MCQ | প্রশ্ন ও উত্তর
- ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতাটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন —
(A) অনিন্দ্য সৌরভ
(B) শঙ্খ ঘোষ
(C) মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
(D) উৎপলকুমার বসু
Ans: (B) শঙ্খ ঘোষ
- ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতাটি লিখেছেন—
(A) হোল্ডার্লিন
(B) বের্টোল্ট ব্রেখট
(C) হাইনরিখ হাইনে
(D) রাইনে মারিয়া রিলকে
Ans: (B) বের্টোল্ট ব্রেখট
- বের্টোল্ট ব্রেখট জন্মগ্রহণ করেন—
(A) ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (A) ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে
- কবি ও নাট্যকার বের্টোল্ট ব্রেশ্ট ছিলেন —
(A) ইতালিয়ান
(B) ফরাসি
(C) সুইস
(D) জার্মান
Ans: (D) জার্মান
- ব্রের্টোল্ট ব্রেশ্ট সারাপৃথিবীতে খ্যাত—
(A) ঔপন্যাসিক হিসেবে
(B) গল্পকার হিসেবে
(C) চিত্রশিল্পী হিসেবে
(D) নাট্যকার হিসেবে
Ans: (D) নাট্যকার হিসেবে
- ‘ কে বানিয়েছিল সাত দরজাঅলা ____
(A) থিবস্
(B) প্রাসাদ
(C) ব্যাবিলন
(D) লিমা
Ans: (A) থিবস্
- থিবস্ নগরীতে প্রবেশপথ ছিল—
(A) তিনটি
(B) সাতটি
(C) পাঁচটি
(D) চারটি
Ans: (B) সাতটি
- ‘ কে বানিয়েছিল …’— এখানে যা বানানোর কথা বলা হয়েছে , সেটি হল —
(A) ব্যাবিলন
(B) সাত দরজাঅলা থিবস্
(C) লিমা
(D) রোম
Ans: (B) সাত দরজাঅলা থিবস্
- ‘ সাত দরজাঅলা থিবস্ ? ‘ — থিবস্ হল —
(A) পেরুর একটি প্রাচীন শহর
(B) গ্রিসের একটি প্রাচীন শহর
(C) মিশরের একটি প্রাচীন শহর
(D) ইতালির একটি প্রাচীন শহর
Ans: (C) মিশরের একটি প্রাচীন শহর
- ‘ রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে আনত ? ‘ — যে প্রসঙ্গে এমন উল্লেখ , সেটি হল —
(A) সাত দরজাঅলা থিবস্
(B) ব্যাবিলন
(C) লিমা
(D) রোম
Ans: (A) সাত দরজাঅলা থিবস্
- ‘ কে আবার গড়ে তুলল এতবার ‘ — কী গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে ?
(A) থিবসকে
(B) ব্যাবিলনকে
(C) চিনের প্রাচীরকে
(D) ভাটিকান সিটিকে
Ans: (B) ব্যাবিলনকে
- ‘ ব্যাবিলন ‘ বিখ্যাত ছিল যে কারণে –
(A) শূন্য মাঠ
(B) শূন্য মরুভূমি
(C) শূন্য পুরী
(D) শূন্য উদ্যান
Ans: (D) শূন্য উদ্যান
- বইয়ে লেখা থাকে —
(A) শহিদের নাম
(B) ক্রীতদাসের নাম
(C) রাজার নাম
(D) সৈনিকের নাম
Ans: (C) রাজার নাম
- ‘ ব্যাবিলন ‘ শব্দটির অর্থ –
(A) নগরের দ্বার
(B) বাগানের দ্বার
(C) গির্জার দ্বার
(D) ঈশ্বরের দ্বার
Ans: (D) ঈশ্বরের দ্বার
- লিমা হল –
(A) চিলির রাজধানী
(B) বলিভিয়ার রাজধানী
(C) পেরুর রাজধানী
(D) আর্জেন্টিনার রাজধানী
Ans: (C) পেরুর রাজধানী
- ‘ সোনা – ঝকঝকে লিমা ‘ অবস্থিত –
(A) বঙ্গোপসাগরের তীরে
(B) আরবসাগরের তীরে
(C) প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে
(D) কাস্পিয়ান সাগরের তীরে
Ans: (C) প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে
- পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি হল –
(A) চিনের প্রাচীর
(B) আটলান্টিস
(C) স্প্যানিশ আর্মাডা
(D) রোমের জয়তোরণ
Ans: (A) চিনের প্রাচীর
- চিনের প্রাচীর তৈরির কাজ কখন শেষ হয়েছিল –
(A) ভোরবেলা
(B) দুপুরবেলা
(C) সকালবেলা
(D) সন্ধেবেলা
Ans: (D) সন্ধেবেলা
- চিনের প্রাচীর যখন শেষ হল সেই রাজমিস্ত্রিরা । ‘
(A) সকালে
(B) রাতে
(C) সন্ধ্যায়
(D) ভোরে
Ans: (C) সন্ধ্যায়
- জয়তোরণে ঠাসা মহনীয় ____
(A) চিন
(B) লিমা
(C) রোম
(D) ব্যাবিলন
Ans: (C) রোম
- ‘ কাদের জয় করল সিজার ‘ — এখানে সিজার বলতে বোঝানো হয়েছে –
(A) রোমের সম্রাট জুলিয়াস সিজারকে
(B) মিশরের ফ্যারাওকে
(C) গ্রিস দেশের রাজাকে
(D) স্পেনের সম্রাটকে
Ans: (A) রোমের সম্রাট জুলিয়াস সিজারকে
- ‘ মহনীয় রোম ‘ আসলে বানিয়েছিল—
(A) রাজা সিজার
(B) শ্রমিকের দল
(C) দ্বিতীয় ফ্রেডারিক
(D) দ্বিতীয় ফিলিপ
Ans: (B) শ্রমিকের দল
( গ ) ( খ ) ( ঘ ) কোথায় গেল । ( শূন্যস্থান পূরণ ) ক )
- সেখানে কি সবাই প্রাসাদেই থাকত ? ‘ — কোন জায়গার কথা বলা হয়েছে ?
(A) আটলান্টিস
(B) রোম
(C) বাইজেনটিয়াম
(D) ব্যাবিলন
Ans: (C) বাইজেনটিয়াম
- বাইজেনটিয়াম সভ্যতার সঙ্গে যে ঐতিহাসিক শহরটির নাম জড়িত , সেটি হল —
(A) থিবস্
(B) ফ্লোরেন্স
(C) কনস্টান্টিনোপল
(D) রোম
Ans: (C) কনস্টান্টিনোপল
- জুলিয়াস সিজার ছিলেন –
(A) গলদের রাজা
(B) ইথিওপিয়ার রাজা
(C) রোমের রাজা
(D) ইংল্যান্ডের রাজা
Ans: (C) রোমের রাজা
- উপকথার আটলান্টিস ছিল একটি –
(A) মহাদেশ
(B) দ্বীপরাষ্ট্র
(C) বাগান
(D) স্থাপত্যকলা
Ans: (B) দ্বীপরাষ্ট্র
- যখন সমুদ্র তাকে খেল— সমুদ্র খেয়েছিল —
(A) আটলান্টিসকে
(B) ব্যাবিলনকে
(C) থিবসকে
(D) লিমাকে
Ans: (A) আটলান্টিসকে
- উপকথার আটলান্টিসে ডুবতে ডুবতে চিৎকার উঠেছিল
(A) সিজারের জন্য
(B) স্প্যানিশ আর্মাডার জন্য
(C) ক্রীতদাসদের জন্য
(D) ফিলিপের জন্য
Ans: (C) ক্রীতদাসদের জন্য
- আলেকজান্ডার জয় করেছিলেন—
(A) জাপান
(B) ভারত
(C) শ্রীলঙ্কা
(D) ব্রহ্মদেশ
Ans: (B) ভারত
- ‘ ভারত জয় করেছিল তরুণ আলেকজান্ডার ।’- আলেকজান্ডার ছিলেন –
(A) রোম সম্রাট
(B) স্পেনের রাজা
(C) ম্যাসেডোনিয়ার যুবরাজ
(D) ইংল্যান্ডের সম্রাট
Ans: (C) ম্যাসেডোনিয়ার যুবরাজ
- ‘ নিদেন একটা রাঁধুনি তো ছিল ? ’ – কার সঙ্গে ?
(A) সিজারের সঙ্গে
(B) ফিলিপের সঙ্গে
(C) আলেকজান্ডারের সঙ্গে
(D) ফ্রেডারিকের সঙ্গে
Ans: (A) সিজারের সঙ্গে
- ‘ একলাই না কি ? ‘ — কে একলা ছিলেন না ?
(A) চার্চিল
(B) আলেকজান্ডার
(C) পুরু
(D) হিটলার
Ans: (B) আলেকজান্ডার
- ‘ গল্ ‘ বলা হত—
(A) ফ্রান্সের আদিম উপজাতিদের
(B) আটলান্টিসের ক্রীতদাসদের
(C) থিসের লোকেদের
(D) স্পেনের লোকেদের
Ans: (A) ফ্রান্সের আদিম উপজাতিদের
- ‘ গল্দের ‘ নিপাত করেছিল—
(A) আলেকজান্ডার
(B) দ্বিতীয় ফ্রেডারিক
(C) সিজার
(D) হিটলার
Ans: (C) সিজার
- ‘ বিরাট আর্মাডা ডুবল ‘ — ‘ আর্মাডা ‘ বলতে বোঝানো হয়েছে –
(A) নৌবহরকে
(B) ডুবোাহাজকে
(C) ইংরেজ রণতরিকে
(D) স্প্যানিশ নৌবহরকে
Ans: (D) স্প্যানিশ নৌবহরকে
- ‘ আর্মাডা ডুবে গেলে কেঁদেছিলেন-
(A) ফ্রেডারিক
(B) ফিলিপ
(C) সিজার
(D) আলেকজান্ডার
Ans: (B) ফিলিপ
- যে ঐতিহাসিক যুদ্ধে আর্মাডা ডুবেছিল , তার নাম—
(A) অ্যাংলো – ফ্রেঞ যুদ্ধ
(B) অ্যাংলো – স্প্যানিশ যুদ্ধ
(C) স্পেন – জার্মান যুদ্ধ
(D) অ্যাংলো – আফ্রিকান যুদ্ধ
Ans: (B) অ্যাংলো – স্প্যানিশ যুদ্ধ
- অ্যাংলো – স্প্যানিশ যুদ্ধ হয় –
(A) ১৫৮৮ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৫৫৯ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৫৪১ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৬০৯ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (A) ১৫৮৮ খ্রিস্টাব্দে
- স্পেনের রাজা ফিলিপের কেঁদে ওঠার কারণ –
(A) লিমার পতন
(B) আর্মাডা ডুবে যাওয়া
(C) সন্তানের মৃত্যু
(D) রোমের ধ্বংস
Ans: (B) আর্মাডা ডুবে যাওয়া
- ‘ সাত বছরের যুদ্ধে জিতেছিল’ –
(A) দ্বিতীয় ফ্রেডারিক
(B) সিজার
(C) ফিলিপ
(D) আলেকজান্ডার
Ans: (A) দ্বিতীয় ফ্রেডারিক
- ‘ জয়োৎসবের ভোজ বানাত কারা ?
(A) সম্রাটেরা
(B) সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ
(C) রাঁধুনিরা
(D) যোদ্ধা
Ans: (B) সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ
- রাজা দ্বিতীয় ফ্রেডারিক জিতেছিলেন –
(A) চার বছরের যুদ্ধে
(B) আট বছরের যুদ্ধে
(C) পাঁচ বছরের যুদ্ধে
(D) সাত বছরের যুদ্ধে
Ans: (D) সাত বছরের যুদ্ধে
- রাজা দ্বিতীয় ফ্রেডারিক ছিলেন—
(A) মিশরের রাজা
(B) পেরুর রাজা
(C) রোমান সম্রাট
(D) স্পেনের সম্রাট
Ans: (C) রোমান সম্রাট
- ‘ সেই রাতে চিৎকার উঠেছিল ‘ — চিৎকারের কারণ—
(A) ভারতের পরাজয়
(B) থিসের ধ্বংস
(C) আটলান্টিসের ডুবে যাওয়া
(D) ব্যাবিলনের ধ্বংস
Ans: (C) আটলান্টিসের ডুবে যাওয়া
- এত যে শুনি বাইজেনটিয়াম ‘ — বাইজেনটিয়াম সভ্যতার কৃতিত্বের মূলে ছিল—
(A) গ্রিকরা
(B) স্প্যানিশরা
(C) রোমানরা
(D) তুর্কিরা
Ans: (A) গ্রিকরা
- আলেকজান্ডার যে – যুদ্ধে ভারত জয় করেছিলেন , তার নাম –
(A) ক্রিমিয়ার যুদ্ধ
(B) ওয়াটারলুর যুদ্ধ
(C) হিদাস্পিসের যুদ্ধ
(D) ধর্মযুদ্ধ
Ans: (C) হিদাস্পিসের যুদ্ধ
- ‘ এমনকী উপকথার আটলান্টিস ‘ — এই উপকথাটি হল—
(A) ভারতের
(B) জাপানের
(C) আফ্রিকার
(D) গ্রিস দেশের
Ans: (D) গ্রিস দেশের
- এক – একজন মহামানবের উদ্ভব হয়—
(A) তিন বছরে
(B) বিশ বছরে
(C) দশ বছরে
(D) চার বছরে
Ans: (C) দশ বছরে
- ‘ দশ – দশ বছরে এক একজন করে উদ্ভব ঘটে –
(A) সম্রাটের
(B) সেনানায়কের
(C) শাহজাদার
(D) মহামানবের
Ans: (D) মহামানবের
- বের্টোল্ট ব্রেখট যে – দর্শনে বিশ্বাসী ছিলেন , তার নাম –
(A) বৌদ্ধদর্শন
(B) একনায়কতন্ত্র
(C) মার্কসীয় দর্শন
(D) গ্রিক দর্শন
Ans: (C) মার্কসীয় দর্শন
- ‘ কে জিতেছিল ? একলা সে ? ’ –’একলা ‘ বলতে কার কথা বলা হয়েছে –
(A) স্পেনের ফিলিপ
(B) আলেকজান্ডার
(C) সিরাজ
(D) দ্বিতীয় ফ্রেডারিক
Ans: (D) দ্বিতীয় ফ্রেডারিক
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন (আন্তর্জাতিক কবিতা) বের্টোল্ট ব্রেখট – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Porte Jane Amon Mojurer Proshno Question and Answer :
- ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতাটি কে অনুবাদ করেন ?
Ans: ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতাটি অনুবাদ করেন কবি শঙ্খ ঘোষ ।
- ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতাটি কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ?
Ans: ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতাটি অনুবাদ করেন শঙ্খ ঘোষ । শঙ্খ ঘোষের অনুবাদকাব্য ‘ বহুল দেবতা , বহু স্বর ’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতাটি ।
- ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতায় কবি ইতিহাসের প্রকৃত নির্মাতা বলে কাদের চিহ্নিত করেছেন ?
Ans: কবি বের্টোল্ট ব্রেশ্ট ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ’ কবিতায় ইতিহাসের প্রকৃত নির্মাতা হিসেবে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষকে চিহ্নিত করেছেন ।
- ইতিহাসের নায়ক হিসেবে প্রচলিত বইয়ে কাদের নাম লেখা হয় ?
Ans: ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ’ কবিতা অনুসারে প্রচলিত বইয়ে ইতিহাসের নায়ক হিসেবে কোনো এক রাজার নাম , লেখা থাকে ।
- ‘ কে বানিয়েছিল সাত দরজাঅলা থিবস্ ? ‘ — কবি কেন এরকম প্রশ্ন করেছেন ?
Ans: কবি বের্টোল্ট রেট তাঁর ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতার সূচনায় প্রশ্ন করেছেন সাত দরজাঅলা পিস্ – এর নির্মাণকারী কে ? তাঁর এমন প্রশ্নের কারণ , সমাজের কাছে এই প্রশ্ন উত্থাপনের মধ্য দিয়ে তিনি উত্তর দিয়েছেন শ্রমজীবী মানুষের আশ্রমেই তৈরি থিবস্ । ইতিহাসে রাজার নাম থাকলেও তিনি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন ।
- পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতা অনুসারে ‘ থিস ‘ – এর বৈশিষ্ট্য কী ছিল ?
Ans: কবি ব্রেখটের পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতা অনুসারে থিবসের সাতটি দরজা তথা সাতটি পৃথক প্রবেশপথ ছিল ।
- থিবস্ কোথায় অবস্থিত ?
Ans: থিবস্ হল নীলনদের তীরে অবস্থিত মিশরের বিখ্যাত শহর । এই শহরের সাতটি প্রবেশপথ ছিল ।
- ‘ বইয়ে লেখে রাজার নাম ।’— এমন বলা হয়েছে কেন ?
Ans: ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ’ কবিতা অনুসারে থিবস্ – এর মতো স্থাপত্যকীর্তির নির্মাতা শ্রমিকেরা হলেও প্রচলিত বইয়ে রাজাদের নাম লেখা থাকে ।
- ‘ রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে আনত ? ’ – কারা পাথর আনার শ্রম দিত ও কাদের খ্যাতি হত ?
Ans: সাত দরজাঅলা থিবস্ বানিয়েছিল সাধারণ শ্রমিকের দল ; তাই পাথর আনার শ্রমও দিত তারা । এ কাজে রাজাদের কোনো সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল না ; রাজাদের কেবল খ্যাতি হয় ।
- ‘ ব্যাবিলন এতবার গুঁড়ো হল ‘ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ?
Ans: পারস্যের সম্রাটদের আক্রমণে ব্যাবিলনের বারবার পর্যুদস্ত FLAS হওয়াকে বোঝাতেই কবি এ কথা বলেছেন ।
- ‘ কে আবার গড়ে তুলল এতবার ? ‘ — কে , কী গড়ে তুলেছিল ?।
Ans: পারস্যের সম্রাটদের আক্রমণে বারবার ধ্বংস হয়ে যাওয়া ব্যাবিলনকে শ্রমিকরাই গড়ে তুলেছিল ।
- ‘ আর ব্যাবিলন এতবার গুঁড়ো হল ‘ — ব্যাবিলন কোথায় , অবস্থিত ?
Ans: বর্তমান ইরাকের রাজধানী বাগদাদ শহর থেকে ৫৫ মাইল দূরে অবস্থিত ব্যাবিলোনিয়ার রাজধানী ছিল ব্যাবিলন ।
- ব্যাবিলন কীজন্য বিখ্যাত ?
Ans: সম্রাট নেবুকাডনেজার খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দে তাঁর সম্রাজ্ঞীর জন্য একটি ‘ ঝুলন্ত বাগান ’ বা ‘ শূন্য উদ্যান ‘ তৈরি করেন । এটি বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি , তাই ব্যাবিলন বিখ্যাত ।
- ‘ আর ব্যাবিলন এতবার গুঁড়ো হল ‘ — ‘ এতবার ‘ শব্দটি ব্যবহারের কারণ কী ?
Ans: ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতায় পারসিক । সম্রাটদের দ্বারা ব্যাবিলনের বারবার ধ্বংস এবং শ্রমিকদের দ্বারা এর পুনর্নির্মাণের ঐতিহাসিক সত্যকে ফুটিয়ে তুলতে কবি ব্রেশ্ট ‘ এতবার ‘ শব্দটি ব্যবহার করেছেন ।
- সোনা ঝকঝকে লিমা ‘ কী ?
Ans: পেরুর রাজধানী এবং প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র হল লিমা । প্রাচীন লিমার ধনসম্পদে পূর্ণ বৈভবকে বোঝাতে ‘ সোনা ঝকঝকে ‘ শব্দবন্ধটি ব্যবহৃত হয়েছে ।
- ‘ তারা থাকত কোন বাসায় ? ‘ — কাদের কথা বলা হয়েছে ?
Ans: ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতায় বৈভবে ঐশ্বর্যে পূর্ণ লিমার আসল কারিগরেরা অর্থাৎ শ্রমজীবী মানুষেরা কোথায় থাকত , জানা যায় না । কারণ তাদের শ্রমকে ইতিহাস স্বীকৃতি জানায় না ।
- ‘ তারা থাকত কোন্ বাসায় ? ‘ — তা জানা যায় না কেন ?
Ans: শ্রমজীবী মানুষের আত্মত্যাগ ও অবদানের কথা ইতিহাসে উল্লিখিত হয় না ; তাই বৈভবপূর্ণ লিমায় শ্রমিকেরা কোথায় থাকত তা জানা যায় না ।
- “ চিনের প্রাচীর যখন শেষ হল … ‘ -চিনের প্রাচীর বলতে কী বোঝ ?
Ans: চিন দেশকে বাইরের শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য সম্রাট কিন – সি – হুয়াং তৃতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দে চিন দেশের সীমান্তে প্রাচীরের নির্মাণকাজ শুরু করেন । এটি আসলে একাধিক প্রাচীরের সমষ্টি । পাঁচ থেকে আট মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট প্রাচীরটি সাংহাই শহর থেকে লোপলেক পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ পথ বিস্তৃত । এই পাঁচিলটি পরবর্তীকালে ভেঙে পড়লে এটিকে মিং বংশের সম্রাটরা পুনর্গঠিত করার চেষ্টা করেছিলেন ।
- ‘ চিনের প্রাচীর যখন শেষ হল ‘ — তখন কী হয়েছিল ?
Ans: কবি ব্রেখটের ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতা অনুসারে বিস্ময়কর চিনের প্রাচীরের কাজ শেষ হওয়ার পরে রাজমিস্ত্রিরা চিরতরে ইতিহাসের অন্ধকারে হারিয়ে গিয়েছিল । কথা বলা হয়েছে ?
- ‘ সেই সন্ধ্যায় কোথায় গেল রাজমিস্ত্রিরা ? ‘ — কোন্ সন্ধ্যার কথা বলা , হয়েছে ?
Ans: ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতায় চিনের প্রাচীর নির্মাণকার্য শেষ হওয়ার পরের সন্ধ্যার কথা বলা , হয়েছে ।
- ‘ জয়তোরণে ঠাসা মহনীয় রোম ‘ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ?
Ans: প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি এবং স্থাপত্য ও শিল্পকলার সমৃদ্ধির ছবি ফুটিয়ে তুলতে কবি প্রশ্নোধৃত মন্তব্যটি করেছেন ।
- ‘ জয়তোরণে ঠাসা …’— কোন্ শহর ?
Ans: বের্টোল্ট ব্রেখটের ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতা থেকে গৃহীত উদ্ধৃত অংশটিতে ‘ জয়তোরণে ঠাসা ‘ শহর । রোমের কথা বলা হয়েছে ।
- ‘ বানাল কে ? ‘ বলা হয়েছে কেন ?
Ans: ‘ জয়তোরণে ঠাসা মহনীয় রোম ’ – কে বানিয়েছিল শ্রমজীবী মানুষেরা ; তা কোনো সম্রাটের একক প্রচেষ্টার ফল নয় । কবি ব্রেশ্ট এখানে সেই কথাই বলেছেন ।
- ‘ কাদের জয় করল সিঙ্গার । ‘ –সিজার কাদের জয় করেছিলেন ?
Ans: রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার গল্দের পরাস্ত করেছিলেন ।
- কাদের জয় করল সিজার ? ‘ – ‘ সিজার ‘ কে ছিলেন ?
Ans: জুলিয়াস সিজার ছিলেন বিখ্যাত রোমান সম্রাট । সিজারের সময়ে রোমান সাম্রাজ্য ইংলিশ চ্যানেল থেকে রাইন নদী পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল ।
- এত যে শুনি বাইজেনটিয়াম ‘ — ‘ বাইজেনটিয়াম ‘ কী ?
Ans: মধ্যযুগে কনস্টান্টিনোপলকে কেন্দ্র করে গ্রিকভাষী রোমানরা যে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল , তাকে বোঝাতেই ‘ বাইজেনটিয়াম ‘ শব্দটি ব্যবহৃত হয় ।
- সেখানে কি সবাই প্রাসাদেই থাকত ? ‘ — ‘ সবাই ‘ কারা ?
Ans: পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতায় ‘ সবাই ’ বলতে বাইজেনটিয়াম সভ্যতার সাধারণ শ্রমজীবী মানুষকে বোঝানো হয়েছে ।
- সেখানে কি সবাই প্রাসাদেই থাকত ? ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ?
Ans: বাইজানটিয়াম সভ্যতায় সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের বৈভবপূর্ণ প্রাসাদগুলিতে কোনো স্থান ছিল না । এ কথাই কবি বলতে চেয়েছেন ।
- ‘ এমনকী উপকথার আটলান্টিস …. ’ – আটলান্টিস কী ?
Ans: প্রাচীন গ্রিক কাহিনি অনুসারে ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্রগর্ভে হারিয়ে যাওয়া একটি উন্নত দ্বীপরাষ্ট্র ।
- ‘ যখন সমুদ্র তাকে খেল’— সমুদ্র কী খেয়েছিল ?
Ans: গ্রিক পুরাণ অনুসারে আটলান্টিস দ্বীপটি সমুদ্রের অতলে । ডুবে গিয়েছিল । কবি এ কথা বোঝাতেই ‘ সমুদ্র তাকে খেল ‘ বলে উল্লেখ করেছেন ।
- ‘ এমনকী উপকথার আটলান্টিস ’ – এর কী হয়েছিল ?
Ans: গ্রিক উপকথা অনুসারে আটলান্টিস দ্বীপটি সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে গিয়েছিল ।
- ‘ ডুবতে ডুবতে সেই রাতে চিৎকার উঠেছিল ‘ — ‘ চিৎকার ’ ওঠার কারণ কী ছিল ? উত্তর উপকথার আটলান্টিস দ্বীপে ডুবতে ডুবতে চিৎকার উঠেছিল ক্রীতদাসদের জন্য ।
- ‘ ডুবতে ডুবতে সেই রাতে চিৎকার উঠেছিল ‘ — এখানে কোন্ রাতের কথা বলা হয়েছে ?
Ans: ব্রেখটের ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতা অনুসারে উপকথার আটলান্টিস দ্বীপ সমুদ্রে ডুবে যাওয়ার রাতে চিৎকার ওঠার কথা বলা হয়েছে ।
- ভারত জয় করেছিল তরুণ আলেকজান্ডার ‘ — কখন জয় করেছিলেন ?
Ans: ব্রেখটের ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতায় তরুণ আলেকজান্ডার হিদাস্পিসের যুদ্ধে রাজা পুরুকে হারিয়ে ভারত জয় করেছিলেন ।
- ‘ একলাই না কি ? ‘ — এখানে কার কথা বলা হয়েছে ? উত্তর >> ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতায় ভারত বিজয়ী তরুণ আলেকজান্ডার সম্পর্কে কবি ব্রেশ্ট এ কথা বলেছেন ।
- ‘ একলাই না কি — কে , কীভাবে ভারত জয় করেছিল ?
Ans: পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতা অনুসারে তরুণ আলেকজান্ডার দক্ষ ও অনুগত এক বিশাল সেনাদলের সাহায্যে পুরুকে হারিয়ে ভারত জয় করেছিলেন ।
- ‘ গল্দের নিপাত করেছিল ‘ — ‘ গল্ ‘ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে ?
Ans: ব্রেখটের ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ’ কবিতায় ‘ গল্ ’ বলতে ফ্রান্সের আদিম উপজাতিদের কথা বলা হয়েছে ।
- ‘ গল্দের নিপাত করেছিল — কে করেছিল ?
Ans: ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ অনুসারে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার যুদ্ধে গল্দের নিপাত বা ধ্বংস করেছিলেন ।
39.‘ গল্দের নিপাত করেছিল — ‘ নিপাত ‘ বলতে কী বোঝানো হয়েছিল ?
Ans: ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ’ কবিতায় ব্রেশ্ট ; সম্রাট জুলিয়াস সিজারের হাতে ফ্রান্সের আদিম উপজাতি গল্দের সম্পূর্ণ পর্যুদস্ত হওয়াকে বোঝাতে ‘ গল্দের নিপাত ’ করার কথা বলেছেন ।
- ‘ নিদেন একটা রাঁধুনি তো ছিল ? ’ — কার সঙ্গে , কখন রাঁধুনি থাকার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ’ কবিতায় কবি , ।গদের যুদ্ধে পরাস্ত করার সময় জুলিয়াস সিজারের সঙ্গে নিদেনপক্ষে একটা রাঁধুনি থাকার কথা বলেছেন ।
- ‘ নিদেন একটা রাঁধুনি তো ছিল ? ‘ — বলার কারণ কী ?
Ans: কবি ব্রেশ্ট ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ’ কবিতায় বিজয়ী সম্রাট জুলিয়াস সিজার যে – একলা ছিলেন না , এই সত্য ফুটিয়ে তুলতেই উপরোক্ত মন্তব্যটি করেছেন । ‘
42.বিরাট আর্মাডা যখন ডুবল ’ — ‘ আর্মাডা ’ কী ?
Ans: ১৫৮৮ খ্রিস্টাব্দে অ্যাংলো – স্প্যানিশ যুদ্ধে স্পেনের সম্রাট দ্বিতীয় ফিলিপ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে বিরাট রণতরি পাঠিয়েছিলেন , তা আর্মাডা নামে পরিচিত ।
- ‘ বিরাট আর্মাডা যখন ডুবল – আর্মাডা ডুবেছিল কেন ?
Ans: ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত স্প্যানিশ আর্মাডা ইংল্যান্ডের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে ডুবে গিয়েছিল ।
- স্পেনের ফিলিপ কেঁদেছিল খুব ‘ — ‘ ফিলিপ ’ কে ছিলেন ?
Ans: কবি ব্রেখটের ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতার ফিলিপ হলেন ষোড়শ খ্রিস্টাব্দে স্পেনের সম্রাট দ্বিতীয় ফিলিপ । ইনি ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫৯৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্পেনের রাজা ছিলেন ।
- খুব’– কেন ফিলিপ [ সংসদ নমুনা প্রশ্ন ।
Ans: ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ’ কবিতায় উল্লিখিত রাজা দ্বিতীয় ফিলিপ স্প্যানিশ আর্মাডা ডুবে যাওয়ার দুঃখে ও হতাশায় কেঁদে ফেলেছিলেন ।
- আর কেউ কাঁদেনি ’ বলার কারণ কী ?
Ans: কবি ব্রেশ্ট ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতায় স্প্যানিশ আর্মাডার পতনে রাজা ফিলিপের সঙ্গে যে সমগ্র স্পেনবাসী কেঁদে উঠেছিল সেই কথাই বলতে চেয়েছেন ।
- ‘ সাত বছরের যুদ্ধ জিতেছিল দ্বিতীয় ফ্রেডারিক ’ — দ্বিতীয় ফ্রেডারিক যুদ্ধ জয় করেছিলেন কীভাবে ?
Ans: ফ্রেডারিক দ্য গ্রেট বা দ্বিতীয় ফ্রেডারিক প্রাশিয়ার রাজা । ১৭৫৬ থেকে ১৭৬৩ খ্রিস্টাব্দব্যাপী সাত বছর যুদ্ধ হয়েছিল । প্রাশিয়া – ইংল্যান্ডের যৌথবাহিনীর সঙ্গে ফ্রান্স – অস্ট্রিয়া – রাশিয়া -সুইডেন – স্যাকসনি রাষ্ট্রসমূহের সম্মিলিত বাহিনীর যুদ্ধ হয় । সেই যুদ্ধে জয়ী হন প্রাশিয়ার রাজা দ্বিতীয় ফ্রেডারিক । তিনি যুদ্ধে জয়ী হয়েছিলেন সৈন্যসামন্তদের সহায়তায় ।
48.‘ … স্পেনের ফিলিপ কেঁদেছিল কেঁদেছিলেন ? ‘ কে জিতেছিল ? একলা সে ? ‘ — এমন বলা হয়েছে কেন ?
Ans: সাধারণ সৈনিকদের সামরিক দক্ষতাই হল রোমান সম্রাট । দ্বিতীয় ফ্রেডারিকের সাতটি ধর্মযুদ্ধে জয়লাভের আসল কারণ । এ কথাই কবি বলতে চেয়েছেন ।
- ‘ পাতায় পাতায় জয় ‘ বলার কারণ কী ?
Ans: কবি ব্রেশ্ট ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতায় ইতিহাসে ঘটে যাওয়া অসংখ্য যুদ্ধজয়ের বিবরণকে ‘ পাতায় পাতায় জয় ’ শব্দবন্ধের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন ।
- ‘ জয়োৎসবের ভোজ বানাত কারা ? ‘ বলা হয়েছে কেন ?
Aans: ব্রেখট ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতায় ইতিহাসের পাতায় ঘটে যাওয়া অসংখ্য জয়োৎসবের ভোজে সাধারণ খেটে – খাওয়া মানুষের ত্যাগ ও অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই প্রশ্নোদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন ।
- ‘ দশ – দশ বছরে এক – একজন মহামানব ‘ — বলার কারণ কী ?
Ans: ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ’ কবিতায় ইতিহাসের পাতায় ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন রাজা রাজড়াদের নানান দশকে আবির্ভাব । ও অর্থহীন প্রসিদ্ধিকে বিদ্রুপ করে কবি উপরোক্ত মন্তব্যটি করেছেন ।
- খরচ মেটাত কে ? ‘ — কীসের খরচ ?
Ans: ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতায় রাজাদের রাজসিক বৈভব – জীবনযাত্রা ও জয়োৎসবের ভোজের খরচের কথা বলা হয়েছে ।
- ‘ খরচ মেটাত কে ? ‘ — কারা খরচ মেটাত ।
Ans: রাজাদের রাজসিক বৈভব – জীবনযাপন এবং বিজয়োৎসবের ভোজের খরচ মেটাত সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের দল । এই ঐতিহাসিক সত্যকেই কবি স্পষ্ট করেছেন ।
- ‘ কত সব খবর ! ‘ — খবরটি কী ?
Ans: ব্রেখটের ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতায় প্রচলিত ইতিহাসে রাজারাজড়াদের গুণকীর্তন আর সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের স্বীকৃতিহীনতার কথাই বলা হয়েছে ।
- ‘ কত সব প্রশ্ন ’ – প্রশ্নকর্তা কে ?
Ans: পাঠ্য ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতায় উল্লিখিত প্রশ্নগুলির প্রশ্নকর্তা হলেন পড়তে জানে এমন এক মজুরের জবানিতে কবি বের্টোল্ট ব্রেশ্ট স্বয়ং ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন (আন্তর্জাতিক কবিতা) বের্টোল্ট ব্রেখট – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Porte Jane Amon Mojurer Proshno Question and Answer :
1. ‘ বইয়ে লেখে রাজার নাম । / রাজারা কি পাথর ত ঘাড়ে করে আনত’— কবি এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে ইতিহাসের কোন্ সত্যকে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন বিশ্লেষণ করো ।
Ans: বের্টোল্ট ব্রেখটের ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতায় এক সাধারণ মজুরের জবানিতে কবি ফুটিয়ে তুলেছেন সভ্যতার ইতিহাসের প্রকৃত কাহিনি । প্রাচীন মিশরের সমৃদ্ধ শহর সাত দরজাঅলা থিবসের স্রষ্টা হিসেবে বইয়ে রাজার নাম লেখা থাকে । কিন্তু যাদের ঘাম – শ্রম – রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে এমন আশ্চর্য নির্মাণ সম্ভব হয়েছিল ; কোথাও তাদের নাম উচ্চারিত হয় না । এভাবেই ইতিহাসের সমস্ত স্মরণীয় কীর্তিকাহিনির আসল কারিগরদের অবজ্ঞার অন্ধকারে ছুঁড়ে ফেলা হয় । আশ্চর্য ব্যাবিলন অথবা ‘ সোনা – ঝকঝকে লিমা ‘ কিংবা বিস্ময়কর চিনের প্রাচীর বানিয়েছিল যে – সমস্ত শিল্পী – স্থপতি তারা চির – উপেক্ষিতই থেকে যায় ।
দক্ষ সৈন্যদলের নৈপুণ্যে যুদ্ধজয় ঘটে , কিন্তু সৈন্যদের কথা ইতিহাসে পাওয়া যায় না ; পাওয়া যায় বিজয়ী হিসেবে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকে রাজা আলেকজান্ডার , সিজার কিংবা ফ্রেডারিকের নাম । একজন রাজার পক্ষে যুদ্ধজয় যেমন সম্ভব নয় , তেমনই কোনো অসামান্য স্থাপত্য তৈরি করতে একজন সম্রাটও ঘাড়ে করে পাথর বয়ে আনে না । বরং খেটে -খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এসব ঐতিহাসিক ঘটনা সফল ও সার্থক হয়ে ওঠে ।
কবি এখানে চিরাচরিত ইতিহাসের এই বৈষম্য এবং অসম্পূর্ণতার দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে সাধারণ মানুষের সত্যিকারের অবদানকেই প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন ।
2. ‘ বইয়ে লেখে রাজার নাম । / রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে আনত । ‘ কারা , কেন পাথর ঘাড়ে করে এনেছিল ?
Ans: বের্টোল্ট ব্রেশ্ট রচিত ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতায় শ্রমজীবী মানুষেরা পাথর ঘাড়ে করে আনত ।
বের্টোল্ট ব্রেখটের ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতায় সভ্যতার বিভিন্ন কীর্তিস্তম্ভ স্থাপনের পিছনে থেকে যায় শ্রমজীবী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম , কিন্তু ইতিহাসের পাতায় তাদের নাম লেখা থাকে না । প্রাচীন মিশরের সমৃদ্ধ শহর সাত দরজাঅলা থিসের স্রষ্টা হিসেবে বইয়ে রাজার নাম লেখা থাকে । কিন্তু যাদের ঘাম – শ্রম – রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে এমন আশ্চর্য নির্মাণ সম্ভব পাথর ঘাড়ে আনার হয়েছিল ; কোথাও তাদের নাম উচ্চারিত হয় কারণ না । শ্রমজীবী ঘাড়ে করে পাথর আনত কারণ তারা রাজার শ্রমিক বা মজুর হিসেবে কাজ করত । বারবার চুরমার হয়েও ব্যাবিলন যে উঠে দাঁড়িয়েছে তার মূলে আছে সাধারণ কারিগরের অসামান্য দক্ষতা ও কীর্তি । একইভাবে যারা লিমার মতো সমৃদ্ধিশালী শহর বানিয়েছিল , সেই অখ্যাত – অজ্ঞাত শ্রমিকদলেরই কোনো নিজস্ব বাসা বা ঠিকানা ছিল । না । যেসব রাজমিস্ত্রির দল আশ্চর্য চিনের প্রাচীর বানিয়েছিল , তাদেরও খোঁজ কেউ রাখেনি । কবিতার দ্বিতীয় পঙ্ক্তিতে উত্থাপন করা প্রশ্ন ‘ রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে আনত ? ’ – এর মধ্যেই উত্তর পাওয়া যায় যে , রাজারা পাথর ঘাড়ে করে আনত না । পাথর ঘাড়ে করে আনার মধ্য দিয়ে কবি অগণিত মানুষের ঐতিহাসিক অবদান আর অধিকারের সত্যতাকেই পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছেন ।
3. ‘ কে আবার গড়ে তুলল এতবার ? —কী গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে ? এই প্রশ্নের মাধ্যমে কবি কী বলতে চেয়েছেন ?
Ans: ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতায় কবি । বের্টোল্ট ব্রেখট ব্যাবিলনের ধ্বংস ও বারবার ব্যাবিলন গড়ার প্রসঙ্গ গড়ে ওঠার ঐতিহাসিক প্রসঙ্গটি স্পষ্ট করতে গিয়ে প্রশ্নোদ্ভূত মন্তব্যটি করেছেন ।
বর্তমান ইরাকের রাজধানী বাগদাদ শহর থেকে ৫৫ মাইল দূরে অবস্থিত ব্যাবিলন শহর । রাজা হামুরাবির সময়ে অত্যন্ত সমৃদ্ধিশালী নগরে পরিণত হয় । সম্রাট নেবুকাডনেজার তাঁর সম্রাজ্ঞীর জন্য এখানে একটি ঝুলন্ত বাগান বানিয়েছিলেন । অনুমান করা হয় প্রায় চার হাজার শ্রমিক মিলে এই বাগানটি তৈরি করেছিল । পারস্য সম্রাটদের আক্রমণে ব্যাবিলন বারবার পর্যুদস্ত হয়েছে । পারস্যের সম্রাটদের আক্রমণে বারবার ধ্বংস হয়ে যাওয়া ব্যাবিলনকে শ্রমিকরাই গড়ে তুলেছিল । কবি এক মজুরের জবানিতে প্রশ্নের ছলে বিভিন্ন দৃষ্টান্ত উপস্থিত করেছেন । সাতটি প্রবেশপথওলা আশ্চর্য থিবস্ , ব্যাবিলন , সমৃদ্ধিশালী লিমা , সুদীর্ঘ চিনের প্রাচীর বা বিজয়তোরণ ও স্মারকে ঠাসা সুন্দর রোম গড়ে উঠেছিল শত সহস্ৰ অজ্ঞাত – অখ্যাত মানুষের শ্রম আর সাধনায় । মার্কসীয় দর্শনে বিশ্বাসী কবি ইতিহাসের প্রকৃত নির্মাতাদের বর্ণনা আর অস্বীকৃতির বিরুদ্ধে বিদ্রূপে মুখর হয়ে উঠেছেন । তাই এক সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে সকলের দুঃখ – যন্ত্রণা – শ্রম ও দক্ষতার নিরিখে তাদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন ।
4. সেই সন্ধ্যায় কোথায় গেল রাজমিস্ত্রিরা ? কিংবা জয়তোরণে ঠাসা মহনীয় রোম । / বানাল কে ? ‘ প্রভৃতি প্রশ্নের মাধ্যমে কবির যে – সমাজ ও ইতিহাসচেতনার পরিচয় ফুটে ওঠে তা আলোচনা করো ।
Ans: ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতায় কবি ক্ষমতাবান শাসকের কীর্তিকাহিনিতে পূর্ণ প্রচলিত ইতিহাসের গভীরে লুকিয়ে থাকা সত্যিকারের ইতিহাসের ধারাবিবরণী পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন । সভ্যতার প্রথাসিদ্ধ ইতিহাস রাজারাজড়া কিংবা সম্রাটদের ব্যক্তিগত জয় – পরাজয়ের প্রচারসর্বস্ব এক আখ্যানমাত্র ।
প্রতিষ্ঠা করার জন্য কবি , এক মজুরের জবানিতে প্রশ্নের ছলে বিভিন্ন দৃষ্টান্ত উপস্থিত করেছেন তাঁর কবিতায় । সাতটি প্রবেশপথওলা আশ্চর্য থিবস্ , ব্যাবিলন , সমৃদ্ধিশালী লিমা , সুদীর্ঘ চিনের প্রাচীর বা বিজয়তোরণ ও স্মারকে ঠাসা সুন্দর রোম গড়ে উঠেছিল শতসহস্র অজ্ঞাত – অখ্যাত মানুষের শ্রম আর সাধনায় । ঠিক এভাবেই অগণিত সৈনিকের মৃত্যু ও আত্মত্যাগে জয়ী হয়েছিলেন আলেকজান্ডার , সিজার কিংবা দ্বিতীয় ফ্রেডারিক । যুদ্ধে আর্মাডার ডুবে যাওয়াকে জাতীয় বিপর্যয় মনে করে ফিলিপের সঙ্গে কেঁদে উঠেছিল গোটা স্পেন । কিন্তু সাধারণ মানুষের কান্না – রক্ত ও যন্ত্রণার এই প্রতিবেদন কোনো বইয়ের পাতায় লিপিবদ্ধ হয় না । সেখানে শুধু প্রাধান্য পায় । রাজকাহিনি । মার্কসীয় দর্শনে বিশ্বাসী কবি ইতিহাসের প্রকৃত নির্মাতাদের বঞ্চনা আর অস্বীকৃতির বিরুদ্ধে বিদ্রূপে মুখর হয়ে উঠেছেন । তাই এক সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে সকলের দুঃখ – যন্ত্রণা – শ্রম ও দক্ষতার নিরিখে ব্রেশ্ট অতীতের সমাজ ও ইতিহাসের অন্তর্গত স্বরূপকে ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন ।
5. ‘ এত যে শুনি বাইজেনটিয়াম , সেখানে কি সবাই প্রাসাদেই থাকত ? —-— এমন মন্তব্যের কারণ আলোচনা করো ।
Ans: ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতায় কবি বের্টোল্ট ব্রেশ্ট অতীত ইতিহাসের প্রেক্ষিতে , সাধারণ মানুষের ভূমিকা ও অবস্থার বাস্তব সত্যটিকে তুলে ধরেছেন । প্রচলিত ইতিহাস বইয়ের পাতায় পূর্ণ থাকে শাসক আর সম্রাটের বিজয়গাথা । চিরকাল প্রভৃত্বকামী নায়কেরাই সেখানে বীরের মর্যাদা পায় । তারাই ইতিহাসের গতিপথকে নিয়ন্ত্রণ করে । কিন্তু যাদের ত্যাগ – সাহস – শ্রম ও আত্মবলিদানে সভ্যতার রথচক্র ঘোরে , সেইসব সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের কপালে সম্মান স্বীকৃতি কিংবা বৈভব কোনো কিছুই জোটে না ।
সাড়ে ছ – শো খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে গড়ে ওঠা গ্রিকভাষী রোমানদের এক বৈভবপূর্ণ সভ্যতার নাম বাইজেনটিয়াম । বাইজেনটিয়াম তার স্থাপত্য – শিল্পকলা ও প্রাসাদের জাঁকজমকের কারণে ছিল জগৎবিখ্যাত । তবে এই চমৎকারিত্বের আসল কারিগরদের নাম শ্রমজীবী মানুষের ত্যাগ – শ্রম ও আত্ম বলিদান কিন্তু কেউ জানে না । ঠিক যেমন সমৃদ্ধিশালী লিমা কিংবা বিস্ময়কর চিনের প্রাচীর বানিয়েছিল যে রাজমিস্ত্রির দল , তাদের মৃত্যু – কান্না ও ক্ষয়ের আর – এক ইতিহাসকে প্রচলিত ইতিহাস স্বীকৃতি দেয় না । এভাবেই রাজা – বাদশাদের মতো ক্ষমতাবা মানুষদের উদ্দেশ্য সিদ্ধ করে যারা , সেইসব সাধারণ মানুষ থেকে যায় সীমাহীন । উপেক্ষার অন্ধকারে । প্রশ্নোধৃত অংশে কবি ইতিহাসের এই বৈষম্যমূলক পক্ষপাতকেই অন্তরের ধিক্কার জানিয়েছেন ।
6. ‘ ভারত জয় করেছিল তরুণ আলেকজান্ডার / একলাই না কি ? ’ – আলেকজান্ডার কে ছিলেন ? ‘ একলাই না কি বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ?
অথবা , ‘ ভারত জয় করেছিল তরুণ আলেকজান্ডার । একলাই না কি ? – আলেকজান্ডারের পরিচয় দাও । এই প্রশ্নের মাধ্যমে বক্তা কী বলতে চেয়েছেন ?
Ans: গ্রিক সম্রাট আলেকজান্ডার ম্যাসিডোনিয়ার রাজা ছিলেন । তাঁর পিতার নাম ফিলিপ । ৩২৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি সিন্ধু নদ অতিক্রম করে ভারত আক্রমণ করেন ।
কবি ব্রেশ্ট বিভিন্ন ঐতিহাসিক কীর্তিকাহিনির আড়ালে সাধারণ মানুষের অতুলনীয় অবদানের দিকটিকেই ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন । আলেকজান্ডারের ভারত সমরকুশলী গ্রিকবীর আলেকজান্ডারের নাম জয়ের নেপথ্যে সুদক্ষ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে । তাঁর পারদর্শিতায় রাজা দরায়ুস থেকে পুরু সকলে পর্যুদস্ত হয়েছিল । ছোটো ছোটো রাজ্যের রাজারা বিনা যুদ্ধেই বশ্যতা স্বীকার করেছিল । কিন্তু আলেকজান্ডারের এই সাফল্যের মূল কারণ ছিল তাঁর সুদক্ষ ও সাহসী বিপুল সৈন্যদল । কারণ একলা তাঁর পক্ষে ইতিহাসের নায়ক হওয়া সম্ভব ছিল না । ঠিক যেমন যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী গল্ জাতিকে পরাজিত করা এক জুলিয়াস সিজারের পক্ষে অসম্ভব ছিল । ‘ নিদেন একটা রাঁধুনি ছিল ‘ — বলার মধ্য দিয়ে সিজারের যুদ্ধজয়ে অসংখ্য মানুষের কৃতিত্বের এই বিষয়টিকেই কবি স্পষ্ট করেন । অথচ প্রথাগত ইতিহাস সবসময় ক্ষমতাবান ব্যক্তির শ্রেষ্ঠত্বকেই স্বীকৃতি দেয় । কিন্তু যে – কোনো সাফল্যের মূলে লুকিয়ে থাকা সমষ্টিগত মানুষের দুঃখ , কান্না , শ্রম ও সাধনার দিকটি চির – উপেক্ষিতই থেকে যায় । প্রশ্নোদৃত অংশটি মজুরের জিজ্ঞাসার মাধ্যমে ইতিহাসের এই অন্ধকার দিকটিতেই আলোকপাত করে ।
7. পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো ।
Ans: ‘ নামকরণের তাৎপর্য অংশটি দ্যাখো ।
8. ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতায় কবির সমাজচেতনার কী পরিচয় পাও ?
Ans: বের্টোল্ট ব্রেশ্ট একজন সমাজসচেতন কবি । সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে কবি এক মজুরের জবানিতে তাদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সচেষ্ট হয়েছেন । শ্রমজীবী মানুষের শ্রমে সভ্যতার বিভিন্ন কীর্তিস্তম্ভ স্থাপিত হয়েছে ।
সাতটি প্রবেশপথওলা আশ্চর্য থিবস্ , ব্যাবিলন , সমৃদ্ধিশালী লিমা , চিনের সুদীর্ঘ প্রাচীর বা বিজয়তোরণ ও স্মারকে ঠাসা সুন্দর রোম গড়ে উঠেছিল শতসহস্ৰ অজ্ঞাত – অখ্যাত মানুষের শ্রম আর সাধনায় । তাই সমাজে তাদের অবদানকে কুর্নিশ জানিয়েছেন কবি । কিন্তু ইতিহাস অন্য কথা বলে । সেখানে প্রাচীন সভ্যতার কীর্তিস্তম্ভ স্থাপনের স্মারকস্তম্ভের স্রষ্টা হিসেবে উঠে আসে কৃতিত্ব শ্রমিকদের রাজাদের নাম । সেখানেই কবির প্রতিবাদ । যাদের ঘাম – শ্রম – রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে এমন আশ্চর্য নির্মাণ সম্ভব হয়েছিল সেই শ্রমজীবীদের কথা কোথাও নেই ।
দক্ষ সৈন্যদলের দক্ষতায় রাজা যুদ্ধে জয়ী হয় । ইতিহাসে কোথাও সৈন্যদলের নৈপুণ্যের কথা উঠে আসে না । আলোচ্য কবিতায় সেইরকমই যুদ্ধজয়ী সমরনায়ক হিসেবে উঠে এসেছে রাজা আলেকজান্ডার , সিজার কিংবা ফ্রেডারিকের নাম । অথচ একজন ঐতিহাসিক যুদ্ধজয়ের মূল রাজার পক্ষে যুদ্ধজয় যেমন সম্ভব নয় , তেমনই কারিগর সৈন্যসামন্ত কোনো অসামান্য স্থাপত্য তৈরি করতে একজন সম্রাটও ঘাড়ে করে পাথর বয়ে আনে না । বরং খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এসব ঐতিহাসিক ঘটনা সফল ও সার্থক হয়ে ওঠে । কবি এখানে চিরাচরিত এইসব ঐতিহাসিক ঘটনা উপস্থাপনের মধ্যে সামাজিক এই বৈষম্য এবং অসম্পূর্ণতার দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে সাধারণ মানুষের সত্যিকারের অবদানকেই প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন ।
9. ‘ গলদের নিপাত করেছিল সিজার । নিদেন একটা রাঁধুনি তো ছিল ? —ঐতিহাসিক প্রসঙ্গটি সংক্ষেপে লেখো । এর মাধ্যমে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন ?
Ans: জুলিয়াস সিজার ৪৯ থেকে ৪৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সময়কালে কনসাল থেকে ক্রমে রোমের একনায়কে পরিণত হন । তিনি ফ্রান্স তথা পূর্বতন গদের বিভিন্ন উপজাতিকে পরাস্ত করে রোমের আধিপত্যের প্রসার ঘটান । তবে তার এই সাফল্যের প্রধান স্তম্ভ ছিল রোমান সৈন্যবাহিনী । পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতায় কবি বের্টোল্ট যুদ্ধজয়ে রাজা সম্রাটের ব্যক্তিগত কৃতিত্বের বদলে দক্ষ সৈন্যদলের দক্ষতা ত্যাগ ও আত্মদানের বিষয়টিকেই সুস্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ।
যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী গল্ জাতিকে পরাজিত করা একা জুলিয়াস সিজারের পক্ষে অসম্ভব ছিল । নিদেন একটা রাঁধুনি ছিল ‘ বলার মধ্য দিয়ে সিজারের যুদ্ধজয়ে অসংখ্য মানুষের কৃতিত্বের এই কবির বক্তব্য বিষয় বিষয়টিকেই কবি স্পষ্ট করেন । অথচ প্রথাগত ইতিহাস সবসময় ক্ষমতাবান ব্যক্তির শ্রেষ্ঠত্বকেই স্বীকৃতি দেয় । কিন্তু যে – কোনো সাফল্যের মূলে লুকিয়ে থাকা সমষ্টিগত মানুষের দুঃখ , কান্না , শ্রম ও সাধনার দিকটি চির – উপেক্ষিতই থেকে যায় । প্রশ্নোদ্ধৃত অংশটি মজুরের জিজ্ঞাসার মাধ্যমে ইতিহাসের এই অন্ধকার দিকটিতেই আলোকপাত করে ।
10. সেই সন্ধ্যায় কোথায় গেল রাজমিস্ত্রিরা ? – রাজমিস্ত্রিরা কী নির্মাণ করেছিল ? এই প্রশ্নের মাধ্যমে বক্তা কী বলতে চেয়েছেন ?
Ans: ব্রেখটের ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতায় চিনের প্রাচীরের নির্মাণ প্রসঙ্গে এক মজুরের জবানিতে কবি স্বয়ং প্রশ্নোদ্ভূত মন্তব্যটি করেছেন । চৈনিক সম্রাট রাজমিস্ত্রি সৃষ্ট স্থাপত্য কিন – সি – হুয়াং হুনদের আক্রমণ প্রতিহত করতে তৃতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দে চিনের প্রাচীরের নির্মাণকাজ শুরু করেন । পরবর্তীতে হান , সুই এবং মিং রাজাদের সময়েও সাড়ে ছয় হাজার কিমি দীর্ঘ এই প্রাচীরটি নির্মাণ ও পুনর্গঠনের কাজ চলেছিল । অসংখ্য রাজমিস্ত্রির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি নির্মিত হয় ।
পৃথিবীর ইতিহাসের এক বিস্ময়কর সৃষ্টি চিনের প্রাচীর । শত শত বছরের প্রচেষ্টায় , অগণিত সাধারণ শ্রমিকের ত্যাগ ও শ্রমের নজির হল এই সুদীর্ঘ প্রাচীর । এটি গড়ে কবির বক্তব্য বিষয় তোলার সময় বহু সাধারণ শ্রমিকের প্রাণ হারানোর সাক্ষ্য ইতিহাসেই পাওয়া যায় । অথচ প্রচলিত ইতিহাসে কোথাও এঁদের আত্মত্যাগের কাহিনি খুঁজে পাওয়া যায় না । সামান্য স্বীকৃতিটুকু থেকেও এরা বঞ্চিত হয়েছে । চিনের প্রাচীরের নির্মাতা । হিসেবে কৃতিত্বের শিরোপা লাভ করেছে চৈনিক সম্রাটেরা । প্রচলিত ইতিহাসের পাতায় প্রকৃত সত্যের এমন অমর্যাদাকেই কবি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চান । ক্ষমতার ইতিহাসের এই বৈষম্যকে বিদ্রূপ করে কবি সমষ্টিগত মানুষের চলমানতার ইতিহাসকেই পাঠকের চোখের সামনে তুলে ধরেন ।
11. বিরটি আর্মাডা যখন ডুবল , স্পেনের ফিলিপ কেঁদেছিল খুব । / আর কেউ কাদেনি ।’— ঐতিহাসিক প্রসঙ্গটি সংক্ষেপে আলোচনা করো । এমন বলা হয়েছে কেন লেখো ।
Ans: প্রশ্নোদৃত অংশটি বের্টোল্ট ব্রেখটের ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ’ নামক কবিতা থেকে নেওয়া । স্পেন সম্রাট দ্বিতীয় ফিলিপের ( ১৫২৭–১৫৯৮ খ্রিস্টাব্দ ) নৌবহরের নাম ছিল স্প্যানিশ আর্মাডা । এই নৌবহরে অস্ত্রসজ্জিত ১০৮ টি বাণিজ্যতরি এবং ২২ টি যুদ্ধজাহাজ সমেত মোট ১৩০ টি জাহাজ ছিল । প্রায় উনিশ বছরের অ্যাংলো – স্প্যানিশ যুদ্ধে ১৫৮৮ খ্রিস্টাব্দে ৬৩ টি জাহাজ ইংল্যান্ডের কাছে পর্যুদস্ত হয়ে মাঝ সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল । এখানে কবি সেই ঘটনার কথাই উল্লেখ করেছেন ।
নৌবহর স্প্যানিশ আর্মাডার ইতিহাস । স্পেনের রাজা দ্বিতীয় ফিলিপের কাছে আর্মাডার পতন অবিশ্বাস্য ছিল । তিনি আর্মাডার ডুবে যাওয়ার খবর শুনে দুঃখে ও যন্ত্রণায় কেঁদে ফেলেছিলেন । এ কথা যেমন ঐতিহাসিক সত্য , তেমনই এ কথাও সত্য , এই ঘটনা স্পেনের জাতীয় জীবনে বিপর্যয় ডেকে এনেছিল । স্বদেশের এমন পর্যুদস্ত হওয়ার সংবাদে সমগ্র স্পেনবাসী চোখের জল ফেলেছিল ; অথচ প্রথাগত ইতিহাসে রাজার অশ্রু বিসর্জনের কথা থাকে , কিন্তু সাধারণ মানুষের মনোকষ্টের খবরকে উপেক্ষা করা হয় ; ঠিক যেমন সমৃদ্ধ লিমা কিংবা চিনের প্রাচীরের প্রসঙ্গে সুকৌশলে বাদ দেওয়া হয় সেখানকার শ্রমজীবী মানুষের দুর্দশার কাহিনি । কবি এভাবেই ইতিহাসের চিরাচরিত ছকের বাইরে থেকে যাওয়া খেটে – খাওয়া মানুষের অনুভূতি – উপলব্ধির দিকটিকেই ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন ।
12. ‘ স্পেনের ফিলিপ কেঁদেছিল খুব । আর কেউ কাদেনি । — উদ্ধৃতাংশটি যে কবিতার অন্তর্গত , সেই কবিতায় আর কোন কোন শাসকের নাম আছে ? ‘ ফিলিপ ’ কেঁদেছিলেন কেন ? ‘ আর কেউ কাদেনি ? ‘ বলতে বক্তা কী বোঝাতে চেয়েছেন ?
Ans: প্রশ্নোদৃত অংশটি বের্টোল্ট ব্রেখটের ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ’ নামক কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে । উদ্ধৃত অংশের স্পেন সম্রাট দ্বিতীয় ফিলিপ ছাড়াও এই কবিতায় প্রকাশিত কবিতায় আর যে যে শাসকের নাম আছে তারা শাসকের নাম হলেন— গ্রিকবীর আলেকজান্ডার , রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার , প্রাশিয়ার রাজা দ্বিতীয় ফ্রেডারিক বা ফ্রেডারিক দ্য গ্রেট ।
স্পেনের সম্রাট দ্বিতীয় ফিলিপের নৌবহর আর্মাডার ৬৩ টি জাহাজ অ্যাংলো – স্প্যানিশ যুদ্ধে ইংল্যান্ডের কাছে পর্যুদস্ত হয়ে মাঝ সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল । আর্মাডার ডুবে যাওয়ার খবর শুনে দুঃখে যন্ত্রণায় তিনি কেঁদে ফেলেছিলেন ।
তৃতীয় অংশের উত্তরের জন্য ১১ নং প্রশ্নের উত্তরের দ্বিতীয় অংশটি দ্যাখো ।
13. জয়তোরণে ঠাসা মহনীয় রোম / বানাল কো ” মহনীয় রোম ’ বলা হয়েছে কেন ? উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য আলোচনা করো ।
অথবা , ‘ সোনা ঝকঝকে লিমা যারা বানিয়েছিল তারা থাকত কোন বাসায় ? ’ –উদ্ধৃতাংশটির অন্তর্নিহিত অর্থ বিশ্লেষণ করো ।
Ans: ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতায় কবি মহনীয় রোম বলার কারণ রোমের ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিতটিকে স্পষ্ট করতে ‘ মহনীয় রোম ’ শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেছেন । রোম নানা কারণে বৈভব ও ঐশ্বর্যের প্রাণকেন্দ্র ছিল । সিজারের সময়কাল থেকে প্রায় পরবর্তী হাজার বারোশো বছর ধরে রোমান আধিপত্য পৃথিবীর বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে প্রসারিত হয়েছিল ।
প্রথাগত ইতিহাস খণ্ডিত এবং অসম্পূর্ণতার দোষে দুষ্ট । কারণ সেখানে শাসকের জয়গাথা প্রকাশিত হয় । যারা ক্ষমতাধর ও প্রভুত্বকামী , গতানুগতিক ইতিহাস একমাত্র তাদের কথাই বলে । তাই সম্রাট – নবাব – রাজা – বাদশাহের গুণকীর্তনে তা পরিপূর্ণ । অথচ সভ্যতার ইতিহাসের মূল চালিকাশক্তি যাদের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য হাতে , সেই শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের কথা চিরকাল অনুচ্চারিতই থেকে যায় । ‘ মহনীয় রোম ’ যাদের ত্যাগ ও সাধনার গুণে , সেই মেহনতী মানুষদের খোঁজ কেউ রাখে না । ‘ লিমা ’ যে – অসংখ্য মানুষের রক্ত – ঘাম ও কান্নার বিনিময়ে উজ্জ্বল ও সমাদৃত , তাদের বাসা কেমন ছিল তা কেউ জানায় না , অর্থাৎ ইতিহাসের ধারক ও বাহক সেই শ্রমজীবী মানুষের কথাই উপেক্ষিত থেকে যায় । এই চিরবঞ্চনার মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর ইতিহাসের প্রতি কবি কটাক্ষপাত করেছেন । তাঁর লেখায় এক মজুরের জবানিতে প্রশ্নের ছলে ধ্বনিত হয়েছে সমস্ত মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদ ও বিদ্রূপ ।
14. ‘ পাতায় পাতায় জয় / জয়োৎসবের ভোজ বানাত কারা ? — পাতায় পাতায় কাদের জয় লেখা ? ‘ জয়োৎসবের ভোজ যারা বানাত তাদের প্রতি কবির কী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে ।
Ans: কবি বের্টোল্ট ব্রেখটের ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন ‘ কবিতায় প্রচলিত ইতিহাস বইয়ের পাতায় পাতায় রাজা কিংবা সম্রাটদের বিজয়গাথা লিখিত থাকার কথা বলা হয়েছে ।
কবি ব্রেশ্ট চির – উপেক্ষিত সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের কর্মচঞ্চল মানুষ ঐতিহাসিক ভূমিকার দিকটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন । তাই তাঁর দরদ ও সহানুভূতি ‘ জয়োৎসবের ভোজ ’ বানাত যারা , সেই সমস্ত মেহনতি ইতিহাসের আসল মানুষদের প্রতি বর্ষিত হয়েছে । যে – মানুষের দল থিবসে ঘাড়ে করে পাথর বয়ে আনত , চূর্ণবিচূর্ণ ব্যাবিলনকে বারবার নতুন উদ্যমে গড়ে তুলত , নিজেরা আশ্রয়হীন হয়েও যারা তৈরি করেছিল স্বর্গীয় লিমা বা চিনের বিস্ময়কর প্রাচীর কিংবা মহনীয় রোম করি তাদেরকেই ইতিহাসের আসল কারিগর বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন । কবির চোখে সিজার , আলেকজান্ডার কিংবা ফ্রেডারিক নয় , যে – কোনো যুদ্ধজয়ের সত্যিকারের নায়ক তাদের সৈন্যবাহিনী । এজন্যই রাজার পরিবর্তে অজ্ঞাত – অখ্যাত সাধারণ শ্রমজীবীর দলকেই কবি শ্রেষ্ঠত্বের আসন দিয়েছেন ; তাদেরই এক প্রতিনিধির কণ্ঠে জুগিয়ে দিতে চেয়েছেন মানবীয় প্রতিবাদের ভাষা ।
15. পাতায় পাতায় জয় / জয়োৎসবের ভোজ বানাত কারা ? ’ –’জয়োৎসবের ভোেজ কথার অর্থ কী ? যারা ‘ জয়োৎসবের ভোজ ’ বানাত তাদের প্রতি কবির যে মনোভাব , তার পরিচয় দাও ।
Ans: ‘ জয়োৎসবের ভোজ ’ বলতে ক্ষমতাবান শাসকের সাম্রাজ্য বিস্তার বা সাফল্যের কীর্তিকাহিনি প্রচারের দিকটিকেই কবি বের্টোল্ট ব্রেশ্ট তাঁর কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন । সিজার , আলেকজান্ডার কিংবা ফ্রেডারিকের জয় আসলে রাজার ব্যক্তিগত মহিমা প্রকাশের এক কৌশল মাত্র । শাসে ব্যক্তিমাহাত্ম্য প্রচারের এই নির্লজ্জ উল্লাসকেই তিনি জিয়োৎসবের ভোজ ‘ বলে চিহ্নিত করেছেন ।
দ্বিতীয় অংশের উত্তরের জন্য ১৩ নং প্রশ্নের উত্তরের দ্বিতীয় অংশটি দ্যাখো ।
16. ‘ কত সব খবর ! কত সব প্রশ্ন ! — পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতায় কীভাবে সেইসব খবর আর প্রশ্ন উচ্চারিত হয়েছে ?
Ans: বের্টোল্ট ব্রেশ্ট – এর ‘ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতাটিতে এক সাধারণ শিক্ষিত মজুর মানবসভ্যতার ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন উত্থাপন করে । এই প্রশ্নগুলি যুগ যুগ ধরে ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনা পরম্পরার মধ্যে অগণিত খেটে খাওয়া মানুষের ত্যাগ , শ্রম এবং অবদানের কথাকে যেমন ফুটিয়ে তোলে , তেমনই চিরকাল আড়ালে থাকা প্রকৃত কর্মীদের সোচ্চার হওয়ার বিষয়েও এক ঐতিহাসিক মাত্রা যোগ করে ।
এই কবিতার কথক নিজেই পড়তে জানা এক মজুরের প্রতিনিধি স্বরূপ । তিনি মানুষের প্রতিনিধি রূপে ঐতিহাসিক ধারাবিবরণীর প্রচলিত কাঠামোটির বিরুদ্ধে প্রশ্ন করেন । সাত দরজাঅলা থিবস্ কিংবা ব্যাবিলনকে বার বার গড়ে তুলেছিল শ্রমজীবী মানুষের দল ; অথচ একটুকরো পাথরও যারা বয়নি , বইয়ে সেইসব রাজাদের নাম লেখা থাকে । সোনার মতো উজ্জ্বল লিমা কিংবা বিস্ময়কর চিনের প্রাচীর বানিয়েছিল পড়তে জানা মজুরের জবানীতে প্রকাশিত খবর ও প্রশ্ন যারা, সেই অসামান্য কারিগরদের ইতিহাসে কোনো খোঁজ পাওয়া যায় না । একইভাবে পাশাপাশি উঠে এসেছে দিগ্বিজয়ী সম্রাট সিজার , আলেকজান্ডার , ফিলিপ , দ্বিতীয় ফ্রেডারিকের বীরত্বের কাহিনি । তাঁরা সকলেই যুদ্ধজয়ের কৃতিত্ব ভোগ করলেও তাঁদের সৈন্যদলের ত্যাগ ও সাহসের কথা কেউ বলে না । জগদ্বিখ্যাত ‘ স্প্যানিশ আর্মাডা ’ – র পরাজয়ের বেদনা ফিলিপের হৃদয়কেই বিদীর্ণ করেনি , এই যন্ত্রণায় সমান ভাগীদার ছিল নিম্নশ্রেণির মানুষও । তাই পড়তে জানে এমন এক মজুর আজ জেনে গেছে সমৃদ্ধিশালী বাইজেনটিয়ামের প্রাসাদের বাইরে কাদের ঠাঁই হত ; উপকথার আটলান্টিসের ক্রীতদাসের কেমন করুণ পরিণতি হয়েছিল । আসলে পৃথিবীর সমস্ত উল্লেখযোগ্য কীর্তির মূলে রয়েছে শ্রমজীবী মানুষদের বিপুল চেষ্টা ও সিদ্ধি । এক সাধারণ মজুরের প্রশ্ন ইতিহাসের সেই অসম্পূর্ণতাকে দূর করে অসংখ্য মানুষের অবদানের প্রকৃত বাস্তবতাকে স্বীকৃতি দেয় ।