাই চায়ের টেবিলে ওঠে ।
- “ গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না । ” উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আহ্লাদিত হতে না পারার কারণ কী ?
Ans: গল্পটি ছাপানো নিয়ে তপনের থেকে তার নতুন মেসোর মহত্ত্বের কথাই বেশি করে প্রচারিত হওয়ায় তপনের গল্প ছাপার আহ্লাদটা হারিয়ে যায় ।
- তপনের লেখা গল্প পড়ে ছোটোমাসি কী বলেছিল ?
Ans: ছোটোমাসি বলে , “ ও মা এ তো বেশ লিখেছিসরে ? কোনোখান থেকে টুকলিফাই করিসনি তো ? ”
- ” তপন অবশ্য মাসির এই হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয় । ” তপনের এই পুলকের কারণ কী ?
Ans: কারণ তপন ভাবে তার লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝলে একমাত্র নতুন মেসোই বুঝবে ।
- “ এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা ” —কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: ছোটোমাসি আর মেসোমশাই যেদিন সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার একটি সংখ্যা নিয়ে তপনদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন , সেই ঘটনার কথা বলা হয়েছে ।
- ” বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের । ” কেন তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে ?
Ans: তপনদের বাড়িতে বেড়াতে আসা ছোটোমাসি আর মেসোমশাই – এর হাতে থাকা ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার একটি সংখ্যা দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে । কারণ তপন ভাবে হয়তো তার অপেক্ষার অবসান এবার ঘটতে চলেছে নিজের লেখা গল্প ছাপার মধ্য দিয়ে ।
- “ পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে ” – কোন ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে ?
Ans: তপনের লেখা গল্পটি ছাপার অক্ষরে হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘুরবে , এই ঘটনাকেই অলৌকিক ঘটনা বলা হয়েছে ।
- “ তা ঘটেছে , সত্যিই ঘটেছে । ” কী ঘটেছে ?
Ans: তপনের লেখা গল্পটি সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপা হয়েছে এই ঘটনাই ঘটেছে ।
- “ সূচিপত্রেও নাম রয়েছে ” সেখানে কী লেখা ছিল ?
Ans: আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সূচিপত্রে লেখা ছিল — ‘ প্রথম দিন ‘ ( গল্প ) শ্রী তপন কুমার রায় ।
- “ ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে । ” কোন কথাটা ?
Ans: তপনের লেখা গল্পটি কিছুটা ‘ কারেকশান ‘ করে মেসোমশাই সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়েছেন – এই কথাটিই সারা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে ।
- “ আর কখনো শুনতে না হয় – ” কাকে , কী শুনতে না হয় ?
Ans: তপনের যেন আর কখনো শুনতে না হয় , “ অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে ।”
- ” তপন আর পড়তে পারে না । ” কেন তপন আর পড়তে পারে না ?
Ans: নিজের লেখা ছাপানো গল্পটি পড়তে গিয়ে যখন তপন দেখে গল্পটিকে মেসো আগাগোড়াই কারেকশান করে নিজের পাকা হাতের কলমে নতুন করে লিখেছেন তখন তপন আর পড়তে পারে না ।
------------
বাবা, তারে পেটে পেটে এত।”—এটি কোন প্রকার বাক্য?