পরিচ্ছেদ ১ : কৃষি
MCQ প্রশ্নোত্তর | | HS Geography Question and Answer :
- আখ উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করে ( 2011 সাল অনুযায়ী ) –
(A) ভারত
(B) পাকিস্তান
(C) ব্রাজিল
(D) বাংলাদেশ
Ans: (C) ব্রাজিল
- শস্যাবর্তনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো—
(A) অধিক ফসল ফলানো
(B) মাটির উর্বরতা
(C) মাটির আর্দ্রতা বৃদ্ধি
(D) কৃষিজমির পরিমাণ বৃদ্ধি
Ans: (C) মাটির আর্দ্রতা বৃদ্ধি
- কৃষিকাজ হলো একধরনের—
(A) প্রকৃতিনির্ভর
(B) সেবামূলক
(C) প্রযুক্তিনির্ভর
(D) সামাজিক কাজ
Ans: (A) প্রকৃতিনির্ভর
- স্থানান্তর কৃষি ভারত ও বাংলাদেশে কী নামে পরিচিত ?
(A) তামরাই
(B) লাদাং
(C) জুম
(D) রোকা
Ans: (C) জুম
- একটি মূল শস্য চাষের মাঝে আর একটি অপ্রধান শস্য চাষকে বলে—
(A) আর্দ্র কৃষি
(B) শুষ্ক কৃষি
(C) স্থানান্তর কৃষি
(D) interculture কৃষি
Ans: (D) interculture কৃষি
- ধানের ক্ষেত্রে সবুজ বিপ্লবের সূচনা হয় –
(A) মানালিতে
(B) ম্যানিলাতে
(C) ভিয়েনাতে
(D) বাংলাদেশে
Ans: (A) মানালিতে
- দক্ষিণ ও দক্ষিণ – পূর্ব এশিয়ার জনবহুল দেশগুলিতে কোন পদ্ধতিতে কৃষিকাজ হয় ?
(A) ব্যাপক
(B) নিবিড়
(C) বাজারভিত্তিক
(D) বাগিচা
Ans: (B) নিবিড়
- ওলেরিকালচার – এ কোন শাকসবজির চাষ হয় ?
(A) গোলাপ
(B) পেয়ারা
(C) কলা
(D) কুমড়ো
Ans: (D) কুমড়ো
- পাকিস্তানের উল্লেখযোগ্য কৃষিজ ফসল
(A) চা
(B) পাট
(C) রবার
(D) তুলা
Ans: (D) তুলা
- যিনি প্রথম ‘ শস্য সমন্বয় ‘ ধারণাটির অবতারণা করেন , তিনি হলেন–
(A) ই . ডব্লিউ জিমারম্যান
(B) ভন থুনেন
(C) আলফ্রেড ওয়েবার
(D) জে.সি. উইভার
Ans: (D) জে.সি. উইভার
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল – অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Geography Question and Answer :
- মিলেট কী ?
Ans: জোয়ার , বাজরা , রাগি প্রভৃতি ক্ষুদ্র দানাশস্যকে একসাথে মিলেট বলে ।
- বাংলাদেশের একটি পার্ট উৎপাদক অঞ্চলের নাম লেখো ।
Ans: বাংলাদেশের ফরিদপুর , যশোর , কুষ্টিয়া , পাবনা , রংপুরে পাট পাওয়া যায় ।
- দক্ষিণ – পূর্ব এশিয়ার একটি বাগিচা ফসলের নাম লেখো ।
Ans: দক্ষিণ – পূর্ব এশিয়ার একটি বাগিচা ফসল হলো রাবার ।
- গম চাষের অনুকূল জলবায়ু কোনটি ?
Ans: গম চাষের জন্য নাতিশীতোয় জলবায়ু আদর্শ ।
- আখ চাষের জন্য কীরকম উন্নতা প্রয়োজন ?
Ans: আখ চাষের জন্য 20 ° C থেকে 26 ° C উন্নতার প্রয়োজন ।
- মালয়েশিয়াতে স্থানান্তর কৃষির স্থানীয় নাম কী ?
Ans: মালয়েশিয়াতে স্থানান্তর কৃষির নাম হলো Ladang ( লাদাং ) ।
- কফি কোন জলবায়ু অঞ্চলের ফসল ।
Ans: কফি উয় – ক্রান্তীয় জলবায়ু অঞ্চলের ফসল ।
- পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধান উৎপাদক দেশ কোনটি ? Ans: চিন ।
- পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি কাকে বলে ?
Ans: আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেইরি অঞ্চল ।
- পোমাম কালচার কী ?
Ans: সারাবছর পাওয়া যায় এমন ফল ও মরসুমি ফলের চাষকে পোমাম কালচার বলে ।
- পাকিস্তানিরা কোন ফসলকে সাদা সোনা বলে ?
Ans: কার্পাসকে পাকিস্তানিরা ‘ সাদা সোনা ‘ বলে ।
- ‘ সোনালি তত্ত্ব ‘ কোন ফসলকে বলা হয় ?
Ans: পাটকে ‘ সোনালি ততু ’ বলা হয় ।
- ব্রাজিলের বৃহত্তম আখ উৎপাদক রাজ্য কোনটি ?
Ans: সাওপাওলো ব্রাজিলের বৃহত্তম আখ উৎপাদন রাজ্য ।
- রবিশস্য কাকে বলে ?
Ans: যেসব ফসলের চাষ শীতের প্রারম্ভে করা হয় ও বর্ষার শুরুতে ফসল তোলা হয় তাদের রবিশস্য বলে । যেমন — গম , তৈলবীজ ।
- শস্যাবর্তন কী ?
Ans: যে প্রক্রিয়ায় একই জমিতে এক ফসল চাষ না করে ভিন্ন ভিন্ন ফসল পর্যায়ক্রমে চাষ করা হয় সেই প্রক্রিয়াকে শস্যাবর্তন বলে ।
- ICAR অনুযায়ী ভারতের তুলা অঞ্চল কোনটি ?
Ans: ICAR অনুযায়ী ভারতের তুলা অঞ্চল হলো মহারাষ্ট্র , গুজরাট , কর্নাটক ও তামিলনাড়ুর ডেকান ট্র্যাপ অঞ্চল ।
- শীতকালীন গম পৃথিবীর কোথায় চাষ হয় ?
Ans: শীতকালীন গম পৃথিবীর যে সমস্ত দেশে চাষ হয়ে থাকে সেগুলি হলো চিন , জাপান , অস্ট্রেলিয়া ও ভারত ইত্যাদি ।
- CBD কাকে বলে ?
Ans: নগর বা শহরের কেন্দ্রে তৃতীয় স্তরের অর্থনৈতিক কাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত অঞ্চলকে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য এলাকা বা Central Business District বা CBD বলে ।
- সবুজ বিপ্লব কী ?
Ans: 1960 – এর দশকে ভারতের খাদ্য সমস্যা সমাধানকল্পে কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক উপকরণ প্রয়োগের মাধ্যমে উত্তর – পশ্চিম ভারতে কৃষিজাত শস্য উৎপাদনে প্রধানত গম চাষে যে অভাবনীয় অগ্রগতি দেখা যায় তাকেই সবুজ বিপ্লব বলে ।
- ফ্লোরিকালচার কী ?
Ans: সারাবছর ধরে ফোটে এমন ফুল , মরসুমি বা ঋতুভিত্তিক ফুল এবং বিভিন্ন ধরনের পাতাবাহারি গাছের চাষকে ফ্লোরিকালচার বলা হয় ।
- পৃথিবীর ফুসফুস কাকে বলে ?
Ans: আমাজন অববাহিকায় অবস্থিত নিরক্ষীয় বৃষ্টি অরণ্য অত্যধিক পরিমাণ CO , শোষণ ও O , উৎপাদনের করে বলে একে ‘ পৃথিবীর ফুসফুস ‘ নামে আখ্যায়িত করা হয় ।
- দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব কী ?
Ans: 2004 সালে ভারত সরকার বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্যের জোগান সুনিশ্চিত ও পরিবেশের অবনমন রোধ এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সকল প্রকার ফল উৎপাদনের উপর গুরুত্ব আরোপ করে , একে দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব বলে ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল – অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Geography Question and Answer :
- পশ্চিমবঙ্গে ভারতের অধিকাংশ পাট উৎপন্ন হওয়ার কারণ কী ? পৃথিবীর কোন কোন অঞ্চলে শুষ্ক কৃষি ব্যবস্থার প্রচলন আছে ?
Ans: ভারতের তত্তুজ ফসলগুলির মধ্যে অন্যতম হলো পাট । পাট উৎপাদনে ভারত বর্তমানে পৃথিবীতে প্রথম এবং পশ্চিমবঙ্গ ভারতের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে । পশ্চিমবঙ্গের মোট পাট উৎপাদনের প্রায় 74 % গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে উৎপন্ন হয় । পশ্চিমবঙ্গে ভারতের অধিকাংশ পাট উৎপন্ন হওয়ার কারণগুলি হলো—
- অনুকূল জলবায়ু : পাট চাষের জন্য গড়ে 22 ° –32 ° C উয়তা এবং 120 250 : সন্টিমিটার বৃষ্টিপাত আবশ্যিক । পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় ব – দ্বীপ অঞ্চলে এই ধরনের জলবায়ুগত অবস্থা থাকায় অঞ্চলটি পাট চাষে উন্নত ।
- উর্বর পলিমৃত্তিকা : ব – দ্বীপ এবং ভারী দোআঁশ মাটিতে পাট চাষ ভালো হয় । এই কারণে পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় ব – দ্বীপ অঞ্চলে পাট চাষ উন্নতি লাভ করেছে ।
- সমতল ভূমিভাগ : সমতল ভূপ্রকৃতি পাট চাষের জন্য প্রয়োজন কারণ সমতল ভূ – ভাগে জল জমে থাকতে পারে । পশ্চিমবঙ্গ সমতল ভূভাগ হওয়ায় পাট চাষের পক্ষে সহায়ক ।
- জলাশয়ের প্রাচুর্য : পাট গাছ থেকে আঁশ ছাড়ানোর জন্য আবদ্ধ জলাশয়ে পাট পচাতে হয় । পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে প্রচুল খাল বিল , পুকুর ডোবা প্রভৃতি আবদ্ধ জলাশয় আছে । তাই পাট পচাতে সুবিধে হয় ।
পৃথিবীর যে সমস্ত অঞ্চলে শুষ্ক কৃষির প্রচলন আছে সেগুলি হলো— 1) উত্তর – পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারত 2) উত্তর আমেরিকার পশ্চিমাংশে 3) মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা 4) দক্ষিণ আফ্রিকার ওষ্ক মালভূমি 5) পশ্চিম ও মধ্য এশিয়ায় 6) অস্ট্রেলিয়ায় এই কৃষি পদ্ধতি প্রচলিত আছে ।
- কিউবা ইক্ষু চাষে উন্নত কেন ? ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চল ফল উৎপাদনে বিখ্যাত কেন ?
Ans: কিউবা ইক্ষু চাষে উন্নত , কারণ :
1) উপযুক্ত জলবায়ু : ইক্ষু চাষের জন্য দৈনিক 25 ° সেন্টিগ্রেড উয়তা প্রয়োজন এবং মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের ( 150-200 সেমি ) প্রয়োজন । এইরকম অনুকুল জলবায়ু কিউবাতে অবস্থান করায় দেশটি ইক্ষু চাষে উন্নতি লাভ করেছে । মৃত্তিকা : এঁটেল , দোঁআশ মৃত্তিকায় ইক্ষু চাষ ভালো হয় । আখের জমি উঁচু ও সমতল হওয়ায় এই দেশে ইক্ষু চাষ উন্নতি লাভ করেছে । নালা পদ্ধতি : নালা পদ্ধতি থাকায় চারা গজানো সহজ হয় । নালা আস্তে আস্তে মৃত্তিকা দ্বারা ভরাট হওয়ার ফলে গাছের গোড়া খুব দৃঢ়ভাবে মৃত্তিকায় আটকে থাকে ৷
ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ফল চাষের উন্নতির অন্যতম প্রধান কারণ হলো—
এখানকার জলবায়ু ও প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকুল বলে এই অঞ্চলটিতে ফল চাষের উন্নতির জন্য একে পৃথিবীর ফলের ঝুড়ি বা পৃথিবীর ফলের বাগান বলা হয়ে থাকে । এই অঞ্চলের ফল চাষের উন্নতির কারণগুলি হলো 1) ঝিরঝিরে বৃষ্টিপাত ফলের মধ্যে রসের পরিমাণ বাড়ায় । 2) বৃষ্টিপাত কম হলে জলসেচের সাহায্যে তা পূরণ করা হয়ে থাকে । 3) নাতিউচ্চ পাহাড়ি অঞ্চলে বাগান বা উদ্যান নির্মাণ সহজ । 4) বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকায় ফল চাষের উপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ।
- শস্যসমন্বয় কী ? ভারতের বিভিন্ন শস্যসমন্বয় অঞ্চল চিহ্নিত করো ।
Ans: শস্যসমন্বয় : কোনো একটি নির্দিষ্ট কৃষিজমিতে যেসব ফসল উৎপাদিত হয় তার ভিত্তিতে যে শস্যের বিন্যাস গড়ে ওঠে , তাকে বলা হয় শস্যসমন্বয় ।
ভারতে শস্যসমন্বয় অঞ্চল : উইভার পদ্ধতিতে 2003-06 সালে জেলাভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে ভারতকে ৪ টি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয় যাতে ধান , গম , ভুট্টা , ছোলা , বালি , তৈলবীজ , তুলা , আখ , বাজরা ও মিলেট রয়েছে ।
1) একফসলি এলাকা : পূর্ব ভারতে নিম্ন ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা , পশ্চিমবঙ্গ , বিহার , ওড়িশা , ছত্তিশগড় , তামিলনাড়ু , কেরালা , কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রের উপকূলে একফসলি ধান এবং রাজস্থান ও গুজরাট একফসলি বাজরা চাষ প্রচলিত ।
2) দ্বিফসলি এলাকা : উত্তর পশ্চিম ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা দ্বিফসলি গম ও ধান এবং গুজরাট , মধ্যপ্রদেশ , মহারাষ্ট্র , কর্ণাটক , অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু দ্বিফসলি তুলা ও জোয়ার চাষে প্রসিদ্ধ ।
3) ত্রিফসলি এলাকা : উত্তর পূর্ব ভারতের হিমাচল প্রদেশে ধান , ভুট্টা ও গম , উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাংশে গম , ধান ও আখ রাজস্থানের উত্তর পশ্চিমাংশে বাজরা , তৈলবীজ ও ভুট্টা ইত্যাদি ত্রিফসলি এলাকা লক্ষ কর যায় ।
- সবুজ বিপ্লবের ফলে ভারতীয় কৃষির সুফলগুলি উল্লেখ করো । ভারতে নীল বিপ্লবের কারণ উল্লেখ করো ।
Ans: সবুজ বিপ্লবের সুফল : সবুজ বিপ্লবের ফলে কৃষিজাত শস্যের ( ধান , গম ) উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে উচ্চফলনশীল বীজ , রাসায়নিক সার , কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে হেক্টর প্রতি উৎপাদন বৃদ্ধি পায় ® সবুজ বিপ্লবের ফলে কৃষিজমির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে । খাদ্য সমস্যার সমাধান হয়েছে । © গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে । কৃষকের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে । কৃষি ও শিল্পের যোগসূত্র স্থাপন হয়েছে । বাজারমুখী চাষের প্রবণতা বেড়েছে , খাদ্যশস্যের আমদানি হ্রাস ও রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ।
ভারতে নীল বিপ্লব : সত্তর দশক নাগাদ ভারত সরকারের উদ্যোগে উন্নত আধুনিক মৎস্য প্রজনন , আহরণ , প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে যে অভূতপূর্ব ও বৈপ্লবিক উন্নয়ন ঘটে , তাকে নীল বিপ্লব বলে । ভারতের নীল বিপ্লবের জনক বলা হয় ড : অরূপ কৃষ্ণাণকে ।
ভারতে নীল বিপ্লবের কারণগুলি হলো—
1) প্রযুক্তিগত উন্নয়ন : Indian Council of Agriculture Research গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করে বিভিন্ন জলজ প্রাণীর আহরণের কৌশল ও উদ্ভাবনের চেষ্টা চালাচ্ছে ।
- আধুনিক মৎস্য সংগ্রহ : অন্তর্দেশীয় নদী ও উপকূলীয় অঞ্চলে আধুনিক মৎস্য ছেড়ে অল্প দিনে যাতে বেশি মাত্রায় মৎস্যের উৎপাদন হয় তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।
- হিমাগার স্থাপন : মৎস হিমায়িতকরণ ও সংরক্ষণের জন্য ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে যথা — কোচি , কোল্লাম , মুম্বই , পুনে , তিরুবনন্তপুরম – এ সুবিশাল হিমাগার গড়ে তোলা হয়েছে ।
- অন্যান্য : মাছের চিকিৎসা এবং কৃত্রিম প্রজননের ব্যবস্থা , প্রোটিন জাতীয় খাদ্য সরবরাহ , মৎস্য বন্দর স্থাপন , হ্যাচারি স্থাপন ইত্যাদির ফলে নীল বিপ্লবের দ্রুত বিকাশ হয়েছে ।
পরিচ্ছেদ ২ : শিল্প
MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল – অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Geography Question and Answer :
- দ্রব্যসূচক ‘ 1 ’ অপেক্ষা যত কম হবে শিল্পের অবস্থান ততই—
(A) কাঁচামাল উৎসের নিকট হবে
(B) বাজার কেন্দ্র
(C) কাঁচামাল ও বাজারের মধ্যবর্তী স্থানে হবে
(D) এর মধ্যে কোনোটিই নয়
Ans: (B) বাজার কেন্দ্র
- টোকিও – ইয়োকোহামা শিল্পাঞ্চলের প্রধান শিল্প হলো—
(A) পাট শিল্প
(B) লৌহ – ইস্পাত শিল্প
(C) কার্পাস শিল্প
(D) মাংস শিল্প
Ans: (B) লৌহ – ইস্পাত শিল্প
- নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলে কার্পাসবয়ন শিল্পের অবনতির কারণ—
(A) নগরায়ণ
(B) শ্রমিক – মালিক বিরোধ
(C) বন্দরের অভাব
(D) প্রতিকূল জলবায়ু
Ans: (A) নগরায়ণ
- ভারতের প্রথম নিউজপ্রিন্ট কারখানা গড়ে ওঠে—
(A) মধ্যপ্রদেশের নেপানগরে
(B) কর্নাটকের ভদ্রাবতী
(C) কেরালার নিউজপ্রিন্ট নগরে
(D) শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায়
Ans: (A) মধ্যপ্রদেশের নেপানগরে
- আইসোটিম হলো—
(A) সমপরিবহণ ব্যয়রেখা
(B) যৌথ পরিবহণ ব্যয়রেখা
(C) সমমুনাফা
(D) কোনোটিই নয়
Ans: (A) সমপরিবহণ ব্যয়রেখা
- পৃথিবীর মোটরগাড়ির রাজধানী বলা হয়—
(A) আলবামা
(B) কানসাস
(C) ডেট্রয়েট
(D) বাউলিন গ্রিন – কে
Ans: (C) ডেট্রয়েট
- ভারতের বৃহত্তম রেলইঞ্জিন কারখানাটি অবস্থিত
(A) আমেদাবাদ
(B) চিত্তরঞ্জন
(C) জামশেদপুর
(D) সালেম – এ
Ans: (B) চিত্তরঞ্জন
- কার্পাস বস্ত্রবয়ন শিল্প গড়ে তোলার উপযুক্ত স্থান হলো
(A) কার্পাস উৎপাদক অঞ্চলের কাছে
(B) বাজারের কাছে
(C) নদীর ধারে
(D) বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কাছে
Ans: (A) কার্পাস উৎপাদক অঞ্চলের কাছে
- শিল্প গড়ে তোলার পক্ষে আদর্শ স্থান হলো—
(A) যেখানে আইসোডোপেনের মান সবচেয়ে বেশি
(B) আইসোডোপেনের মান সবচেয়ে কম
(C) আইসোটিমের মান সবচেয়ে কম
(D) আইসোটিমের মান সবচেয়ে বেশি
Ans: (B) আইসোডোপেনের মান সবচেয়ে কম
- প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের উৎপাদন , ব্যবহার ও রপ্তানিতে বিশ্বে প্রথম কোন দেশ ?
(A) জাপান
(B) জার্মানি
(C) অস্ট্রেলিয়া
(D) আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র
Ans: (D) আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র
- রাউরকেল্লা স্টিল প্ল্যান্ট গড়ে উঠেছে—
(A) অজয় নদীর
(B) দামোদর নদীর
(C) কংসাবতী নদীর
(D) ব্রাহ্মণী নদীর – বামতীরে
Ans: (D) ব্রাহ্মণী নদীর – বামতীরে
- কার্পাসবয়ন শিল্পের যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানা ( TEXMACO ) অবস্থিত—
(A) বর্ধমান জেলার রূপনারায়ণপুরে
(B) কলকাতার কাছে বেলঘরিয়ায়
(C) তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে
(D) রাঁচির কাছে হাতিয়াতে
Ans: (B) কলকাতার কাছে বেলঘরিয়ায়
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল – অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Geography Question and Answer :
- Foot – Loose শিল্প কাকে বলে ?
Ans: যেসকল শিল্পের বস্তুসূচক বা পণ্যসূচক 1 হয় , তাদের Foot – Loose শিল্প বলে ।
- পেট্রোরসায়ন শিল্পের প্রধান কাঁচামাল ?
Ans: প্রধান কাঁচামাল হলো ন্যাপথা যা খনিজ তেলের উপজাত দ্রব্য ।
- দোহ শিল্পে কোন রাজ্য পথিকৃৎ ?
Ans: দোহ শিল্পে গুজরাট রাজ্য পথিকৃৎ ।
- কাগজ শিল্পের কাঁচামাল কী কী ?
Ans: কাগজ শিল্পের কাঁচামালগুলি হলো পাট তুলো ইত্যাদি ।
- পেট্রোরসায়ন শিল্পের কাঁচামালগুলি কী ?
Ans: কৃত্রিম ততু , পলিমার , ইলাসটোমার ইত্যাদি ।
- ধাতুমল কী ?
Ans: মারুৎ চুল্লির তলদেশের নির্গম পথ দিয়ে বের হওয়া অপদ্রব্যকে ধাতুমল বলে ।
- ভারতের বৃহত্তম মোটরগাড়ি নির্মাণ কোম্পানির নাম কী ?
Ans: ভারতের বৃহত্তম মোটরগাড়ি নির্মাণ কোম্পানি হলো মারুতি উদ্যোগ লিমিটেড ।
- কোন ঘটনাকে পৃথিবীর বৃহত্তম শিল্প বিপর্যয় বলা হয় ?
Ans: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনাকে পৃথিবীর বৃহত্তম শিল্প বিপর্যয় বলা হয় ।
- ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগারের নাম কী ?
Ans: গুজরাটের জামনগর ।
- ময়দা শিল্পের বিকাশের জন্য কী ধরনের আবহাওয়া প্রয়োজন ?
Ans: শুষ্ক আবহাওয়ার প্রয়োজন ।
- জার্মানির ম্যাস্টোর বলা হয় কোন শহরকে ?
Ans: ম্যাডবাক শহরকে ।
- জামশেদপুরের নিকটে মোটরগাড়ি নির্মাণ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে কেন ?
Ans: মোটরগাড়ি নির্মাণ শিল্পের প্রধান কাঁচামাল ইস্পাত পাওয়ার সুবিধা রয়েছে ।
- ভারতের ইস্পাত নগরী কাকে বলে ?
Ans: বন্দরনির্ভর অধাতব শিল্প হলো পেট্রোরসায়ন শিল্প ।
- লোশ – এর শিল্প স্থাপনের মূলতত্ত্বটি কী ?
Ans: লোশ এর মূলতত্ত্ব হলো বাজার কেন্দ্রে যেখানে মুনাফা সর্বাধিক শিল্পটি সেখানে গড়ে উঠবে ।
- ভারতের বৃহত্তম জাহাজ নির্মাণ কারখানা কোথায় অবস্থিত ?
Ans: অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে ।
- বন্দরনির্ভর অধাতব শিল্প কোনটি ?
Ans: নটিক্যাল মাইল চওড়া নির্দিষ্ট উপকূল বলয়কে EEZ বা Exclusive Economic Zone বলা হয় ।
- রেডিমেড পোশাক উৎপাদনকারী ভারতের রাজ্যগুলির নাম লেখো ।
Ans: রাজ্য — অন্ধ্রপ্রদেশ , কেরালা , উত্তরপ্রদেশ , তামিলনাড়ু , মহারাষ্ট্র , ওড়িশা , পশ্চিমবঙ্গ ।
- স্প আয়রন কাকে বলে ?
Ans: উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে মারুৎ চুল্লিতে আকরিক লোহা গলিয়ে সরাসরি টুকরো টুকরো খণ্ড প্রস্তুত হয় । একে স্পঞ্জ আয়রন বলে ।
- NIFT- এর Full name কী ?
Ans: NIFT – National Institute of Fashion Technology যার তৈরি পোশাক অত্যন্ত জনপ্রিয় ।
- এশিয়ার বৃহত্তম ইস্পাত কেন্দ্রের নাম কী ? Ans: জাপানের Nippon Steel কেন্দ্রটি এশিয়ার বৃহত্তম ইস্পাত কেন্দ্র ।
- বস্তুসূচক বা পণ্যসূচক বা দ্রব্যসূচক কাকে বলে ?
Ans: মোট কাঁচামালের ওজন ও মোট উৎপাদিত দ্রব্যের ওজনের অনুপাতকে দ্রব্যসূচক বা বস্তুসূচক বা পণ্যসূচক বলে ।
- ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প কাকে বলে ?
Ans: লৌহ – ইস্পাতজাত দ্রব্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি , কলকবজা , যন্ত্রাংশ তৈরি করা হয় , একে বলা হয় ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প ।
- অনুসারী শিল্প কী ?
Ans: যেসব ক্ষুদ্রায়তন শিল্প বৃহদায়তন শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে , তাদের অনুসারী শিল্প বলে ।
- ‘ আইসোটিম ‘ কাকে বলে ?
Ans: ওয়েবারের মতে , কাঁচামালের পরিবহণ ব্যয় ও উৎপাদিত দ্রব্যের পরিবহণ ব্যয়কে পৃথকভাবে যে রেখা দ্বারা প্রকাশ করা হয় , তাকে আইসোটিম বলে ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল – অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Geography Question and Answer :
- পূর্ব ভারতে লৌহ – ইস্পাত শিল্পের একদেশীভবনের কারণ লেখো । ভারতে রেডিমেড পোশাক শিল্প গড়ে ওঠার কারণগুলি আলোচনা করো ।
Ans: পূর্ব ভারতে লৌহ – ইস্পাত শিল্পের একদেশীভবনের কারণ :
- আকরিক লোহা : ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ , ছত্তিশগড়ের বাইলাডিলা , বিহারের সিংভূম প্রভৃতি অঞ্চল থেকে এই শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল পাওয়া যায় ।
- বিদ্যুৎ শক্তির জোগান : মাইথন , হিরাকুঁদ , তিলাইয়া প্রভৃতি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলবিদ্যুতের সুবিধা থাকায় এই শিল্প গড়ে উঠেছে ।
- জলের জোগান : মহানদী , সুবর্ণরেখা , দামোদর প্রভৃতি নদীর জল এই শিল্পে সরবরাহের সুবিধা থাকায় শিল্প গড়ে উঠেছে ।
- উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা : উন্নত রেলপথ ও উন্নত সড়কপথ থাকায় এই শিল্প গড়ে উঠেছে ।
- অন্যান্য কারণ : দক্ষ শ্রমিক , বন্দরের সুবিধা , স্থানীয় বাজারে চাহিদা প্রভৃতির সুবিধা থাকায় এই শিল্প গড়ে উঠেছে ।
ভারতে রেডিমেড পোশাক শিল্প গড়ে ওঠার কারণ : বস্ত্রবয়ন শিল্প বা রেডিমেড পোশাক শিল্প গড়ে ওঠার কারণগুলি হলো—
- কাঁচামালের প্রাচুর্য : ভারতের পশ্চিম ও দক্ষিণাংশে অর্থাৎ গুজরাট , মহারাষ্ট্র , তামিলনাড়ু প্রভৃতি রাজ্যে কৃয়মৃত্তিকা অবস্থান করায় তুলা উৎপাদন ভালো হয় , ফলে এই শিল্প গড়ে উঠতে সাহায্য করেছে ।
- জলবায়ু : ভারতের পশ্চিম ও দক্ষিণাংশের রাজ্যগুলি সমুদ্র উপকূলের আর্দ্র জলবায়ুর অন্তর্গত হওয়ায় এই শিল্প গড়ে উঠতে সহায়ক হয়েছে ।
- জলসেচ ও বিদ্যুৎ শক্তি : উন্নত জলসেচের সুবিধা ও বিদ্যুৎ শক্তির জোগান থাকায় পাঞ্জাব , মহারাষ্ট্র , গুজরাট প্রভৃতি রাজ্যে তুলা চাষ সুন্দরভাবে হওয়ায় এই শিল্প গড়ে উঠেছে ।
- তত্ত্ব বা ফাইবারের সহজলভ্যতা : ভারতের অনেক রাজ্যে তত্ত্ব চাষ করা হয় যা বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করে । এই শিল্পে ফাইবার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় ।
- চাহিদা ও বাজার : ভারত এক বিশাল জনবহুল দেশ হওয়ায় এই শিল্পের উৎপাদিত দ্রব্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে । উৎপাদিত দ্রব্য পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বাজার জাত করার সুবিধা থাকায় এই শিল্প গড়ে উঠেছে ।
- দুর্গাপুরকে ভারতের রুঢ় বলা হয় কেন ? অথবা , পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে লৌহ – ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার কারণ ?
Ans: দুর্গাপুরকে ভারতের রুঢ় বলা হয় । এই শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠার কারণগুলি হলো—
- আকরিক লোহা : ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ ও ঝাড়খণ্ডের সিংভুম জেলার উন্নত মানের আকরিক লোহার সুবিধা থাকায় দুর্গাপুরে এই শিল্প গড়ে উঠেছে ।
- কয়লা : পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ( রানিগঞ্জ , ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়া ) থেকে উন্নত মানের কয়লার জোগান এই শিল্প গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে ।
- ম্যাঙ্গানিজ , ডলোমাইট ও চুনাপাথর : ওড়িশার বোনাই থেকে ম্যাঙ্গানিজ , ঝাড়খণ্ডের বড়োজামদার থেকে ম্যাঙ্গানিজ , সুন্দরবন থেকে ডলোমাইট পাওয়ার সুবিধা ।
- জল : দামোদর নদের নিকটবর্তী হওয়ায় খুব সহজেই এই নদ থেকে জল পাওয়ার সুবিধা ।
- বিদ্যুৎ শক্তি : Damodar Valley Corporation থেকে জলবিদ্যুৎ পাওয়ার সুবিধা ।
- দক্ষ শ্রমিক : স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে দক্ষ শ্রমিক পাওয়ার সুবিধা ।
- যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থা : উন্নত রেলপথ , সড়কপথ ও দামোদর নদের মাধ্যমে সহজেই উৎপাদিত পণ্য ও কাঁচামাল আদান – প্রদান করা হয় ।