উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল – অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর

 পরিচ্ছেদ ১ : কৃষি

MCQ প্রশ্নোত্তর | | HS Geography Question and Answer : 

  1. আখ উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করে ( 2011 সাল অনুযায়ী ) – 

(A) ভারত 

(B) পাকিস্তান 

(C) ব্রাজিল 

(D) বাংলাদেশ 

Ans: (C) ব্রাজিল

 

  1. শস্যাবর্তনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো— 

(A) অধিক ফসল ফলানো 

(B) মাটির উর্বরতা

(C) মাটির আর্দ্রতা বৃদ্ধি 

(D) কৃষিজমির পরিমাণ বৃদ্ধি 

Ans: (C) মাটির আর্দ্রতা বৃদ্ধি 

 

  1. কৃষিকাজ হলো একধরনের— 

(A) প্রকৃতিনির্ভর 

(B) সেবামূলক 

(C) প্রযুক্তিনির্ভর

(D) সামাজিক কাজ 

Ans: (A) প্রকৃতিনির্ভর

 

  1. স্থানান্তর কৃষি ভারত ও বাংলাদেশে কী নামে পরিচিত ? 

(A) তামরাই 

(B) লাদাং 

(C) জুম 

(D) রোকা 

Ans: (C) জুম

 

  1. একটি মূল শস্য চাষের মাঝে আর একটি অপ্রধান শস্য চাষকে বলে— 

(A) আর্দ্র কৃষি 

(B) শুষ্ক কৃষি 

(C) স্থানান্তর কৃষি 

(D) interculture কৃষি 

Ans: (D) interculture কৃষি

 

  1. ধানের ক্ষেত্রে সবুজ বিপ্লবের সূচনা হয় – 

(A) মানালিতে 

(B) ম্যানিলাতে 

(C) ভিয়েনাতে 

(D) বাংলাদেশে 

Ans: (A) মানালিতে

 

  1. দক্ষিণ ও দক্ষিণ – পূর্ব এশিয়ার জনবহুল দেশগুলিতে কোন পদ্ধতিতে কৃষিকাজ হয় ? 

(A) ব্যাপক 

(B) নিবিড় 

(C) বাজারভিত্তিক 

(D) বাগিচা

Ans: (B) নিবিড়

 

  1. ওলেরিকালচার – এ কোন শাকসবজির চাষ হয় ? 

(A) গোলাপ

(B) পেয়ারা 

(C) কলা 

(D) কুমড়ো 

Ans: (D) কুমড়ো

 

  1. পাকিস্তানের উল্লেখযোগ্য কৃষিজ ফসল 

(A) চা 

(B) পাট

(C) রবার

(D) তুলা 

Ans: (D) তুলা

 

  1. যিনি প্রথম ‘ শস্য সমন্বয় ‘ ধারণাটির অবতারণা করেন , তিনি হলেন– 

(A) ই . ডব্লিউ জিমারম্যান 

(B) ভন থুনেন 

(C) আলফ্রেড ওয়েবার 

(D) জে.সি. উইভার 

Ans: (D) জে.সি. উইভার

 

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল – অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Geography Question and Answer : 

  1. মিলেট কী ? 

Ans: জোয়ার , বাজরা , রাগি প্রভৃতি ক্ষুদ্র দানাশস্যকে একসাথে মিলেট বলে । 

  1. বাংলাদেশের একটি পার্ট উৎপাদক অঞ্চলের নাম লেখো । 

Ans: বাংলাদেশের ফরিদপুর , যশোর , কুষ্টিয়া , পাবনা , রংপুরে পাট পাওয়া যায় । 

  1. দক্ষিণ – পূর্ব এশিয়ার একটি বাগিচা ফসলের নাম লেখো । 

Ans: দক্ষিণ – পূর্ব এশিয়ার একটি বাগিচা ফসল হলো রাবার । 

  1. গম চাষের অনুকূল জলবায়ু কোনটি ? 

Ans: গম চাষের জন্য নাতিশীতোয় জলবায়ু আদর্শ । 

  1. আখ চাষের জন্য কীরকম উন্নতা প্রয়োজন ?

Ans: আখ চাষের জন্য 20 ° C থেকে 26 ° C উন্নতার প্রয়োজন । 

  1. মালয়েশিয়াতে স্থানান্তর কৃষির স্থানীয় নাম কী ?

Ans: মালয়েশিয়াতে স্থানান্তর কৃষির নাম হলো Ladang ( লাদাং ) । 

  1. কফি কোন জলবায়ু অঞ্চলের ফসল । 

Ans: কফি উয় – ক্রান্তীয় জলবায়ু অঞ্চলের ফসল । 

  1. পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধান উৎপাদক দেশ কোনটি ? Ans: চিন । 
  2. পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি কাকে বলে ?

Ans: আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেইরি অঞ্চল । 

  1. পোমাম কালচার কী ? 

Ans: সারাবছর পাওয়া যায় এমন ফল ও মরসুমি ফলের চাষকে পোমাম কালচার বলে । 

  1. পাকিস্তানিরা কোন ফসলকে সাদা সোনা বলে ? 

Ans: কার্পাসকে পাকিস্তানিরা ‘ সাদা সোনা ‘ বলে । 

  1. ‘ সোনালি তত্ত্ব ‘ কোন ফসলকে বলা হয় ?

Ans: পাটকে ‘ সোনালি ততু ’ বলা হয় ।

  1. ব্রাজিলের বৃহত্তম আখ উৎপাদক রাজ্য কোনটি ? 

Ans: সাওপাওলো ব্রাজিলের বৃহত্তম আখ উৎপাদন রাজ্য । 

  1. রবিশস্য কাকে বলে ? 

Ans: যেসব ফসলের চাষ শীতের প্রারম্ভে করা হয় ও বর্ষার শুরুতে ফসল তোলা হয় তাদের রবিশস্য বলে । যেমন — গম , তৈলবীজ । 

  1. শস্যাবর্তন কী ? 

Ans: যে প্রক্রিয়ায় একই জমিতে এক ফসল চাষ না করে ভিন্ন ভিন্ন ফসল পর্যায়ক্রমে চাষ করা হয় সেই প্রক্রিয়াকে শস্যাবর্তন বলে । 

  1. ICAR অনুযায়ী ভারতের তুলা অঞ্চল কোনটি ? 

Ans: ICAR অনুযায়ী ভারতের তুলা অঞ্চল হলো মহারাষ্ট্র , গুজরাট , কর্নাটক ও তামিলনাড়ুর ডেকান ট্র্যাপ অঞ্চল । 

  1. শীতকালীন গম পৃথিবীর কোথায় চাষ হয় ?

Ans: শীতকালীন গম পৃথিবীর যে সমস্ত দেশে চাষ হয়ে থাকে সেগুলি হলো চিন , জাপান , অস্ট্রেলিয়া ও ভারত ইত্যাদি । 

  1. CBD কাকে বলে ?

Ans: নগর বা শহরের কেন্দ্রে তৃতীয় স্তরের অর্থনৈতিক কাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত অঞ্চলকে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য এলাকা বা Central Business District বা CBD বলে ।

  1. সবুজ বিপ্লব কী ? 

Ans: 1960 – এর দশকে ভারতের খাদ্য সমস্যা সমাধানকল্পে কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক উপকরণ প্রয়োগের মাধ্যমে উত্তর – পশ্চিম ভারতে কৃষিজাত শস্য উৎপাদনে প্রধানত গম চাষে যে অভাবনীয় অগ্রগতি দেখা যায় তাকেই সবুজ বিপ্লব বলে ।

  1. ফ্লোরিকালচার কী ? 

Ans: সারাবছর ধরে ফোটে এমন ফুল , মরসুমি বা ঋতুভিত্তিক ফুল এবং বিভিন্ন ধরনের পাতাবাহারি গাছের চাষকে ফ্লোরিকালচার বলা হয় । 

  1. পৃথিবীর ফুসফুস কাকে বলে ? 

Ans: আমাজন অববাহিকায় অবস্থিত নিরক্ষীয় বৃষ্টি অরণ্য অত্যধিক পরিমাণ CO , শোষণ ও O , উৎপাদনের করে বলে একে ‘ পৃথিবীর ফুসফুস ‘ নামে আখ্যায়িত করা হয় ।

  1. দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব কী ? 

Ans: 2004 সালে ভারত সরকার বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্যের জোগান সুনিশ্চিত ও পরিবেশের অবনমন রোধ এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সকল প্রকার ফল উৎপাদনের উপর গুরুত্ব আরোপ করে , একে দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব বলে । 

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল – অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Geography Question and Answer : 

  1. পশ্চিমবঙ্গে ভারতের অধিকাংশ পাট উৎপন্ন হওয়ার কারণ কী ? পৃথিবীর কোন কোন অঞ্চলে শুষ্ক কৃষি ব্যবস্থার প্রচলন আছে ? 

Ans: ভারতের তত্তুজ ফসলগুলির মধ্যে অন্যতম হলো পাট । পাট উৎপাদনে ভারত বর্তমানে পৃথিবীতে প্রথম এবং পশ্চিমবঙ্গ ভারতের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে । পশ্চিমবঙ্গের মোট পাট উৎপাদনের প্রায় 74 % গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে উৎপন্ন হয় । পশ্চিমবঙ্গে ভারতের অধিকাংশ পাট উৎপন্ন হওয়ার কারণগুলি হলো— 

  1. অনুকূল জলবায়ু : পাট চাষের জন্য গড়ে 22 ° –32 ° C উয়তা এবং 120 250 : সন্টিমিটার বৃষ্টিপাত আবশ্যিক । পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় ব – দ্বীপ অঞ্চলে এই ধরনের জলবায়ুগত অবস্থা থাকায় অঞ্চলটি পাট চাষে উন্নত । 
  2. উর্বর পলিমৃত্তিকা : ব – দ্বীপ এবং ভারী দোআঁশ মাটিতে পাট চাষ ভালো হয় । এই কারণে পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় ব – দ্বীপ অঞ্চলে পাট চাষ উন্নতি লাভ করেছে । 
  3. সমতল ভূমিভাগ : সমতল ভূপ্রকৃতি পাট চাষের জন্য প্রয়োজন কারণ সমতল ভূ – ভাগে জল জমে থাকতে পারে । পশ্চিমবঙ্গ সমতল ভূভাগ হওয়ায় পাট চাষের পক্ষে সহায়ক । 
  4. জলাশয়ের প্রাচুর্য : পাট গাছ থেকে আঁশ ছাড়ানোর জন্য আবদ্ধ জলাশয়ে পাট পচাতে হয় । পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে প্রচুল খাল বিল , পুকুর ডোবা প্রভৃতি আবদ্ধ জলাশয় আছে । তাই পাট পচাতে সুবিধে হয় । 

পৃথিবীর যে সমস্ত অঞ্চলে শুষ্ক কৃষির প্রচলন আছে সেগুলি হলো—  1) উত্তর – পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারত 2) উত্তর আমেরিকার পশ্চিমাংশে 3) মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা 4) দক্ষিণ আফ্রিকার ওষ্ক মালভূমি 5)  পশ্চিম ও মধ্য এশিয়ায় 6) অস্ট্রেলিয়ায় এই কৃষি পদ্ধতি প্রচলিত আছে । 

  1. কিউবা ইক্ষু চাষে উন্নত কেন ? ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চল ফল উৎপাদনে বিখ্যাত কেন ?

Ans: কিউবা ইক্ষু চাষে উন্নত , কারণ :

  1) উপযুক্ত জলবায়ু : ইক্ষু চাষের জন্য দৈনিক 25 ° সেন্টিগ্রেড উয়তা প্রয়োজন এবং মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের ( 150-200 সেমি ) প্রয়োজন । এইরকম অনুকুল জলবায়ু কিউবাতে অবস্থান করায় দেশটি ইক্ষু চাষে উন্নতি লাভ করেছে । মৃত্তিকা : এঁটেল , দোঁআশ মৃত্তিকায় ইক্ষু চাষ ভালো হয় । আখের জমি উঁচু ও সমতল হওয়ায় এই দেশে ইক্ষু চাষ উন্নতি লাভ করেছে । নালা পদ্ধতি : নালা পদ্ধতি থাকায় চারা গজানো সহজ হয় । নালা আস্তে আস্তে মৃত্তিকা দ্বারা ভরাট হওয়ার ফলে গাছের গোড়া খুব দৃঢ়ভাবে মৃত্তিকায় আটকে থাকে ৷ 

ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ফল চাষের উন্নতির অন্যতম প্রধান কারণ হলো— 

এখানকার জলবায়ু ও প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকুল বলে এই অঞ্চলটিতে ফল চাষের উন্নতির জন্য একে পৃথিবীর ফলের ঝুড়ি বা পৃথিবীর ফলের বাগান বলা হয়ে থাকে । এই অঞ্চলের ফল চাষের উন্নতির কারণগুলি হলো 1) ঝিরঝিরে বৃষ্টিপাত ফলের মধ্যে রসের পরিমাণ বাড়ায় । 2) বৃষ্টিপাত কম হলে জলসেচের সাহায্যে তা পূরণ করা হয়ে থাকে । 3) নাতিউচ্চ পাহাড়ি অঞ্চলে বাগান বা উদ্যান নির্মাণ সহজ । 4) বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকায় ফল চাষের উপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । 

  1. শস্যসমন্বয় কী ? ভারতের বিভিন্ন শস্যসমন্বয় অঞ্চল চিহ্নিত করো ।

Ans: শস্যসমন্বয় : কোনো একটি নির্দিষ্ট কৃষিজমিতে যেসব ফসল উৎপাদিত হয় তার ভিত্তিতে যে শস্যের বিন্যাস গড়ে ওঠে , তাকে বলা হয় শস্যসমন্বয় । 

ভারতে শস্যসমন্বয় অঞ্চল : উইভার পদ্ধতিতে 2003-06 সালে জেলাভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে ভারতকে ৪ টি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয় যাতে ধান , গম , ভুট্টা , ছোলা , বালি , তৈলবীজ , তুলা , আখ , বাজরা ও মিলেট রয়েছে । 

  1) একফসলি এলাকা : পূর্ব ভারতে নিম্ন ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা , পশ্চিমবঙ্গ , বিহার , ওড়িশা , ছত্তিশগড় , তামিলনাড়ু , কেরালা , কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রের উপকূলে একফসলি ধান এবং রাজস্থান ও গুজরাট একফসলি বাজরা চাষ প্রচলিত । 

  2) দ্বিফসলি এলাকা : উত্তর পশ্চিম ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা দ্বিফসলি গম ও ধান এবং গুজরাট , মধ্যপ্রদেশ , মহারাষ্ট্র , কর্ণাটক , অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু দ্বিফসলি তুলা ও জোয়ার চাষে প্রসিদ্ধ । 

  3) ত্রিফসলি এলাকা : উত্তর পূর্ব ভারতের হিমাচল প্রদেশে ধান , ভুট্টা ও গম , উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাংশে গম , ধান ও আখ রাজস্থানের উত্তর পশ্চিমাংশে বাজরা , তৈলবীজ ও ভুট্টা ইত্যাদি ত্রিফসলি এলাকা লক্ষ কর যায় । 

  1. সবুজ বিপ্লবের ফলে ভারতীয় কৃষির সুফলগুলি উল্লেখ করো । ভারতে নীল বিপ্লবের কারণ উল্লেখ করো । 

Ans: সবুজ বিপ্লবের সুফল : সবুজ বিপ্লবের ফলে কৃষিজাত শস্যের ( ধান , গম ) উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে উচ্চফলনশীল বীজ , রাসায়নিক সার , কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে হেক্টর প্রতি উৎপাদন বৃদ্ধি পায় ® সবুজ বিপ্লবের ফলে কৃষিজমির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে । খাদ্য সমস্যার সমাধান হয়েছে । © গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে । কৃষকের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে । কৃষি ও শিল্পের যোগসূত্র স্থাপন হয়েছে । বাজারমুখী চাষের প্রবণতা বেড়েছে , খাদ্যশস্যের আমদানি হ্রাস ও রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে । 

ভারতে নীল বিপ্লব : সত্তর দশক নাগাদ ভারত সরকারের উদ্যোগে উন্নত আধুনিক মৎস্য প্রজনন , আহরণ , প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে যে অভূতপূর্ব ও বৈপ্লবিক উন্নয়ন ঘটে , তাকে নীল বিপ্লব বলে । ভারতের নীল বিপ্লবের জনক বলা হয় ড : অরূপ কৃষ্ণাণকে । 

ভারতে নীল বিপ্লবের কারণগুলি হলো— 

  1) প্রযুক্তিগত উন্নয়ন : Indian Council of Agriculture Research গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করে বিভিন্ন জলজ প্রাণীর আহরণের কৌশল ও উদ্ভাবনের চেষ্টা চালাচ্ছে ।

  1. আধুনিক মৎস্য সংগ্রহ : অন্তর্দেশীয় নদী ও উপকূলীয় অঞ্চলে আধুনিক মৎস্য ছেড়ে অল্প দিনে যাতে বেশি মাত্রায় মৎস্যের উৎপাদন হয় তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । 
  2. হিমাগার স্থাপন : মৎস হিমায়িতকরণ ও সংরক্ষণের জন্য ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে যথা — কোচি , কোল্লাম , মুম্বই , পুনে , তিরুবনন্তপুরম – এ সুবিশাল হিমাগার গড়ে তোলা হয়েছে । 
  3. অন্যান্য : মাছের চিকিৎসা এবং কৃত্রিম প্রজননের ব্যবস্থা , প্রোটিন জাতীয় খাদ্য সরবরাহ , মৎস্য বন্দর স্থাপন , হ্যাচারি স্থাপন ইত্যাদির ফলে নীল বিপ্লবের দ্রুত বিকাশ হয়েছে । 

পরিচ্ছেদ ২ : শিল্প 

MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল – অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Geography Question and Answer :

  1. দ্রব্যসূচক ‘ 1 ’ অপেক্ষা যত কম হবে শিল্পের অবস্থান ততই— 

(A) কাঁচামাল উৎসের নিকট হবে 

(B) বাজার কেন্দ্র 

(C) কাঁচামাল ও বাজারের মধ্যবর্তী স্থানে হবে 

(D) এর মধ্যে কোনোটিই নয় 

Ans: (B) বাজার কেন্দ্র

  1. টোকিও – ইয়োকোহামা শিল্পাঞ্চলের প্রধান শিল্প হলো— 

(A) পাট শিল্প 

(B) লৌহ – ইস্পাত শিল্প 

(C) কার্পাস শিল্প 

(D) মাংস শিল্প 

Ans: (B) লৌহ – ইস্পাত শিল্প

  1. নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলে কার্পাসবয়ন শিল্পের অবনতির কারণ— 

(A) নগরায়ণ 

(B) শ্রমিক – মালিক বিরোধ 

(C) বন্দরের অভাব 

(D) প্রতিকূল জলবায়ু 

Ans: (A) নগরায়ণ

  1. ভারতের প্রথম নিউজপ্রিন্ট কারখানা গড়ে ওঠে— 

(A) মধ্যপ্রদেশের নেপানগরে 

(B) কর্নাটকের ভদ্রাবতী 

(C) কেরালার নিউজপ্রিন্ট নগরে 

(D) শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় 

Ans: (A) মধ্যপ্রদেশের নেপানগরে

  1. আইসোটিম হলো— 

(A) সমপরিবহণ ব্যয়রেখা 

(B) যৌথ পরিবহণ ব্যয়রেখা 

(C) সমমুনাফা 

(D) কোনোটিই নয় 

Ans: (A) সমপরিবহণ ব্যয়রেখা

  1. পৃথিবীর মোটরগাড়ির রাজধানী বলা হয়— 

(A) আলবামা 

(B) কানসাস 

(C) ডেট্রয়েট 

(D) বাউলিন গ্রিন – কে

Ans: (C) ডেট্রয়েট

  1. ভারতের বৃহত্তম রেলইঞ্জিন কারখানাটি অবস্থিত 

(A) আমেদাবাদ 

(B) চিত্তরঞ্জন 

(C) জামশেদপুর 

(D) সালেম – এ 

Ans: (B) চিত্তরঞ্জন

  1. কার্পাস বস্ত্রবয়ন শিল্প গড়ে তোলার উপযুক্ত স্থান হলো 

(A) কার্পাস উৎপাদক অঞ্চলের কাছে 

(B) বাজারের কাছে 

(C) নদীর ধারে 

(D) বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কাছে 

Ans: (A) কার্পাস উৎপাদক অঞ্চলের কাছে 

  1. শিল্প গড়ে তোলার পক্ষে আদর্শ স্থান হলো— 

(A) যেখানে আইসোডোপেনের মান সবচেয়ে বেশি 

(B) আইসোডোপেনের মান সবচেয়ে কম 

(C) আইসোটিমের মান সবচেয়ে কম 

(D) আইসোটিমের মান সবচেয়ে বেশি 

Ans: (B) আইসোডোপেনের মান সবচেয়ে কম

  1. প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের উৎপাদন , ব্যবহার ও রপ্তানিতে বিশ্বে প্রথম কোন দেশ ? 

(A) জাপান 

(B) জার্মানি 

(C) অস্ট্রেলিয়া 

(D) আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র 

Ans: (D) আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র

  1. রাউরকেল্লা স্টিল প্ল্যান্ট গড়ে উঠেছে— 

(A) অজয় নদীর

(B) দামোদর নদীর 

(C) কংসাবতী নদীর 

(D) ব্রাহ্মণী নদীর – বামতীরে 

Ans: (D) ব্রাহ্মণী নদীর – বামতীরে

  1. কার্পাসবয়ন শিল্পের যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানা ( TEXMACO ) অবস্থিত— 

(A) বর্ধমান জেলার রূপনারায়ণপুরে 

(B) কলকাতার কাছে বেলঘরিয়ায় 

(C) তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে 

(D) রাঁচির কাছে হাতিয়াতে 

Ans: (B) কলকাতার কাছে বেলঘরিয়ায়

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল – অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Geography Question and Answer : 

  1. Foot – Loose শিল্প কাকে বলে ?

Ans: যেসকল শিল্পের বস্তুসূচক বা পণ্যসূচক 1 হয় , তাদের Foot – Loose শিল্প বলে ।

  1. পেট্রোরসায়ন শিল্পের প্রধান কাঁচামাল ?

Ans: প্রধান কাঁচামাল হলো ন্যাপথা যা খনিজ তেলের উপজাত দ্রব্য । 

  1. দোহ শিল্পে কোন রাজ্য পথিকৃৎ ? 

Ans: দোহ শিল্পে গুজরাট রাজ্য পথিকৃৎ । 

  1. কাগজ শিল্পের কাঁচামাল কী কী ? 

Ans: কাগজ শিল্পের কাঁচামালগুলি হলো পাট তুলো ইত্যাদি । 

  1. পেট্রোরসায়ন শিল্পের কাঁচামালগুলি কী ?

Ans: কৃত্রিম ততু , পলিমার , ইলাসটোমার ইত্যাদি । 

  1. ধাতুমল কী ? 

Ans: মারুৎ চুল্লির তলদেশের নির্গম পথ দিয়ে বের হওয়া অপদ্রব্যকে ধাতুমল বলে ।

  1. ভারতের বৃহত্তম মোটরগাড়ি নির্মাণ কোম্পানির নাম কী ? 

Ans: ভারতের বৃহত্তম মোটরগাড়ি নির্মাণ কোম্পানি হলো মারুতি উদ্যোগ লিমিটেড । 

  1. কোন ঘটনাকে পৃথিবীর বৃহত্তম শিল্প বিপর্যয় বলা হয় ? 

Ans: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনাকে পৃথিবীর বৃহত্তম শিল্প বিপর্যয় বলা হয় । 

  1. ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগারের নাম কী ?

Ans: গুজরাটের জামনগর । 

  1. ময়দা শিল্পের বিকাশের জন্য কী ধরনের আবহাওয়া প্রয়োজন ? 

Ans: শুষ্ক আবহাওয়ার প্রয়োজন ।

  1. জার্মানির ম্যাস্টোর বলা হয় কোন শহরকে ?

Ans: ম্যাডবাক শহরকে । 

  1. জামশেদপুরের নিকটে মোটরগাড়ি নির্মাণ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে কেন ?

Ans: মোটরগাড়ি নির্মাণ শিল্পের প্রধান কাঁচামাল ইস্পাত পাওয়ার সুবিধা রয়েছে । 

  1. ভারতের ইস্পাত নগরী কাকে বলে ?

Ans: বন্দরনির্ভর অধাতব শিল্প হলো পেট্রোরসায়ন শিল্প । 

  1. লোশ – এর শিল্প স্থাপনের মূলতত্ত্বটি কী ?

Ans: লোশ এর মূলতত্ত্ব হলো বাজার কেন্দ্রে যেখানে মুনাফা সর্বাধিক শিল্পটি সেখানে গড়ে উঠবে । 

  1. ভারতের বৃহত্তম জাহাজ নির্মাণ কারখানা কোথায় অবস্থিত ? 

Ans: অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে । 

  1. বন্দরনির্ভর অধাতব শিল্প কোনটি ? 

Ans: নটিক্যাল মাইল চওড়া নির্দিষ্ট উপকূল বলয়কে EEZ বা Exclusive Economic Zone বলা হয় । 

  1. রেডিমেড পোশাক উৎপাদনকারী ভারতের রাজ্যগুলির নাম লেখো । 

Ans: রাজ্য — অন্ধ্রপ্রদেশ , কেরালা , উত্তরপ্রদেশ , তামিলনাড়ু , মহারাষ্ট্র , ওড়িশা , পশ্চিমবঙ্গ । 

  1. স্প আয়রন কাকে বলে ?

Ans: উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে মারুৎ চুল্লিতে আকরিক লোহা গলিয়ে সরাসরি টুকরো টুকরো খণ্ড প্রস্তুত হয় । একে স্পঞ্জ আয়রন বলে । 

  1. NIFT- এর Full name কী ?

Ans: NIFT – National Institute of Fashion Technology যার তৈরি পোশাক অত্যন্ত জনপ্রিয় । 

  1. এশিয়ার বৃহত্তম ইস্পাত কেন্দ্রের নাম কী ? Ans: জাপানের Nippon Steel কেন্দ্রটি এশিয়ার বৃহত্তম ইস্পাত কেন্দ্র । 
  2. বস্তুসূচক বা পণ্যসূচক বা দ্রব্যসূচক কাকে বলে ?

Ans: মোট কাঁচামালের ওজন ও মোট উৎপাদিত দ্রব্যের ওজনের অনুপাতকে দ্রব্যসূচক বা বস্তুসূচক বা পণ্যসূচক বলে । 

  1. ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প কাকে বলে ? 

Ans: লৌহ – ইস্পাতজাত দ্রব্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি , কলকবজা , যন্ত্রাংশ তৈরি করা হয় , একে বলা হয় ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প । 

  1. অনুসারী শিল্প কী ?

Ans: যেসব ক্ষুদ্রায়তন শিল্প বৃহদায়তন শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে , তাদের অনুসারী শিল্প বলে ।

  1. ‘ আইসোটিম ‘ কাকে বলে ? 

Ans: ওয়েবারের মতে , কাঁচামালের পরিবহণ ব্যয় ও উৎপাদিত দ্রব্যের পরিবহণ ব্যয়কে পৃথকভাবে যে রেখা দ্বারা প্রকাশ করা হয় , তাকে আইসোটিম বলে ।  

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল – অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Geography Question and Answer : 

  1. পূর্ব ভারতে লৌহ – ইস্পাত শিল্পের একদেশীভবনের কারণ লেখো । ভারতে রেডিমেড পোশাক শিল্প গড়ে ওঠার কারণগুলি আলোচনা করো ।

Ans: পূর্ব ভারতে লৌহ – ইস্পাত শিল্পের একদেশীভবনের কারণ : 

  1. আকরিক লোহা : ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ , ছত্তিশগড়ের বাইলাডিলা , বিহারের সিংভূম প্রভৃতি অঞ্চল থেকে এই শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল পাওয়া যায় । 
  2. বিদ্যুৎ শক্তির জোগান : মাইথন , হিরাকুঁদ , তিলাইয়া প্রভৃতি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলবিদ্যুতের সুবিধা থাকায় এই শিল্প গড়ে উঠেছে । 
  3. জলের জোগান : মহানদী , সুবর্ণরেখা , দামোদর প্রভৃতি নদীর জল এই শিল্পে সরবরাহের সুবিধা থাকায় শিল্প গড়ে উঠেছে । 
  4. উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা : উন্নত রেলপথ ও উন্নত সড়কপথ থাকায় এই শিল্প গড়ে উঠেছে । 
  5. অন্যান্য কারণ : দক্ষ শ্রমিক , বন্দরের সুবিধা , স্থানীয় বাজারে চাহিদা প্রভৃতির সুবিধা থাকায় এই শিল্প গড়ে উঠেছে । 

ভারতে রেডিমেড পোশাক শিল্প গড়ে ওঠার কারণ : বস্ত্রবয়ন শিল্প বা রেডিমেড পোশাক শিল্প গড়ে ওঠার কারণগুলি হলো— 

  1. কাঁচামালের প্রাচুর্য : ভারতের পশ্চিম ও দক্ষিণাংশে অর্থাৎ গুজরাট , মহারাষ্ট্র , তামিলনাড়ু প্রভৃতি রাজ্যে কৃয়মৃত্তিকা অবস্থান করায় তুলা উৎপাদন ভালো হয় , ফলে এই শিল্প গড়ে উঠতে সাহায্য করেছে । 
  2. জলবায়ু : ভারতের পশ্চিম ও দক্ষিণাংশের রাজ্যগুলি সমুদ্র উপকূলের আর্দ্র জলবায়ুর অন্তর্গত হওয়ায় এই শিল্প গড়ে উঠতে সহায়ক হয়েছে । 
  3. জলসেচ ও বিদ্যুৎ শক্তি : উন্নত জলসেচের সুবিধা ও বিদ্যুৎ শক্তির জোগান থাকায় পাঞ্জাব , মহারাষ্ট্র , গুজরাট প্রভৃতি রাজ্যে তুলা চাষ সুন্দরভাবে হওয়ায় এই শিল্প গড়ে উঠেছে । 
  4. তত্ত্ব বা ফাইবারের সহজলভ্যতা : ভারতের অনেক রাজ্যে তত্ত্ব চাষ করা হয় যা বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করে । এই শিল্পে ফাইবার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় । 
  5. চাহিদা ও বাজার : ভারত এক বিশাল জনবহুল দেশ হওয়ায় এই শিল্পের উৎপাদিত দ্রব্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে । উৎপাদিত দ্রব্য পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বাজার জাত করার সুবিধা থাকায় এই শিল্প গড়ে উঠেছে । 
  6. দুর্গাপুরকে ভারতের রুঢ় বলা হয় কেন ? অথবা , পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে লৌহ – ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার কারণ ? 

Ans: দুর্গাপুরকে ভারতের রুঢ় বলা হয় । এই শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠার কারণগুলি হলো— 

  1. আকরিক লোহা : ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ ও ঝাড়খণ্ডের সিংভুম জেলার উন্নত মানের আকরিক লোহার সুবিধা থাকায় দুর্গাপুরে এই শিল্প গড়ে উঠেছে । 
  2. কয়লা : পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ( রানিগঞ্জ , ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়া ) থেকে উন্নত মানের কয়লার জোগান এই শিল্প গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে ।
  3. ম্যাঙ্গানিজ , ডলোমাইট ও চুনাপাথর : ওড়িশার বোনাই থেকে ম্যাঙ্গানিজ , ঝাড়খণ্ডের বড়োজামদার থেকে ম্যাঙ্গানিজ , সুন্দরবন থেকে ডলোমাইট পাওয়ার সুবিধা । 
  4. জল : দামোদর নদের নিকটবর্তী হওয়ায় খুব সহজেই এই নদ থেকে জল পাওয়ার সুবিধা ।
  5. বিদ্যুৎ শক্তি : Damodar Valley Corporation থেকে জলবিদ্যুৎ পাওয়ার সুবিধা । 
  6. দক্ষ শ্রমিক : স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে দক্ষ শ্রমিক পাওয়ার সুবিধা । 
  7. যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থা : উন্নত রেলপথ , সড়কপথ ও দামোদর নদের মাধ্যমে সহজেই উৎপাদিত পণ্য ও কাঁচামাল আদান – প্রদান করা হয় ।