MCQ সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো
- পরাধীন ব্যাকরণসম্মত রুলমুল কতপ্রকার ?
(A) দুই প্রকার
(B) তিন প্রকার
(C) চার প্রকার
(D) পাঁচ প্রকার
Ans: (A) দুই প্রকার
- স্বাধীন রুপমুলের উদাহরন হলো –
(A) ছাত্ররা
(B) ছাত্র
(C) ছাত্রকে
(D) ছাত্রদের
Ans: (B) ছাত্র
- ভাষার সবচেয়ে ছোট অর্থপূর্ণ একক হলো –
(A) শব্দার্থ তত্ত্ব
(B) রূপতত্ত্ব
(C) ধ্বনিতত্ত্ব
(D) বাক্যতত্ত্ব
Ans: (B) রূপতত্ত্ব
- পদ গঠনের চরিত্র অনুযায়ী সমাস –
(A) দুই প্রকার
(B) তিন প্রকার
(C) চার প্রকার
(D) পাঁচ প্রকার
Ans: (B) তিন প্রকার
- শব্দকে আমরা একরূপে পাই একমাত্র –
(A) বিশেষ্য পদে
(B) বিশেষণ পদে
(C) সর্বনাম পদে
(D) অভিধানে
Ans: (D) অভিধানে
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা – রূপতত্ব (ভাষা) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Question and Answer :
- সহরূপ কী ?
Ans: রূপের অর্থ না বদলে যখন রূপের বৈচিত্র্য দেখা যায় , তখন সেই বৈচিত্র্যকে ‘ সহরূপ ’ বলে ।
- পদ গঠনের চরিত্রের ভিন্নতা অনুযায়ী সমাসকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ?
Ans: পদ গঠনের চরিত্রের ভিন্নতা অনুযায়ী সমাসকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় । যথাক্রমে
( ক ) দ্বন্দ্ব সমাস , ( খ ) ব্যাখ্যামূলক সমাস , ( গ ) বর্ণনামূলক সমাস ।
- প্রত্যয় কাকে বলে ?
Ans: প্রত্যয় হলো ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টি যা পদ বা ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন পদ গঠন করে । কখনো কখনো পদের পরিবর্তনও করে বলে তাকে প্রত্যয় বলে ।
- উপসর্গ কাকে বলে ?
Ans: উপসর্গ এক ধরনের অব্যয় , যা শব্দের আগে বসে তার অর্থ পরিবর্তন করে । উপসর্গকে অনেক সময় পদের আদিতে বসা তদ্ধিত প্রত্যয়ও বলা হয় ।
- জোড়কলম শব্দ কাকে বলে ?
উত্তর কখনো একই ভাষার বা ভিন্ন ভিন্ন ভাষার দু’টি পৃথক কাটা শব্দ জোড়া করে যে শব্দ তৈরি হয় , তাকে জোড়কলম শব্দ বলে ।
যেমন— ধোঁয়া + কুয়াশা ধোঁয়াশা , tiger + lion = 1 = tigon .
- অবস্থান অনুযায়ী প্রত্যয় কত প্রকার ও কী কী ?
Ans: অবস্থান অনুযায়ী প্রত্যয় দুই প্রকার । যথাক্রমে— ( ক ) কৃৎ প্রত্যয় এবং ( খ ) তদ্ধিধ প্রত্যয় ।
- দু’টি পরাধীন রূপমূলের উদাহরণ দাও । Ans: পরাধীন রূপমূল স্বাধীন রূপমূলের সঙ্গে যুক্ত থাকে । এর একক ব্যবহার নেই । যেমন— মানুষকে , ‘ কে ’ এখানে পরাধীন রূপমূল । মাছওয়ালা , ‘ ওয়ালা ’ এখানে পরাধীন রূপমূল ।
রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা – রূপতত্ব (ভাষা) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Question and Answer :
- প্রত্যয় কাকে বলে ? ব্যবহারিক প্রয়োগের অবস্থান অনুযায়ী প্রত্যয়কে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ? প্রত্যেকটি ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও ।
অথবা , প্রত্যয় কাকে বলে ? প্রত্যয় কয় প্রকার ও কী কী ? প্রত্যেকটি ভাগের উদাহরণ সহ সংজ্ঞা লেখো ।
Ans: প্রত্যয় শব্দগঠনের একটি প্রক্রিয়া । শব্দমূল বা প্রকৃতির সঙ্গে প্রত্যয় যোগ করে নতুন নতুন শব্দ গঠন করা হয় ।
প্রত্যয় : যে সকল ধ্বনি বা ধ্বনির সমষ্টি পদ বা ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন ধাতু বা নতুন পদ গঠন করে , তাকে প্রত্যয় বলে । প্রত্যয় পদের পরিবর্তন করে ।
ব্যবহারিক প্রয়োগের অবস্থান অনুযায়ী প্রত্যয় দু’রকম । যথা— ( ক ) কৃৎপ্রত্যয় বা ধাতু প্রত্যয় এবং ( খ ) তদ্বিত প্রত্যয় বা শব্দ প্রত্যয় ।
( ক ) কৃৎপ্রত্যয় বা ধাতু প্রত্যয় যে প্রত্যয় ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয় , তাকে কৃৎপ্রত্যয় বলে । যেমন— √ভুজ + অন ভোজন , √পূজ্ + অনীয় = পূজনীয় , √রাধ + উনি = রাঁধুনি । উদাহরণগুলিতে অন , অনীয় , উনি প্রত্যয়গুলি যথাক্রমে ভুজ্ , পূজ্ , রাধ ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্বাধীন পদ গঠন করেছে ।
( খ ) তদ্ধিত বা শব্দ প্রত্যয় : এই জাতীয় প্রত্যয় শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয় । তদ্বিত প্রত্যয় শব্দের পদ পরিবর্তন ঘটায় । যেমন- চালাক + ই = চালাকি , মামলা + বাজ = মামলাবাজ , বাঁশি + ওয়ালা • বাঁশিওয়ালা । উপরের উদাহরণে ই , বাজ , ওয়ালা তদ্ধিত প্রত্যয় । প্রত্যয়গুলি যথাক্রমে চালাক , মামলা , বাঁশি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করেছে ।
- শব্দগঠনের প্রক্রিয়া বা কৌশলগুলি আলোচনা করো ।
Ans: শব্দগঠনের কৌশল বা প্রক্রিয়া ভাষাবিজ্ঞানে রূপতত্ত্বের অন্যতম আলোচনার বিষয় । রূপিম বা রূপমূল হলো শব্দগঠনের মূল উপাদান । এই রুপিম সহযোগে বাংলা ভাষায় শব্দগঠনের বিভিন্ন প্রক্রিয়া আছে , যেগুলি নিম্নে আলোচিত হলো—
পদদ্বৈত : কোনো শব্দে একই পদ দু’বার পাশাপাশি বসলে তাকে পদদ্বৈত বলে । যেমন— দিনদিন , সকাল সকাল , হাসিহাসি , কাঁদতে কাঁদতে , এই জাতীয় পদ সমার্থক ও বিপরীত হয়ে থাকে । যেমন— কাগজপত্র , কাজকর্ম ; হাসিকান্না , ভালোমন্দ ইত্যাদি ।
জোড়কলম রূপ : একটি বিশেষ জাতীয় শব্দ বা শব্দাংশের সঙ্গে আর একটি পৃথক জাতীয় শব্দ বা শব্দাংশের সংমিশ্রণকে জোড়কলম শব্দ বলে । জোড়কলম রূপমূলে একাধিক রূপমূলের সমবায় থাকে । যেমন— ধোঁয়া শব্দের সঙ্গে কুয়াশা শব্দ মিলে নতুন শব্দ ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ।
সমাস বা যোগ করা : সমাসের অর্থ হলো সংক্ষেপ করা । এই প্রক্রিয়ায় একাধিক পদকে সংক্ষিপ্ত করা হয় , এর ফলে নতুন শব্দ গঠন হয় । যেমন— বীণাপাণি , রাজর্ষি ইত্যাদি ।
অনুকার পদ গঠন : শব্দের সাদৃশ্য
বজায় রাখার জন্য অর্থহীন শব্দযোগে এই জাতীয় পদ গঠন হয় । যেমন— ভাতটাত ,
চুপচাপ , জলটল ইত্যাদি ।