MCQ: HS Geography Question and Answer :
- চুনাপাথর থেকে উদ্ভূত লাল রং – এর মাটিকে—
(A) টেরারোসা
(B) রেনজিনা
(C) ল্যাটেরাইট
(D) তুন্দ্রা মাটি বলে
Ans: (A) টেরারোসা
- মৃত্তিকা গঠনের একটি প্রধান নিয়ন্ত্রক হলো— (A) জলবায়ু
(B) ভূপ্রকৃতি
(C) মূল শিলাখণ্ড
(D) সময়
Ans: (A) জলবায়ু
- প্রশমিত মাটির pH মান কত ?
(A) 6.5
(B) 6
(C) 7.5
(D) 7
Ans: (D) 7
- চারনোজেম মৃত্তিকা সৃষ্টি হয় কোন প্রক্রিয়ার দ্বারা ?
(A) কার্বোনেশন
(B) অক্সিডেশন
(C) হাইড্রোলিসিস
(D) হাইড্রেশন
Ans: (A) কার্বোনেশন
- ইলুভিয়েশন প্রক্রিয়া মৃত্তিকার কোন স্তরে সংঘটিত হয় ?
(A) A স্তরে
(B) B স্তরে
(C) C স্তরে
(D) D স্তরে
Ans: (B) B স্তরে
- মৃত্তিকা সৃষ্টির একটি নিষ্ক্রিয় নিয়ন্ত্রক হলো—
(A) উন্নতা
(B) ভূপ্রকৃতি
(C) বৃষ্টিপাত
(D) উদ্ভিদ
Ans: (B) ভূপ্রকৃতি
- সোলোনেজ মৃত্তিকাকে বলে—
(A) আঞ্চলিক মৃত্তিকা
(B) আন্তঃআঞ্চলিক মৃত্তিকা
(C) অনাঞ্চলিক মৃত্তিকা
(D) কোনোটিই নয়
Ans: (B) আন্তঃআঞ্চলিক মৃত্তিকা
- মৃত্তিকা পরিলেখের ‘ A ’ স্তর থেকে ‘ B ’ স্তরে পদার্থের অপসারণের পদ্ধতিকে বলে—
(A) হিউমিফিকেশন
(B) স্যালিনাইজেশন
(C) ইলুভিয়েশন
(D) এলুভিয়েশন
Ans: (C) ইলুভিয়েশন
- ‘ স্পোডোেসল ’ মৃত্তিকার একটি উদাহরণ হলো (A) পড়সল
(B) পলিমাটি
(C) চারনোজেম
(D) ল্যাটেরাইট
Ans: (A) পড়সল
- শারীরবৃত্তীয় শুষ্ক মুক্তিকায় যে উদ্ভিদ জন্মায় , তা হলো-
(A) হাইড্রোফাইট
(B) মেসোফাইট
(C) জেরোফাইট
(D) হ্যালোফাইট
Ans: (D) হ্যালোফাইট
- চুন ও লবণের পরিমাণের আধিক্যে গড়ে ওঠা মৃি হলো-
(A) পেডোক্যাল
(B) পেডালফার
(C) স্পোডোসোল
(D) সোলানচাক
Ans: (A) পেডোক্যাল
- অধিক উয় অঞ্চলে কাঁচা সবজিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ কম হয় । ফলে মাটিতে হ্রাস পেতে থাকে –
(A) খনিজ পদার্থ
(B) অক্সিজেন
(C) নাইট্রোজেন
(D) ক্যালশিয়াম
Ans: (C) নাইট্রোজেন
- সর্বাধিক হিউমাস দেখা যায়—
(A) চারনোজেম
(B) ল্যাটেরাইট
(C) পডজল – মৃত্তিকাকে
(D) তুন্দ্রা
Ans: (A) চারনোজেম
- উত্তর – পূর্ব ভারতে মৃত্তিকা ক্ষয়ের প্রধান কারণ
(A) অধিক বৃষ্টি
(B) অধিক জলসেচ
(C) ভূমিধস
(D) জুমচাষ
Ans: (D) জুমচাষ
- ‘ সোলানচাক ‘ মাটি সৃষ্টির প্রক্রিয়া হলো –
(A) ল্যাটারাইজেশন
(B) স্যালিনাইজেশন
(C) ক্যালশিফিকেশন
(D) অ্যালক্যালাইজেশন
Ans: (B) স্যালিনাইজেশন
- নাতিশীতোর তৃণভূমি অঞ্চলের মুক্তিকা হলো—
(A) ভার্টিসল
(B) অক্সসল
(C) মলিসল
(D) জেলিসল
Ans: (C) মলিসল
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল – মৃত্তিকা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Geography Question and Answer :
- মেইজেশন কী ?
Ans: জলযুক্ত নিম্নভূমি বা জলাভূমিতে মাটি সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে গ্লেইজেশন বলে ।
- বেলেমাটিতে বালির ভাগ ন্যূনতম কত থাকা উচিত ?
Ans: 85 % .
- মৃত্তিকার পরিলেখ বিকাশ বেশি হয় কোন অঞ্চলে ?
Ans: শীতল নাতিশীতোয় জলবায়ুর সরলবর্গীয় অরণ্য অঞ্চলে । মৃত্তিকাক্ষয়ের মনুষ্যসৃষ্ট কারণগুলি লেখো । বৃক্ষচ্ছেদন , অনিয়ন্ত্রিত পশুচারণ , জুমচাষ , অবৈজ্ঞানিক কৃষিকাজ ।
- ‘ রেনজিনা ‘ কী ?
Ans: চুনাপাথর অঞ্চলে এক ধরনের ধূসর মাটি সৃষ্টি হয় যাকে রেনজিনা বলে ।
- ক্যালশিয়াম কার্বোনেট সমৃদ্ধ মৃত্তিকা কী নামে পরিচিত ?
Ans: পেডোক্যাল নামে পরিচিত ।
- ভার্টিসল বর্গের মাটির একটি উদাহরণ দাও ।
Ans: ভারতের কৃথ্বমৃত্তিকা ।
- সিরোজেম মৃত্তিকা প্রধানত কোথায় সৃষ্টি হয় ?
Ans: সিরোজেম মৃত্তিকা প্রধানত মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলে দেখা যায় ।
- হিউমাস কাকে বলে ?
Ans: উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ মুক্তিকাস্থিত সূক্ষ্ম জীবাণুদের দ্বারা পচনের ফলে যে বিয়োজিত পদার্থে পরিণত হয় তাকে হিউমাস বলে ।
- ‘ সোলাম ‘ কী ?
Ans: মৃত্তিকা পরিলেখে পরিণত মাটির নরম , শিথিল , ঝুরঝুরে ও হিউমাস সমৃদ্ধ ‘ A ‘ এবং ‘ B ’ স্তরকে একত্রে ‘ সোলাম ‘ বা মৃত্তিকাদেহ বলে । 10. অপরিণত মাটি কী ?
Ans: যথেষ্ট সময়ের অভাবে যে মুক্তিকায় সবক’টি স্তর গড়ে উঠতে পারে না তাকে অপরিণত মাটি বলে ।
- এভোডায়ানামরফিক ( Endodianamorphic ) মাটি কাকে বলে ?
Ans: মাটি গঠনের প্রাথমিক পর্যায়ে মূল উপকরণের ভিত্তিতে যে মাটি গঠিত হলো , তাকে এন্ডোডায়ানামরফিক মাটি বলে । যেমন — লিমোসেল।
- মৃত্তিকাদূষণ কাকে বলে ?
Ans: প্রাকৃতিক ও মানবিক ক্রিয়াকলাপের ফলে ভূপৃষ্ঠের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তনের মাধ্যমে যখন মৃত্তিকার গুণগত মান হ্রাস পায় এবং উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে তখন তাকে মৃত্তিকাদূষণ বলে ।
- ল্যাটেরাইট মৃত্তিকার দু’টি বৈশিষ্ট্য লেখো ।
Ans: 1) এই মৃত্তিকা সাধারণত লোহা ও অ্যালুমিনিয়ামে সমৃদ্ধ । 2) এই মৃত্তিকা ইটের মতো শক্ত ও লাল রঙের , অত্যন্ত অনুর্বর এবং কৃষিকাজ খুব একটা হয় না ।
- খনিজকরণ কাকে বলে ?
Ans: হিউমাস বায়ুর অক্সিজেনের সাথে জারিত হলে এর অন্তর্গত খনিজ মৃত্তিকায় মিশে যায় । একে খনিজকরণ বলে ।
- মাল কী ?
Ans: পর্ণমোচী অরণ্যে আলগা ও মুচমুচে ধরনের মাটির ওপরের ‘ 0 ‘ স্তরটিকে মৃত্তিকাবিজ্ঞানের ভাষায় মাল বলে ।
- মৃত্তিকা ক্যাটেনা কাকে বলে ?
Ans: একইরকম জলবায়ু ও মূল শিলাযুক্ত অঞ্চলের পার্বত্য ভূমিঢালে শুধুমাত্র জলনিকাশি ব্যবস্থা ও ভূমিরূপের পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন মৃত্তিকা সৃষ্টি হয় , তাকে মৃত্তিকা ক্যাটেনা বলে ।
- ভার্টিসল মৃত্তিকা ভারতে কী নামে পরিচিত ?
Ans: ক্লে খনিজ দ্বারা গঠিত যে মাটি জল পেয়ে ফুলে ওঠে এবং শুকিয়ে গেলে শক্ত ও বড়ো ফাটলের সৃষ্টি হয় তাকে ভার্টিসল মৃত্তিকা বলে । ভারতের ডেকানট্র্যাক ( রেগুর ) ও অস্ট্রেলিয়ায় এই মৃত্তিকা দেখা যায় ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল – মৃত্তিকা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Geography Question and Answer :
- মৃত্তিকা সৃষ্টির সক্রিয় উপাদানগুলি আলোচনা করো।
Ans: মৃত্তিকা সৃষ্টির সক্রিয় উপাদানগুলি হলো— ( a ) জলবায়ু ও ( b ) জীবজগৎ ।
( a ) জলবায়ু : জলবায়ু হলো মৃত্তিকা গঠনের প্রত্যক্ষ এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । এটি মৃত্তিকা প্রোফাইলে শত শত বছর ধরে মৃত্তিকা গঠনকারী উপাদানসমূহের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ক্রিয়ার ফল । জলবায়ু সাধারণত বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার মাধ্যমে মৃত্তিকা গঠনে প্রভাব বিস্তার করে ।
1) বৃষ্টিপাত : বৃষ্টিপাত নানাভাবে মৃত্তিকা গঠনে অংশগ্রহণ করে । বৃষ্টিপাত উদ্ভিদের বৃদ্ধি , ক্ষুদ্র জীবাণুর বংশবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে । ফলে মাটিতে বেশি পরিমাণে জৈবপদার্থের বিয়োজন হয়ে মৃত্তিকা গঠনের কাজ ত্বরান্বিত হয় । বৃষ্টির পরিশ্রুত জল মৃত্তিকার উৎস বস্তু গঠনকারী পদার্থগুলোকে দ্রবীভূত করে এবং অন্যত্র নিয়ে জমা করে মৃত্তিকা গঠনে সহায়তা করে ।
2) তাপমাত্রা : মৃত্তিকা গঠনে তাপমাত্রার প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ । প্রতি 10 ° তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে মৃত্তিকার রাসায়নিক বিক্রিয়া দ্বিগুণ হয় । সেসব এলাকায় উত্তাপ ও আর্দ্রতা বেশি সেখানে মাটিতে কর্দমকণা বেশি দেখা যায় , কারণ অবক্ষয় প্রক্রিয়া বেশি মাত্রায় হয় । কিন্তু হিম ও শুষ্ক এলাকায় কম হয় ।
( b ) জীবজগত্ : মৃত্তিকা গঠনে জীবজগতের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । যথা— :
1) মৃত্তিকা গঠনে উদ্ভিদের ভূমিকা : বিভিন্ন উদ্ভিদের জৈব অবশেষের পরিমাণ মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক গঠনকে প্রভাবিত করে । মৃত্তিকার জৈব পদার্থের পরিমাণ আবার প্রাকৃতিক পরিবেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় ।
স্থানীয় স্বাভাবিক উদ্ভিদের প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর মৃত্তিকায় খনিজ পদার্থের পরিবহণ ও তার সঞ্চয় নির্ভর করে ।
উদ্ভিদের ডালপালা , পাতা , বাকল ইত্যাদি মৃত্তিকার পরিলেখ গঠন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে ।
2) মৃত্তিকা গঠনে প্রাণীজগতের ভূমিকা : মৃত্তিকায় বসবাসকারী প্রাণী তথা ইঁদুর , পিঁপড়ে , খরগোশ , উইপোকা , কেঁচো , প্রেইরি কুকুর ইত্যাদি প্রাণী বিভিন্নভাবে মৃত্তিকার গঠনকে প্রভাবিত করে । যেমন — কেঁচোর মল নাইট্রোজেন ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ বলে মৃত্তিকা নাইট্রোজেন ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ হয় । সবচেয়ে বেশি হয় ।
- চারনোজেম মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য কী কী ? মৃত্তিকার pH বলতে কী বোঝায় ?
Ans: চারনোজেম মৃত্তিকা হলো কালো মুক্তিকা । চারনোজেম মৃত্তিকা সাধারণত তৃণভূমি অঞ্চলে সৃষ্ট একপ্রকার আঞ্চলিক মৃত্তিকা ।
চারনোজেম মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্যগুলি হলো—
1) মন্টমরিলোনাইট কর্দমকণার অবস্থানের জন্যে এই মাটির জলধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি ।
2) এই মৃত্তিকায় প্রচুর জৈব পদার্থ ও খনিজ পদার্থ থাকে বলে এই মৃত্তিকার উর্বর
3) এই মৃত্তিকার স্বল্প পরিবর্তিত রূপ হলো প্রেইরি মৃত্তিকা ।
4) চারনোজেম মৃত্তিকা কৃষিকাজের পক্ষে আদর্শ । এই মাটির প্রধান ফসল হলো গম , এছাড়া ভুট্টা ও অন্যান্য পশুখাদ্য চাষ করা হয় ।
মৃত্তিকার pH : যে স্কেলের মাধ্যমে কোনো দ্রবণের হাইড্রোজেন আয়নের ( H + ) পরিমাণ প্রকাশ করা হয় তাকে pH স্কেল বলে । মাটির pH- এর মান 7 হলে সেই মাটি নিরপেক্ষ বা প্রশমিত মাটি । মান 7 এর কম হলে সেই মাটি আম্লিক এবং মান 7 – এর বেশি হলে সেই মাটি ক্ষারকীয় ।
- মৃত্তিকা সৃষ্টিতে বৃষ্টিপাতের প্রভাব লেখো । মৃত্তিকা সৃষ্টির মৌলিক প্রক্রিয়াগুলি ( Fundamental Process ) ?
Ans: মৃত্তিকা সৃষ্টিতে বৃষ্টিপাতের ভূমিকা : 1) অধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে হাইড্রোজেন আয়নের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় । ফলে মৃত্তিকা অম্ল প্রকৃতির হয় । 2) অধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে মৃত্তিকার উপরিস্তর থেকে এলুভিয়েশন প্রক্রিয়ায় ক্যালশিয়াম , পটাশিয়াম , ম্যাগনেশিয়াম প্রভৃতি অপসৃত হয় । 3) অধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে প্রচুর উদ্ভিদ ও জৈব পদার্থের সঞ্চয়ের ফলে মুক্তিকাতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় । 4) স্বল্প বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে ক্ষারকীয় পদার্থগুলি ( ক্যালশিয়াম , পটাশিয়াম ) মৃত্তিকার উপরের স্তরে সঞ্ছিত হয় । 5) অধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে মৃত্তিকার স্তরগুলির গভীরতাও বৃদ্ধি পায় ।
মৃত্তিকা সৃষ্টির মৌলিক প্রক্রিয়া :
1) হিউমিফিকেশন : মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ মৃত্তিকার মধ্যে বিক্রিয়া করে কালো রঙের যে জৈব পদার্থের সৃষ্টি হয় , তাকে হিউমাস বলে । হিউমাস গঠনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় হিউমিফিকেশন ।
2) খনিজকরণ : খনিজকরণ হলো মুক্তিকাতে খনিজ পদার্থের প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া ।
3) এলুভিয়েশন : এই প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকার উপরিস্তর থেকে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ধৌত প্রক্রিয়ায় মুক্তিকার নীচের স্তরে স্থানান্তরিত হয় ।
4) ইলুডিয়েশন : এই প্রক্রিয়ায় মুক্তিকার উপরিস্তর অর্থাৎ ‘ A ‘ স্তর থেকে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ধৌত প্রক্রিয়ায় মুক্তিকার নীচের স্তরে অর্থাৎ ‘ B ‘ স্তরে সতি হয় ।
মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও । এলুভিয়েশন ও ইলুভিয়েশনের মধ্যে পার্থক্য লেখো ।
মৃত্তিকা গঠনের প্রক্রিয়াগুলিকে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা — প্রাথমিক প্রক্রিয়া , মৌলিক প্রক্রিয়া ও নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ।
প্রাথমিক প্রক্রিয়া : প্রাথমিক প্রক্রিয়া চার প্রকার । যথা—
1) সংযোজন : এই প্রক্রিয়ায় মুক্তিকার উপরের স্তরে সৌরশক্তি , জল , অক্সিজেন , জৈব ও খনিজ পদার্থের সংযোজন ঘটে ।
2) অপসারণ : এই প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকা থেকে জল বাষ্পীভূত হয় । জৈব পদার্থ জারিত হয়ে জল ও কার্বন – ডাই – অক্সাইড সৃষ্টি হয় এবং উদ্ভূত CO , বায়ুতে মিশে যায় ।
3) রুপান্তর : এই প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকার মধ্যে অবস্থিত খনিজ পদার্থগুলি ও জৈব পদার্থ বিয়োজিত হয়ে হিউমিফিকেশন ও খনিজকরণ পদ্ধতির মাধ্যমে রূপান্তরিত হয় ।
4) স্থানান্তর : এই প্রক্রিয়ায় খনিজ পদার্থ ও জৈব পদার্থগুলো জলে দ্রবীভূত হয়ে মুক্তিকার গভীরে স্থানান্তরিত হয় ।
মৌলিক প্রক্রিয়া :
1) হিউমিফিকেশন : মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ মৃত্তিকার মধ্যে বিক্রিয়া করে কালো রঙের যে জৈব পদার্থের সৃষ্টি হয় , তাকে হিউমাস বলে । হিউমাস গঠনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় হিউমিফিকেশন ।
2) খনিজকরণ : খনিজকরণ হলো মুক্তিকাতে খনিজ পদার্থের প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া ।
3) এলুভিয়েশন : এই প্রক্রিয়ায় মুক্তিকার উপরিস্তর থেকে ‘ A ‘ স্তর বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ধৌত প্রক্রিয়ায় থেকে মুক্তিকার নীচের স্তরে স্থানান্তরিত হয় ।
4) ইলুভিয়েশন : এই প্রক্রিয়ায় মুক্তিকার উপরিস্তর অর্থাৎ ‘ A ‘ স্তর থেকে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ধৌত প্রক্রিয়ায় মুক্তিকার নীচের স্তরে অর্থাৎ ‘ B ‘ স্তরে সম্ভিত হয় ।
নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া :
1) ল্যাটেরাইজেশন : এই প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকার উপরিস্তর থেকে ক্যালশিয়াম , ম্যাগনেশিয়াম প্রভৃতি অপসারিত হয় এবং মৃত্তিকা মধ্যস্থিত লোহা ও অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড থেকে যায় , এইভাবে ল্যাটেরাইট মুক্তিকার সৃষ্টি হয় ।
2) পডসলাইজেশন : যে প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকার উপরিস্তরে সিলিকা সঞ্চিত হয় এবং লোহা ও অ্যালুমিনিয়াম অপসৃত হয় ধৌত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে , তাকে পডসলাইজেশন বলে ।
3) গ্লেইজেশন : জলমগ্ন এলাকায় যেখানে মৃত্তিকাতে অক্সিজেনের জোগান কম , সেখানে বিজারণ প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকা গঠনকে গ্রেইজেশন বলে ।
4) স্যালিনাইজেশন : এই প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকার উপরিস্তরে যৌগিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রবীভূত লবণ সঞ্চিত হয় । এই প্রক্রিয়ায় সোলানচক মৃত্তিকা গঠিত হয় ।
5) ক্যালশিফিকেশন : চারনোজেম , চেস্টনাট প্রভৃতি মৃত্তিকা গঠনের প্রক্রিয়া , ক্যালশিফিকেশন নামে পরিচিত ।
6) অ্যালকালাইজেশন : এই প্রক্রিয়ায় মরু অঞ্চলের মৃত্তিকাতে সোডিয়াম লবণ সঞ্চয় হয় ।