উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল – জীববৈচিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর

 MCQ প্রশ্নোত্তর |  | HS Geography Question and Answer : 

  1. নীলগিরি Biosphere Reserve কোন রাজ্যে অবস্থিত ? 

(A) অসম 

(B) তামিলনাড়ু 

(C) উত্তরাখণ্ড 

(D) মেঘালয় 

Ans: (B) তামিলনাড়ু

 

  1. পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জীববৈচিত্র্যের দেশ হলো- 

(A) ব্রাজিল 

(B) ভারত 

(C) অস্ট্রেলিয়া 

(D) আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র 

Ans: (A) ব্রাজিল

 

  1. ভারতে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন কত সালে পাশ হয় ? 

(A) 1972 

(B) 1970 

(C) 1980

(D) 1986 

Ans: (A) 1972

 

  1. বর্তমানে পৃথিবীতে বনভূমির শতকরা অনুপাত (A) 30 % 

(B) 40 % 

(C) 50 % 

(D) 60 % 

Ans: (A) 30 % 

 

  1. জীববৈচিত্র্যের উয় কেন্দ্রের ( Hotspot ) একটি উদাহরণ হলো— 

(A) গির অরণ্য 

(B) শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন 

(C) করবেট জাতীয় উদ্যান 

(D) লোকটাক হ্রদ 

Ans: (D) লোকটাক হ্রদ

 

  1. ভরতপুর পাখি সংরক্ষণাগারটি কোথায় অবস্থিত ? 

(A) কর্নাটকে 

(B) উত্তরপ্রদেশে 

(C) তামিলনাড়ুে – তে 

(D) রাজস্থানে 

Ans: (D) রাজস্থানে

 

  1. জীববৈচিত্র্য শব্দটি সর্বাধিক গুরুত্ব পায়— 

(A) রিয়ো – ডি – জেনেইরো 

(B) জোহানেসবার্গ 

(C) মন্ট্রিল 

(D) জাকার্তা — সম্মেলন 

Ans: (A) রিয়ো – ডি – জেনেইরো

 

  1. ভারতের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য রয়েছে 

(A) উড়িষ্যায় 

(B) পশ্চিমবঙ্গে 

(C) গুজরাটে 

(D) অন্ধ্রপ্রদেশে 

Ans: (B) পশ্চিমবঙ্গে

 

  1. জীববৈচিত্র্যের জনক হলেন— 

(A) লাভজয় 

(B) রসেন

(C) উইলসন 

(D) পার্কার 

Ans: (C) উইলসন

 

  1. একটি ভৌগোলিক অঞ্চলের ভিন্ন বাসস্থানের জীবগোষ্ঠীর মধ্যে যে বৈচিত্র্য থাকে তাকে বলে— 

(A) আলফা বৈচিত্র্য 

(B) বিটা বৈচিত্র্য 

(C) গামা বৈচিত্র্য 

(D) ফাই বৈচিত্র্য 

Ans: (C) গামা বৈচিত্র্য

 

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল – জীববৈচিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Geography Question and Answer : 

  1. জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কাকে বলে ?

Ans: কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের উদ্ভিদ ও প্রাণীর সংরক্ষণকে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বলে । 

  1. ভারতের বৃহত্তম জীববৈচিত্র্য হটস্পট কোনটি ?

Ans: ভারতের বৃহত্তম জীববৈচিত্র্য হটস্পট হলো হিমালয় পার্বত্যাঞ্চল । 

  1. বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের দু’টি পদ্ধতির উল্লেখ করো । 

Ans: বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের দু’টি পদ্ধতি হলো জিন বৈচিত্র্য সংরক্ষণ , প্রাণী উদ্যান গঠন । 

  1. বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ কাকে বলে ?

Ans: UNESCO- এর Man and Biosphere Reserve কর্মসূচির অন্তর্গত যে স্থলজ ও জলজ অঞ্চলে গোটা বাস্তুতন্ত্র ও তার সম্পূর্ণ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষিত হয় । তাকে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ বলে । 

  1. জীববৈচিত্র্য বিনাশের দু’টি কারণ লেখো । Ans: বৃক্ষচ্ছেদন , চোরাশিকার , অত্যধিক পশুচারণ , কৃষি ও বাসভূমির সম্প্রসারণ , অতিরিক্ত অর্থনৈতিক ব্যবহার ইত্যাদি । 
  2. আলফা বৈচিত্র্য কাকে বলে ? 

Ans: একই বাসস্থান বা অঞ্চলে অবস্থিত জীবগোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ বৈচিত্র্যকে আলফা বৈচিত্র্য বলে । 

  1. গ্রিন ডেটা বুক কী ? 

Ans: গ্রিন ডেটা বুক হলো একটি তালিকা যেখানে অবলুপ্তির বিপদ থেকে মুক্ত জীব প্রজাতির উল্লেখ থাকে । 

  1. বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভে ‘ বাফার এলাকা ‘ কাকে বলে ?

Ans: বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভে যেখানে শিক্ষা ও গবেষণামূলক কাজকর্ম চলে কিন্তু মানুষের অর্থনৈতিক কাজকর্ম নিষিদ্ধ তাকে ‘ বাফার এলাকা ‘ বলে । 

  1. ভারতের বন্য গাধা সংরক্ষণাগার কোন রাজ্যে অবস্থিত ? 

Ans: ভারতের বন্য গাধা সংরক্ষণ গুজরাট রাজ্যের কচ্ছের ছোটো রান অঞ্চলে অবস্থিত । 

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল – জীববৈচিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Geography Question and Answer : 

  1. জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা কী ? জীববৈচিত্র্যের পাঁচটি গুরুত্ব লেখো । 

Ans: জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা নানাবিধ । যথা— 

  1. পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা : বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করতে বা অক্ষুণ্ণ রাখতে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা আবশ্যিক । জীববৈচিত্র্য হ্রাস পেলে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই – অক্সাইড – এর ভারসাম্য বিঘ্নিত হবে । 
  2. জীবমণ্ডলের অস্তিত্ব রক্ষা : বাস্তুতন্ত্রের যেকোনো একটি উদ্ভিদ বা প্রাণী প্রজাতির বিলুপ্ত হওয়ার অর্থ উদ্ভিদ বা প্রাণী প্রজাতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত খাদ্যশৃঙ্খলে বিঘ্ন ঘটা । তাই বাস্তুতন্ত্রের সার্বিক ভারসাম্য রক্ষায় জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব অনবদ্য । 
  3. অর্থনৈতিক মূল্য : মানুষ তার খাদ্য , বস্ত্র , বাসস্থান , ওষুধপত্র প্রভৃতির জন্য সরাসরি প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল । মানুষ বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ প্রজাতি থেকে যে কেবল খাদ্যসামগ্রী পায় তা – ই নয় ওষুধ , কাঠ , কাগজ , তত্ত্ব , রবার , ফুলফল ইত্যাদিও পায় । তেমনি প্রাণী প্রজাতি তেকে মাংস , দুগ্ধসামগ্রী , চামড়া , মধু , পালক ইত্যাদি সংগ্রহ করে । এককথায় খাদ্য ও স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য মানুষ জীববৈচিত্র্যের ওপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল । 
  4. নান্দনিক ও শিক্ষাগত মূল্য : যেকোনো দেশের জীববৈচিত্র্য সেই দেশের সম্পদ । বিভিন্ন প্রজাতির জীব প্রকৃতিকে বৈচিত্র্যময় ও সুন্দর করে তোলে । এই সম্পদের নমুনা চিড়িয়াখানা , মিউজিয়াম , বোটানিক্যাল গার্ডেনে সংরক্ষণের মাধ্যমে তাদের সাথে সাধারণ মানুষের পরিচয় ঘটানো হয় । ফলে নান্দনিক সৌন্দর্য ও শিক্ষাগত মূল্য বৃদ্ধি পায় । 

জীববৈচিত্র্যের পাঁচটি গুরুত্ব : 

  1) পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা : জীববৈচিত্র্য প্রজাতি বিলুপ্তি ঠেকাতে সহায়তা করে । প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে । 

  2) জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ : অরণ্যাঞ্চলের উদ্ভিদ বাষ্পমোচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মেঘ ও বৃষ্টিপাত সৃষ্টি করে । 

  3) জীবমণ্ডল সংরক্ষণ : সৌরশক্তি উদ্ভিদদেহে আবদ্ধ হয় । খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে ওই শক্তিপ্রবাহ ঘটে জীবজগতের অস্তিত্ব রক্ষিত হয় । 

  4) অর্থনৈতিক মূল্য : মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য , বস্ত্র , বাসস্থান , ওষুধপত্র প্রভৃতি প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল । জীববৈচিত্র্যের মাধ্যমেই মানুষ তার চাহিদা মেটাতে 

  5) নান্দনিক গুরুত্ব : প্রকৃতিতে গাছপালা , পশুপাখিদের অপরূপ সৌন্দর্যের কারণে বিভিন্ন পার্ক , ইকো ট্যুরিজম , বায়োস্ফিয়ার পার্ক গড়ে উঠেছে । 

  1. জীববৈচিত্র্য বিনাশের প্রভাব কী ? 

ক্রান্তীয় অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য বেশি কেন ? 

Ans: জীববৈচিত্র্য বিনাশের প্রভাব : জীববৈচিত্র্যের বিনাশের ফলে নিম্নলিখিত প্রভাবগুলি লক্ষ করা যায় । যথা— 1) জন্মগত বৈচিত্র্যের অবক্ষয় : জীববৈচিত্র্যের বিনাশের ফলে কৃষিব্যবস্থা অজস্র বিপদের সম্মুখীন । বর্তমানে কৃষকরা বেশি ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে সংকর প্রজাতিগুলির উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল । ফলে দেশীয় প্রজাতিসমূহ আজ বিলুপ্তির পথে । 2) সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের অবক্ষয় : জন্মগত ও বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয় । নতুন নতুন প্রজাতি ও ব্যবস্থার ফলে সামাজিক জীবনে নানা ধরনের পরিবর্তন হয়েছে । এদের অবলুপ্তি মানুষের সাংস্কৃতিক জীবনকে প্রভাবিত করে । 3) জীববৈচিত্র্য ও বৌদ্ধিক সম্পদের অধিকার আণুবীক্ষণিক জীব , উদ্ভিদ , প্রাণী ইত্যাদিতে জন্মগত বৈচিত্র্য আরোপ করে পরিবর্তিত জীব প্রজাতিটিকে বৌদ্ধিক সম্পদের অধিকার আইন অনুসারে ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত করা যায় । 

ক্রান্তীয় অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য সর্বাধিক লক্ষ করা যায় । এর কারণগুলি হলো – 

  1) উয় ও আর্দ্র জলবায়ু : ক্রান্তীয় অঞ্চলে অধিক পরিমাণে উয় ও আর্দ্র জলবায়ু বিরাজ করা জীববৈচিত্র্যের আধিক্যের অন্যতম প্রধান কারণ । 

  2) বিভিন্ন প্রজাতির একত্র সমাবেশ : ক্রান্তীয় অঞ্চলে বিভিন্ন পরজীবী ও রোগজীবাণুর প্রাধান্য থাকায় বহু প্রজাতির বসবাস লক্ষ করা যায় । 

  3) অধিক সূর্যালোক : ক্রান্তীয় অঞ্চলে অধিক পরিমাণে সূর্যালোকের প্রভাবে উদ্ভিদগোষ্ঠীর উৎপাদনশীলতা ও প্রজাতি বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায় ।

  4) প্রাচীন জীবগোষ্ঠী : এই অঞ্চলে জীবগোষ্ঠীগুলি অধিক প্রাচীন হওয়ায় জীবপ্রজাতিগুলি স্থানীয়ভাবে অভিযোজিত ও বিশেষায়িত হয়েছে । 

  1. জীববৈচিত্র্য বিনাশের কারণ কী ? জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের তিনটি উপায় বর্ণনা করো এবং তার প্রয়োজনীয় উদাহরণ দাও । 

Ans: জীববৈচিত্র্য বিনাশের কারণ : জীববৈচিত্র্য বিনাশের কারণকে মূলত দু’টি ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায় । যথা— 

( ক ) প্রাকৃতিক কারণ : 

  1) জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীগোষ্ঠী অভিযোজনে সক্ষম না হওয়ায় পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে । 

  2) অগ্ন্যুৎপাতের সময় যথেচ্ছ লাভাপ্রবাহের ফলে বহু উদ্ভিদ ও প্রাণী উত্তপ্ত লাভায় ঢাকা পড়ে যায় । এর ফলে অসংখ্য প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে । 

  3) বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে বন্যা , খরা , মহামারির জেরেও বহু প্রজাতি বিনষ্ট হয়েছে । 

  4) মহাদেশীয় ভূখণ্ডের সঞ্চারণ ঘটায় বাসস্থানের বিচ্ছিন্নকরণ ঘটেছে । এর ফলেও প্রজাতি বিনাশের সম্ভাবনা বাড়ে । 

( খ ) মনুষ্যসৃষ্ট কারণ : 

  1) ব্যাপক সংখ্যায় বৃক্ষচ্ছেদনই জীববৈচিত্র্য হ্রাসের অন্যতম মনুষ্যসৃষ্ট কারণ । 

  2) চোরাশিকারের ফলে প্রতিবছর বহু প্রজাতির প্রাণীর মৃত্যু ঘটে । 

  3) দিন দিন পরিবেশ দূষণজনিত কারণেও বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভূমণ্ডলের উয়তাও বৃদ্ধি পাচ্ছে । এই অতিরিক্ত উয়তায় জীবকুল বিনষ্ট হচ্ছে । 

  4) জনবিস্ফোরণের চাপে কৃষি ও বাসভূমির সম্প্রসারণের কারণে জীববৈচিত্র্য নষ্ট 

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের কৌশল : জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য যে পদক্ষেপ বা পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে , সেগুলি হলো 

  1) বন্যপ্রাণী সম্পর্কে উন্নত গবেষণা গড়ে তুলতে হবে । চালাতে হবে এবং এর পাশাপাশি জনসচেতনতা 

  2) বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে । কেউ আইন লঙ্ঘন করলে চরম শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে । 

  3) অভয়ারণ্যের আশেপাশে কলকারখানা ও বাসস্থান গড়ে তোলা যাবে না । 

  4) অরণ্যের বিভিন্ন প্রাণী ও জীবজন্তুর খাদ্যের জোগান অব্যাহত রাখতে হবে । 

  5) বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য কৃত্রিম বাসভূমি গড়ে তুলতে হবে । 

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের দু’টি প্রয়োজনীয় উদাহরণ : 

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের পদ্ধতি : জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের পদ্ধতিগুলি নিম্নরূপ— 

  1) জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতি : এই নীতি নির্ধারণ এবং তার প্রয়োগ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকে সুনিশ্চিত করে । কেবল উন্নয়নশীল দেশেই নয় , উন্নত দেশেও ভূমিব্যবহার সংক্রান্ত কোনো নীতি নেই বললেই চলে । বর্তমানে প্রতিটি দেশেরই জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতি গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন । 

  2) সংরক্ষণ পরিকল্পনা : সংরক্ষণমূলক পরিকল্পনাগুলি যথা— উদ্যান , বন্যপ্রাণী সংরক্ষিত অঞ্চল , অরণ্য , নির্জন অঞ্চল , ভূদৃশ্য সংরক্ষণ অঞ্চল ইত্যাদি গড়ে তোলার মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা সম্ভব । 

  1. জীববৈচিত্র্য কী ? লাল তালিকা কী ? জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের পদ্ধতিগুলি আলোচনা করো ।

Ans: জীববৈচিত্র্য : জীববৈচিত্র্য বা ( Biodiversity ) বলতে বোঝায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক বাসস্থানে বসবাসকারী জিনগত , প্রজাতিগত এবং বাস্তুতান্ত্রিক বিভিন্নতায় সমৃদ্ধ উদ্ভিদ ও প্রাণীর সমাহারকে । জীববৈচিত্র্যকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায় ।

  যথা – জিনগত বৈচিত্র্য , প্রজাতিগত বৈচিত্র্য এবং বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য ইত্যাদি । 

লাল তালিকা : International Union for Conservation of Nature and Natural Resources বা IUCNNR পৃথিবীতে বিপন্নতার মাত্রা অনুসারে বিপন্ন প্রাণীদের যে তালিকা প্রকাশ করে , সেই তালিকাকে বলা হয় লাল তালিকা । 

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের পদ্ধতি : জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের পদ্ধতিগুলি নিম্নরূপ— 

  1) জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতি : নির্ধারণ এবং তার প্রয়োগ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকে সুনিশ্চিত করে । কেবল উন্নয়নশীল দেশেই নয় , উন্নত দেশেও ভূমিব্যবহার সংক্রান্ত কোনো নীতি নেই বললেই চলে । বর্তমানে প্রতিটি দেশেরই জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতি গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন । 

  2) সংরক্ষণ পরিকল্পনা : সংরক্ষণমূলক পরিকল্পনাগুলি যথা— উদ্যান , বন্যপ্রাণী সংরক্ষিত অঞ্চল , অরণ্য , নির্জন অঞ্চল , ভূদৃশ্য সংরক্ষণ অঞ্চল ইত্যাদি গড়ে তোলার মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা সম্ভব । 

  3) সবাঙ্গীণ ভূদৃশ্য ব্যবস্থাপনা : জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যগুলি সামনে রেখে জমির মালিক , কৃষি শ্রমিক , বাণিজ্যিক সংস্থা , সরকারি সংস্থা ও স্থানীয় মানুষদের পারস্পারিক সহযোগিতায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা সম্ভব । 

  4) বাস্তুক্ষেত্রীয় অলিন্দসমূহের ব্যবস্থাপনা : বাস্তুক্ষেত্রগুলির অন্তর্বর্তী সংযোজক পথসমুহের মাধ্যমে বাস্তুতন্ত্রের বিচ্ছিন্নকরণ জনিত সমস্যা যেমন প্রতিরোধ করা সম্ভব তেমনি বৃহৎ বাত্তুক্ষেত্রগুলির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা যায় । 

  1. প্রজাতি সংরক্ষণ : বিপন্ন প্রজাতি ও বিপন্নময় প্রজাতিগুলির সংরক্ষণ মূলত দুইভাবে করা যায় । যথা— 

ইন সিটু সংরক্ষণ : বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ বা প্রাণীকে বাঁচিয়ে রেখে স্বাভাবিক আবাসে ফিরিয়ে যে রক্ষণ করা হয় , তাকে ইন – সিটু সংরক্ষণ বলে । 

এক্স – সিটু সংরক্ষণ : বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ বা প্রাণীদের স্বাভাবিক আবাস থেকে দূরবর্তী কোনো ভিন্ন আবাসে প্রজাতির রক্ষণকে সাধারণত বলা হয় এক্স – সিটু সংরক্ষণ ।