উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – ভারতীয় শিক্ষা সংক্রান্ত বিধিসমুহ (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর

 সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো |

  1. সংবিধানের কোন ধারায় প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে মাতৃভাষায় সংবিধানের নির্দেশনা দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ? 

(A) সংবিধানের ২৬ নং ধারায় 

(B) সংবিধানের ২০ নং ধারায় 

(C) সংবিধানের ২৮ নং ধারায় 

(D) সংবিধানের 350 (a) নং ধারায় । 

Ans: (D) সংবিধানের 350 (a) নং ধারায় । 

 

  1. ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী শিক্ষা – 

(A) রাজ্য তালিকাভুক্ত / 

(B) কেন্দ্রীয় তালিকাভুক্ত / 

(C) যুগ্ম তালিকাভুক্ত / 

(D) কোনো তালিকাভুক্ত নয় । 

Ans: (C) যুগ্ম তালিকাভুক্ত 

 

  1. ……..খ্রিস্টাব্দে ৪২ তম সংশোধনের দ্বারা ভারতীয় সংবিধানে ‘ সমাজতান্ত্রিক ‘ এবং ‘ ধর্মনিরপেক্ষ ’ শব্দ দু’টি জুড়ে দেওয়া হয়েছে । 

(A) ১৯৪৭ / 

(B) ১৯৪৯ / 

(C) ১৯৫০ / 

(D) ১৯৭৬ । 

Ans: (D) ১৯৭৬ ।

 

  1. ভারতের সংবিধান রচনার জন্য গঠিত গণপরিষদের সভাপতি ছিলেন— 

(A) ড : বি . আর আম্বেদকর / 

(B) মোহনদাস করমচঁাদ গান্ধি / 

(C) ড : রাজেন্দ্র প্রসাদ / 

(D) বল্লভভাই প্যাটেল । 

Ans: (C) ড : রাজেন্দ্র প্রসাদ / 

 

  1. ভারতীয় সংবিধানের কোন ধারায় ধর্ম , জাতি , বর্ণ ইত্যাদি কারণে নাগরিকদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ নিষিদ্ধ হয়েছে ? 

(A) ১২ নং ধারা /

(B) ১৫ নং ধারা / 

(C) ১৮ নং ধারা / 

(D) ২০ নং ধারা । 

Ans: (B) ১৫ নং ধারা /

 

6  ভারতের সার্বভৌম গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র স্বীকৃত হয়― 

(A) ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট থেকে স্বীকৃত হয় (B) ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট থেকে স্বীকৃত হয় (C) ১৯৪৯ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে স্বীকৃত হয় । 

(D) ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে স্বীকৃত হয় । 

Ans: (D) ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে স্বীকৃত হয় ।

 

  1. ভারতীয় সংবিধান হলো পৃথিবীর ……. সংবিধান ।

(A) দীর্ঘতম / 

(B) সহজতম / 

(C) জটিলতম / 

(D) প্রাচীনতম । 

Ans: (C) জটিলতম /

 

  1. অধিকারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়— ********** 

(A) প্রশাসন / 

(B) গণতন্ত্র / 

(C) রাজতন্ত্র / 

(D) স্বৈরতন্ত্র । 

Ans: (B) গণতন্ত্র /

 

  1. ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের কত তারিখে ভারত ও পাকিস্তান দু’টি পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পায় ? 

(A) ৭ আগস্ট / 

(B) ১০ আগস্ট / 

(C) ১১ আগস্ট / 

(D) ১৪ আগস্ট । 

Ans: (D) ১৪ আগস্ট ।

 

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – ভারতীয় শিক্ষা সংক্রান্ত বিধিসমুহ (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Education Question and Answer : 

  1. ভারতবর্ষে কাদের বলা হয় ‘ তপশিলি উপজাতি ‘ ? 

Ans: তপশিলি উপজাতি বলতে দেশের নির্দিষ্ট কয়েকটি সম্প্রদায়কে বোঝানো হয় , যাদের অবস্থান কতগুলি বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে স্থির করা হয় এবং এই বিষয়গুলি জাতীয় আইনবিধিতে লিপিবদ্ধ রয়েছে । 

  1. সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা সংক্রান্ত সমানাধিকার ভারতীয় সংবিধানের কত নং ধারায় স্থান পেয়েছে ? 

Ans: ভারতীয় সংবিধানের 29 ( 2 ) নং ধারায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা – বিষয়ক সমানাধিকারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে । 

  1. কেন্দ্রীয় তালিকায় সংবিধানের কোন ধারাগুলি রয়েছে ? 

Ans: কেন্দ্রীয় তালিকায় সংবিধানের 62 , 63 , 64 , 65 , 66 নং ধারা রয়েছে । 

  1. 13 নং ধারায় শিক্ষা সম্পর্কে কী উল্লেখ করা হয়েছে ? 

Ans: বিদেশের সঙ্গে শিক্ষা ও সংস্কৃতির সংযোগের কথা বলা হয়েছে । 

  1. মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন কবে গঠিত হয় ?

Ans: মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন গড়ে ওঠে 1952-53 খ্রিস্টাব্দে । 

  1. সংবিধানের 15 নং ধারায় কী বলা হয়েছে ?

Ans: সংবিধানের 15 নং ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে কোনো নাগরিককে লিঙ্গের ভিত্তিতে বৈষম্যের শিকার করা যাবে না । 

  1. কোঠারি কমিশন কবে গঠিত হয় ? 

Ans: কোঠারি কমিশন গঠিত হয় 1964-66 খ্রিস্টাব্দে । 

  1. OBC- এর পুরো কথাটি উল্লেখ করো । 

Ans: OBC- এর পুরো কথাটি হলো Other Backward Classes .

  1. সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং পরিচালনার অধিকারের বিষয়টি সংবিধানের কোন ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে ? 

Ans: সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং পরিচালনার অধিকার বিষয়ে সংবিধানের 30 নং ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে ।

  1. সামাজিক সাম্য কাকে বলে ? 

Ans: সামাজিক সাম্য বলতে বোঝায় জাত – পাত , ধর্ম – বর্ণ – শ্রেণি ভেদে একটি সমাজে বসবাসকারী সকল মানুষ সমান সুযোগসুবিধা ভোগ করবে । 

  1. শিক্ষায় সম সুযোগ কাকে বলে ? 

Ans: শিক্ষায় সম সুযোগ বলতে সরকার পরিচালিত বা সরকারি অনুদানে পরিচালিত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে জাতি – ধর্ম – সম্প্রদায় , ভাষা ভেদে বা কোনো একটি কারণে কোনো ভারতীয় নাগরিককে শিক্ষার সুযোগ থেকে বর্ণিত না করা বোঝায় । 

  1. যুগ্ম তালিকাভুক্ত যেকোনো একটি বিষয় উল্লেখ করো ।

Ans: যুগ্ম তালিকাভুক্ত একটি বিষয় শ্রমিকদের পেশাগত এবং কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা । 

  1. সংবিধানে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শিক্ষা সম্পর্কে কী উল্লেখ করা হয়েছে ? 

Ans: সংবিধানের 239 নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে পার্লামেন্ট প্রণীত বিধিবন্ধ আইন ছাড়াও দেশের রাষ্ট্রপতি প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন । 

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – ভারতীয় শিক্ষা সংক্রান্ত বিধিসমুহ (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Education Question and Answer : 

  1. শিক্ষায় সম সুযোগের ধারণাটি আলোচনা করো । 

Ans: বর্তমানে শিক্ষাগ্রহণের অধিকার একটি মৌলিক অধিকার । যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকদের জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির উপর জোর দেওয়া হয় । শিক্ষায় সম সুযোগ বা সার্বিক সমতা প্রদান বলতে বোঝায় — সরকারি খরচে জাতি – ধর্ম – সম্প্রদায় -ধনী – দরিদ্র নির্বিশেষে সব শিশুর জন্য সর্বোত্তম শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে । 

 শিক্ষাগ্রহণে সকলকে সমান অধিকার দিতে হবে । 

শিক্ষায় সম সুযোগ কার্যকরী করতে 

করণীয় পদক্ষেপ : 

  1. শিক্ষাকে জাতীয়করণ করার সরকারি উদ্যোগ নিতে হবে । 
  2. গ্রাম / শহরে শিক্ষা পরিকাঠামোয় অসাম্য কমিয়ে আনতে হবে ।
  3. মেধার ভিত্তিতে স্কুলে ভর্তির পাশাপাশি দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুণগত মান উন্নত করতে হবে । 
  4. বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের দিকে বিশেষ নজরদান । 
  5. শিক্ষা ক্ষেত্রে মেয়েদের সমান সুযোগসুবিধার বন্দোবস্ত করা । 
  6. সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে শিক্ষার প্রসারে ব্যবস্থা গ্রহণ । 
  7. বিভিন্ন রাজ্যে শিক্ষায় সুযোগসুবিধার যে বৈষম্য তার সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ । 

   তপশিলি জাতি ( SC ও তপশিলি উপজাতি ( ST ) – র শিক্ষার উন্নয়নে কোঠারি কমিশন ও জাতীয় শিক্ষানীতি ( 1986 ) -এর বক্তব্য কী ছিল— তা আলোচনা ও করো । 

তপশিলি জাতি ( SC ও তপশিলি উপজাতি ( ST ) – র শিক্ষার উন্নয়নে কোঠারি কমিশন ও জাতীয় শিক্ষানীতি ( 1986 ) -তে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । নীচে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ।

 কোঠারি কমিশনের সুপারিশ : 

  1. বর্তমানে SC ও ST শিক্ষার্থী যেসব সুযোগসুবিধা পাচ্ছে তা বহাল থাকবে এবং তাদের সুবিধা আরও বাড়াতে হবে । 
  2. যাযাবর ও অর্ধ যাযাবরদের শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধির সুপারিশ । 
  3. লোকবসতি অত্যন্ত কম এমন স্থানে আশ্রম বিদ্যালয় স্থাপন । 
  4. ছাত্র – ছাত্রীদের জন্য আবাসন ও কোচিংয়ের ব্যবস্থা । প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার ব্যবস্থা । 
  5. উপজাতিদের ভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন 
  6. শিক্ষোপকরণ প্রদানের ব্যবস্থা । 
  7. উপজাতি সম্প্রদায়ের সেবায় পৃথক সংগঠন তৈরির সুপারিশ । 
  8. শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা । 

তপশিলি জাতির শিক্ষার প্রসারে জাতীয় শিক্ষানীতির সুপারিশ : 

  1. ১৪ বছর বয়েসি সব ছেলে – মেয়েকে বিদ্যালয়ে পাঠানোর জন্য পরিবারগুলিকে উৎসাহদানের ব্যবস্থা করা । 
  2. সুবিধাজনক স্থানে বিদ্যালয় স্থাপনের ব্যবস্থা । 3. দরিদ্র পরিবারের ছেলে – মেয়েদের পঠনপাঠনের জন্য বৃত্তিদানের ব্যবস্থা । 
  3. তপশিলি বিদ্যালয়ে ঐ সম্প্রদায়ের শিক্ষক নিয়োগ । 
  4. ছাত্র – ছাত্রীদের জন্য ছাত্রাবাস নির্মাণ । O 

তপশিলি উপজাতির শিক্ষার প্রসারে জাতীয় শিক্ষানীতির সুপারিশ : 

  1. প্রাথমিক পর্যায়ে নিজস্ব ভাষায় শিক্ষাদান ও শিক্ষোপকরণ তৈরি করা । 
  2. উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যালয় স্থাপন । 
  3. উপজাতি সম্প্রদায়ের শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষায় উৎসাহ প্রদান । 
  4. প্রয়োজন অনুপাতে আবাসিক ও আশ্রমিক বিদ্যালয় স্থাপনের ব্যবস্থা । 
  5. প্রয়োজন ও জীবনচর্চার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে উচ্চশিক্ষায় বৃত্তিপ্রদানের সুপারিশ । প্রসঙ্গত , ভারতীয় সংবিধানে তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতিদের শিক্ষার প্রসার ও অন্যান্য সুযোগসুবিধার কথা বলা হয়েছে । তাই এক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়া সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে । 
  6. নারীশিক্ষা বিষয়ে কোঠারি কমিশনের সুপারিশ আলোচনা করো । 

Ans: নারীশিক্ষা বিষয়ে কোঠারি কমিশনের সুপারিশ নিম্নরূপ : 

  1. নারীশিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান ও নারী – পুরুষের শিক্ষাগত পার্থক্য যথাসম্ভব কমাতে হবে । 
  2. সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নারীশিক্ষার জন্য অর্থ বরাদ্দ 
  3. মেয়েদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি দান ও হোস্টেল নির্মাণ করতে হবে । 
  4. পৃথক মহিলা কলেজ স্থাপন করতে হবে ।
  5. নারীশিক্ষা সংক্রান্ত গবেষণার জন্য গবেষণাকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে । 
  6. শিক্ষিত মহিলাদের জন্য উপযুক্ত চাকরির ব্যবস্থা করা । 
  7. নারীদের জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা । 
  8. মহিলাদের জন্য আংশিক সময়ের চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি করা । 
  9. ভারতীয় সংবিধানের শিক্ষা সম্পর্কিত ধারাগুলি উল্লেখ করো । 

Ans: ভারতীয় সংবিধানে শিক্ষা সম্পর্কিত নানা ধারায় শিক্ষাক্ষেত্রে সব শ্রেণির স্বার্থরক্ষার কথা বলা হয়েছে । নিম্নে এপ্রসঙ্গে আলোচনা করা হলো – 

  1. প্রাথমিক শিক্ষা : ৪৫ নং ধারা অনুযায়ী , রাষ্ট্র সংবিধান চালু হওয়ার ১০ বছরের ম মধ্যে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত সব ছেলে – মেয়ের জন্য বাধ্যতামূলক , অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে সচেষ্ট হবে । 
  2. দুর্বলদের রক্ষাকবচ : ভারতীয় সংবিধানের ৪৬ নম্বর ধারা অনুসারে , রাষ্ট্র বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়াদের বিশেষত তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের শিক্ষার ব্যবস্থা করবে । 
  3. ধর্মশিক্ষা ও ধর্মীয় উপাসনা নিয়ে নির্দেশ : ২৮ নং ধারা অনুসারে , সরকারি অনুদানে পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া যাবে না । 
  4. সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষা : ভারতীয় সংবিধানের ২৯ নং ধারা অনুযায়ী , এদেশে বসবাসকারী সব নাগরিকের স্বতন্ত্র লিপি , ভাষা ও নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষার অধিকার থাকবে । ২৯ ( ১ ) নং ধারা অনুযায়ী , জাতি , ধর্ম , ভাষা বা অন্য কোনো বিষয়ের অজুহাত দিয়ে যোগ্য কোনো নাগরিককে সরকারি অনুদানে পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বঞ্চিত করা যাবে না ।
  5. মাতৃভাষা সম্পর্কিত : ৩৫০ ( ১ ) নং ধারা অনুযায়ী , প্রত্যেক রাজ্যকে সংখ্যালঘু ছাত্রদের প্রাথমিক স্তরে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষালাভের সুযোগ দিতে হবে । 
  6. হিন্দি ভাষার উন্নতি : ভারতীয় সংবিধানের ৩৫১ নং ধারা অনুযায়ী , হিন্দি ভাষার উন্নতি ও প্রসার ভারত সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে । 
  7. কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শিক্ষা : ২৩৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী , কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সংসদ কর্তৃক বিধিবদ্ধ আইন ছাড়াও রাষ্ট্রপতি প্রশাসক নিয়োগ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন । 
  8. কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব : ভারতীয় সংবিধানের ৬২-৬৭ নং ধারা অনুযায়ী , শিক্ষাক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্বের কথা ব্যক্ত হয়েছে । 
  9. অ্যাংলো – ইন্ডিয়ান বিদ্যালয়ে সাহায্য : সংবিধানের ৩৩৭ নং ধারা অনুযায়ী , সংবিধান চালু হওয়ার তিন বছর পর্যন্ত পূর্বের ন্যায় অ্যাংলো – ইন্ডিয়ান বিদ্যালয়ে সাহায্য অব্যাহত রাখতে হবে ।