সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো |
- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট সরকারের কাছে পেশ করা হয়—
(A) ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে /
(B) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে /
(C) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে /
(D) ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে ।
Ans: (B) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে /
- রাধাকৃষ্ণণ কমিশনের রিপোর্টে গ্রামীণ শিক্ষাব্যবস্থায় ‘ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকোত্তর শিক্ষার জন্য সময় নির্দিষ্ট করা হয়েছে—
(A) ১ বছর /
(B) ২ বছর /
(C) ৩ বছর /
(D) ৬ বছর ।
Ans: (B) ২ বছর /
- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন— (A) ড : ডি.এস কোঠারি /
(B) ড : জেম্স এফ . ডাফ /
(C) ড : তারাচঁাদ /
(D) ড : এল . থর্নডাইক ।
Ans: (B) ড : জেম্স এফ . ডাফ /
- রাধাকৃষ্ণণ কমিশনের মোট সদস্যসংখ্যা ছিল—
(A) ৫ /
(B) ১০ /
(C) ১৫ /
(D) ২৫০ ।
Ans: (B) ১০ /
- শিক্ষাব্যবস্থার পর্যালোচনার জন্য ভারত সরকার যে কমিশন নিয়োগ করে , তার সভাপতি ছিলেন—
(A) ড . রাধাকৃষ্ণণ /
(B) ড . কোঠারি /
(C) ড . মুদালিয়র /
(D) ড . জাকির হোসেন ।
Ans: (B) ড . কোঠারি
- স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশনের সম্পাদক ছিলেন
(A) ড : কমলনারায়ণ বহাল /
(B) ড : নির্মলকুমার সিদ্ধান্ত /
(C) ড : জেমস . এম . ডাফ /
(D) ড : মেঘনাদ সাহা ।
Ans: (B) ড : নির্মলকুমার সিদ্ধান্ত /
- রাধাকৃয়ণ কমিশনের সুপারিশে গঠিত হয়—
(A) গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় /
(B) বহু সাধক বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় /
(C) প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থা /
(D) অগ্রবর্তী বিদ্যালয় ( Pace setting school ) ।
Ans: (A) গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় /
- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন কবে গঠন করা হয় ?
(A) ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে /
(B) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে /
(C) ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে /
(D) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে ।
Ans: (A) ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে /
- রাধাকৃষ্ণণ কমিশনের মতে , প্রতিটি গ্রামীণ মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত হবে ?
(A) ১৫০০ – এর বেশি হবে না /
(B) ১৩০০ – এর বেশি হবে না । /
(C) ১২৫০ – এর বেশি হবে না /
(D) ১২০০ – এর বেশি হবে না ।
Ans: (A) ১৫০০ – এর বেশি হবে না /
- রাধাকৃস্লণ কমিশন চিকিৎসাশাস্ত্র শিক্ষার কলেজগুলিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার সুপারিশ করেছে ?
(A) ১৫০ জন /
(B) ২০০ জন /
(C) ৫০ জন /
(D) ১০০ জন ।
Ans: (D) ১০০ জন ।
- রাধাকৃষ্ণণ কমিশনের রিপোর্টে সাধারণভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসর গ্রহণের বয়স বছর করার সুপারিশ করেছে ।
(A) ৬০ বছর /
(B) ৬৫ বছর /
(C) ৫৫ বছর /
(D) ৫৮ বছর ।
Ans: (A) ৬০ বছর
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Education Question and Answer :
- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন উল্লিখিত ত্রিভাষা নীতি উল্লেখ করো ।
Ans: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন উল্লিখিত ত্রিভাষা নীতি হলো মাতৃভাষা বা আঞ্চলিক ভাষা , ফেডারেল ল্যাঙ্গুয়েজ বা হিন্দিভাষা এবং ইংরেজি ।
- DPI- এর পুরো কথাটি কী ?
Ans: DPI -এর পুরো অর্থ – Director of Public Instruction .
- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সম্পাদক কে ছিলেন ?
Ans: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সম্পাদক ছিলেন ড . নির্মলকুমার সিদ্ধান্ত ।
- UGC- এর পুরো কথাটি লেখো ।
Ans: UGC- এর সম্পূর্ণ রূপ হলো University Grants Commission .
- NCRHE- এর পুরো নাম লেখো ।
Ans: NCRHE -এর পুরো নাম – National Council of Rural Higher SEA কমিশন ।
- গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করার সুপারিশ করে কোন কমিশন ?
Ans: গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করার সুপারিশ করেছিল রাধাকৃয়ণ কমিশন ।
- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন উল্লিখিত দু’টি পেশাগত শিক্ষার নাম লেখো ।
Ans: দু’টি পেশাগত শিক্ষা – আইন এবং চিকিৎসাশাস্ত্র ।
- শ্রীনিকেতন কী ধরনের প্রতিষ্ঠান ?
Ans: শ্রীনিকেতন এক ধরনের Rural Institute .
- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের দু’জন সদস্যের নাম উল্লেখ করো ।
Ans: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের দু’জন সদস্য ড . তারাচঁাদ এবং ড . জাকির হোসেন ।
- রাধাকৃষ্ণণ কমিশনের অন্য নাম কী ?
Ans: রাধাকৃয়ণ কমিশন ‘ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন ‘ নামে পরিচিত ।
- স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশনের নাম কী ?
Ans: স্বাধীনতার পর ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশন ছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন ।
- গণতন্ত্রের মূলনীতিগুলি উল্লেখ করো ।
Ans: গণতন্ত্রের মূলনীতি হলো ন্যায়বিচার , স্বাধীনতা , সাম্য এবং ভ্রাতৃত্ব ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Education Question and Answer :
- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের বিচার্য বিষয়সমূহ আলোচনা করো । উচ্চশিক্ষার মাধ্যম সম্পর্কে ঐ কমিশনের সুপারিশ কী ছিল ?
Ans: ১৯৪৮ সালে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন ১৯৪৯ সালে তার প্রতিবেদন পেশ করে ৷ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের বিচার্য বিষয়সমূহ নীচে আলোচনা করা হলো—
- লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য : শিক্ষা – গবেষণার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ ।
- নীতি নির্ধারণ : আর্থিক অবস্থা সম্পর্কিত নীতি নির্ধারণ ।
- প্রবেশের মান নির্ধারণ : বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রবেশের মান নির্ধারণ।
- শিক্ষার মান বজায় রাখা : বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে শিক্ষার মান বজায় রাখা । ধর্মশিক্ষা ধর্মশিক্ষা প্রসঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া ।
- শিক্ষার মান উন্নয়ন : বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যবস্থা নেওয়া । :
- অধিক সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন : আঞ্চলিক বা অন্য কোনো প্রয়োজনে অধিক সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ ।
- সমস্যা পর্যালোচনা : বেনারস , দিল্লি ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা পর্যালোচনা ৷
- পাঠক্রম প্রণয়ন : বিজ্ঞান , কলা , পেশাগত ও কারিগরি শিক্ষার মধ্যে সমতা রক্ষা করে পাঠক্রম প্রণয়ন ও সমাপ্তির সময় নির্ধারণ ।
- ভারতীয় বিষয়ে শিক্ষার ব্যবস্থা : ভারতীয় ঐতিহ্য , সাহিত্য , দর্শন , ভাষা , ইতিহাস ও শিল্প – সংস্কৃতি সম্পর্কে যথাযথ শিক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া । 10. শিক্ষার মাধ্যম : বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন মাধ্যমে ছাত্র – ছাত্রীদের পঠনপাঠনের ব্যবস্থা হবে সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতি নির্ধারণ করা । এছাড়া ছাত্র – ছাত্রীদের জন্য নিয়মশৃঙ্খলা , সুযোগসুবিধা , শিক্ষকদের উৎসাহদানের ব্যবস্থা , উন্নততর গবেষণার ব্যবস্থা ইত্যাদিও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের বিচার্য বিষয়সমূহের মধ্যে ছিল ।
উচ্চশিক্ষার মাধ্যম : বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন বা রাধাকৃষণ কমিশন উচ্চশিক্ষার মাধ্যম হিসেবে আঞ্চলিক ভাষা গ্রহণের সুপারিশ করেছে । তবে বিশেষ ক্ষেত্রে সর্বভারতীয় ভাষাও ( হিন্দি ) উচ্চশিক্ষার মাধ্যম হতে পারে ।
- গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে কী জানো ?
Ans: সর্বপল্লি রাধাকৃণের সভাপতিত্বে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন ১৯৪৯ সালে তার প্রতিবেদন পেশ করে । দেশের অর্থনৈতিক , সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে গ্রামের গুরুত্ব উপলব্ধি করে বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন শিক্ষা ব্যবস্থাকে গ্রামজীবনের সঙ্গে সমন্বয়সাধনের সুপারিশ করে । এই উদ্দেশ্যে গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং পল্লি উন্নয়ন , কৃষি , জনশিক্ষা , গ্রামীণ শিক্ষার রূপরেখা , পাঠক্রমে গ্রামীণ বিষয় সংযোজন , গ্রামজীবন সম্পর্কে 31 গবেষণা ইত্যাদির উপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয় । কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের প্রস্তাব সরকার পুরোপুরি গ্রহণ করেনি । গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সরকারকে পরামর্শ প্রদানের জন্য তাই ১৯৫৬ সালে ‘ National Council of Rural Higher Education ( NCRHE ) গঠন করা হয় । NCRHE- এর সুপারিশ অনুযায়ী দেশের নানা স্থানে ১৪-১৫টি Rural Institute গঠন করা হয় । এরাজ্যেও শ্রীনিকেতনে এরূপ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে । NCRHE- এর সুপারিশে গ্রামীণ অর্থনীতি , সমাজবিজ্ঞান , সমবায় , সমষ্টি উন্নয়নের মতো বিষয়ে পঠনপাঠন ও ডিগ্রি প্রধানের কথা বলা হয়েছে । কিন্তু বাস্তবে হাতে গোনা কয়েকটি বিষয়ে ডিগ্রি ও সার্টিফিকেট কোর্স চালু হয়েছে । এই কোর্সগুলি হলো –
কৃষিবিজ্ঞানে সার্টিফিকেট কোর্স : মেয়াদ -২ বছর ।
গ্রামীণ বিজ্ঞানে সার্টিফিকেট কোর্স : মেয়াদ ২ বছর ।
গ্রামসেবা বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা কোর্স মেয়াদ ৩ বছর ।
সিভিল ও রুরাল ইঞ্জিনিয়ারিং – এ সার্টিফিকেট কোর্স – ৩ বছর ।
সেনেটারি ইন্সপেক্টর – এর সার্টিফিকেট কোর্স -১ বছর।
- বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের সুপারিশগুলি আলোচনা করো ।
অথবা , নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন যেসব সুপারিশ করেছে , সেগুলি আলোচনা করো –
(A) শিক্ষার কাঠামো , (B) পাঠ্যক্রম , (C) শিক্ষার মাধ্যম , (D) পরীক্ষা ব্যবস্থা ।
Ans: ভূমিকা : ভারত সরকার 1948 সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশন গঠন করে । এই কমিশনের সভাপতি ছিলেন ড . সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ । তাঁর নামানুসারে এই কমিশন রাধাকৃস্লণ কমিশন নামে পরিচিত । এই কমিশনের সুপারিশগুলি হলো :
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার কাঠামো : বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য কমিশন উচ্চশিক্ষার যেসকল কাঠামোর সুপারিশ করেছে , তা হলো :
- ১২ বছর বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভের পর শিক্ষার্থীরা কলেজে কলা বা বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হতে পারবে । তৎকালীন প্রচলিত দু’বছরের ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় কৃতকার্যতাই হবে কলেজে প্রবেশের অভিজ্ঞানপত্র ।
- পাস ও অনার্স উভয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য তিন বছরের ডিগ্রি কোর্স চালু করতে হবে । অনার্স কোর্সের শিক্ষার্থীরা ১ বছর এবং পাস কোর্সের শিক্ষার্থীরা ২ বছর পড়াশোনার পর মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করবে ।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার পাঠ্যক্রম : বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার পাঠ্যক্রম সম্পর্কে কমিশন বলেছে , সাধারণ শিক্ষায় তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয়দিকে পঠনপাঠনের ব্যবস্থা থাকবে এবং সেইভাবে পাঠ্যসূচি তৈরি করতে হবে । শিক্ষার্থীরা যাতে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষালাভের সুযোগ পায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে ।
শিক্ষার মাধ্যম : কমিশন মাধ্যমিক শিক্ষার স্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত শিক্ষাদানের মাধ্যম হিসাবে একটি ত্রিভাষা সূত্র সুপারিশের কথা বলেছে । (A) আঞ্চলিক ভাষা বা মাতৃভাষা , (B) রাষ্ট্রভাষা , (C) ইংরেজি ভাষা । কমিশন বলেছে , আঞ্চলিক ভাষা বা মাতৃভাষা উচ্চশিক্ষার মাধ্যম হওয়া উচিত । তবে কোনো কোনো বিষয়ের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করা যেতে পারে ।
পরীক্ষা ব্যবস্থা : পরীক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য কমিশনের সুপারিশগুলি হলো—
- পরীক্ষা রচনাধর্মী না হয়ে যতটা সম্ভব নৈর্ব্যক্তিক হতে হবে ।
- সমগ্র শিক্ষাবর্ষ ধরে শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার মূল্যায়ন করতে হবে ।
- স্নাতক স্তরে তিন বছরের শেষে একটি পরীক্ষার পরিবর্তে তিন বছরে তিনটি পরীক্ষা করতে হবে ।
- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সুপারিশগুলি আলোচনা করো ।
অথবা , গ্রামীণ উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে রাধাকৃষ্ণণ কমিশনের সুপারিশ আলোচনা করো ।
অথবা , গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আলোচনা করো ।
Ans: ভূমিকা : ভারত সরকার 1948 সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশন গড়ে তোলে । এই কমিশনের সভাপতি ছিলেন ড . সর্বপল্লি রাধাকৃয়ণ । তাঁরই নামানুসারে এই কমিশন রাধাকৃয়ণ কমিশন নামে পরিচিতি পায় ।
গ্রামীণ উচ্চশিক্ষা : গ্রামে বসবাসকারী ছেলেমেয়ে এবং শহরে গিয়ে যারা পড়াশোনার সুযোগ পায় না , তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য রাধাকৃয়ণ কমিশন গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় নামে এক অভিনব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল ।
লক্ষ্য : কমিশনের গ্রামীণ উচ্চশিক্ষা বা গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মূল লক্ষ্য ছিল গ্রামের মানুষ যাতে গ্রামেই নিম্নস্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত শিক্ষার সুযোগ পায় ।
সুপারিশ : গ্রামীণ উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত কমিশনের সুপারিশগুলি এইরূপ —
( i ) ভারতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি গ্রামবাসীর প্রয়োজন অনুসারে উচ্চতর শিক্ষাব্যবস্থার জন্য এক কর্মসূচি গ্রহণ করবে ।
( ii ) গ্রামের মানুষের বিশেষ চাহিদা ও স্বার্থের দিকে লক্ষ রেখে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম রচিত হবে ।
( iii ) গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে – সমস্ত শিক্ষার্থী পাশ করে বেরোবে , তাদের প্রথম এবং প্রধান কাজ হবে দেশের মানুষের জীবনের সংস্কার সাধন ও উন্নয়ন করা ।
( iv ) গ্রামে উচ্চশিক্ষার অন্তর্ভুক্ত হবে গ্রামোন্নয়ন , জনশিক্ষার বিস্তার , কৃষি , সামাজিক সংহতি প্রভৃতি সম্পর্কিত শিক্ষার বিষয়গুলি ।
মন্তব্য : সব শেষে বলা যায় যে
রাধাকৃষণ কমিশনের প্রতিবেদনটি নব ভারত গঠনের পক্ষে এক ঐতিহ্যপূর্ণ তথ্যবহুল
দলিল । নারীশিক্ষা , ধর্মশিক্ষা প্রভৃতি সম্বন্ধে সুস্পষ্ট মতামত না
থাকলেও নিঃসন্দেহে বলা যায় যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট
মনুষ্য সভ্যতার অগ্রগতির অন্যতম ধারক ও বাহক ।