উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – শিক্ষায় প্রযুক্তির ভূমিকা (দ্বাদশ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর

 সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো |

  1. শিক্ষাপ্রযুক্তি যে কাজে ব্যবহৃত হয় – 

(A) পাঠক্রম নির্দিষ্টকরণে / 

(B) শিক্ষা শিখন প্রক্রিয়া / 

(C) মূল্যায়নে / 

(D) উপরের সবক’টি । 

Ans: (D) উপরের সবক’টি । 

 

  1. রাউনট্রা ( Rowntra , 1973 ) শিক্ষাপ্রযুক্তির প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করেছেন— 

(A) তিনটি / 

(B) চারটি / 

(C) পাঁচটি / 

(D) সাতটি । 

Ans: (B) চারটি / 

 

  1. ‘ শিক্ষাপ্রযুক্তির ’ উদাহরণ হলো— 

(A) পরিকল্পিত শিখন / 

(B) অনুশিখন / 

(C) তন্ত্র বা সিস্টেম হিসেবে শিক্ষা / 

(D) উপরের সবক’টি । 

Ans: (D) উপরের সবক’টি ।

 

  1. বর্তমানে যে ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার লক্ষ করা যায়– 

(A) অনুশিক্ষণ / 

(B) শিক্ষণ মডেল / 

(C) স্বয়ংশিখন / 

(D) উপরের সবক’টি । 

Ans: (D) উপরের সবক’টি ।

 

  1. শিক্ষাপ্রযুক্তিভিত্তিক বিষয় হলো— 

(A) শিক্ষার বিকাশ / 

(B) পরিকল্পিত শিক্ষণ / 

(C) শিক্ষা নির্দেশনা / 

(D) উপরের সবক’টি । 

Ans: (C) শিক্ষা নির্দেশনা / 

 

  1. শুদ্ধ হার্ডওয়্যারের উদাহরণ হলো— 

(A) কমপ্যাক্ট ডিস্ক / 

(B) ভিডিও ক্যাসেট । 

(C) কম্পিউটার / 

(D) উপরের সবক’টি । 

Ans: (D) উপরের সবক’টি । 

 

  1. এর মধ্যে কোনটি সফটওয়্যার ? 

(A) ওভার হেড প্রজেক্টর / 

(B) টিভি / 

(C) কম্পিউটার / 

(D) কম্পিউটার ডিস্ক । 

Ans: (D) কম্পিউটার ডিস্ক । 

 

  1. বর্তমানে প্রথাগত শিক্ষার ক্ষেত্রে কম্পিউটার শিক্ষা শুরু হওয়া উচিত— 

(A) প্রাকৃপ্রাথমিক স্তর থেকে / 

(B) নিম্ন প্রাথমিক স্তর থেকে / 

(C) উচ্চ মাধ্যমিক স্তর থেকে / 

(D) নিম্ন মাধ্যমিক স্তর থেকে । 

Ans: (B) নিম্ন প্রাথমিক স্তর থেকে / 

 

  1. বর্তমানে শিক্ষাপ্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়— 

(A) জ্ঞান সংগ্রহে / 

(B) জ্ঞান সরবরাহে / 

(C) জ্ঞানের মূল্যায়নে / 

(D) উপরের সবক’টি । 

Ans: (D) উপরের সবক’টি । 

 

  1. ভাষা পরীক্ষাগারের লক্ষ্য কী ?

(A) সঠিকভাবে শুনতে ও বলতে শেখা / 

(B) সঠিকভাবে শুনতে , বলতে ও লিখতে শেখা / 

(C) সঠিকভাবে শুনতে , বলতে ও পাঠ করতে শেখা / 

(D) সঠিকভাবে শুনতে ও পাঠ করতে শেখা । 

Ans: (A) সঠিকভাবে শুনতে ও বলতে শেখা / 

 

  1. টিচিং মেশিনের সুবিধা কী ? 

(A) শিক্ষকের অভাব পূরণ করতে পারে / 

(B) শিক্ষকের কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হয় না / 

(C) শিক্ষকের কোনো প্রয়োজন হয় না । / 

(D) শিক্ষকের পক্ষপাতিত্ব থেকে মুক্ত হওয়া যায় 

Ans: (A) শিক্ষকের অভাব পূরণ করতে পারে /


  1. CIET- এর পুরো কথাটি হলো— 

(A) সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল অ্যান্ড টিচিং / 

(B) সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি / 

(C) সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব ইংলিশ টিচিং / 

(D) সেন্টাল ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন 

টেকনোলজি । 

Ans: (D) সেন্টাল ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন 

টেকনোলজি । 

  1. শিক্ষাপ্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা হলো— 

(A) প্রচুর অর্থের বিনিয়োগ / 

(B) শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ঘাটতি / 

(C) রক্ষণাবেক্ষণের অভাব / 

(D) উপরের সবক’টি 

Ans: (D) উপরের সবক’টি

  1. পরিকল্পিত শিখনের গুরুত্বপূর্ণ দিক কোনটি ? (A) ফ্রেম প্রস্তুত করা / 

(B) শিক্ষার্থীর সক্রিয়তা / 

(C) ফিডব্যাক সরবরাহ / 

(D) উপরের সবক’টি । 

Ans: (D) উপরের সবক’টি । 

  1. শিক্ষাপ্রযুক্তির উদ্দেশ্যগুলিকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ?  

(A) চার ভাগে / 

(B) তিন ভাগে / 

(C) দুই ভাগে / 

(D) অসংখ্য ভাগে ।

Ans: (C) দুই ভাগে /

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – শিক্ষায় প্রযুক্তির ভূমিকা (দ্বাদশ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Education Question and Answer : 

  1. শিক্ষাতন্ত্রে ইনপুট কী ? 

Ans: শিক্ষাতন্ত্রে ইনপুট বলতে মানবসম্পদ ( শিক্ষার্থী সম্পর্কিত তথ্য ) , আর্থিক সম্পদ ইত্যাদিকে বোঝায় । 

  1. শিক্ষাতন্ত্রে আউটপুট কী ? 

Ans: শিক্ষাতন্ত্রে আউটপুট হলো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর উন্নত পারদর্শিতা । 

  1. ভাষা পরীক্ষাগারের প্রয়োজনীয়তা কী ? 

Ans: ভাষা বিশেষত বিদেশি ভাষা সঠিকভাবে শোনা , বলা এবং উচ্চারণ করতে শেখার জন্য ভাষা পরীক্ষাগারের প্রয়োজন । 

  1. UNESCO- এর মতানুযায়ী ICT- র একটি উদ্দেশ্য কী ? 

Ans: ICT- র উদ্দেশ্য তথ্য , যোগাযোগ , সামাজিক ক্ষমতার উপর গুরুত্ব প্রদান করা । 

  1. প্রযুক্তির একটি সংজ্ঞা উল্লেখ করো । 

Ans: প্রযুক্তি বলতে বোঝায় ব্যবহারিক উদ্দেশ্যে ( যেমন সমস্যা ) বিজ্ঞানের জ্ঞান 504 ও 500 প্রয়োগ করা । 

  1. শিক্ষাপ্রযুক্তি কী ? 

Ans: শিক্ষা বিষয়ক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান যা বাস্তব শিখন পরিস্থিতিতে কাজে লাগানো হয় তাকে শিক্ষাপ্রযুক্তি বলে । 

  1. শিক্ষাবিজ্ঞানে প্রযুক্তি বলতে কী বোঝায় ?

Ans: শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির প্রয়োগ , বিশেষ করে বৈদ্যুতিক উপকরণ ব্যবহার করাকে প্রযুক্তি বলে । 

  1. প্রযুক্তিবিদ্যার চারটি সমস্যা উল্লেখ করো ।

Ans: প্রযুক্তিবিদ্যার চারটি সমস্যা এইরূপ – 1. আর্থিক অভাব ; 2. চাহিদা ও জোগানের মধ্যে সামঞ্জস্যহীনতা ; 3. আধুনিকীকরণে ব্যর্থতা ; 4.  কুশলী শিক্ষকের অভাব । 

  1. প্রযুক্তিবিদ্যার সমস্যাগুলি সমাধানের কয়েকটি উপায় চিহ্নিত করো । 

Ans: প্রযুক্তিবিদ্যার সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন উপায়ের মধ্যে আছে – আর্থিক অনুদান ; শিক্ষক প্রশিক্ষণ ; আদর্শ পাঠক্রম ; আধুনিক যন্ত্রাদির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচিতি । 

  1. শিক্ষায় শিক্ষাপ্রযুক্তির একটি অবদান লেখো । 

Ans: ব্যক্তি ও সমাজের চাহিদার ভিত্তিতে শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্থিরীকরণে শিক্ষাপ্রযুক্তি বিশেষ ভূমিকা পালন করে । 

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – শিক্ষায় প্রযুক্তির ভূমিকা (দ্বাদশ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Education Question and Answer : 

  1. শিক্ষাপ্রযুক্তিবিদ্যার যেকোনো চারটি সুবিধা সংক্ষেপে আলোচনা করো । 

Ans: শিক্ষাপ্রযুক্তি : শিক্ষা বিষয়ক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান যা বাস্তব শিখন পরিস্থিতিতে কাজে লাগানো হয় তাকে শিক্ষাপ্রযুক্তি বলে । 

  শিক্ষাপ্রযুক্তির সুবিধা : শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রযুক্তি ক্রমশ অপরিহার্য হয়ে উঠছে । শিক্ষাপ্রযুক্তির সুবিধা নীচে আলোচিত হলো 

  1. শিক্ষার লক্ষ্য , উদ্দেশ্য ও শিক্ষাপ্রযুক্তি : শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণে শিক্ষাপ্রযুক্তির ভূমিকা অনেক । বর্তমানে শিক্ষার্থীদের শৈশবকাল থেকেই কম্পিউটারের প্রাথমিক পাঠগ্রহণ করানো হচ্ছে । এটা শিক্ষাপ্রযুক্তিরই অঙ্গ । 
  2. পাঠক্রম পরিকল্পনা ও শিক্ষাপ্রযুক্তি : শিক্ষার্থীদের উপযোগী যথাযথ পাঠক্রম পরিকল্পনায় শিক্ষাপ্রযুক্তি সহায়তা করে । আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠক্রম পরিকল্পনার নানা মডেল শিক্ষাপ্রযুক্তির অবদান । 
  3. মূল্যায়ন : শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রযুক্তির বিশেষ অবদান রয়েছে । যেমন— বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর মূল্যায়ন করে নম্বর দেওয়া , মার্কশিট প্রস্তুত করা ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলপ্রকাশ করা শিক্ষাপ্রযুক্তির জন্যই সম্ভব হয়েছে । 
  4. শিক্ষা প্রশাসন ও শিক্ষাপ্রযুক্তি : স্কুল – কলেজের গ্রন্থাগারগুলিতে শিক্ষাপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে । এছাড়া স্কুল – কলেজের প্রশাসনিক নানা কর্মসূচির ক্ষেত্রেও শিক্ষাপ্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে । এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েসাইটের মাধ্যমে সার্বিক তথ্য জানা যাচ্ছে । 
  5. শিক্ষাপ্রযুক্তির শ্রেণিবিভাগ করো । পরিকল্পিত শিখন কাকে বলে ? 

Ans: শিক্ষাপ্রযুক্তির শ্রেণিবিভাগ : নানাভাবে শিক্ষাপ্রযুক্তির শ্রেণিবিভাজন করা যায় । ম্যাকেঞ্জি ও অন্যরা তথ্যের উৎসের ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রযুক্তির শ্রেণিবিভাগ করেছেন । যেমন— 1) ভাষা পরীক্ষাগার , 2) টিচিং মেশিন ,3) দূরদর্শন ,4)   পরিকল্পিত শিখন উপকরণ । 

 পরিকল্পিত শিখন : পরিকল্পিত শিখন এমন একটি কৌশল যেখানে বিষয়বস্তুকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করে প্রশ্ন করা হয় । এর উদ্দেশ্য হলো ভুল করার সম্ভাবনা ন্যূনতম করা । এখানে ছোটো ছোটো অংশে বিভক্ত শিখনের বিষয়বস্তু ( ফ্রেম ) -কে নির্দিষ্ট যৌগিক ক্রমে সাজানো হয় । এভাবে প্রস্তুত ফ্রেমগুলিকে নির্দিষ্ট কৌশলের সাহায্যে টিচিং মেশিন বা পুস্তকাকারে প্রকাশ করা হয় । ছাত্র – ছাত্রীরা প্রথম ফ্রেমটি পাঠ করে নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দেয় । এই উত্তর ঠিক না ভুল তা ‘ ফিডব্যাক ‘ – এর মাধ্যমে জানানো হয় । সাধারণত উত্তর সঠিক হয় এবং শিক্ষার্থী পরের ফ্রেমে চলে যায় । এভাবে তারা পুরো বিষয়টি আয়ত্ত করে । কোনো ফ্রেমে শিক্ষার্থী ভুল করলে কেন ভুল করেছে তা জানানো হয় । এভাবে ভুল সংশোধন করে শিক্ষার্থী এগিয়ে চলে । পরিকল্পিত পদ্ধতিতে শিখনের এই কৌশলই হলো পরিকল্পিত শিখন । 

  1. কম্পিউটারভিত্তিক শিক্ষার অসুবিধাগুলি কী ? অথবা , কম্পিউটার সহায়ক পাঠদান পদ্ধতির অসুবিধাগুলি কী ? 

Ans: উন্নত দেশগুলির ব্যাপার আলাদা , সেখানে এখন বিদ্যালয় স্তর থেকেই কম্পিউটারভিত্তিক শিক্ষার সফল প্রয়োগ শুরু হয়ে গিয়েছে । তবে উন্নয়নশীল দেশ ভারতে Computer – Assisted Instruction ( C.A.I. ) প্রয়োগের ক্ষেত্রটি এখনও নানা বাধার সম্মুখীন । সত্যি কথা বলতে কী , প্রত্যন্ত এলাকায় বহু প্রাথমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এখনো চক – ডাস্টারের মতো ন্যূনতম শিক্ষোপকরণের অভাব আছে । তাই কম্পিউটারভিত্তিক শিক্ষা এখনও চালুই হয়নি এদেশে । এর বিভিন্ন অসুবিধা এইরূপ—

  অসুবিধাসমূহ : 

প্রথমত , দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট শ্রেণি থেকে কম্পিউটারভিত্তিক শিক্ষা চালুর উপযোগী কম্পিউটার কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান ভারত সরকারের নেই । 

দ্বিতীয়ত , কম্পিউটারভিত্তিক শিক্ষা চালু করার ক্ষেত্রে প্রতি স্কুলে কম্পিউটার চালানোর দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষক বা সহায়ক কর্মী নিয়োগ প্রয়োজন , যদিও দেশের অধিকাংশ স্কুলে এই পদটি ফাকাই পড়ে আছে । 

তৃতীয়ত , অনেক স্কুলে এধরনের শিক্ষা উপকরণ থাকলেও , শিক্ষকগণ এগুলি শ্রেণিতে ব্যবহার করেন না । নিয়মিত ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এগুলি অকার্যকর হয়ে পড়ে । 

চতুর্থত , কম্পিউটার শ্রেণিকক্ষে বসানোর জন্য শ্রেণিকক্ষের নতুন মডেলিং প্রয়োজন যে অর্থ অধিকাংশ স্কুলেরই নেই । 

  ফলে ভারতের মতো দরিদ্র দেশে উন্নত শিক্ষাপ্রযুক্তি ব্যবহারের কথা ভাবলেই হবে না , এজন্য আর্থিক সামর্থ্য আছে কি না এটাও সরকারকে ভাবতে হবে । সুতরাং এক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা ও সুষ্ঠু পরিকাঠামো প্রয়োজন । 

  1. শিক্ষাপ্রযুক্তির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো । 

Ans: শিক্ষাপ্রযুক্তি হলো শিক্ষা বিষয়ক বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান আর এই জ্ঞান বাস্তব শিখন পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করা হয় থাকে । এর লক্ষ্য প্রযুক্তিবিদ্যা , তথ্য বিষয়ক বিজ্ঞান , প্রাকৃতিক বিজ্ঞান , আচরণের বিজ্ঞান ও মানবপ্রকৃতির সহায়তায় শিক্ষায় উৎকর্ষসাধন । 

  শিক্ষাপ্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য : 1. সামগ্রিক বিষয় : শিক্ষাপ্রযুক্তির মধ্যে নির্দেশদান প্রযুক্তি , শিক্ষণ প্রযুক্তি , পরিকল্পিত শিখন , সিস্টেম বিশ্লেষণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত । ফলে এটি সামগ্রিক বিষয় । একে আংশিকভাবে বিবেচনা করা উচিত হয় । 

  1. শিখনকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া : শিখনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া এর লক্ষ্য । শিক্ষাপ্রযুক্তিতে মানুষের মহত্বকে প্রকাশ করার বিষয়টি প্রাধান্য পায় ।  
  2. বিজ্ঞানভিত্তিক নীতি : শিক্ষাপ্রযুক্তিতে বিজ্ঞানভিত্তিক নীতি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে । পাঠক্রম প্রণয়ন , শিক্ষা – শিখন প্রক্রিয়া , ব্যবস্থাপনা , লক্ষ্য নির্দিষ্টকরণ , মূল্যায়ন ইত্যাদি শিক্ষায় বিজ্ঞানভিত্তিক নীতি প্রযুক্ত হয় । 
  3. শিক্ষোপকরণ : শিক্ষাপ্রযুক্তিতে নানা প্রকার শিক্ষাপোকরণ থাকে । 
  4. বৈদ্যুতিন মাধ্যম : শিক্ষাপ্রযুক্তিতে নানা প্রকার বৈদ্যুতিন মাধ্যম ব্যবহার করা হয় । এক্ষেত্রে কম্পিউটার , ল্যাপটপ , টিভি , রেডিও ইত্যাদি প্রধান । 
  5. শিখন পরিস্থিতির সংগঠন : শিক্ষাপ্রযুক্তি শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে শিখন পরিস্থিতি সংগঠনে গুরুত্ব দেয় । 
  6. শিক্ষাপ্রযুক্তি শিখন কৌশল ও শিক্ষা পদ্ধতির উপর গুরুত্ব আরোপ করে । 

  8.শিক্ষাপ্রযুক্তি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ । 

  1. শিক্ষাপ্রযুক্তিতে ইনপুট হলো শিক্ষার্থী , তথ্য আর্থিক সম্পদ এবং আউটপুট হলো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর উন্নত পারদর্শিতা । 
  2. শিক্ষায় প্রযুক্তিবিদ্যার গুরুত্ব আলোচনা করো ।

Ans: বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষাপ্রযুক্তির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে । শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষাপ্রযুক্তির অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো – 

  শিক্ষায় শিক্ষাপ্রযুক্তির অবদান : 1. পাঠক্রম রূপায়ণে ভূমিকা : উপযুক্ত পাঠক্রম পরিকল্পনায় সাহায্য করে শিক্ষাপ্রযুক্তি । বর্তমানে পাঠক্রম রূপায়ণে যে বিভিন্ন মডেলের কথা বলা হয় যেমন টাবার মডেল , লাউস্টন মডেল তা শিক্ষাপ্রযুক্তির অবদান । 

  1. শিখন প্রক্রিয়ার উৎকর্ষ সাধনে ভূমিকা : শিক্ষা – শিক্ষণ প্রক্রিয়ার উৎকর্ষ সাধনে শিক্ষাপ্রযুক্তির অবদান আছে । ব্যক্তিভিত্তিক শিক্ষণে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য আহরণ , প্রোগ্রামিং প্রযুক্তির দান , উন্নতমানের পাঠদানে স্লাইড , ওভার হেড প্রোজেক্টর , মাইক্লো ফিল্ম , চার্ট , মডেল বিশেষ ভূমিকা নেয় । 
  2. শিক্ষা প্রশাসনে ভূমিকা : শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রশাসনিক কার্যকলাপ যেমন ভর্তির আবেদনপত্র , ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারীদের তালিকা এখন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় । 
  3. পাঠাগার : বর্তমানে প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠাগার শিক্ষাপ্রযুক্তির সাহায্য নেয় । 

মূল্যায়ন : বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রযুক্তির ভূমিকা অপরিহার্য । 

  1. হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যারের নীতিগুলি কী ?

Ans: হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যার বিভিন্ন নীতির ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে । এগুলি নিম্নরূপ—

  1. সাশ্রয়কারী নীতি : হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যার এই দু’টি প্রযুক্তির দ্বারা অল্প পরিশ্রমে , খুব কম সময়ে এবং সামান্য অর্থে অনেক বেশি কাজ করা যায় । 
  2. উদ্দেশ্যমূলক নীতি : হার্ডওয়্যার সফ্টওয়্যারের নীতি পূর্বপরিকল্পিত কয়েকটি উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে । অর্থাৎ এই প্রযুক্তির মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্যমুখীভাবে কর্ম সম্পাদন করা । 
  3. বৈচিত্র্য রক্ষাকারী নীতি : হার্ডওয়্যার ও সফ্‌টওয়্যার প্রযুক্তির মাধ্যমে শিশুর শিখন পদ্ধতিতে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য । এর অর্থ বৈচিত্র্যপূর্ণভাবে বিষয়বস্তু উপস্থাপনে এই প্রযুক্তি সাহায্য করে । 
  4. শিক্ষোপকরণ ব্যবহারে সুবিধাজনক নীতি : শিক্ষণ ক্ষেত্রে যে সমস্ত উপকরণ ব্যবহৃত হয় সেই ক্ষেত্রে এই দুই প্রযুক্তি খুব তাড়াতাড়ি শিক্ষোপকরণ ব্যবহারে বিশেষ ভূমিকা পালন করে । 
  5. সহজলভ্যতার নীতি : হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যার এই দুই প্রযুক্তি ব্যবহার করে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের বিভিন্ন বিষয় সহজে জানা যায় । 
  6. শিক্ষাপ্রযুক্তির উদ্দেশ্যগুলি আলোচনা করো ।

Ans: শিক্ষাপ্রযুক্তিবিদ্যার উদ্দেশ্য সম্পর্কে শিক্ষাবিদগণ বিভিন্ন মত পোষণ করেন । যথা— বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ Hillard Jason- এর মতে— 

  1. তথ্য সম্প্রচার : শিক্ষাপ্রযুক্তিবিদ্যার একটি অন্যতম উদ্দেশ্য তথ্য সম্প্রচার করা । 
  2. আদর্শ পদ্ধতি সরবরাহ : শিক্ষাপ্রযুক্তি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়কে আদর্শ পদ্ধতি সরবরাহ করে । 
  3. Feed back সরবরাহ : শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যা Feed back দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে অর্থাৎ Feed back দানে সাহায্য করে । Mackenzie এবং অন্যান্য সহকর্মীদের মতানুসারে শিক্ষাপ্রযুক্তিবিদ্যার মৌলিক উদ্দেশ্যগুলি এইরূপ— 1. অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান : শিক্ষাপ্রযুক্তির সাহায্যে প্রচুর সংখ্যক শিক্ষার্থীর মধ্যে শিক্ষাকে পৌঁছে দেওয়া যায় ।   2. স্বয়ং শিখন : শিক্ষাপ্রযুক্তির সাহায্যে স্বয়ং শিখনে গুরুত্ব আরোপ করা হয় ।