দর্শন – বচন (দ্বিতীয় অধ্যায়) অবরোহমূলক তর্কবিদ্যা প্রশ্ন ও উত্তর

 MCQ প্রশ্নোত্তর সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো |

  1. একটি আদর্শ নিরপেক্ষ বচনের অংশ হলো – 

(A) পাঁচটি 

(B) চারটি 

(C) তিনটি 

(D) দুটি । 

Ans: (B) চারটি

 

  1. একটি বচন সর্বদা 

(A) সত্য / মিথ্যা 

(B) নিশ্চিত / সম্ভাব্য 

(C) ব্যাপ্য / অব্যাপ্য

(D) বৈধ / অবৈধ । 

Ans: (A) সত্য / মিথ্যা

 

  1. বৈকল্পিক বচনের অন্তর্গত সরল বচনগুলিকে কী বলে ? 

(A) অনুগ 

(B) অবয়ব 

(C) বিকল্প 

(D) পূর্বর্গ । 

Ans: (C) বিকল্প 

 

  1. ‘ পূর্বগ ’ ও ‘ অনুগ’- এই দুই – এর ব্যবহার হয়— 

(A) যৌগিক বচনে 

(B) সংযৌগিক বচনে 

(C) সরল বচনে 

(D) প্রাকল্পিক বচনে । 

Ans: (D) প্রাকল্পিক বচনে । 

 

  1. গুণ ও পরিমাণ অনুসারে বচন— 

(A) পাঁচ প্রকার  

(B) চার প্রকার 

(C) তিন প্রকার 

(D) দুই প্রকার । 

Ans: (B) চার প্রকার 

 

  1. উদ্দেশ্য পদ অব্যাপ্য হয় 

(A) বিশেষ বচনের 

(B) সামান্য বচনের

(C) নঞর্থক বচনের 

(D) সদর্থক বচনের ।

Ans: (A) বিশেষ বচনের 

 

  1. যে বচনে কেবল বিধেয় পদ ব্যাপ্য হয় তা হলো (A) O 

(B) I 

(C) E 

(D) 

Ans: (A) O 

 

  1. কেবলমাত্র উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য হয়— 

(A) E বচনে 

(B) A বচনে

(C) O বচনে

(D) I বচনে ৷

Ans:  (B) A বচনে

 

  1. উদ্দেশ্য এবং বিধেয় উভয় পদ – ব্যাপ্য হয়— 

(A) I বচনে

(B) A বচনে 

(C) O বচনে

(D) I বচনে । 

Ans: (B) A বচনে 

 

  1. উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ ব্যাপ্য হয়— 

(A) I বচনে 

(B) O বচনে

(C) E বচনে 

(D) A বচনে ।

Ans: (C) E বচনে

 

  1. উদ্দেশ্য পদ সর্বদাই ব্যাপ্য হয়— 

(A) বিশেষ বচনে 

(B) সদর্থক বচনে

(C) নঞর্থক বচনে 

(D) সামান্য বচনে ।

Ans: (D) সামান্য বচনে ।

 

  1. প্রতিটি নঞর্থক বচনের…….পদটি অবশ্যই ব্যাপ হয় – 

(A) উদ্দেশ্য ও বিধেয় 

(B) উদ্দেশ্য

(C) বিধেয় 

(D) কোনোটিই নয় ।

Ans: (C) বিধেয় 

 

  1. সম্বন্ধ অনুসারে বচন কয় প্রকার ?

(A) এক প্রকার 

(B) চার প্রকার

(C) দুই প্রকার 

(D) তিন প্রকার

Ans: (C) দুই প্রকার 

 

  1. কোন বচনে উদ্দেশ্যপদ ব্যাপ্য হয় ?

(A) বিশেষ বচনে

(B) সামান্য বচন

(C) সদর্থক বচনে

(D) নঞর্থক বচনে ।

Ans: (B) সামান্য বচন

 

  1. বিশেষ নঞর্থক বচন হলো – 

(A) E

(B) 0

(C) I 

(D) A.

Ans: (B) 0

 

  1. গাছটি সুন্দর । এটি হলো 

(A) বাক্য 

(B) বচন 

(C) শব্দ 

(D) অনুমান 

Ans: (A) বাক্য 

 

  1. সামান্য নঞর্থক বচন হলো— 

(A) A 

(B) O 

(C) I 

(D) E বচন । 

Ans: (D) E বচন ।

 

  1. নিরপেক্ষ বচনের চতুষ্প্রকার পরিকল্পনা কার ? 

(A) সক্রেটিসের 

(B) প্লেটোর 

(C) অ্যারিস্টটলের 

(D) পারমিনাইডিসের । 

Ans: (C) অ্যারিস্টটলের

 

  1. ব্যাপ্যতা শব্দটি কার সঙ্গে জড়িত ? 

(A) বাক্যের সঙ্গে

(B) শব্দের সঙ্গে 

(C) পদের সঙ্গে 

(D) সংযোজকের সঙ্গে । 

Ans: (C) পদের সঙ্গে

 

  1. বচনের প্রতীকায়িত রূপকে বলে – 

(A) শুদ্ধ আকার 

(B) বচন আকার

(C) বাক্য আকার 

(D) সংযোগের সঙ্গে ।

Ans: (B) বচন আকার

 

  1. প্রশ্ন : সংযৌগিক বচনের যোজকটি হলো – 

(A) যদি তবে

(B) হয় অথবা 

(C) এবং , ও , আর 

(D) হয়

Ans: (C) এবং , ও , আর

 

  1. প্রশ্ন : বচনের যে পদটি ব্যাপ্য হয় তা হলো –

(A) বিধেয়পদ

(B) উভয় পদ

(C) উদ্দেশ্যপদ

(D) কোনো পদ ব্যাপ্য নয় ।

Ans: (C) উদ্দেশ্যপদ

 

  1. I বচনের ব্যাপ্য পদ হলো— 

(A) A

(B) E

(C) L

(D) O

Ans: O 

 

  1. প্রশ্ন : প্রাকল্পিক বচনের দ্বিতীয় অংশটিকে বলা হয় – 

(A) বিধেয়

(B) পূর্বক

(C) উদ্দেশ্য

(D) অনুগ

Ans: (D) অনুগ 

 

  1. প্রশ্ন : বচনকে অবয়ব বলা হয় 

(A) অনুমানের

(B) বাক্যের

(C) যুক্তির

(D) শব্দের

Ans: (C) যুক্তির

 

  1. প্রশ্ন : বচনের ব্যক্তার্থ কাকে বলে ?

(A) সংযোজককে 

(B) বিধেয়কে

(C) গুণকে

(D) পরিমাণকে ।

Ans: (D) পরিমাণকে ।

 

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক দর্শন – বচন (দ্বিতীয় অধ্যায়) অবরোহমূলক তর্কবিদ্যা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Philosophy Question and Answer : 

  1. নিরপেক্ষ বচন বলতে কী বোঝো ? গুণ ও পরিমাণ অনুযায়ী নিরপেক্ষ বচ শ্রেণিবিভাগ করো । একটি উদাহরণ দিয়ে নিরপেক্ষ বচনের অংশগুলি দেখাও । 

Ans: নিরপেক্ষ বচন : যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের সম্বন্ধ কোনো শর্তের উপ নির্ভর করে না , তাকে নিরপেক্ষ বচন বলে । যেমন- 1. সকল ছাত্র এই কাজ পারে । 2. ‘ কোনো জবা ফুল নয় কালো ” । 

এখানে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয় কোনো কিছু স্বীকার করছে অথবা অস্বীকার করছে কিন্তু এই স্বীকার অথবা অস্বীকারের সম্বন্ধটি কোনো শর্তের উপর নির্ভরশীল নয় । 

নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ : 

গুণ অনুসারে নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ : নিরপেক্ষ বচনকে গুণ অনুসার দুই ভাগে ভাগ করা যায় । 

যেমন— 1. সদর্থক ও 2. নঞর্থক । 

  1. সদর্থক বচন : যে বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়কে স্বীকার করা হয় তারে সদর্থক বলে । যথা— সকল রাজা হয় ধনী ব্যক্তি । এখানে উদ্দেশ্য রাজা সম্পর্কে বিয়ে . পদ দ্বারা ধনী হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করা হচ্ছে । 
  2. নঞর্থক বচন : যে বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়কে অস্বীকার করা হয় তাবে নঞর্থক বচন বলে । যথা- কোনো মানুষ নয় ত্রুটিহীন । এই বচনটিতে সকল মানু সম্পর্কে ত্রুটিহীনতার কথা অস্বীকার করা হয়েছে । এটি নঞর্থক বচন।

পরিমাণ অনুসারে নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ :  পরিমাণ অনুসারে নিরপে বচনকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় । যেমন— 1. সামান্য বচন ও 2. বিশেষ বচন । 

  1. সামান্য বচন : যে বচনে সমগ্র উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়টি স্বীকার বা অস্বীকা করে তাকে সামান্য বচন বলে । 

যেমন — ‘ সকল মানুষ হয় মরণশীল ’ 

এখানে সকল মানষ সম্পর্কে মরণশীলতাকে স্বীকার করা হয়েছে । আবার এ বচনটিতে সকল মানুষ সম্পর্কে ত্রুটিহীনতা নামক গুণটি অস্বীকার করা হয়েছে । 

  1. বিশেষ বচন : বিধেয়টির উদ্দেশ্যে কিছু অনির্দিষ্ট অংশকে যে বচনে স্বীকার ব ব্যা অস্বীকার করা হয় তাকে বিশেষ বচন বলে । 

যথা — ‘ কোনো কোনো মানুষ হয় কবি ’ এখানে বিধেয় পদ কবি কোনো কোনো মানুষ সম্পর্কে স্বীকার করা হয়েছে । আর্য না কোনো মানুষ নয় সৈনিক ‘ এখানে বিধেয় পদ সৈনিক কোনো কোনো মানুষ সম্পর্কে অস্বীকার করা হয়েছে । 

  1. নিরপেক্ষ বচন বলতে কী বোঝো ? উদাহরণ সহযোগে নিরপেক্ষ এবং সাপেক্ষ বচনের মধ্যে পার্থক্য দেখাও । বচনের সংযোজকের কাজ কী ?

Ans: নিরপেক্ষ বচন : যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের সম্বন্ধ কোনোরকম শর্তের ওপর নির্ভর করে না অর্থাৎ উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়কে শর্তনিরপেক্ষভাবে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয় , তাকে নিরপেক্ষ বচন বলে ।

উদাহরণ— ‘ কোনো কোনো প্রাণী হয় বুদ্ধিমান ‘ । এই বচনে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কোনো কোনো প্রাণীর সম্বন্ধকে নিঃশর্তভাবে স্বীকার করা হয়েছে , অর্থাৎ প্রাণীর সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক কোনো শর্তনির্ভর নয় । 

সাপেক্ষ বচন : যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের মধ্যে সম্বন্ধের স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি শর্তনির্ভর তাকে সাপেক্ষ বচন বলে । 

উদাহরণ— ‘ যদি রাম আসে তবে আমি যাব ’ এই বচনে আমার যাওয়া রামের আসার উপর নির্ভরশীল , অর্থাৎ বচনটি শর্তসাপেক্ষ । 

পার্থক্য : নিরপেক্ষ বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের সম্বন্ধ শর্তনিরপেক্ষ , কিন্তু সাপেক্ষ বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের সম্বন্ধ শর্তসাপেক্ষ । | নিরপেক্ষ বচনে গুণ ও পরিমাণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা থাকে , কিন্তু সাপেক্ষ বচনে গুণ ও পরিমাণ স্পষ্টভাবে সর্বদা উল্লেখ করা থাকে না । নিরপেক্ষ বচন মানেই অযৌগিক বচন মাত্র সাপেক্ষ বচন মানে যৌগিক বচন মাত্র । | নিরপেক্ষ বচনের আকার হলো s হয় p অথবা s নয় p । কিন্তু সাপেক্ষ বচনের আকার হলো যদি p তবে q আর p অথবা q নিরপেক্ষ বচনের চারটি অংশ । পরিমাণক , উদ্দেশ্য , সংযোজক , বিধেয় । আর সাপেক্ষ বচনের প্রাকল্পিক বচনের দু’টি অংশ— পূর্বর্গ ও অনুগ । বৈকল্পিক বচনের দু’টি অংশই ‘ বিকল্প ‘ নামে পরিচিত। 

বচনের সংযোজকের কাজ : 

১ ) উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের মধ্যে যে স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি মূলক সম্বন্ধ আছে তা বা ব্যক্ত করা । 

২ ) অনপেক্ষ বচনের মধ্যে যে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ আছে তা সম্পর্কে যুক্ত করা । 

৩ ) যুক্তিবিজ্ঞানের বচন ও ব্যাকরণের বাক্যের মধ্যে যে পার্থক্য আছে তা সংযোকের বার মাধ্যমেই নির্দেশ করা সম্ভব হয় । উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের মধ্যবর্তী স্থানে সংযোজক থাকে । উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের স্বীকৃতিমূলক সম্বন্ধে ক্রিয়াপদ থাকে ‘ হয় ’ । আর অস্বীকৃতি মূলক সম্বন্ধে ‘ নয় ’ পদটি ব্যবহার হয় । 

  1. উদাহরণ সহ বাক্য ও বচনের পার্থক্য ব্যাখ্যা করো । 

অথবা , বচন বলতে কী বোঝো ? বচন ও বাক্যের মধ্যে পার্থক্য করো । 

Ans: বচন : ভাষায় প্রকাশিত অনুমানকে যুক্তি বলে । যুক্তির এই অবয়ব বচন দ্বার গঠিত । বিবৃতির সত্য বা মিথ্যার রূপকে বচন বলে । আবার যার সাহায্যে বাক্যের দুটি পদের মধ্যবর্তী সম্পর্ককে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয় , তাকে বচন 

উদাহরণ- সম্রাট শাজাহানের আমলে তাজমহল নির্মিত হয় । | বচন ও বাক্যের মধ্যে পার্থক্য : 

বচন ও বাক্যের মধ্যে পার্থক্যগুলি নিম্নরূপ— 

  1. উদ্দেশ্য ও বিধেয় — এই দু’টি অংশ নিয়ে বাক্য গঠিত । অপরদিকে বচন উদ্দেশ্য সংযোজক ও বিধেয় – এই তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত । 
  2. যেকোনো বচন বাক্য হতে পারে , কিন্তু যেকোনো বাক্য বচন হতে পারে না । 
  3. বাক্যে সংযোজকটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে না ; অপরদিকে বচনের উদ্দেশ্য বিধেয় পদের মাঝে সংযোজকটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে । যেমন— মিষ্টি ভালো মেয়ে । ( বাক্য ) মিষ্টি হয় ভালো মেয়ে । ( বচন ) 
  4. গুণ ও পরিমাণ বাক্যে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকে না ; বিপরীত দিকে বচনে গুণ । ও পরিমাণ পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকে । যেমন— মানুষ মরণশীল । ( বাক্য ) সকল মানুষ হয় মরণশীল । ( বচন ) 
  5. বচন সত্য বা মিথ্যা হতে পারে , কিন্তু বাক্য শুদ্ধ , অশুদ্ধ বা অর্থহীন হতে পারে 
  6. ভাবের দিক থেকে বাক্য পাঁচ প্রকার হয়ে থাকে । যথা — বিবৃতিমূলক , ইচ্ছামূলক বিস্ময়সূচক , প্রশ্নসূচক ও আদেশমূলক ; কিন্তু বচন একপ্রকার – বিবৃতিমূলক । 

যেমন তুমি হও সুখী । ( বাক্য ) 

তোমার সুখ হয় আমার ইচ্ছা । ( বচন )