MCQ সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো |
- শব্দার্থ এর দ্বিতীয় ভাগটিকে বলা হয় –
(A) খণ্ডিত অর্থ
(B) ব্যঞ্জনা অর্থ
(C) নিদর্শন
(D) সাধারণ অর্থ
Ans: (C) নিদর্শন
- ‘ থিসরাস ‘ শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ হলো –
(A) ধারাবাহিকতা
(B) শব্দার্থ
(C) রত্নাগার
(D) বিপরীতার্থ
Ans: (C) রত্নাগার
- ‘ থিসরাস ‘ – শব্দ বিন্যস্ত থাকে –
(A) বর্ণানুক্রমিক
(B) শব্দনুক্রমিক
(C) আর্থানুক্রমিক
(D) বিষয়ানুক্রমিক
Ans: (D) বিষয়ানুক্রমিক
- শব্দার্থকে প্রধানত ভাগ করা যায় –
(A) একভাগে
(B) দুইভাগে
(C) তিনভাগে
(D) চারভাগে
Ans: (B) দুইভাগে
- ‘ থিসরাস ‘ শব্দটি হলো –
(A) ইংরেজি শব্দ
(B) বর্মি শব্দ
(C) গ্রিক শব্দ
(D) লাতিন শব্দ
Ans: (C) গ্রিক শব্দ
- অন্ন শব্দের অর্থ ‘ খাদ্য ‘, পরিবর্তিত অর্থ ‘ ভাত ‘ – এটি শব্দার্থ পরিবর্তনের কোন ধারা –
(A) অর্থের সংকোচ
(B) অর্থের প্রসার
(C) অর্থের রূপান্তর
(D) এদের কোনোটিই নয়
Ans: (A) অর্থের সংকোচ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা – শব্দার্থ তত্ত্ব (ভাষা) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Question and Answer :
- শব্দার্থ তত্ত্বের দু’টি শাখার নাম লেখো ।
Ans: শব্দার্থ তত্ত্বের দু’টি শাখা হলো— উপাদানমূলক তত্ত্ব এবং সত্যসাপেক্ষ তত্ত্ব । প্রশ্ন ‘ 2. শব্দার্থের রূপান্তর ‘ অন্য কী নামে পরিচিত ?
শব্দার্থের রূপান্তর অর্থ সংক্রম বা অর্থ সংশ্লেষ নামে পরিচিত ।
- একজন বিদেশি থিসরাস ’ প্রণেতার নাম লেখো।
Ans: একজন বিদেশি থিসরাস প্রণেতার নাম হলো পিটার মার্ক রজেট । তিনি ১৮০৫ সালে এই ধরনের অভিধান রচনা করেন ।
- শব্দার্থের রূপান্তর কাকে বলে ?
Ans: অনেক সময় শব্দের পরিবর্তন এমনভাবে হয় যে আদি অর্থের সঙ্গে পরিবর্তিত নতুন অর্থটির যোগসূত্র পাওয়া যায় না , তাকে শব্দার্থের রূপান্তর বলে । উদাহরণ— গবেষণা , দারুণ ।
- শব্দার্থের সংকোেচ বলতে কী বোঝো ?
Ans: সময়ে সময়ে কোনো শব্দের পূর্বের ব্যাপক অর্থ ব্যতিরেকে বর্তমানে এক নির্দিষ্ট অর্থে ব্যবহৃত হওয়ার রীতিকে বলা হয় শব্দার্থের সংকোচ । উদাহরণ— মৃগ , প্রদীপ ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা – শব্দার্থ তত্ত্ব (ভাষা) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Question and Answer :
- শব্দার্থ পরিবর্তনের কারণগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো ।
Ans: কোনো শব্দের অর্থ নানা কারণে পরিবর্তিত হতে পারে । ভাষাতাত্ত্বিকেরা শব্দার্থ পরিবর্তনের সম্ভাব্য কতগুলি কারণ সুনির্দিষ্ট করেছেন— >
উপকরণগত : একেবারে প্রথমে যে উপকরণ দিয়ে কোনো জিনিস তৈরি হতো তারই নামানুসরণে উৎপাদিত দ্রব্যের নামকরণ হয় । কিন্তু উপকরণ পরিবর্তিত হয়ে গেলেও সে নাম থেকে যায় । যেমন— তিল থেকে প্রস্তুত বলে তেল কিন্তু এখন আরও অনেক বীজ থেকে তেল হলেও তার নাম তেল থেকে গেছে ।
ভৌগোলিক : ভৌগোলিক পরিবেশের বিভিন্নতার কারণেও একই শব্দের অঞ্চলভেদে অর্থ পার্থক্য ঘটে । যেমন— পশ্চিম ভারতীয় রুক্ষ প্রকৃতিতে হিন্দি বলয়ে ‘ অভিমান ‘ শব্দের অর্থ ‘ ‘ অহংকার ’ । কিন্তু বাংলার কোমল প্রকৃতিতে এর অর্থ ‘ স্নেহময় অনুযোগ ‘ ।
ঐতিহাসিক প্রাচীনকালে বিবাহযোগ্যা কন্যাকে হরণ ক’রে ঘোড়ার পিঠে বহন ক’রে নিয়ে যাওয়ার সূত্রে ‘ বিবাহ ‘ শব্দের অর্থ ছিল বিশেষভাবে বহন । ক্রমে সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন হওয়ায় ‘ বিবাহ ‘ শব্দের বর্তমান অর্থ হয়েছে ‘ পরিণয় ‘ ।
সংস্কারবশত : খারাপ বা অশুভ শব্দকে সুভাষণ এর মাধ্যমে নতুন রূপ দেওয়া হলে শব্দার্থের পরিবর্তন ঘটে । যেমন— অস্ত্যজ মানুষের ‘ হরিজন ‘ নাম দেওয়া , মৃত্যু না বলে ‘ গঙ্গা লাভ ’ বলা , বাড়ির পরিচারিকাকে ‘ কাজের মেয়ে ‘ বলা ইত্যাদি ।
সাদৃশ্য : অন্য কোনো জিনিসের সঙ্গে সাদৃশ্যবশত সে জিনিসের নামকরণের নতুন রূপ তৈরি হয় । কালো রঙের শস্য তিল এর সাথে মানবদেহের ত্বকের ছোটো কালো দাগের সাদৃশ্যহেতু সেটিকে বলা হয় ‘ তিল ’ ।
- শব্দার্থের উপাদান মূলক তত্ত্বটি সংক্ষেপে আলোচনা করো । এই তত্ত্বের সীমাবদ্ধতাগুলি লেখো ।
Ans: শব্দার্থের উপাদানমূলক তত্ত্ব হলো শব্দের অর্থকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করে অন্যান্য শব্দের সঙ্গে তার ভাবগত উপাদানের ঐক্য খুঁজে নেওয়া , এর ফলে বিভিন্ন শব্দের শ্রেণিবদ্ধকরণ করা সম্ভব হয় । উপাদানমূলক তত্ত্বে শব্দকে কিছু অর্থগত উপাদানের সমষ্টি হিসেবে দেখা হয় ।
শব্দ অর্থগত উপাদান মা এই তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে শব্দগুলিকে শ্রেণিবদ্ধ করা যায় ।
যেমন = + মানবজাতীয় + স্ত্রীবোধক + প্রাপ্তবয়স্ক + একবচন – পুরুষ – জাতীয় পুরুষ ; বাবা , বৃষ মহিলা ; মা , গাভি শিশু ; ছেলে , বাছুর
উপাদান মূলক তত্ত্ব সর্বপ্রকার অর্থের ব্যাখ্যা করতে সমর্থ নয় । সব শব্দের উপাদানের প্রাচুর্য নেই । বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য সর্বজন গ্রাহ্য উপাদান বিরল ।
- থিসরাস কী ?
Ans: থিসরাস শব্দার্থসমূহকে পর্যায়ক্রমে সুশৃঙ্খলভাবে বিন্যাস করার একটি প্রক্রিয়া । শব্দটির বুৎপত্তিগত অর্থ রত্নাগার । সংস্কৃতে রচিত ‘ অমরকোষ ’ – এর সমার্থক উদাহরণ । পিটার মার্ক রজেট ১৮০৫ সালে এই জাতীয় অভিধান রচনা করেন , যা ১৮৫২ সালে প্রকাশিত হয় । তিনি এই অভিধানে যাবতীয় শব্দকে অর্থ অনুযায়ী বিভিন্ন পরিমণ্ডল বা গুচ্ছে ভাগ করেন ।
রজেটের থিসরাসই আধুনিক থিসরাস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে । ‘ থিসরাস ’ – এ অভিধানের মতো শব্দের অর্থ এবং শব্দগুলি বর্ণানুক্রমিকভাবে সাজানো থাকে না শব্দার্থগুলি এক একটি গুচ্ছের মধ্যে থাকে । থিসরাস অর্থ খুঁজে পেতে সাহায্য করে । ধরা যাক , কারো মাথায় ‘ জবা ‘ শব্দটি আসছে না , তাহলে তাকে থিসরাসে ফুল শব্দগুচ্ছ খুঁজতে হবে । ফুল শব্দগুচ্ছে খুব সহজেই সে ‘ জবা ‘ শব্দটি পেয়ে যাবে ।