MCQ | প্রশ্ন ও উত্তর |
- ‘ অলৌকিক ‘ গল্পের রচয়িতা –
(A) কর্তার সিং দুগ্গাল
(B) অমৃত প্রীতম
(C) আইয়াপ্পা পানিক্কর
(D) বিজয় তেন্ডুলকার
Ans: (A) কর্তার সিং দুগ্গাল
- ‘ অলৌকিক ‘ গল্পটির বাংলা অনুবাদক হলেন –
(A) নবারুণ ভট্টাচার্য
(B) দিব্যেন্দু পালিত
(C) রমাপদ চৌধুরী
(D) অনিন্দ্য সৌরভ
Ans: (D) অনিন্দ্য সৌরভ
- ‘ অলৌকিক ‘ গল্পটি অনিন্দ সৌরভ – এর কোন্ গল্পসংকলনের অন্তর্গত ?
(A) ‘ জলই পাষাণ হয়ে আছে
(B) ‘ অতসী মামী ও অন্যান্য গল্প ‘
(C) ‘ জ্যোৎস্নারাতের ট্র্যাজেডি ‘
(D) ‘ মৌরীফুল গল্পসংকলন ’
Ans: (C) ‘ জ্যোৎস্নারাতের ট্র্যাজেডি ‘
- কর্তার সিং দুগ্গাল মূলত কোন্ ভাষায় সাহিত্যরচনা করেছেন ?
(A) মালয়ালম্
(B) গুজরাটি
(C) মারাঠি
(D) পাঞ্জাবি
Ans: (D) পাঞ্জাবি
- গুরু নানক ঘুরতে ঘুরতে কোথায় এসে পৌঁছেছিলেন ?
(A) তালওয়ান্দিতে
(B) কর্তারপুরের জঙ্গলে
(C) হাসান আব্দালের জঙ্গলে
(D) গুরুদাসপুরে
Ans: (C) হাসান আব্দালের জঙ্গলে
- ‘ গনগনে রোদ । চারিদিক সুনসান । ‘ – এখানে বলা হয়েছে –
(A) কর্তারপুরের কথা
(B) হাসান আব্দালের জঙ্গলের কথা কথা
(C) অমৃতসরের কথা
(D) পথঘাটের কথা
Ans: (B) হাসান আব্দালের জঙ্গলের কথা কথা
- ‘ কোথাও একটা জনমানুষ নেই ।’— এমন ঘটার কারণ—
(A) যুদ্ধ লেগেছে
(B) মানুষেরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে
(C) সকলে লুকিয়ে আছে
(D) ভয়ানক রোদ ও গরম
Ans: (D) ভয়ানক রোদ ও গরম
- গুরু নানক ___ হেঁটে যাচ্ছেন ।
(A) ধীরভাবে
(B) সোজা হয়ে
(C) দ্রুতগতিতে
(D) আত্মমগ্ন হয়ে
Ans: (D) আত্মমগ্ন হয়ে
- গল্পে বর্ণিত গুরু নানকের শিষ্যটির নাম ছিল–
(A) মর্দানা
(B) রণজিৎ সিংহ
(C) কবীর
(D) গোবিন্দ সিংহ
Ans: (A) মর্দানা
- কিন্তু তার কাকুতি – মিনতি শুনে গুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়লেন । তার কাকুতি – মিনতির কারণ –
(A) শারীরিক অসুস্থতা
(B) জল তেষ্টা
(C) বলী কান্ধারীর প্রত্যাখ্যান
(D) পাথরের চাঙড় নীচে নেমে আসা
Ans: (B) জল তেষ্টা
- অথচ সে বেঁকে বসলে সবাইকেই ঝক্কি পোয়াতে হবে ।’— এখানে ‘ সে ‘ বলতে বোঝানো হয়েছে –
(A) বলী কান্ধারীকে
(B) মাস্টারমশাইকে
(C) নানককে
(D) মর্দানাকে
Ans: (D) মর্দানাকে
- অস্থির মর্দানাকে শান্ত করতে কোথাও জল না – পাওয়ার ঘটনাকে নানক বলেছিলেন –
(A) জয় নিরস্কার
(B) গরমের সমস্যা
(C) মর্দানার দুর্বলতা
(D) ভগবানের অভিপ্রায়
Ans: (D) ভগবানের অভিপ্রায়
- মর্দানার একগুঁয়েমি দেখে গুরু নানক গভীর সমস্যায় পড়ে সামান্য বিরক্ত হয়ে –
(A) হেঁটে এগিয়ে চললেন
(B) হাত দিয়ে পাথরটাকে থামালেন
(C) ধ্যানে বসলেন
(D) তর্ক জুড়লেন
Ans: C) ধ্যানে বসলেন
- গুরু নানকের ধ্যানে বসার মূল কারণ ছিল –
(A) বলী কান্ধারীর খোঁজ
(B) তৃস্নার্ত মর্দানার জন্য জলের খোঁজ
(C) হাসান আব্দালে থেকে বেরোনোর পথ খোঁজা
(D) সাধনায় আত্মমগ্ন হওয়া
Ans: (B) তৃস্নার্ত মর্দানার জন্য জলের খোঁজ
- ‘ অলৌকিক ‘ গল্পে গুরু নানককে বলা হয়েছে—
(A) স্বামীজি
(B) সদগুরু
(C) মহাপ্রভু
(D) ঋষি
Ans: (B) সদগুরু
- ধ্যানভেঙে নানক চোখ খুলে দেখেন –
(A) বলী কান্ধারীর কুটির
(B) মদানা অচৈতন্য হয়ে পড়ে আছে
(C) রোদে গরমে চারপাশ শুনশান
(D) মর্দানা তেষ্টায় জল ছাড়া ম াছের মতো ছটফট করছে
Ans: (D) মর্দানা তেষ্টায় জল ছাড়া ম াছের মতো ছটফট করছে
- বলী কান্ধারী ছিলেন একজন –
(A) ধনী ব্যক্তি
(B) গৃহী ব্যক্তি
(C) দরবেশ
(D) ভীরু ব্যক্তি
Ans: (C) দরবেশ
- বলী কান্ধারী কোথায় বাস করতেন ?
(A) পাহাড়ের নীচে
(B) নদীর তীরে
(C) পাহাড়ের চুড়োয়
(D) দ্বীপের মাঝখানে
Ans: (C) পাহাড়ের চুড়োয়
- বলী কান্ধারী নানকের শিষ্যকে এক গণ্ডুষও জল দিতে চাননি , কারণ তাঁর মতে নানক ছিলেন –
(A) পির
(B) ফকির
(C) কাফের
(D) দরবেশ
Ans: (C) কাফের
- গুরু নানক ভগবানকে স্মরণ করেছেন –
(A) ‘ জয় কালী ‘ বলে
(B) ‘ জয় নিরঙ্কার ‘ বলে
(C) ‘ জয় মহাদেব ‘ বলে
(D) ‘ জয় শ্রীবিষু ‘ বলে ‘
Ans: (B) ‘ জয় নিরঙ্কার ‘ বলে
- মর্দানা ওঁর পায়ে লুটিয়ে পড়ে ।’— কার পায়ে ?
(A) নানকের
(B) গুরু তেগ বাহাদুরের
(C) গুরু গোবিন্দ সিংহের
(D) বলী কান্ধারীর
Ans: (D) বলী কান্ধারীর
- ‘ নেমে সে নালিশ জানাল । এর কারণ –
(A) নানকের নাম শুনে বলী তৃষ্ণার্ত মর্দানাকে তাড়িয়ে দিয়েছিল
(B) মর্দানা পাহাড়চুড়োয় বলীর কুটির খুঁজে পায়নি
(C) বলী চেয়েছিল নানক স্বয়ং আসুক
(D) বলীর কুয়োয় জল ছিল না
Ans: (A) নানকের নাম শুনে বলী তৃষ্ণার্ত মর্দানাকে তাড়িয়ে দিয়েছিল
- ‘ গুরু নানকের পায়ে প্রায় মূর্ছিত হয়ে পড়ল ।’— মূর্ছিত হয়ে পড়ার কারণ—
(A) পথশ্রমের ক্লান্তি
(B) ভয়ানক গরম
(C) রোদের লেলিহান উত্তাপ
(D) নিদারুণ তৃষ্ণা
Ans: (D) নিদারুণ তৃষ্ণা
- বলী কান্ধারী মর্দানাকে কতবার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ?
(A) চারবার
(B) দু – বার
(C) একবার
(D) তিনবার
Ans: (D) তিনবার
- নানক অনুচরসহ বসেছিলেন—
(A) তমালতলায়
(B) বাবলাতলায়
(C) পলাশতলায়
(D) বটতলায়
Ans: (B) বাবলাতলায়
- নানক দ্বিতীয়বার মর্দানাকে গিয়ে বলতে বলেন –
(A) ‘ জয় নিরঙ্কার ‘
(B) ‘ আমি সদগুরু নানকের চেলা
(C) ‘ আমি নানক দরবেশের অনুচর ‘
(D) ‘ আমি নানকের ভৃত্য
Ans: C) ‘ আমি নানক দরবেশের অনুচর
- নানক মর্দানার পিঠে হাত বুলিয়ে সাহস জুগিয়ে তাকে সামনের পাথরটা তুলতে বলেন –
(A) মর্দানা নানকের পায়ে প্রায় মূর্ছিত হয়ে পড়লে
(B) মর্দানা বলী কান্ধারীর কাছে যেতে অস্বীকার করলে
(C) মর্দানা হাসান আব্দালের জঙ্গলে জল চেয়ে বেঁকে বসলে
(D) মর্দানা ‘ জয় নিরঙ্কার ‘ বলে তার কাছে জল চাইলে
Ans: (A) মর্দানা নানকের পায়ে প্রায় মূর্ছিত হয়ে পড়লে
- পাথরটা তোলায় তলা থেকে বেরিয়ে এসেছিল –
(A) জলের ঝরনা
(B) শুকনো লতাপাতা
(C) জলের কুয়ো
(D) একটি সাপ
Ans: (A) জলের ঝরনা
- নিমেষেই চারিদিকে থৈ থৈ ।’— কারণ—
(A) মুষলধারে বৃষ্টি
(B) পাথরের নীচ থেকে বেরিয়ে আসা জলের ঝরনা
(C) নদীর প্লাবন
(D) বলী কান্ধারীর দয়া
Ans: (B) পাথরের নীচ থেকে বেরিয়ে আসা জলের ঝরনা
- ‘ গল্পটা শুনতে বেশ ভালো লাগছিল ।’- গল্পটা হল –
(A) বলী কাম্বারীর গল্প
(B) শিষ্য মর্দনার জলদানের গল্প
(C) শিষ্য মর্দানার পাথর ভাঙার গল্প
(D) গুরু নানকের ধ্যানের গল্প
Ans: A) বলী কাম্বারীর গল্প
- ‘ ব্যাপারটা মেজাজ বিগড়ে দিল ।’- কোন ব্যাপারটা ?
(A) মর্দানার জল না পাওয়ার ঘটনাটা
(B) বলীর পাথরের চাঙড় গড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা
(C) নানকের হাত দিয়ে পাথরের চাঙড় থামিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা
(D) পাথরের নীচ থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে আসার ব্যাপারটা
Ans: (C) নানকের হাত দিয়ে পাথরের চাঙড় থামিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা
- ‘ এ কি আদৌ সম্ভব ? ‘ — কথক অসম্ভব বলে মনে করেছেন –
(A) পাথরের তলা থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে আসাকে
(B) হাত দিয়ে পাথরের চাঙড় থামানোকে
(C) বলী কাম্বারীর অন্যায় আচরণকে
(D) কুয়ো জলশূন্য হয়ে যাওয়াকে
Ans: (B) হাত দিয়ে পাথরের চাঙড় থামানোকে
- মনে হয় পরে কেউ খোদাই করেছে’— কথকের মতে খোদাই করা হয়েছে—
(A) দেয়ালে নানকের পায়ের ছাপ
(B) গাছের গুড়িতে নানকের হাতের ছাপ
(C) পাথরের চাঙড়ে নানকের হাতের ছাপ
(D) পাহাড়ে নানকের আঙুলের ছাপ
Ans: (C) পাথরের চাঙড়ে নানকের হাতের ছাপ
- কথক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসারে কোন্ ব্যাপারটিকে মেনে নেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেছিলেন ?
(A) পাথরের চাঙড়টাকে হাত দিয়ে থামিয়ে দেওয়াকে
(B) মর্দানাকে জল না – দেওয়ার ব্যাপারটিকে
(C) পাথরের তলা থেকে জল বেরিয়ে আসার ব্যাপারটিকে
(D) পাথর হাতের ছাপ লেগে থাকার ব্যাপারটিকে
Ans: C) পাথরের তলা থেকে জল বেরিয়ে আসার ব্যাপারটিকে
- নানকের গল্পটি লেখক মায়ের কাছ থেকে শোনার পরে আবারও শুনেছিলেন –
(A) গুরুদ্বারে ও স্কুলে
(B) গুরুদ্বারে ও কলেজে
(C) স্কুলে ও কলেজে
(D) মায়ের বান্ধবীর কাছে আর স্কুলে
Ans: (A) গুরুদ্বারে ও স্কুলে
- ‘ গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত ।’- কোন্ গল্পটা ?
(A) পাঞ্জাসাহেবে সাকা হওয়ার গল্প
(B) ট্রেন থামানোর গল্প
(C) গুরু নানকের হাত দিয়ে পাথর থামানোর গল্প
(D) মুশলধারে বৃষ্টি পড়ার গল্প
Ans: (C) গুরু নানকের হাত দিয়ে পাথর থামানোর গল্প
- ‘ মাস্টারমশাইয়ের সঙ্গেও তর্ক করলাম ।’— কথক তর্ক করেছেন –
(A) কুয়ো জলশূন্য হওয়া নিয়ে
(B) বলীর পাথর গড়িয়ে দেওয়া নিয়ে
(C) মর্দানার তিনবার পাহাড়চূড়োয় ওঠা নিয়ে
(D) নানকের হাত দিয়ে পাথরের চাঙড় থামানো নিয়ে
Ans: (D) নানকের হাত দিয়ে পাথরের চাঙড় থামানো নিয়ে
- ‘ যারা পারে তাদের পক্ষে মোটেই অসম্ভব না’- নানকের হাত দিয়ে পাথরের চাঙড় থামানো প্রসঙ্গে কথাটি বলেছিলেন –
(A) লেখকের মা
(B) লেখকের মায়ের বান্ধবী
(C) লেখক স্বয়ং
(D) লেখকের মাস্টারমশাই
Ans: (D) লেখকের মাস্টারমশাই
- কিছুদিন পর শুনলাম , পাঞ্জাসাহেবে ____ হয়েছে ।
(A) সাকা
(B) অরন্ধন
(C) নিরস্ত্র ভারতীয়দের ওপর গুলি
(D) সব মরার মতো অবস্থা
Ans: (A) সাকা
- ‘ সাকা ‘ হলে বাড়িতে হত—
(A) মোচ্ছব
(B) অরন্ধন
(C) উল্লাস
(D) পুজো
Ans: (B) অরন্ধন
- ‘ সাকা ‘ হলে রাতে শুতে হয় –
(A) খড়ের গদিতে
(B) খাটে
(C) মাদুরে
(D) মেঝেতে
Ans: (D) মেঝেতে
- ‘ অলৌকিক ‘ গল্পের কথকের বাড়ি থেকে পাঞ্জাসাহেব—
(A) তেমন দূরে ছিল না
(B) খুব দূরে ছিল
(C) পাশেই ছিল
(D) দূরে ছিল
Ans: (A) তেমন দূরে ছিল না
- সাকার খবর পাওয়া মাত্র কথকের মা পাঞ্জাসাহেবে রওনা দিয়েছিলেন , সঙ্গে ছিল –
(A) গল্পের কথক ও তাঁর ভাই হয়েছে
(B) গল্পের কথক
(C) গল্পের কথক ও তাঁর বোন
(D) গল্পের কথক ও তাঁর দিদি
Ans: (C) গল্পের কথক ও তাঁর বোন
- দূরের শহরে ফিরিঙ্গিরা গুলি করেছিল—
(A) অপরাধীদের ওপর
(B) যুদ্ধবন্দিদের ওপর
(C) ভারতীয় সৈন্যদের ওপর
(D) নিরস্ত্র ভারতীয়দের ওপর
Ans:
- আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই মারা গিয়েছিল—
(A) ফিরিঙ্গিদের গুলিতে
(B) ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে
(C) নদীর প্লাবনে
(D) মারাত্মক অগ্নিসংযোগে
Ans: (A) ফিরিঙ্গিদের গুলিতে
- ‘ পাঞ্জাসাহেবের লোকজন খবরটা পেয়ে সবাই উত্তেজিত । ‘ —কারণ –
(A) ফিরিঙ্গিদের গুলিতে আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই মারা গিয়েছিল
(B) নানক এখানেই মর্দানার তেষ্টা মিটিয়েছিলেন
(C) ইংরেজ শাসকের হুকুম ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত বন্দি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ট্রেন কোথাও থামবে না
(D) সমস্ত বন্দিদের অন্য শহরের জেলে পাঠানো হচ্ছে
Ans: C) ইংরেজ শাসকের হুকুম ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত বন্দি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ট্রেন কোথাও থামবে না
- ‘ সেই শহর দিয়ে খিদে – তেষ্টায় কাতর কয়েদিদের ট্রেন যাবে এ হতে পারে না – কারণ –
(A) পাঞ্জাসাহেবে নানকের জন্মস্থান
(B) পাঞ্জাসাহেবে মর্দানার মৃত্যু হয়েছিল
(C) পাঞ্জাসাহেবে গুরু নানক মর্দানার তেষ্টা মিটিয়েছিলেন
(D) পাঞ্জাসাহেবে বলী কান্ধারীর কুটির ছিল
Ans: (C) পাঞ্জাসাহেবে গুরু নানক মর্দানার তেষ্টা মিটিয়েছিলেন
- “ ঠিক হল , ট্রেনটা থামানো হবে । ‘ – পাঞ্জাসাহেবের মানুষ ট্রেনটি থামানোর চেষ্টা করেছিল , কারণ –
(A) ট্রেনটি অস্ত্রবোঝাই ছিল
(B) ট্রেনটিতে ইংরেজ সৈনিকেরা যাচ্ছিল
(C) ট্রেনটি কয়েদি বোঝাই ছিল
(D) ট্রেনটিতে নিরীহ নিরন্ন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের । নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল
Ans: (D) ট্রেনটিতে নিরীহ নিরন্ন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের । নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল
- ‘ স্টেশনমাস্টারের কাছে আবেদন জানানো হল । —কীসের আবেদন জানানো হল ?
(A) ট্রেনটাকে চালানোর
(B) ট্রেনটাকে থামানোর
(C) নতুন ট্রেনের ব্যবস্থা করার
(D) ট্রেনটাকে বাতিল করার
Ans: (B) ট্রেনটাকে থামানোর
- “ কিছুতেই ট্রেনটাকে থামানো যাবে না ।’— এই হুকুম ছিল—
(A) ফিরিঙ্গিদের
(B) স্টেশনমাস্টারের
(C) পুলিশের
(D) সৈন্যের
Ans: (A) ফিরিঙ্গিদের
- পাঞ্জাসাহেবের লোকেরা নিরীহ ও ক্ষুধার্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য স্টেশনে ডাঁই করে রেখেছিল –
(A) রুটি , পায়েস
(B) রুটি , লুচি
(C) লুচি , ডাল
(D) রুটি , পায়েস , লুচি , ডাল
Ans: D) রুটি , পায়েস , লুচি , ডাল
- স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ট্রেনটিকে থামানোর জন্য পাদ্মা সাহেবের লোকেরা –
(A) স্টেশনমাস্টারের কাছে আবেদন করেছিল
(B) ইংরেজ শাসককে রাজি করিয়েছিল
(C) রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়েছিল
(D) ট্রেনচালককে অপহরণ করেছিল
Ans: (C) রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়েছিল
- “ খালপারের সেতুটির দিকে রক্তের স্রোত । ‘ –এর কারণ –
(A) ফিরিঙ্গিরা নিরঞ্জ ভারতীয়দের ওপর গুলি চালিয়েছে
(B) ট্রেনটা পিছোতে লাশগুলো কেটে দুমড়ে মুচড়ে গেল
(C) যুদ্ধে ভারতীয়দের মৃত্যু ঘটেছিল
(D) ট্রেনটা সবাইকে পিষে দিয়ে চলে গিয়েছিল
Ans: (B) ট্রেনটা পিছোতে লাশগুলো কেটে দুমড়ে মুচড়ে গেল
- পাঞ্জাসাহেবের মানুষদের আত্মত্যাগের আশ্চর্য গল্পটি লেখককে শুনিয়েছিলেন –
(A) মায়ের বান্ধবী
(B) মা
(C) মাস্টারমশাই
(D) গুরুদ্বারের লোকজন
Ans: (A) মায়ের বান্ধবী
- ‘ সারাদিন একফোঁটাও জল মুখে দিতে পারিনি ।’— এর কারণ ভার –
(A) ইংরেজদের অত্যাচারের কাহিনি
(B) দেশবাসীর কষ্টকর অভিজ্ঞতা
(C) পাঞ্জাসাহেবের মানুষদের আত্মবলিদানের মর্মস্পর্শী ঘটনা
(D) ইংরেজদের নির্বিচারে গুলিচালনার ঘটনা
Ans: (C) পাঞ্জাসাহেবের মানুষদের আত্মবলিদানের মর্মস্পর্শী ঘটনা
- ‘ আমার চোখে জল । বক্তা –
(A) মর্দানা
(B) লেখকের মায়ের বান্ধবী
(C) লেখক স্বয়ং
(D) লেখকের বোন
Ans: (C) লেখক স্বয়ং
- ‘ চোখের জলটা তাদের জন্য ।’— কাদের কথা বলা হয়েছে ?
(A) নানক ও মর্দানার কথা
(B) পাঞ্জাসাহেবের সর্বত্যাগী মানুষদের কথা
(C) বলী কান্ধারীর কথা
(D) ইংরেজ শাসকদের কথা
Ans: (B) পাঞ্জাসাহেবের সর্বত্যাগী মানুষদের কথা
- ‘ অলৌকিক ‘ গল্পের শেষে কথকের আর হাত দিয়ে পাথরের চাঙড় থামানো অসম্ভব মনে হয়নি , কারণ –
(A) নির্বিচারে গুলি চালিয়ে সবই করা যায়
(B) ইংরেজ শাসককে আবেদন করলে ফল পাওয়া যেত
(C) ‘ জয় নিরঙ্কার ‘ ধ্বনি দিয়ে দেশবাসীরা সবই করতে পারে
(D) মানুষ সাহস ও সংকল্পের জোরে ঝড়ের বেগে ছুটে আসা ট্রেনও থামাতে পারে
Ans: (D) মানুষ সাহস ও সংকল্পের জোরে ঝড়ের বেগে ছুটে আসা ট্রেনও থামাতে পারে
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | অলৌকিক (ভারতীয় গল্প) কর্তার সিং দুগগাল – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Aloukik Question and Answer :
- ‘ তারপর গুরু নানক ঘুরতে ঘুরতে এসে পৌঁছালেন ‘ –নানক কোথায় এসে পৌঁছেছিলেন ?
Ans: কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘ অলৌকিক ‘ গল্পে গুরু নানক ঘুরতে ঘুরতে এসে পৌঁছেছিলেন হাসান আন্দালের জঙ্গলে ।
- ‘ কোথাও একটা জনমানুষ নেই ।’- ওখানকার পরিবেশ কেমন ছিল ?
Ans: হাসান আন্দালের জঙ্গলের চারপাশে ধু – ধু বালি , পাথরের চাই আর রোদে , গরমে ঝলসে যাওয়া গাছপালার মাঝে কোথাও জনমানুষের চিহ্নমাত্র ছিল না ।
- ‘ আমি কৌতূহলী হয়ে উঠি । ‘ কী বিষয়ে বক্তা কৌতূহলী হয়ে ওঠেন ।
অথবা , ‘ আমি কৌতূহলী হয়ে উঠি ।’- বক্তা কোন বিষয়ে কৌতূহলী হন ?
Ans: কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘ অলৌকিক ‘ গল্পে কথক । তাঁর মায়ের বলা গুরু নানকের গল্পটির অবশিষ্টাংশ শোনার জন্য কৌতূহলী হয়ে উঠেছিলেন ।
- ‘ জল তেষ্টা পেল ।’— কার তেষ্টা পেয়েছিল ?
Ans: ‘ অলৌকিক ‘ গল্পে ভয়ানক রোদে – গরমে হাসান আব্দালের জঙ্গলে গুরু নানকের শিষ্য মর্দানার জলতেষ্টা পেয়েছিল ।
- ‘ ভাই মর্দানা , সবুর করো । ‘ বলার কারণ কী ছিল ?
Ans: হাসান আব্দালের জঙ্গলে মর্দানার জলতেষ্টা পাওয়ায় গুরু নানক তাকে সবুর করতে বলেছিলেন , কারণ পরের গ্রামে পৌঁছোলে তবেই জল পাওয়া যাবে ।
- ‘ তার কাকুতি – মিনতি শুনে গুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়লেন ।’— এর কারণ কী ছিল ?
Ans: কর্তার সিং দুগ্গালের ‘ অলৌকিক ‘ গল্প অনুসারে হাসান আব্দালের জঙ্গলে তৃষ্ণায় কাতর মর্দানার কাকুতি – মিনতি শুনে গুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন ।
- ‘ এটাকে ভগবানের অভিপ্রায় বলেই মেনে নাও ।’- কোন্ প্রসঙ্গে বক্তা এমন উক্তি করেছিলেন ?
Ans: ‘ অলৌকিক ’ গল্পে হাসান আব্দালের জঙ্গলে কোথাও জল না থাকায় তৃস্নায় অস্থির মর্দানাকে বুঝিয়ে শান্ত করার উদ্দেশ্যে গুরু নানক প্রশ্নোদ্ভূত মন্তব্যটি করেছিলেন ।
- ‘ সে বেঁকে বসলে সবাইকেই ঝক্কি পোয়াতে হবে’- ‘ সে ’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে ?
Ans: কর্তার সিং দুগ্গালের ‘ অলৌকিক ‘ গল্প থেকে উদ্ধৃত অংশে ‘ সে ’ বলতে নানকের শিষ্য তৃষ্ণার্ত মর্দানাকে বোঝানো হয়েছে ।
- ‘ মর্দানা তবু নড়তে রাজি নয় ।’— মর্দানা নড়তে রাজি নয় কেন ?
Ans: অলৌকিক ‘ গল্পে হাসান আব্দালের জঙ্গলে কোথাও জল না থাকায় তৃষ্ণায় অস্থির মর্দানাকে গুরু নানক বুঝিয়ে শান্ত করে বলেন এটাকে ভগবানের অভিপ্রায় বলে মেনে নিতে এবং একটু সবুর করতে কিন্তু মর্দানা তৃষ্ণায় কাতর হয়ে বসে পড়ে এবং নড়তে রাজি নয় ।
- সেখানেই বসে পড়ে । এগুবার উপায় নেই ‘ – কে বসে পড়ে ? এগুবার আর উপায় নেই কেন ?
Ans: ‘ অলৌকিক ‘ গল্পে হাসান আব্দালের জঙ্গলে তৃষ্ণায় কাতর হয়ে বসে পড়ে গুরু নানকের শিষ্য মর্দানা ।
গুরু নানক তাঁর শিষ্যকে বুঝিয়ে ধৈর্য ধরতে বলে এবং পরের গ্রামে গেলে জল পাওয়া যাবে । কিন্তু মর্দানা নড়তে রাজি না হয়ে তৃষ্ণায় কাতর হয়ে সেখানেই বসে পড়ে । তাই এগুবার আর উপায় থাকে না ।
- ‘ গুরু গভীর সমস্যায় পড়লেন ।’— সমস্যায় পড়ে তিনি কী করেছিলেন ?
Ans: ‘ অলৌকিক ‘ গল্পে হাসান আব্দালের জঙ্গলে জলের অভাবে মর্দানা তেষ্টায় কাতর হয়ে পড়লে জলের সন্ধানে গুরু নানক ধ্যানে বসেছিলেন ।
- ‘ চোখ খুলে দেখেন’— কী দেখার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: কর্তার সিং দুগ্গালের ‘ অলৌকিক ’ গল্পে গুরু নানক ধ্যান শেষে চোখ খুলে দেখে মর্দানা তৃষ্ণায় জল ছাড়া মাছের মতো ছটফট করছে ।
- ‘ সদ্গুরু তখন ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে বললেন , — ‘ সদগুরু ‘ – র পরিচয় দাও ।
Ans: কর্তার সিং দুগ্গালের ‘ অলৌকিক ‘ গল্পে উল্লিখিত সদ্গুরু হলেন শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানক ।
- ‘ সদ্গুরু তখন ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে বললেন , ‘ — কী বলেছিলেন ?
Ans: কর্তার সিং দুগ্গালের ‘ অলৌকিক ’ গল্পে তৃষ্ণায় কাতর শিষ্য মর্দানাকে গুরু নানক বলেছিলেন , পাহাড়চুড়োয় বসবাসকারী বলী কান্ধারীর কুয়োতেই একমাত্র জল পাওয়া যাবে ।
- ওঁর কাছে জল পেতে পার ।’— কার কাছে জল পাওয়া যেতে পারে ? জলের প্রয়োজন হয়েছিল কেন ?
Ans: কর্তার সিং দুগ্গালের ‘ অলৌকিক ‘ গল্পে গুরু নানক তৃষ্ণার্ত শিষ্য মর্দানাকে পাহাড়চুড়োয় বলী কান্ধারীর কাছে জল পাওয়ার কথা বলেছিলেন ।
শিষ্য মর্দানার জলতেষ্টা দূর করার জন্য জলের প্রয়োজন হয়েছিল ।
- ‘ এক দরবেশ কুটির বেঁধে থাকেন ।’— ‘ দরবেশ ‘ – এর পরিচয় দাও ।
Ans: ‘ অলৌকিক ‘ গল্প অনুসারে হাসান আব্দালের জঙ্গলে পাহাড়চুড়োয় কুটির বেঁধে থাকা দরবেশটির নাম হল বলী কান্ধারী ।
- ‘ মর্দানা শুনেই ছুটে গেল ।’— কোথায় ছুটে গেল ?
Ans: জল তেষ্টায় ছটফট করতে থাকা মর্দানা বলী কান্ধারীর কুয়োয় জল থাকার কথা নানকের মুখে শুনে পাহাড়চুড়োর দিকে ছুটে গিয়েছিল ।
- শেষ অবধি অনেক কষ্টে উঠতে পারল ।’— এমন বলা হয়েছে কেন ?
Ans: ‘ অলৌকিক ‘ গল্প অনুসারে নিদারুণ তেষ্টায় কাতর মর্দানা অতিরিক্ত রোদে – গরমে ঘেমে কাহিল হয়ে পড়ায় অনেক কষ্টে পাহাড়চুড়োয় বলী কান্ধারীর কুটিরে পৌঁছেছিল ।
- ‘ বলী কাম্বারীকে সেলাম জানিয়ে জল চাইলে তিনি কী করেছিলেন ?
Ans: কর্তার সিং দুগ্গালের ‘ আলৌকিক ‘ গল্পে বলী কান্ধারীর কুটিরে পৌঁছে মর্দানা তাঁকে সেলাম জানিয়ে জল চাইলে তিনি কুয়োর দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন ।
- হঠাৎ একটা প্রশ্ন জাগল ওর মনে । ‘ কার মনে প্রশ্ন জেগেছিল ?
Ans: ‘ অলৌকিক ‘ গল্প অনুসারে তৃষ্ণায় কাতর মর্দানা কুয়োর দিকে এগোলে দরবেশ বলী কান্ধারীর মনে প্রশ্ন জেগেছিল ।
- ‘ হঠাৎ একটা প্রশ্ন জাগল ওর মনে ।’- প্রশ্নটি কী ছিল ?
Ans: কর্তার সিং দুগ্গালের ‘ অলৌকিক ‘ গল্প অনুসারে দরবেশ বলী কান্ধারীর মনে প্রশ্ন জেগেছিল যে , মর্দানা কোথা থেকে আসছে ।
- ‘ জিজ্ঞেস করলেন , কোত্থেকে আসছ ? ‘ — বক্তা কে ?
Ans: ‘ অলৌকিক ’ গল্প থেকে উদ্ধৃত প্রশ্নটির বক্তা তথা প্রশ্নকর্তা দরবেশ বলী কান্ধারী ।
- ‘ সে কুয়োর দিকে এগুলে হঠাৎ একটা প্রশ্ন জাগল ওর মনে ।’— ‘ ওর ‘ প্রশ্নের উত্তরে ‘ সে ’ কী বলেছিল ?
Ans: ‘ অলৌকিক ’ গল্পে বলী কান্ধারী মর্দানা কোথা থেকে এসেছে জানতে চাইলে মর্দানা বলেছিল যে , সে পির নানকের সঙ্গী । জলের সন্ধানে তাঁর শরণাপন্ন হয়েছে ।
- ‘ বলী রেগে গিয়ে তাকে সঙ্গে সঙ্গে তাড়িয়ে দিলেন ।’— এর কারণ কী ছিল ?
Ans: কর্তার সিং দুগ্গালের ‘ অলৌকিক ’ গল্প অনুসারে মর্দানা গুরু নানকের শিষ্য শুনে বলী কান্ধারী রেগে গিয়ে তাকে তাড়িয়ে । দিয়েছিলেন ।
- নেমে সে নালিশ জানাল ।’— ‘ সে ‘ কার কাছে নালিশ জানাল ?
Ans: ‘ অলৌকিক ’ গল্পে মর্দানাকে ক্রুদ্ধ বলী কান্ধারী জল না দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ায় , সে নানকের কাছে এসে নালিশ জানিয়েছিল ।
- ‘ সমস্ত বৃত্তান্ত শুনে গুরু হাসেন , ‘ — তিনি হেসে কী বলেছিলেন ?
Ans: ‘ অলৌকিক ‘ গল্প অনুসারে গুরু নানক শিষ্য মর্দানার কাছে সমস্ত বৃত্তান্ত শুনে তাকে নানক দরবেশের অনুচর পরিচয় দিয়ে আর একবার যেতে বলেছিলেন ।
- ‘ ক্ষোভে দুঃখে বিড়বিড় করতে করতে সে আবার গেল ।’— তার ‘ ক্ষোভে দুঃখে বিড়বিড় করার কারণ কী ছিল ?
Ans: কর্তার সিং দুগ্গালের ‘ অলৌকিক ‘ গল্পে তৃষ্ণায় কাতর মর্দানা নানকের অনুরোধে দ্বিতীয়বার বলী কান্ধারীর কাছে যেতে বাধ্য হওয়ায় ‘ ক্ষোভে দুঃখে বিড়বিড় করেছিল ।
- ‘এ কি আদৌ সম্ভব ? – কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে ?
Ans: ‘ অলৌকিক ‘ গঙ্গে বলী কান্ধারীর গড়িয়ে দেওয়া পাথরের চাঙড় নানক যেভাবে হাত দিয়ে থামিয়ে দেন , তাকেই লেখকের অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল ।
- মনে হয় পরে কেউ খোদাই করেছে , বলা হয়েছে কেন ?
Ans: পাদ্মাসাহেবের পাথরে গুরু নানকের হাতে ছাপ আজও লেগে রয়েছে শুনে সন্দিহান লেখকের মনে হয়েছিল সেই ছাপ পরে কেউ খোদাই করেছে ।
- মার সঙ্গে তর্ক শুরু করি ।’- কোন বিষয় নিয়ে তর্ক ?
Ans: ‘ অলৌকিক ‘ গল্প অনুসারে পাঞ্জাসাহেবের পাথরে গুরু নানকের হাতের ছাপ আজও লেগে রয়েছে শুনে সন্দিহান লেখকের মনে হয় সেই ছাপ পরে কেউ খোদাই করেছে । এই বিষয় নিয়েই তিনি মায়ের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন ।
- পাথরের তলা থেকে জল বেরিয়ে আসার ব্যাপারটা মেনে নেওয়া যেতে পারে ।’- বক্তার এমন মনে হওয়ার কারণ কী ?
Ans: ‘ অলৌকিক ’ গল্পে নানকের নির্দেশে পাথরের তলা থেকে জল বেরোনোর ব্যাপারটা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ব্যাখ্যা করা সম্ভব বলে লেখকের এমন মনে হয়েছিল ।
- ” কিছুতেই বিশ্বাস হল না । — কী ?
Ans: কর্তার সিং দুগালের ‘ অলৌকিক ‘ গল্প অনুসারে নানকের হাত দিয়ে পাথরের চাঙড় থামানোর ব্যাপারটা মায়ের মুখে শুনে লেখকের কিছুতেই বিশ্বাস হয়নি ।
- ‘ গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত ।’- কোন্ গল্পের কথা বলা হয়েছে ?
Ans: ‘ অলৌকিক ‘ গল্প অনুসারে গুরু নানকের হাত দিয়ে পাথরের চাঙড় থামানোর গল্পটির কথাই এখানে লেখক বলেছেন ।
- ‘ গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত ।’- কেন হাসি পেয়েছিল ?
Ans: ‘ অলৌকিক ‘ গল্পে পাহাড় থেকে গড়িয়ে আসা পাথরের চাঙড় নানকের হাত দিয়ে থামিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা অবাস্তব মনে হওয়ায় লেখকের হাসি পেত ।
- নানকের গল্পটা লেখক কোথায় কোথায় শুনেছিলেন ।
Ans: ‘ অলৌকিক ‘ গল্পের লেখক নানকের গল্পটা বাড়িতে মায়ের মুখে , গুরুদ্বারে এবং স্কুলে মাস্টারমশাইয়ের মুখে শুনেছিলেন ।
- ‘ কিন্তু এই ব্যাপারটাতে সবসময়েই মাথা বাঁকিয়েছি ।’— কোন ব্যাপারের কথা বলা হয়েছে ?
Ans: কর্তার সিং দুগ্গালের ‘ অলৌকিক ‘ গল্পে লেখক নানকের হাত দিয়ে পাথর থামানোর ব্যাপারটির কথাই এখানে বলেছেন ।
- ‘ যারা পারে তাদের পক্ষে মোটেই অসম্ভব না’- বক্তা কে ?
Ans: প্রশ্নোদৃত অংশটির বস্তুা ‘ অলৌকিক ‘ গল্পের লেখকের স্কুলের মাস্টারমশাই ।
- ‘ পাঞ্জাসাহেবে ‘ সাকা ‘ হয়েছে ।’- পাঞ্জাসাহেবের আগের নাম কী ছিল ?
Ans: কর্তার সিং দুগ্গালের ‘ অলৌকিক ‘ গল্পে পাঞ্জাসাহেবের আগের নাম হল হাসান আব্দালে । পাঞ্জাসাহেবের পুরুষ , মহিলা ও শিশুরা পরপর সারিবদ্ধভাবে লোকেরা রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়ে ট্রেনটাকে থামিয়েছিল ।
- ‘ কিন্তু থামল অনেক দূরে এসে ।’- এর কারণ কী ছিল ?
Ans: ট্রেন থামানোর জন্য পাঞ্জাসাহেবের পুরুষ , মহিলা এবং শিশুরা পরপর রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়ে । ট্রেনটি অধিকাংশ পুরুষের বুকের ওপর দিয়ে চলে যাওয়ার পরে থামতে বাধ্য হয় ।
- ট্রেনটা পিছোতে লাগল , ‘ — ফলে কী হয়েছিল ?
Ans: কর্তার সিং দুগ্গালের ‘ অলৌকিক ‘ গল্প অনুসারে ট্রেনটা পিছোনোর ফলে রেললাইনের ওপর শুয়ে থাকা মানুষদের শরীরগুলো কেটে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল ।
- স্বচক্ষে দেখেছি , ‘ — কী দেখার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: ‘ অলৌকিক ’ গল্পে লেখকের মায়ের বান্ধবী নিজের চোখে পাঞ্জাসাহেবের স্টেশনসংলগ্ন খালপাড়ে রক্তের স্রোত বয়ে যেতে দেখেছিলেন । এখানে সে – কথাই বলা হয়েছে ।
- ‘ অবাক – বিহ্বল হয়ে বসে আছি , মুখে কথা নেই ।’— কেন ?
Ans: ‘ অলৌকিক ’ গল্পে পাঞ্জাসাহেবের লোকেদের আশ্চর্য ত্যাগ ও আত্মদানের ঘটনাটি শুনে গল্পকথক অবাক , বিহ্বল এবং বাক্যহারা হয়ে গিয়েছিলেন ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | অলৌকিক (ভারতীয় গল্প) কর্তার সিং দুগগাল – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Aloukik Question and Answer :
1. ‘ এগুবার আর উপায় নেই । গুরু গভীর সমস্যায় পড়লেন ‘ — গুরুর পরিচয় দাও । তিনি কোন সমস্যায় পড়লেন । সমস্যার সমাধান হল কীভাবে ?
Ans: কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘ অলৌকিক ‘ গল্পে গুরু বলতে গুরু নানককে বোঝানো হয়েছে । গুরু নানক শিখধর্মের প্রবক্তা ।
কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘ অলৌকিক ’ গল্পে ভয়ানক রোদে – গরমের মধ্যে গুরু নানক একদিন তাঁর অনুচরদের সঙ্গে নিয়ে হাসান আব্দালের জঙ্গলে গিয়ে পৌঁছোন । ভয়ানক পুকুর সমস্যা রোদে – গরমে হাঁটতে হাঁটতে গরু নানকের শিষ্য মর্দানার খুব জল তেষ্টা পায় । গুরু নানক তাকে ধৈর্য ধরতে বলেছিলেন । কারণ পরের গ্রামে পৌঁছোলে তবেই জল পাওয়া যাবে । কিন্তু তার কাকুতি – মিনতি শুনে গুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন । কারণ অনেক দূর পর্যন্ত জল পাওয়া যাবে না অথচ মদানা বেঁকে বসেছে । তিনি তখন মর্দানাকে এটা ভগবানের অভিপ্রায় বলে ধৈর্য ধরতে বলে । মর্দানা তবু নড়তে রাজি নয় । সেখানেই বসে পড়ে । তখন গুরু নানক এই সমস্যায় পড়লেন ।
তৃষ্ণায় কাহিল মর্দানার সাহায্যার্থে গুরু নানক ধ্যানে বসে দেখেন পাহাড়চুড়োয় দরবেশ বলী কান্ধারীর কুয়োয় জল আছে । তিনি মর্দানাকে বলীর কাছে যেতে বলেন । কিন্তু নানকের শিষ্য হওয়ায় বলী মর্দানাকে তাড়িয়ে দেয় । তিনবার বলী কান্ধারীর কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ফিরে এসে কাহিল মর্দানা প্রায় অচৈতন্য হয়ে পড়ে । নানক তাকে সাহস জুগিয়ে সামনের পাথরটা তুলতে বলেন । পাথরটা তুলতেই সঙ্গে জলের ধারায় চারপাশ ভেসে যায় । এভাবে মর্দানার তৃষ্ণা মেটে এবং গুরু তাঁর শিষ্য মর্দানার তৃষ্ণার সমস্যা দূর করেন ।
2. ‘ হঠাৎ শিষ্য মর্দানার জল তেষ্টা পেল ।’— তেষ্টা মেটানোর জন্য মর্দানাকে কী করতে হয়েছিল ? তাঁর তেষ্টা শেষ অবধি কীভাবে মিটেছিল ?
Ans: হাসান আব্দালের জঙ্গলে পরিভ্রমণকালে প্রচণ্ড রোদ আর গরমে সদগুরু নানকের শিষ্য মর্দানার খুব জলপিপাসা পায় । সে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য গুরুর কাছে কাকুতি – মিনতি জানাতে থাকে । সেখানে জলানের সুযোগ না থাকায় গুরু প্রাথমিকভাবে একটু ধৈর্য ধরে পরের গ্রামে । জল পাবার আশ্বাস দেন । কিন্তু মর্দানা কোনো কথা শুনতে নারাজ । ফলে মর্দানার সাহায্যার্থে গুরু নানক ধ্যানে বসে দেখেন পাহাড়চুড়োয় দরবেশ বলী কান্ধারীর কুয়োয় জল আছে । তিনি মর্দানাকে বলীর কাছে যেতে বলেন । কিন্তু বলী কান্ধারী নানকের শিষ্য হওয়ার জন্য মর্দানাকে জল না দিয়ে তাড়িয়ে দেন । গুরুর নির্দেশে মর্দানা আবার যায় বলীর কাছে জল প্রার্থনায় । এইভাবে তিনবার বলীর কাছে জল প্রার্থনা করে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ফিরে এসে ক্লান্ত – শ্রান্ত মর্দানা প্রায় অচৈতন্য হয়ে গুরুর পায়ের কাছে মূর্ছিত হল ।
মর্দানাকে জলদান ও হাত দিয়ে পাথর নানক শিষ্য মর্দানাকে সাহস জুগিয়ে তার সামনের পাথরটা তুলতে বলেন । পাথরটা তুলতেই সঙ্গে জলের ধারায় চারপাশ গুরু নানক কর্তৃক শিষ্য ভেসে যায় । ঠিক সে সময় জলের প্রয়োজনে বলী কুয়োর কাছে এসে দেখেন কুয়ো জলশূন্য । ওদিকে নীচে জলস্রোত বইছে আর বাবলাতলায় অনুচরদের নিয়ে নানক বসে আছেন । কুদ্ধ বলী আক্লোশবশে নানকের উদ্দেশে একটি পাথরের চাঙড় গড়িয়ে দেন । গুরু নানক শান্ত স্বরে সবাইকে ‘ জয় নিরষ্কার ’ ধ্বনি দিতে বলে হাত দিয়ে পাথরটাকে থামিয়ে দেন । পাথরে নানকের হাতের ছাপ লেগে থাকায় সেই থেকে হাসান আব্দালের নাম হয় ‘ পাঞ্জাসাহেব ‘ ।
3. ‘ হয়তো পথেই প্রাণটা বেরিয়ে যাবে কার প্রাণ বেরিয়ে যাবার কথা বলা হয়েছে ? তার এই অবস্থা কেন হয়েছে ?
Ans: কর্তার সিং দুগ্গালের ‘ অলৌকিক ’ গল্পের আলোচ্য প্রশ্নাংশে গুরু নানকের শিষ্য মর্দানার প্রাণ বেরিয়ে যাবার কথা বলা হয়েছে ।
হাসান আব্দালের জঙ্গলে রোদে – গরমে ও পথশ্রমে ক্লান্ত মর্দানার খুব জল তেষ্টা পায় । শিষ্যের করুণ অবস্থা দেখে নানক ধ্যানে বসে জানতে পারেন পাহাড়চুড়োয় দরবেশ বলী কান্ধারীর কুয়োয় জল আছে । মর্দানাকে বলী কান্ধারীর কাছে যেতে বলেন । তেষ্টায় কাতর মর্দানা কোনোক্রমে পাহাড়ের উপরে গিয়ে বলী কান্ধারীর কাছে জল চায় । বলী কান্ধারী প্রথমে রাজি হলেও মর্দানা নানকের শিষ্য জেনে , তাকে তাড়িয়ে দেয় । নানক সব শুনে মর্দানাকে আবার যেতে বলেন । কিন্তু এবারও একই ঘটনা ঘটে । প্রাণ বেরিয়ে যাওয়ার ফলে মর্দানা আরও হতোদ্যম অবস্থায় নানকের কাছে ফিরে আসে । পুরো ঘটনা শুনে নানক ‘ জয় নিরঙ্কার ‘ বলে হাঁক দিয়ে মর্দানাকে আরও একবার বলী কান্ধারীর কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন । তৃতীয়বার আর যেন পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে মন সায় দিচ্ছে না , কিন্তু গুরু নানকের আদেশ অমান্য করতে না পেরে সে পুনরায় রওনা হয় । তখন তার অবস্থা খুবই খারাপ , তৃষ্ণায় ছাতি ফেটে যাচ্ছে এমন অবস্থায় যেন পথেই প্রাণটা বেরিয়ে যাবে । তৃতীয় বার পাহাড়ের চূড়োয় পৌঁছে সে বলী কান্ধারীর পায়ে লুটিয়ে পড়ে । ক্রুদ্ধ ফকির আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গুরু নানকের নামে যথেষ্ট গালিগালাজ করে মর্দানাকে ফিরে যেতে বলেন । তখন মর্দানা ফিরে এসে নানকের পায়ের কাছে প্রায় অচৈতন্য হয়ে লুটিয়ে পড়ে ।
4. ‘ গল্পটা আমাদের স্কুলে শোনানো হল ।’— গল্পটা কী ? স্কুলে গল্পটা শুনে লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল ?
Ans: কর্তার সিং দুগালের ‘ অলৌকিক ’ গল্পে কথকের মা তাঁকে গুরু নানকের একটি গল্প শুনিয়েছিলেন । পরে এই গল্পটি তিনি স্কুলেও শুনেছিলেন । গল্পটি হল , একদিন হাসান আব্দালের জঙ্গলে রোদে – গরমে ও পথশ্রমে ক্লান্ত মর্দানার খুব জলতেষ্টা পায় । শিষ্যের করুণ অবস্থা দেখে নানক ধ্যানে বসে জানতে পারেন পাহাড়চুড়োয় দরবেশ বলী কান্ধারীর কুয়োয় জল আছে । নানকের নির্দেশে মর্দানা বলী কান্ধারীর কাছে গেলে নানকের শিষ্য হওয়ায় তাকে বলী জল না – দিয়ে তাড়িয়ে দেয় । এইভাবে তিনবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে ক্লান্ত মর্দানা প্রায় অচৈতন্য হয়ে পড়ে । তখন নানক তাকে সাহস জুগিয়ে সামনের পাথরটা সরাতে বলেন । পাথর সরাতেই তলা থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে আসে । এদিকে বলী কান্ধারী দেখেন কুয়োয় জল নেই । ওদিকে নীচে জলস্রোত বইছে আর বাবলাতলায় নানক শিষ্যসহ বসে আছেন । এই দৃশ্য দেখে ক্ষিপ্ত বলী নানককে লক্ষ করে একটি পাথরের চাঙড় গড়িয়ে দেন । পাথরটা কাছে আসতেই নানক হাত দিয়ে সেটিকে থামিয়ে দিয়েছিলেন ।
পাথরের তলা থেকে জল বেরিয়ে আসার বিষয়টির বৈজ্ঞানিক লেখকের প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা সম্ভব হলেও হাত দিয়ে গড়িয়ে – আসা পাথর থামানোর ঘটনাটিকে লেখকের অযৌক্তিক মনে হওয়ায় গল্পটা মনে পড়লেই তাঁর হাসি পেত ।
5. ‘ অলৌকিক ’ গল্পে হাত দিয়ে পাথরের চাঁই থামানোর ঘটনাটি লেখক প্রথমে বিশ্বাস করেননি কেন ? পরে কীভাবে সেই ঘটনা তাঁর কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠল ?
অথবা , ‘ গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত । কোন্ গল্পের কথা বলা হয়েছে ? এই গল্পের প্রতি লেখকের বিশ্বাস জন্মানোর কারণ কী ছিল ?
Ans: কর্তার সিং দুগ্গালের ‘ অলৌকিক ‘ গল্পের লেখক তাঁর মায়ের কাছে শুনেছিলেন , একবার হাসান আব্দালের জঙ্গলে ভয়ানক রোদে – গরমে নানকের শিষ্য মর্দানার খুব তেষ্টা পায় । নানক তাকে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য দরবেশ বলী কান্ধারীর কাছে হাত দিয়ে পাথর খামানোর গল্প পাঠান । কিন্তু নানকের শিষ্য হওয়ায় বলী মর্দানাকে জল না দিয়ে । বারবার অসম্মান করে ফিরিয়ে দেয় । তখন নানকের নির্দেশে মর্দানা একটা পাথর সরাতেই জলের ধারা বেরিয়ে আসে । তা দেখে ক্ষিপ্ত বর্ণী আক্রোশবশে একটি পাথরের চাঙড় গড়িয়ে দেন । পাথরটা কাছে আসতেই নানক হাত দিয়ে সেটাকে থামিয়ে দেন । পাথরের তলা থেকে জল বেরিয়ে আসার বিষয়টির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সম্ভব হলেও গড়িয়ে আসা পাথর হাত দিয়ে থামানোর ঘটনাটিকে লেখকের অযৌক্তিক মনে হওয়াতে বিশ্বাস করতে মন চায়নি ।
গল্পের পরবর্তীতে দেখি মায়ের বান্ধবীর মুখে লেখক পাঞ্জাসাহেবের একটি আশ্চর্য ঘটনার কথা শোনেন । একবার ইংরেজরা বন্দি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ট্রেনে করে অন্য শহরে পাঠাচ্ছিল । হুকুম ছিল খিদে – তেষ্টায় কাতর বন্দিদের এই ট্রেন কোথাও থামবে না । কিন্তু পাঞ্জাসাহেরের লোকেরা ইংরেজদের এমন অন্যায় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি । এরা রেললাইনে শুয়ে পড়ে ট্রেনটিকে থামতে বাধ্য করেছিল । এই ঘটনা শুনে লেখকের মনে হয়েছিল যদি ঝড়ের গতিতে এগিয়ে আসা ট্রেনকে মানুষ নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে থামাতে পারে , তাহলে পাথরের চাইকে থামানোও অসম্ভব কিছু নয় ।
6. ‘ ঝড়ের বেগে ছুটে আসা ট্রেন থামানো গেল , পাথরের চাই থামানো যাবে না কেন ? ‘ — ট্রেন থামানোর দরকার হয়েছিল কেন ? ট্রেন কীভাবে থামানো হয়েছিল ?
অথবা , ‘ ঠিক হল ট্রেনটা থামানো হবে । কোন ট্রেনের কথা বলা হয়েছে ? সেটি কীভাবে থামানো হয়েছিল ?
Ans: কর্তার সিং দুগ্গালের ‘ অলৌকিক ’ গল্পে একবার পাঞ্জাসাহেবের ওপর দিয়ে একটি ট্রেনে করে বন্দি স্বাধীনতা – সংগ্রামীদের অন্য শহরের জেলে পাঠানো হচ্ছিল । বন্দিরা খিদে – তেষ্টায় কাতর হলেও ট্রেন থামানোর হুকুম ছিল না । কিন্তু যে জায়গায় গুরু নানক তাঁর শিষ্য মর্দানার তৃষ্ণা মিটিয়েছিলেন সেখান দিয়ে ক্ষুধার্ত বন্দিরা অভুক্ত অবস্থায় যাবে , তা পাঞ্জাসাহেবের সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারেনি । তাই তারা ট্রেন থামানোর সিদ্ধান্ত নেয় ।
ট্রেন থামানোর জন্য স্টেশনমাস্টারের কাছে আবেদন , টেলিফোন – টেলিগ্রাম সব ব্যর্থ হলে ট্রেন থামাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পাঞ্জাসাহেবের লোকেরা স্টেশনে রুটি , পায়েস , লুচি – ডাল প্রভৃতি খাবার জড়ো করে রাখে । তারপর ট্রেন ট্রেন কীভাবে থামানোর কোনো উপায় না দেখে প্রথমে থামানো হয়েছিল ছেলেরা , তারপর মহিলারা এবং শেষে শিশুরা রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়ে । তীব্র হুইসেল দিতে দিতে ট্রেন এগিয়ে এসে তাদের বুকের ওপর দিয়ে কিছুদুর চলে যাওয়ার পর “ থামতে বাধ্য হয় । এভাবেই নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে পাঞ্জাসাহেবের সাধারণ মানুষ ট্রেন থামিয়ে খিদে – তেষ্টায় কাতর স্বাধীনতা – সংগ্রামীদের মুখে তুলে দিয়েছিল রুটি ও জল । মায়ের বান্ধবীর কাছে লেখক মানুষের ত্যাগ ও মহত্ত্বের এই আশ্চর্য কাহিনি শুনেছিলেন ।
7. ‘ অলৌকিক ’ গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো ।
Ans: ‘ নামকরণের তাৎপর্য অংশটি দ্যাখো ।
8. ‘ অবাক – বিহ্বল বসে আছি , মুখে কথা নেই । মুখে কথা নেই কেন ?
অথবা , পাঞ্জাসাহেবে পৌছে এক আশ্চর্য ঘটনার কথা জানতে পারি ।’— ‘ আশ্চর্য ঘটনা ‘ – টির বর্ণনা দাও ।
Ans: ‘ অলৌকিক ‘ গল্পের কথক তাঁর মায়ের বান্ধবীর কাছে পাঞ্জাসাহেবের সাধারণ মানুষের আত্মদানের এক আশ্চর্য ঘটনার কথা জানতে পারেন । ইংরেজরা একবার নিরস্ত্র ভারতীয়দের ওপর গুলি চালালে অনেক মানুষের মৃত্যু হয় । জীবিত বাকিদের ট্রেনে করে অন্য শহরের জেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত আশ্চর্য ঘটনায় মুখে কথা নেই নেয় ইংরেজ সরকার । সেইসঙ্গে ওপরতলা আসে ক্ষুধার্ত – তৃষ্ণার্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এই ট্রেনটিকে কোথাও থামানো হবে না । কিন্তু এমনও নির্দয় আদেশ পাঞ্জাসাহেবের মানুষেরা মেনে নিতে পারেনি । তারা সকলে মিলে রুটি , পায়েস , লুচি – ডাল স্টেশনে এনে জড়ো করে । তাদের সমবেত আবেদন সত্ত্বেও কিছু না – হওয়ায় পাঞ্জাসাহেবের মানুষেরা ট্রেন থামাতে আরও বদ্ধপরিকর হয়ে শেষে পুরুষ – মহিলা ও শিশু পরপর সারিবদ্ধভাবে সবাই রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়ে । তীব্র বেগে এগিয়ে আসা ট্রেন গতি কমালেও অনেক মানুষের বুকের ওপর দিয়ে চলে যাওয়ার পরে থামে । মৃতদের মধ্যে সেই মহিলার স্বামীও ছিলেন । এরপর তিনি স্বচক্ষে দেখেছিলেন খালপারের সেতু ভেসে গিয়েছিল রক্তের স্রোতে ।
9. ‘ চোখের জলটা তাদের জন্য । –বক্তা কাদের জন্য চোখের জল উৎসর্গ করেছেন ? যে ঘটনায় বক্তার চোখে জল এসেছিল সে ঘটনাটি সংক্ষেপে লেখো ।
Ans: ‘ অলৌকিক ‘ গল্পের কথক তাঁর মায়ের বান্ধবীর কাছে পাঞ্জাসাহেবের সাধারণ মানুষের আত্মদানের এক আশ্চর্য ঘটনার কথা জানতে পারেন । নিজেদের জীবন বিপন্ন করে , ট্রেন থামিয়ে যারা খিদে – তেষ্টায় কাতর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের খাবার পৌঁছে দিয়েছিল । সেই মানুষদের জন্য চোখের জল উৎসর্গ করেছিলেন লেখক ।
দ্বিতীয় অংশের উত্তরের জন্য ৯ নং প্রশ্নের উত্তরটি দ্যাখো ।
10. ‘ মায়ের বান্ধবী আমাদের সমস্ত ঘটনাটা শোনালেন , ‘ — ঘটনাটি কী ছিল ? ফলে বক্তার মানসিকতার কী পরিবর্তন ঘটেছিল ?
Ans: প্রথম অংশের উত্তরের জন্য ৯ নং প্রশ্নের উত্তরটি দ্যাখো ।
গল্পটি শুনে লেখক যন্ত্রণা ও দুঃখে বিহ্বল হয়ে যান ; সেইসঙ্গে উপলব্ধি করেন মানুষের সাহস , দৃঢ়তা , ত্যাগ ও সংকল্পের অকল্পনীয় শক্তির জোর । তিনি টের পান অনমনীয় প্রতিজ্ঞা আর ইচ্ছাশক্তির ওপর ভর করে মানুষ আপাতভাবে অসম্ভবকেও সম্ভব করে তুলতে পারে । এ কথা অনুভব করে পাঞ্জাসাহেবের মানুষগুলোর জন্য যেমন তাঁর চোখ জলে ভরে ওঠে তেমনই নানকের অবিশ্বাস্য গল্পটিকেও সম্পূর্ণ বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয় ।
11. ছোটোগল্প হিসেবে ‘ অলৌকিক ‘ গল্পটির সার্থকতা বিচার করো ।
Ans: সাহিত্যের ক্ষেত্রে ছোটোগল্প মণিমুক্তোর মতো মূল্যবান সামগ্রী । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ বর্ষাযাপন ‘ কবিতায় বলেছেন—
“ ছোটো প্ৰাণ , ছোটো ব্যথা , ছোটো ছোটো দুঃখকথা নিতান্তই সহজসরল ,
অতৃপ্তি রবে
সাঙ্গ করি মনে হবে
শেষ হয়ে হইল না শেষ । ”
বক্তার মানসিকতার যে ধরনের পরিবর্তন অন্তরে অর্থাৎ ছোটোগল্প আকারে ছোটো হবে এবং গল্পও হবে এবং গল্পের শেষে অন্তরে অতৃপ্তির রেশ থাকবে ও জীবনের বৃহৎ চেতনা ফুটে উঠবে । ছোটোগল্পের এই আঙ্গিকে বিচার করব কর্তার সিং দুগ্গালের ‘ অলৌকিক ‘ গল্পটি ছোটোগল্প হিসেবে কতখানি সার্থক ।
‘ অলৌকিক ’ গল্পটি হল আপাতভাবে
অসম্ভব কোনো ঘটনা সম্পর্কে জীবনের অভিজ্ঞতার শিক্ষায় বিশ্বাসযোগ্যতা গড়ে
ওঠার এক অসামান্য কাহিনি । দুটি ভিন্ন সময়ের ঘটনাকে যুক্ত করেছে
পাঞ্জাসাহেব নামে একটি স্থান , যা গুরু নানকের স্পর্শধন্য । এখানেই তিনি
পাথুরে ধূসর জঙ্গলে জলের ঝরনা বইয়ে দিয়ে শিষ্য মর্দানার তৃষ্ণা
মিটিয়েছিলেন । ঈর্ষাপরায়ণ বলী কান্ধারীর ছোটোগল্প হিসেবে ঘাতক পাথরের
চাঙড়টিকে হাত দিয়ে থামিয়ে ‘ অলৌকিক ‘ গল্পটির চিরকালীন অলৌকিকতার জন্ম
দিয়েছিলেন । সার্থকতা লেখক কর্তার সিং দুগ্গাল অবিশ্বাস্য এই ঘটনাকে
বাস্তবসম্মত করে তোলেন সম্পূর্ণ অন্য একটি ঘটনার নিরিখে । তিনি সংক্ষিপ্ত
আয়তনে নাটকীয় দক্ষতায় এ – দুটি কাহিনির মধ্যে যোগসূত্র রচনা করেন ।
পাঞ্জাসাহেবের সাধারণ মানুষ খিদে – তেষ্টায় কাতর স্বাধীনতা – সংগ্রামীদের
মুখে পৌঁছে দেয় রুটি ও জল । এই উদ্দেশ্যপুরণের লক্ষ্যে তারা নিজেদের জীবন
বিপন্ন করে ঝড়ের গতিতে এগিয়ে আসা ট্রেনকে আটকাতে রেললাইনের ওপর শুয়ে
পড়ে । লেখক উপলব্ধি করেন মায়ের মুখে শোনা নানকের যে গল্প অবাস্তব বলে মনে
হয়েছিল , পাঞ্জাসাহেবের ঘটনায় তা যেন মানবীয় সম্ভাব্যতার স্বীকৃতি
আদায় করে নেয় । তাই তিনি উপলব্ধি করেন , মানুষ ত্যাগ – নিষ্ঠা – সাহস ও
মহত্ত্বের জোরে অসাধ্যসাধন করতে পারে , সীমিত চরিত্রে ও একমুখী ঘটনার ঘাত –
প্রতিঘাতে গল্পকার সেই সত্যকেই ফুটিয়ে তোলেন । এভাবেই ‘ অলৌকিক ’ একটি
সার্থক ছোটোগল্প হয়ে ওঠে ।