উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর

 সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো |

  1. মুদালিয়র কমিশনের মতে কোন শ্রেণির ছাত্র – ছাত্রীরা পছন্দমতো পাঠ্যসমূহ নির্বাচনে সক্ষম ? 

(A) দশম শ্রেণি / 

(B) অষ্টম শ্রেণি / 

(C) দ্বাদশ শ্রেণি / 

(D) নবম শ্রেণি । 

Ans: (D) নবম শ্রেণি । 

 

2  মুদালিয়র কমিশন গঠন করা হয়— 

(A) ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে / 

(B) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে 

(C) ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে / 

(D) ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে । 

Ans: (D) ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে ।

 

  1. মুদালিয়র কমিশনের সদস্যসংখ্যা— 

(A) ৫ / 

(B) ৬ / 

(C) ৭ / 

(D) ৯ । 

Ans: (D) ৯ ।

 

  1. মুদালিয়র কমিশনের রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা পড়ে— 

(A) ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে / 

(B) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে / 

(C) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে / 

(D) ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে । 

Ans: (B) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে / 

 

  1. মুদালিয়র কমিশনের রিপোর্টে অধ্যায় সংখ্যা 

(A) ৯ অধ্যায় / 

(B) ১২ অধ্যায় / 

(C) ১৬ অধ্যায় / 

(D) ২০ অধ্যায় । 

Ans: (C) ১৬ অধ্যায় / 

 

  1. মাধ্যমিক শিক্ষায় 7 টি প্রবাহের অবতারণা করে – 

(A) হান্টার কমিশন / 

(B) মুদালিয়র কমিশন / 

(C) বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন / 

(D) সার্জেন্ট কমিশন । 

Ans: (B) মুদালিয়র কমিশন /

 

  1. মুদালিয়র কমিশন মুদালিয়র কমিশনে ভারতীয় সদস্যসংখ্যা—  

(A) 8 / 

(B) ৫/ 

(C) ৭ / 

(D) ৯ ।

Ans: (C) ৭ / 

 

  1. ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে মাধ্যমিক শিক্ষা পুনর্গঠনের জন্য কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয় – 

(A) রায়চঁাদ কমিটি / 

(B) যশপাল কমিটি / 

(C) তারাচঁাদ কমিটি / 

(D) রেড্ডি কমিটি । 

Ans: (C) তারাচঁাদ কমিটি /

 

  1. মুদালিয়র কমিশনের মতে হায়ার সেকেন্ডারি বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তর হবে— 

(A) ৬ বছরের জন্য / 

(B) ৩ বছরের জন্য / 

(C) ৪ বছরের জন্য / 

(D) ৫ বছরের জন্য । 

Ans: (C) ৪ বছরের জন্য /

 

  1. মুদালিয়র কমিশনের মতে , জুনিয়র বেসিক বা নিম্নবুনিয়াদি স্তরের পর শিক্ষার্থীদের কোন ভাষা শেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে ? 

(A) বাংলা ও ইংরেজি / 

(B) বাংলা ও উর্দু / 

(C) ইংরেজি ও হিন্দি / 

(D) উর্দু ও হিন্দি । 

Ans: (C) ইংরেজি ও হিন্দি / 

 

  1. মুদালিয়র কমিশন উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিভিন্ন প্রবাহের ( Stream ) বিষয়গুলিকে ক’টি গ্রুপে ভাগ করেছে ? 

(A) ৫ টি / 

(B) ৬ টি / 

(C) ৭ টি / 

(D) ৯ টি । 

Ans: (C) ৭ টি /

 

  1. মুদালিয়র কমিশনের অপর নাম হলো – 

(A) প্রাথমিক শিক্ষা কমিশন / 

(B) মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন / 

(C) মহাবিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন / 

(D) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন । 

Ans: (B) মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন /

 

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Education Question and Answer : 

  1. মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনের শিরোনাম কী ছিল ? 

Ans: মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড . লক্ষ্মণস্বামী মুদালিয়রের সভাপতিত্বে মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন ( ১৯৫২ ) গঠিত হয় । সেজন্য এর শিরোনাম ছিল মুদালিয়র কমিশন । 

  1. CRC- এর পুরো কথাটি কী ? 

Ans: CRC – এর সম্পূর্ণ কথাটি হলো – Cumulative Record Card .

  1. Core পাঠ্যক্রম কী ? 

Ans: মুদালিয়র কমিশন মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠক্রমকে ২ টি অংশে বিভক্ত করে । এর একটি হলো মূল বা Core পাঠক্রম , অন্যটি ঐচ্ছিক অংশ । Core অংশে থাকবে 1. মাতৃভাষা অথবা হিন্দি / ইংরেজি 2. সমাজবিজ্ঞান 3. গণিত ও সাধারণ জ্ঞান 4. হস্তশিল্প । 

  1. মুদালিয়র কমিশন প্রস্তাবিত মাধ্যমিক শিক্ষার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য উল্লেখ করো । 

Ans: মাধ্যমিক শিক্ষার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য– ১ ) উপযুক্ত নাগরিক তৈরি করা ২ ) জাতীয় সম্পদ বাড়িয়ে তোলা । 

  1. মুদালিয়র কমিশন প্রস্তাবিত উচ্চ মাধ্যমিক পাঠক্রমে ভাষা ব্যতীত অন্যান্য কেন্দ্রীয় বিষয়গুলি ( Core Subject ) কী ? 

Ans: সমাজবিজ্ঞান , গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান এবং হাতের কাজ বা হস্তশিল্প । 

  1. SABE- এর পুরো কথাটি কী ? 

Ans: স্টেট অ্যাডভাইসারি বোর্ড অব এডুকেশন । 

  1. প্রথম কোন কমিশন Cumulative Record card এর কথা উল্লেখ করে ? 

Ans: মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন । 

  1. মুদালিয়র শিক্ষা কমিশন উচ্চতর মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য কত সময় বরাদ্দ করেছে ? 

Ans: মুদালিয়র শিক্ষা কমিশন উচ্চতর মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য ৪ বছরের সুপারিশ করেছে ।

  1. মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনের পাঠক্রমের মূল বিভাগ কয়টি ভাগে বিভক্ত ও কী কী ?

Ans: মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনের পাঠক্রমের মূল বিভাগ ৭ টি ভাগে বিভক্ত । সেগুলি হলো — মানবীয় বিদ্যা , বিজ্ঞান , কারিগরি বিদ্যা , বাণিজ্য , কৃষি , চারুকলা , গার্হস্থ্য বিজ্ঞান । 

  1. মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনের একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষ্য উল্লেখ করো । 

Ans: শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে যাতে তারা গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হিসাবে জাতি , ধর্ম নির্বিশেষে তাদের দায়িত্বগুলি সঠিকভাবে পালন করতে পারে । 

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Education Question and Answer : 

  1. মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন পরীক্ষা ও মূল্যায়ন ব্যবস্থা সম্পর্কে কী সুপারিশ করেছিল তা আলোচনা করো । 

Ans: মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড : লক্ষ্মণস্বামী মুদালিয়রের নেতৃত্বে 1952 সালের 23 সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয় । এই কমিশন মুদালিয়র কমিশন নামেও পরিচিত । 

  পরীক্ষা ও মূল্যায়নের উন্নতি বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ হলো— 1. শুধু বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের প্রমোশন দেওয়া যাবে না । অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফলাফল ও ছাত্র – ছাত্রীদের অন্যান্য কাজের রেকর্ডও বিবেচনা করা দরকার হবে । এছাড়া 2. নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার উপর গুরুত্ব দিতে হবে । 

  এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন প্রসঙ্গে মুদালিয়র কমিশনের সুপারিশে বলা হয় , প্রচলিত পরীক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার করে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির মূল্যায়নের জন্য অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা ও শিক্ষকদের দ্বারা রক্ষিত বিদ্যালয়ের রেকর্ডের উপর যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে । অন্যদিকে প্রশ্নপত্রে রচনাধর্মী প্রশ্নের পাশাপাশি নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষারও প্রবর্তন করতে হবে । 

   মুদালিয়র কমিশন মাধ্যমিক স্তরের শেষে শুধুমাত্র একটি সাধারণ বহিস্থ পরীক্ষা গ্রহণের সুপারিশ করেছিল । কমিশন শিক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষার মূল্যায়নের জন্য নম্বরের পরিবর্তে পাঁচটি গ্রেডের সুপারিশ করেছিল । এগুলি হলো— A Distinction , B – Credit C – Pass , D and E – Failure । আবার শিক্ষার্থীদের কাজের মূল্যায়ন প্রসঙ্গেও মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন পাঁচটি স্কেলের সুপারিশ করেছিল । এগুলি হলো— A – Execellent , B – Good , C – Fair and Average , D – Poor এবং E – Very Poor 

  প্রসঙ্গত , পরীক্ষা একটি প্রয়োজনীয় ক্ষতিকারক প্রক্রিয়া । এর সঠিক বিকল্প এখনও আবিষ্কৃত হয়নি । এজন্য মুদালিয়র কমিশন গতানুগতিক পরীক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক বিষয়াত্মক পরীক্ষা ব্যবস্থার দ্বারা নির্ভরযোগ্য করে তোলার সুপারিশ করে । কিন্তু এই সংস্কারের কোনো সঠিক নির্দেশ না থাকায় মাধ্যমিক স্তরের মূল্যায়ন আজও পরীক্ষা – শাসনে জর্জরিত । ফলে এখনও এই স্তরে অপচয় ও অনুত্তীর্ণতার অভিশাপ একইভাবে কাজ করে চলেছে । 

  1. মুদালিয়র কমিশনের মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠক্রম সম্পর্কে আলোচনা করো । 

Ans: ভূমিকা : দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভারতীয় শিক্ষাক্ষেত্রকে ঢেলে সাজানো এবং জাতীয় শিক্ষানীতির পরিকাঠামো ভেঙে ফেলার লক্ষ্যে বিভিন্ন কমিশন ও কমিটি গড়ে তোলা হয় । যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কমিশন , মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন ইত্যাদি । ড . এ . লক্ষ্মণস্বামী মুদালিয়য়ের সভাপতিত্বে ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন গড়ে ওঠে , ভারতীয় শিক্ষার ইতিহাসে এই কমিশন মুদালিয়র কমিশন নামেই অধিক পরিচিত । 

পাঠক্রম : মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনের মতে , প্রচলিত মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠক্রমের সঙ্গে বাস্তবের সংযোগ অত্যন্ত ক্ষীণ । তাই এই পাঠক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জীবনের চাহিদাগুলি পূরণ করা সম্ভব হয়নি । 

মুদালিয়র কমিশন মাধ্যমিক শিক্ষায় যেসকল পাঠক্রমের সুপারিশ করেছে তা এইরূপ— 

  1. নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে পাঠক্রম : নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের । বিষয়গুলি পড়তে হবে সেগুলি এইরূপ — ভাষা , সাধারণ বিজ্ঞান , সামাজিক শিক্ষা , বাংলার হাতের কাজ , শিল্প ও শারীরশিক্ষা । 
  2. উচ্চ মাধ্যমিক : কমিশন উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীর পছন্দ , আগ্রহ ও ক্ষমতা অনুসারে বহু সার্থক পাঠক্রমের সুপারিশ করেছে । কমিশন এই স্তরে পাঠক্রমকে দু’টি অংশে ভাগ করেছে – 

আবশ্যিক কেন্দ্রীয় বিষয় : 

  1. ভাষা : বা মাতৃভাষা এবং একটি প্রাচীন ভাষা । ও সমাজবিজ্ঞান প্রথম দু’বছরের সাধারণ পাঠ । 
  2. সাধারণ বিজ্ঞান ও গণিত : প্রথম দু’বছরের জন্য সাধারণ পাঠ । 
  3. হস্তশিল্প : নিম্নলিখিত তালিকা থেকে যেকোনো একটি হস্তশিল্প প্রয়োজন অনুসারে – বাছাই করে নিতে হবে – কাঠের কাজ , উদ্যান রচনা , দর্জির কাজ , ধাতুর কাজ , সুচিশিল্প ইত্যাদি ।
  4. মুদালিয়র কমিশন বর্ণিত সাধারণ শিক্ষার কাঠামো সংক্রান্ত সুপারিশগুলি আলোচনা করো ।

Ans: মুদালিয়র কমিশন বর্ণিত সাধারণ শিক্ষার কাঠামো সংক্রান্ত সুপারিশগুলি নিম্নরূপ : 

  1. শিক্ষণকাল :

মুদালিয়র কমিশন সম্পূর্ণ বিদ্যালয় শিক্ষার কালকে ১২ বছর করার সুপারিশ করেছে । 

  1. প্রাথমিক শিক্ষাস্তর : কমিশন ৪ বা ৫ বছরের প্রাথমিক বা নিম্ন বুনিয়াদি শিক্ষস্তরের পর মাধ্যমিক শিক্ষা শুরুর সুপারিশ করেছে । মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও সুপরিকল্পিতভাবে শিক্ষার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী পর্যায়ের সঙ্গে সংগতি রেখে তার পুনর্গঠনের কাজ করার সুপারিশ করেছে মুদালিয়র কমিশন । 
  2. মাধ্যমিক শিক্ষাস্তর : কমিশন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষায় দু’টি পর্যায়ের সুপারিশ করেছে । যথা – 1) নিম্ন মাধ্যমিক 2) উচ্চতর মাধ্যমিক । 
  3. বিকল্প শিক্ষাকাঠামো : মুদালিয়র কমিশন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবক – অভিভাবিকাদের অসুবিধার বিষয়টি বিবেচনা করে বিকল্প মাধ্যমিক শিক্ষাকাঠামোর প্রস্তাব করে । এই প্রস্তাব অনুযায়ী প্রচলিত ব্যবস্থায় ১০ বছরের বিদ্যালয় হবে ১১ বছরের । কলেজ স্তরে শিক্ষার যে ইন্টারমিডিয়েট স্তরটি ছিল , সেটাকে দু’টি পর্যায়ে ভাগ করে প্রথম ভাগটি মাধ্যমিক শিক্ষার সঙ্গে এবং দ্বিতীয় ভাগটি স্নাতক স্তরের সঙ্গে যোগ করে ৩ বছরের ডিগ্রি কোর্স চালুর সুপারিশ করেছিল মুদালিয়র কমিশন ।
  4. অন্যান্য সুপারিশ : (a ) দশম শ্রেণির বিদ্যালয়গুলিকে একাদশ শ্রেণির বিদ্যালয়ে উন্নীত করার ব্যবস্থা । 

(b) দশম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর এক বছরের প্রাকৃবিশ্ববিদ্যালয় কোর্স অধ্যয়ন করে স্নাতক স্তরে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে । 

(c) একাদশ শ্রেণির পাঠ , উচ্চতর মাধ্যমিক ( H.S ) এবং প্রাকৃবিশ্ববিদ্যালয় ( P.U ) ) ) কোর্স শেষ করবে যেসব ছাত্র – ছাত্রী তারাই পেশাগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার যোগ্য বলে বিবেচ্য হবে । 

(d) বৃত্তিমূলক শিক্ষার সুযোগ রয়েছে এমন কলেজে এক বছরের প্রাকৃবৃত্তিমূলক কোর্স চালুর সুপারিশ করে । 

(e) কমিশন ছাত্র – ছাত্রীদের নিজ রুচি , প্রবণতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষার্জনের সুযোগদানের জন্য বহুমুখী বিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশও করেছে । 

(f) সব রাজ্য সরকারকে কমিশন গ্রামীণ বিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করেছে এবং কলেজ স্তরে কর্মমুখী শিক্ষা যেমন কৃষিবিদ্যা , পশুপালন , কুটিরশিল্প ইত্যাদি শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে । 

  1. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন রূপ ও সর্বার্থসাধক উচ্চবিদ্যালয় প্রসঙ্গে মুদালিয়র কমিশনের অভিমত সংক্ষেপে লেখো । 

Ans: মুদালিয়র কমিশনের অভিমত অনুযায়ী , মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে ছাত্র – ছাত্রীদের রুচি , প্রবণতা ও সামর্থ্য অনুসারে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করতে হবে । এজন্য কমিশন মোট সাতটি । প্রবাহ বা বিভাগের সুপারিশ করেছে । এই প্রবাহ অনুযায়ী শিক্ষাদানের জন্য কমিশন  নানা ধরনের বিদ্যালয় প্রসঙ্গে তার মতামত ব্যক্ত করে । এপ্রসঙ্গে নীচে আলোচনা করা হলো— 

  1. নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় : প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পাশ করে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য এখানে ৩ বছরের শিক্ষার ব্যবস্থা থাকবে । ফলে এখানে ৩ টি শ্রেণি থাকবে বলে মুদালিয়র কমিশন সুপারিশ করে । 
  2. উচ্চ বিদ্যালয় : দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়গুলি এই বিভাগে পড়বে । : 
  3. উচ্চতর বিদ্যালয় : শিক্ষার্থীরা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে এখানে চার বছর পড়াশোনা করতে পারবে । অষ্টম শ্রেণি থেকে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠন – পাঠনের ব্যবস্থা থাকবে এখানে । 
  4. বহুমুখী বা সর্বার্থসাধক উচ্চবিদ্যালয় : যেখানে বেশি সুযোগসুবিধা রয়েছে বা যেখানে সুযোগ পাওয়া যাবে , সেখানে সর্বার্থসাধক বা বহুমুখী বিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করেছে কমিশন । 
  5. কৃষিশিক্ষার বিদ্যালয় : গ্রামাঞ্চলে কৃষি বিদ্যালয় স্থাপন করে সেখানে কৃষিবিদ্যার পাশাপাশি পশুপালন , বাগান তৈরি ও কুটিরশিল্পের সুপারিশ করেছে কমিশন। 
  6. কারিগরি শিক্ষার বিদ্যালয় : শিল্পাঞ্চলের আশেপাশে কারিগরি শিক্ষার বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে । 
  7. আবাসিক বিদ্যালয় : কমিশন গ্রামাঞ্চলে আবাসিক বিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করেছে । অভিভাবকরা যেখানে ছেলে – মেয়েদের দেখাশোনা করার সুযোগ পান না সেখানে আবাসিক বিদ্যালয় গড়ে তোলা জরুরি । 
  8. প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় : দৈহিক ও মানসিকভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার ছেলে – মেয়েদের জন্য মুদালিয়র কমিশন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করেছে । 
  9. বালিকা বিদ্যালয় : প্রতিটি রাজ্যের নানা স্থানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের জন্যও পৃথক বিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করেছে কমিশন । ঐ বিদ্যালয়ে সংগীত , শিল্পকলা , পুষ্টিবিজ্ঞান , গার্হস্থ্যবিজ্ঞান পড়াতে হবে ।