MCQ প্রশ্নোত্তর সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো |
- একটি আদর্শ নিরপেক্ষ বচনের অংশ হলো –
(A) পাঁচটি
(B) চারটি
(C) তিনটি
(D) দুটি ।
Ans: (B) চারটি
- একটি বচন সর্বদা
(A) সত্য / মিথ্যা
(B) নিশ্চিত / সম্ভাব্য
(C) ব্যাপ্য / অব্যাপ্য
(D) বৈধ / অবৈধ ।
Ans: (A) সত্য / মিথ্যা
- বৈকল্পিক বচনের অন্তর্গত সরল বচনগুলিকে কী বলে ?
(A) অনুগ
(B) অবয়ব
(C) বিকল্প
(D) পূর্বর্গ ।
Ans: (C) বিকল্প
- ‘ পূর্বগ ’ ও ‘ অনুগ’- এই দুই – এর ব্যবহার হয়—
(A) যৌগিক বচনে
(B) সংযৌগিক বচনে
(C) সরল বচনে
(D) প্রাকল্পিক বচনে ।
Ans: (D) প্রাকল্পিক বচনে ।
- গুণ ও পরিমাণ অনুসারে বচন—
(A) পাঁচ প্রকার
(B) চার প্রকার
(C) তিন প্রকার
(D) দুই প্রকার ।
Ans: (B) চার প্রকার
- উদ্দেশ্য পদ অব্যাপ্য হয়
(A) বিশেষ বচনের
(B) সামান্য বচনের
(C) নঞর্থক বচনের
(D) সদর্থক বচনের ।
Ans: (A) বিশেষ বচনের
- যে বচনে কেবল বিধেয় পদ ব্যাপ্য হয় তা হলো (A) O
(B) I
(C) E
(D)
Ans: (A) O
- কেবলমাত্র উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য হয়—
(A) E বচনে
(B) A বচনে
(C) O বচনে
(D) I বচনে ৷
Ans: (B) A বচনে
- উদ্দেশ্য এবং বিধেয় উভয় পদ – ব্যাপ্য হয়—
(A) I বচনে
(B) A বচনে
(C) O বচনে
(D) I বচনে ।
Ans: (B) A বচনে
- উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ ব্যাপ্য হয়—
(A) I বচনে
(B) O বচনে
(C) E বচনে
(D) A বচনে ।
Ans: (C) E বচনে
- উদ্দেশ্য পদ সর্বদাই ব্যাপ্য হয়—
(A) বিশেষ বচনে
(B) সদর্থক বচনে
(C) নঞর্থক বচনে
(D) সামান্য বচনে ।
Ans: (D) সামান্য বচনে ।
- প্রতিটি নঞর্থক বচনের…….পদটি অবশ্যই ব্যাপ হয় –
(A) উদ্দেশ্য ও বিধেয়
(B) উদ্দেশ্য
(C) বিধেয়
(D) কোনোটিই নয় ।
Ans: (C) বিধেয়
- সম্বন্ধ অনুসারে বচন কয় প্রকার ?
(A) এক প্রকার
(B) চার প্রকার
(C) দুই প্রকার
(D) তিন প্রকার
Ans: (C) দুই প্রকার
- কোন বচনে উদ্দেশ্যপদ ব্যাপ্য হয় ?
(A) বিশেষ বচনে
(B) সামান্য বচন
(C) সদর্থক বচনে
(D) নঞর্থক বচনে ।
Ans: (B) সামান্য বচন
- বিশেষ নঞর্থক বচন হলো –
(A) E
(B) 0
(C) I
(D) A.
Ans: (B) 0
- গাছটি সুন্দর । এটি হলো
(A) বাক্য
(B) বচন
(C) শব্দ
(D) অনুমান
Ans: (A) বাক্য
- সামান্য নঞর্থক বচন হলো—
(A) A
(B) O
(C) I
(D) E বচন ।
Ans: (D) E বচন ।
- নিরপেক্ষ বচনের চতুষ্প্রকার পরিকল্পনা কার ?
(A) সক্রেটিসের
(B) প্লেটোর
(C) অ্যারিস্টটলের
(D) পারমিনাইডিসের ।
Ans: (C) অ্যারিস্টটলের
- ব্যাপ্যতা শব্দটি কার সঙ্গে জড়িত ?
(A) বাক্যের সঙ্গে
(B) শব্দের সঙ্গে
(C) পদের সঙ্গে
(D) সংযোজকের সঙ্গে ।
Ans: (C) পদের সঙ্গে
- বচনের প্রতীকায়িত রূপকে বলে –
(A) শুদ্ধ আকার
(B) বচন আকার
(C) বাক্য আকার
(D) সংযোগের সঙ্গে ।
Ans: (B) বচন আকার
- প্রশ্ন : সংযৌগিক বচনের যোজকটি হলো –
(A) যদি তবে
(B) হয় অথবা
(C) এবং , ও , আর
(D) হয়
Ans: (C) এবং , ও , আর
- প্রশ্ন : বচনের যে পদটি ব্যাপ্য হয় তা হলো –
(A) বিধেয়পদ
(B) উভয় পদ
(C) উদ্দেশ্যপদ
(D) কোনো পদ ব্যাপ্য নয় ।
Ans: (C) উদ্দেশ্যপদ
- I বচনের ব্যাপ্য পদ হলো—
(A) A
(B) E
(C) L
(D) O
Ans: O
- প্রশ্ন : প্রাকল্পিক বচনের দ্বিতীয় অংশটিকে বলা হয় –
(A) বিধেয়
(B) পূর্বক
(C) উদ্দেশ্য
(D) অনুগ
Ans: (D) অনুগ
- প্রশ্ন : বচনকে অবয়ব বলা হয়
(A) অনুমানের
(B) বাক্যের
(C) যুক্তির
(D) শব্দের
Ans: (C) যুক্তির
- প্রশ্ন : বচনের ব্যক্তার্থ কাকে বলে ?
(A) সংযোজককে
(B) বিধেয়কে
(C) গুণকে
(D) পরিমাণকে ।
Ans: (D) পরিমাণকে ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক দর্শন – বচন (দ্বিতীয় অধ্যায়) অবরোহমূলক তর্কবিদ্যা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Philosophy Question and Answer :
- নিরপেক্ষ বচন বলতে কী বোঝো ? গুণ ও পরিমাণ অনুযায়ী নিরপেক্ষ বচ শ্রেণিবিভাগ করো । একটি উদাহরণ দিয়ে নিরপেক্ষ বচনের অংশগুলি দেখাও ।
Ans: নিরপেক্ষ বচন : যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের সম্বন্ধ কোনো শর্তের উপ নির্ভর করে না , তাকে নিরপেক্ষ বচন বলে । যেমন- 1. সকল ছাত্র এই কাজ পারে । 2. ‘ কোনো জবা ফুল নয় কালো ” ।
এখানে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয় কোনো কিছু স্বীকার করছে অথবা অস্বীকার করছে কিন্তু এই স্বীকার অথবা অস্বীকারের সম্বন্ধটি কোনো শর্তের উপর নির্ভরশীল নয় ।
নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ :
গুণ অনুসারে নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ : নিরপেক্ষ বচনকে গুণ অনুসার দুই ভাগে ভাগ করা যায় ।
যেমন— 1. সদর্থক ও 2. নঞর্থক ।
- সদর্থক বচন : যে বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়কে স্বীকার করা হয় তারে সদর্থক বলে । যথা— সকল রাজা হয় ধনী ব্যক্তি । এখানে উদ্দেশ্য রাজা সম্পর্কে বিয়ে . পদ দ্বারা ধনী হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করা হচ্ছে ।
- নঞর্থক বচন : যে বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়কে অস্বীকার করা হয় তাবে নঞর্থক বচন বলে । যথা- কোনো মানুষ নয় ত্রুটিহীন । এই বচনটিতে সকল মানু সম্পর্কে ত্রুটিহীনতার কথা অস্বীকার করা হয়েছে । এটি নঞর্থক বচন।
পরিমাণ অনুসারে নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ : পরিমাণ অনুসারে নিরপে বচনকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় । যেমন— 1. সামান্য বচন ও 2. বিশেষ বচন ।
- সামান্য বচন : যে বচনে সমগ্র উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়টি স্বীকার বা অস্বীকা করে তাকে সামান্য বচন বলে ।
যেমন — ‘ সকল মানুষ হয় মরণশীল ’
এখানে সকল মানষ সম্পর্কে মরণশীলতাকে স্বীকার করা হয়েছে । আবার এ বচনটিতে সকল মানুষ সম্পর্কে ত্রুটিহীনতা নামক গুণটি অস্বীকার করা হয়েছে ।
- বিশেষ বচন : বিধেয়টির উদ্দেশ্যে কিছু অনির্দিষ্ট অংশকে যে বচনে স্বীকার ব ব্যা অস্বীকার করা হয় তাকে বিশেষ বচন বলে ।
যথা — ‘ কোনো কোনো মানুষ হয় কবি ’ এখানে বিধেয় পদ কবি কোনো কোনো মানুষ সম্পর্কে স্বীকার করা হয়েছে । আর্য না কোনো মানুষ নয় সৈনিক ‘ এখানে বিধেয় পদ সৈনিক কোনো কোনো মানুষ সম্পর্কে অস্বীকার করা হয়েছে ।
- নিরপেক্ষ বচন বলতে কী বোঝো ? উদাহরণ সহযোগে নিরপেক্ষ এবং সাপেক্ষ বচনের মধ্যে পার্থক্য দেখাও । বচনের সংযোজকের কাজ কী ?
Ans: নিরপেক্ষ বচন : যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের সম্বন্ধ কোনোরকম শর্তের ওপর নির্ভর করে না অর্থাৎ উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়কে শর্তনিরপেক্ষভাবে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয় , তাকে নিরপেক্ষ বচন বলে ।
উদাহরণ— ‘ কোনো কোনো প্রাণী হয় বুদ্ধিমান ‘ । এই বচনে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কোনো কোনো প্রাণীর সম্বন্ধকে নিঃশর্তভাবে স্বীকার করা হয়েছে , অর্থাৎ প্রাণীর সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক কোনো শর্তনির্ভর নয় ।
সাপেক্ষ বচন : যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের মধ্যে সম্বন্ধের স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি শর্তনির্ভর তাকে সাপেক্ষ বচন বলে ।
উদাহরণ— ‘ যদি রাম আসে তবে আমি যাব ’ এই বচনে আমার যাওয়া রামের আসার উপর নির্ভরশীল , অর্থাৎ বচনটি শর্তসাপেক্ষ ।
পার্থক্য : নিরপেক্ষ বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের সম্বন্ধ শর্তনিরপেক্ষ , কিন্তু সাপেক্ষ বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের সম্বন্ধ শর্তসাপেক্ষ । | নিরপেক্ষ বচনে গুণ ও পরিমাণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা থাকে , কিন্তু সাপেক্ষ বচনে গুণ ও পরিমাণ স্পষ্টভাবে সর্বদা উল্লেখ করা থাকে না । নিরপেক্ষ বচন মানেই অযৌগিক বচন মাত্র সাপেক্ষ বচন মানে যৌগিক বচন মাত্র । | নিরপেক্ষ বচনের আকার হলো s হয় p অথবা s নয় p । কিন্তু সাপেক্ষ বচনের আকার হলো যদি p তবে q আর p অথবা q নিরপেক্ষ বচনের চারটি অংশ । পরিমাণক , উদ্দেশ্য , সংযোজক , বিধেয় । আর সাপেক্ষ বচনের প্রাকল্পিক বচনের দু’টি অংশ— পূর্বর্গ ও অনুগ । বৈকল্পিক বচনের দু’টি অংশই ‘ বিকল্প ‘ নামে পরিচিত।
বচনের সংযোজকের কাজ :
১ ) উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের মধ্যে যে স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি মূলক সম্বন্ধ আছে তা বা ব্যক্ত করা ।
২ ) অনপেক্ষ বচনের মধ্যে যে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ আছে তা সম্পর্কে যুক্ত করা ।
৩ ) যুক্তিবিজ্ঞানের বচন ও ব্যাকরণের বাক্যের মধ্যে যে পার্থক্য আছে তা সংযোকের বার মাধ্যমেই নির্দেশ করা সম্ভব হয় । উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের মধ্যবর্তী স্থানে সংযোজক থাকে । উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের স্বীকৃতিমূলক সম্বন্ধে ক্রিয়াপদ থাকে ‘ হয় ’ । আর অস্বীকৃতি মূলক সম্বন্ধে ‘ নয় ’ পদটি ব্যবহার হয় ।
- উদাহরণ সহ বাক্য ও বচনের পার্থক্য ব্যাখ্যা করো ।
অথবা , বচন বলতে কী বোঝো ? বচন ও বাক্যের মধ্যে পার্থক্য করো ।
Ans: বচন : ভাষায় প্রকাশিত অনুমানকে যুক্তি বলে । যুক্তির এই অবয়ব বচন দ্বার গঠিত । বিবৃতির সত্য বা মিথ্যার রূপকে বচন বলে । আবার যার সাহায্যে বাক্যের দুটি পদের মধ্যবর্তী সম্পর্ককে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয় , তাকে বচন
উদাহরণ- সম্রাট শাজাহানের আমলে তাজমহল নির্মিত হয় । | বচন ও বাক্যের মধ্যে পার্থক্য :
বচন ও বাক্যের মধ্যে পার্থক্যগুলি নিম্নরূপ—
- উদ্দেশ্য ও বিধেয় — এই দু’টি অংশ নিয়ে বাক্য গঠিত । অপরদিকে বচন উদ্দেশ্য সংযোজক ও বিধেয় – এই তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত ।
- যেকোনো বচন বাক্য হতে পারে , কিন্তু যেকোনো বাক্য বচন হতে পারে না ।
- বাক্যে সংযোজকটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে না ; অপরদিকে বচনের উদ্দেশ্য বিধেয় পদের মাঝে সংযোজকটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে । যেমন— মিষ্টি ভালো মেয়ে । ( বাক্য ) মিষ্টি হয় ভালো মেয়ে । ( বচন )
- গুণ ও পরিমাণ বাক্যে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকে না ; বিপরীত দিকে বচনে গুণ । ও পরিমাণ পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকে । যেমন— মানুষ মরণশীল । ( বাক্য ) সকল মানুষ হয় মরণশীল । ( বচন )
- বচন সত্য বা মিথ্যা হতে পারে , কিন্তু বাক্য শুদ্ধ , অশুদ্ধ বা অর্থহীন হতে পারে
- ভাবের দিক থেকে বাক্য পাঁচ প্রকার হয়ে থাকে । যথা — বিবৃতিমূলক , ইচ্ছামূলক বিস্ময়সূচক , প্রশ্নসূচক ও আদেশমূলক ; কিন্তু বচন একপ্রকার – বিবৃতিমূলক ।
যেমন তুমি হও সুখী । ( বাক্য )
তোমার সুখ হয় আমার ইচ্ছা । ( বচন )