MCQ সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো |
- ‘ পদযুগলের সংগঠন তত্ত্ব ‘ – প্রবক্তা ছিলেন –
(A) নোয়াম চমস্কি
(B) সুকুমার সেন
(C) পটার
(D) স্যাপির
Ans: (A) নোয়াম চমস্কি
- অনুসর্গ গুচ্ছ – এই জোটের স্বাসন ক্ষমতা থাকে –
(A) পরসর্গের হতে
(B) উপসর্গের হতে
(C) ক্রিয়াপদের হতে
(D) ক্রিয়াজোটের হতে
Ans: (A) পরসর্গের হতে
- পদগুচ্ছ সংগঠনের প্রধান দুটি ভাগ হলো –
(A) উদ্দেশ্য ও বিধেয়
(B) বিসেসোগুচ্ছ ও কেইয়াগুচ্ছ
(C) বিশেষ্য ও বিধেয়
(D) বিশেষ্য ও নির্দেশক
Ans: (B) বিসেসোগুচ্ছ ও কেইয়াগুচ্ছ
- ভাষায় শব্দ জুড়ে বাক্য গঠনের নিয়মাবলীকে বলা হয় –
(A) ধ্বনিতত্ত্ব
(B) শব্দার্থ তত্ত্ব
(C) বাক্যতত্ত্ব
(D) রূপতত্ত্ব
Ans: (C) বাক্যতত্ত্ব
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা – বাক্যতত্ত্ব (ভাষা) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Question and Answer :
- অর্থগত দিক থেকে বাংলা বাক্যকে মূল কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কী কী ? Ans: অর্থগত দিক থেকে বাংলা বাক্যকে চার ভাগে ভাগ করা যায় । তা হলো নির্দেশক , প্রশ্নবাচক , বিস্ময়বাচক এবং অনুজ্ঞাবাচক ।
- সরল বাক্যে কয়টি উদ্দেশ্য এবং কয়টি বিধেয় থাকে ?
Ans: সরল বাক্যে একটি উদ্দেশ্য এবং একটি বিধেয় থাকে ।
- বাক্য গঠনের কয়টি নিয়ম ও কী কী ?
Ans: বাক্য গঠনের দু’টি নিয়ম – ক ) পদের ক্রম এবং খ ) এক পদের সঙ্গে অন্য পদের সম্পর্ক ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা – বাক্যতত্ত্ব (ভাষা) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Question and Answer :
- গঠন অনুসারে বাক্যকে কটি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কী কী ? প্রত্যেক ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও ।
Ans: গঠন অনুসারে বাক্যকে তিনভাগে ভাগ করা যায় , সেগুলি হলো ( ক ) সরল বাক্য ( খ ) জটিল বাক্য ( গ ) যৌগিক বাক্য । প্রতিটি ভাগের একটি করে উদাহরণ হলো :
সরল বাক্য : যে বাক্যে একটি মাত্র উদ্দেশ্য ও একটি মাত্র বিধেয় থাকে , তাকে সরল বাক্য বলে । এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য যে , সরল বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়া একটিই থাকবে । যেমন- সরস্বতী পূজায় ছাত্র / ছাত্রীরা অঞ্জলি দেয় ।
জটিল বাক্য : যে বাক্যে একটি প্রধান খন্ডবাক্য এবং তার অধীন এক বা একাধিক অপ্রধান খন্ডবাক্য থাকে , তাকে জটিল বাক্য বলে । জটিল বাক্যে কম করে দুটি অসমাপিকা ক্রিয়া থাকবে । যেমন – তুমি যদি পরিশ্রম করো তবে সফল হবে ।
যৌগিক বাক্য : একাধিক সরল বা জটিল বাক্যের সংযোগে গঠিত বাক্যই যৌগিক বাক্য । যৌগিক বাক্যে অন্তত দুটি প্রধান খন্ডবাক্য থাকবেই এবং খন্ডবাক্যগুলি সমুচ্চয়ী অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকবে । যেমন- তুমি আসবে এবং আমার দেখা পাবে ।
- বাক্যের অব্যবহিত দু’টি উপাদান বিশ্লেষণ করে দেখাও । অথবা , বাক্যের অব্যবহিত উপাদান হিসেবে বিশেষ্য বা বিশেষ্যগুচ্ছ এবং ক্রিয়াজোট বা ক্রিয়াগুচ্ছ সম্পর্কে আলোচনা করো ।
Ans: একটি বাক্য গঠন করার জন্য যে খণ্ড বাক্য বা ছোটো ছোটো পদগুচ্ছের দরকার হয় , তা – ই হলো বাক্যের অব্যবহিত উপাদান । বাক্যের অব্যবহিত উপাদান হিসেবে নিম্নে বিশেষ্যগুচ্ছ এবং ক্রিয়াগুচ্ছ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ।
বিশেষ্যজোট বা বিশেষ্যগুচ্ছ : বিশেষ্য জোট বাঁধে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ঘিরে । এই জোটে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ বাদ দিলে আর যে সমস্ত সদস্য থাকে তাদের ক্ষমতা থাকে না । তাদের কাজ জোটের কলেবর বৃদ্ধিতে কাজে লাগা । যেমন– ( ক ) শুধুমাত্র রাবণ ; ( খ ) ওই লম্বা লোকটা ।
এখানে ‘ রাবণ ’ এবং ‘ লোকটা ’ বিশেষ্য পদ । এই বিশেষ্য পদগুলির সঙ্গে সর্বনাম পদ যোগে বিশেষ্যজোট গঠন করা হয় । যেমন— প্রথম উদাহরণটিকে বলা যায়— শুধুমাত্র পবিত্র , সাহসী , বীর , সংগ্রামী রাবণ মৃত্যুভয়কে জয় করতে পারে । এভাবে জোটের আয়তন বাড়ানো যায় ।
ক্রিয়াজোট বা ক্রিয়াগুচ্ছ : ক্রিয়া কাল প্রতিফলিত করে । ভাষার সবচেয়ে জটিল বিষয় ক্রিয়ার দ্বারা প্রতিফলিত হয় , তাই ক্রিয়ার জোট বাঁধা একটি জটিল বিষয় । অন্যান্য পদের তুলনায় ক্রিয়ার রূপবৈচিত্র্যও বেশি । বিশেষ্য জোটের পরে ক্রিয়াজোট অবস্থান করে । উদাহরণ— রহিম খায় , রহিম খাচ্ছিল , রহিম খেয়ে ফেলল— এখানে ক্রিয়াজোটগুলি বিশেষ্যজোটের পরে হয়েছে । উদাহরণটিতে প্রতিটি ক্ষেত্রেই মূল ক্রিয়াপদ ‘ খাওয়া ’ – র সঙ্গে কাল ও পুরুষ যোগে ক্রিয়াজোট গঠিত হয়েছে ।