উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল – মৃত্তিকা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর

 MCQ: HS Geography Question and Answer : 

  1. চুনাপাথর থেকে উদ্ভূত লাল রং – এর মাটিকে— 

(A) টেরারোসা 

(B) রেনজিনা 

(C) ল্যাটেরাইট

(D) তুন্দ্রা মাটি বলে 

Ans: (A) টেরারোসা

 

  1. মৃত্তিকা গঠনের একটি প্রধান নিয়ন্ত্রক হলো— (A) জলবায়ু 

(B) ভূপ্রকৃতি 

(C) মূল শিলাখণ্ড

(D) সময় 

Ans: (A) জলবায়ু

 

  1. প্রশমিত মাটির pH মান কত ? 

(A) 6.5 

(B) 6 

(C) 7.5

(D) 7 

Ans: (D) 7 

 

  1. চারনোজেম মৃত্তিকা সৃষ্টি হয় কোন প্রক্রিয়ার দ্বারা ? 

(A) কার্বোনেশন 

(B) অক্সিডেশন 

(C) হাইড্রোলিসিস 

(D) হাইড্রেশন 

Ans: (A) কার্বোনেশন

 

  1. ইলুভিয়েশন প্রক্রিয়া মৃত্তিকার কোন স্তরে সংঘটিত হয় ? 

(A) A স্তরে 

(B) B স্তরে 

(C) C স্তরে 

(D) D স্তরে 

Ans: (B) B স্তরে

 

  1. মৃত্তিকা সৃষ্টির একটি নিষ্ক্রিয় নিয়ন্ত্রক হলো— 

(A) উন্নতা 

(B) ভূপ্রকৃতি 

(C) বৃষ্টিপাত

(D) উদ্ভিদ 

Ans: (B) ভূপ্রকৃতি

 

  1. সোলোনেজ মৃত্তিকাকে বলে— 

(A) আঞ্চলিক মৃত্তিকা 

(B) আন্তঃআঞ্চলিক মৃত্তিকা 

(C) অনাঞ্চলিক মৃত্তিকা 

(D) কোনোটিই নয় 

Ans: (B) আন্তঃআঞ্চলিক মৃত্তিকা

 

  1. মৃত্তিকা পরিলেখের ‘ A ’ স্তর থেকে ‘ B ’ স্তরে পদার্থের অপসারণের পদ্ধতিকে বলে— 

(A) হিউমিফিকেশন 

(B) স্যালিনাইজেশন 

(C) ইলুভিয়েশন 

(D) এলুভিয়েশন 

Ans: (C) ইলুভিয়েশন

 

  1. ‘ স্পোডোেসল ’ মৃত্তিকার একটি উদাহরণ হলো (A) পড়সল 

(B) পলিমাটি 

(C) চারনোজেম 

(D) ল্যাটেরাইট 

Ans: (A) পড়সল

 

  1. শারীরবৃত্তীয় শুষ্ক মুক্তিকায় যে উদ্ভিদ জন্মায় , তা হলো- 

(A) হাইড্রোফাইট 

(B) মেসোফাইট 

(C) জেরোফাইট

(D) হ্যালোফাইট

Ans: (D) হ্যালোফাইট

 

  1. চুন ও লবণের পরিমাণের আধিক্যে গড়ে ওঠা মৃি হলো- 

(A) পেডোক্যাল 

(B) পেডালফার 

(C) স্পোডোসোল 

(D) সোলানচাক 

Ans: (A) পেডোক্যাল

 

  1. অধিক উয় অঞ্চলে কাঁচা সবজিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ কম হয় । ফলে মাটিতে হ্রাস পেতে থাকে – 

(A) খনিজ পদার্থ 

(B) অক্সিজেন 

(C) নাইট্রোজেন 

(D) ক্যালশিয়াম 

Ans: (C) নাইট্রোজেন

 

  1. সর্বাধিক হিউমাস দেখা যায়— 

(A) চারনোজেম 

(B) ল্যাটেরাইট 

(C) পডজল – মৃত্তিকাকে 

(D) তুন্দ্রা 

Ans: (A) চারনোজেম

 

  1. উত্তর – পূর্ব ভারতে মৃত্তিকা ক্ষয়ের প্রধান কারণ 

(A) অধিক বৃষ্টি 

(B) অধিক জলসেচ 

(C) ভূমিধস 

(D) জুমচাষ 

Ans: (D) জুমচাষ

 

  1. ‘ সোলানচাক ‘ মাটি সৃষ্টির প্রক্রিয়া হলো – 

(A) ল্যাটারাইজেশন 

(B) স্যালিনাইজেশন 

(C) ক্যালশিফিকেশন 

(D) অ্যালক্যালাইজেশন 

Ans: (B) স্যালিনাইজেশন

 

  1. নাতিশীতোর তৃণভূমি অঞ্চলের মুক্তিকা হলো— 

(A) ভার্টিসল 

(B) অক্সসল 

(C) মলিসল 

(D) জেলিসল 

Ans: (C) মলিসল

 

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল – মৃত্তিকা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Geography Question and Answer : 

  1. মেইজেশন কী ? 

Ans: জলযুক্ত নিম্নভূমি বা জলাভূমিতে মাটি সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে গ্লেইজেশন বলে ।

  1. বেলেমাটিতে বালির ভাগ ন্যূনতম কত থাকা উচিত ?

Ans: 85 % . 

  1. মৃত্তিকার পরিলেখ বিকাশ বেশি হয় কোন অঞ্চলে ? 

Ans: শীতল নাতিশীতোয় জলবায়ুর সরলবর্গীয় অরণ্য অঞ্চলে । মৃত্তিকাক্ষয়ের মনুষ্যসৃষ্ট কারণগুলি লেখো । বৃক্ষচ্ছেদন , অনিয়ন্ত্রিত পশুচারণ , জুমচাষ , অবৈজ্ঞানিক কৃষিকাজ । 

  1. ‘ রেনজিনা ‘ কী ? 

Ans: চুনাপাথর অঞ্চলে এক ধরনের ধূসর মাটি সৃষ্টি হয় যাকে রেনজিনা বলে । 

  1. ক্যালশিয়াম কার্বোনেট সমৃদ্ধ মৃত্তিকা কী নামে পরিচিত ? 

Ans: পেডোক্যাল নামে পরিচিত । 

  1. ভার্টিসল বর্গের মাটির একটি উদাহরণ দাও ।

Ans: ভারতের কৃথ্বমৃত্তিকা । 

  1. সিরোজেম মৃত্তিকা প্রধানত কোথায় সৃষ্টি হয় ?

Ans: সিরোজেম মৃত্তিকা প্রধানত মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলে দেখা যায় । 

  1. হিউমাস কাকে বলে ? 

Ans: উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ মুক্তিকাস্থিত সূক্ষ্ম জীবাণুদের দ্বারা পচনের ফলে যে বিয়োজিত পদার্থে পরিণত হয় তাকে হিউমাস বলে । 

  1. ‘ সোলাম ‘ কী ? 

Ans: মৃত্তিকা পরিলেখে পরিণত মাটির নরম , শিথিল , ঝুরঝুরে ও হিউমাস সমৃদ্ধ ‘ A ‘ এবং ‘ B ’ স্তরকে একত্রে ‘ সোলাম ‘ বা মৃত্তিকাদেহ বলে । 10. অপরিণত মাটি কী ? 

Ans: যথেষ্ট সময়ের অভাবে যে মুক্তিকায় সবক’টি স্তর গড়ে উঠতে পারে না তাকে অপরিণত মাটি বলে । 

  1. এভোডায়ানামরফিক ( Endodianamorphic ) মাটি কাকে বলে ? 

Ans: মাটি গঠনের প্রাথমিক পর্যায়ে মূল উপকরণের ভিত্তিতে যে মাটি গঠিত হলো , তাকে এন্ডোডায়ানামরফিক মাটি বলে । যেমন — লিমোসেল। 

  1. মৃত্তিকাদূষণ কাকে বলে ? 

Ans: প্রাকৃতিক ও মানবিক ক্রিয়াকলাপের ফলে ভূপৃষ্ঠের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তনের মাধ্যমে যখন মৃত্তিকার গুণগত মান হ্রাস পায় এবং উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে তখন তাকে মৃত্তিকাদূষণ বলে । 

  1. ল্যাটেরাইট মৃত্তিকার দু’টি বৈশিষ্ট্য লেখো । 

Ans: 1) এই মৃত্তিকা সাধারণত লোহা ও অ্যালুমিনিয়ামে সমৃদ্ধ । 2) এই মৃত্তিকা ইটের মতো শক্ত ও লাল রঙের , অত্যন্ত অনুর্বর এবং কৃষিকাজ খুব একটা হয় না । 

  1. খনিজকরণ কাকে বলে ? 

Ans: হিউমাস বায়ুর অক্সিজেনের সাথে জারিত হলে এর অন্তর্গত খনিজ মৃত্তিকায় মিশে যায় । একে খনিজকরণ বলে । 

  1. মাল কী ? 

Ans: পর্ণমোচী অরণ্যে আলগা ও মুচমুচে ধরনের মাটির ওপরের ‘ 0 ‘ স্তরটিকে মৃত্তিকাবিজ্ঞানের ভাষায় মাল বলে । 

  1. মৃত্তিকা ক্যাটেনা কাকে বলে ?

Ans: একইরকম জলবায়ু ও মূল শিলাযুক্ত অঞ্চলের পার্বত্য ভূমিঢালে শুধুমাত্র জলনিকাশি ব্যবস্থা ও ভূমিরূপের পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন মৃত্তিকা সৃষ্টি হয় , তাকে মৃত্তিকা ক্যাটেনা বলে । 

  1. ভার্টিসল মৃত্তিকা ভারতে কী নামে পরিচিত ?

Ans: ক্লে খনিজ দ্বারা গঠিত যে মাটি জল পেয়ে ফুলে ওঠে এবং শুকিয়ে গেলে শক্ত ও বড়ো ফাটলের সৃষ্টি হয় তাকে ভার্টিসল মৃত্তিকা বলে । ভারতের ডেকানট্র্যাক ( রেগুর ) ও অস্ট্রেলিয়ায় এই মৃত্তিকা দেখা যায় । 

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল – মৃত্তিকা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Geography Question and Answer : 

  1. মৃত্তিকা সৃষ্টির সক্রিয় উপাদানগুলি আলোচনা করো। 

Ans: মৃত্তিকা সৃষ্টির সক্রিয় উপাদানগুলি হলো— ( a ) জলবায়ু ও ( b ) জীবজগৎ । 

( a ) জলবায়ু : জলবায়ু হলো মৃত্তিকা গঠনের প্রত্যক্ষ এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । এটি মৃত্তিকা প্রোফাইলে শত শত বছর ধরে মৃত্তিকা গঠনকারী উপাদানসমূহের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ক্রিয়ার ফল । জলবায়ু সাধারণত বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার মাধ্যমে মৃত্তিকা গঠনে প্রভাব বিস্তার করে । 

  1) বৃষ্টিপাত : বৃষ্টিপাত নানাভাবে মৃত্তিকা গঠনে অংশগ্রহণ করে । বৃষ্টিপাত উদ্ভিদের বৃদ্ধি , ক্ষুদ্র জীবাণুর বংশবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে । ফলে মাটিতে বেশি পরিমাণে জৈবপদার্থের বিয়োজন হয়ে মৃত্তিকা গঠনের কাজ ত্বরান্বিত হয় । বৃষ্টির পরিশ্রুত জল মৃত্তিকার উৎস বস্তু গঠনকারী পদার্থগুলোকে দ্রবীভূত করে এবং অন্যত্র নিয়ে জমা করে মৃত্তিকা গঠনে সহায়তা করে । 

  2) তাপমাত্রা : মৃত্তিকা গঠনে তাপমাত্রার প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ । প্রতি 10 ° তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে মৃত্তিকার রাসায়নিক বিক্রিয়া দ্বিগুণ হয় । সেসব এলাকায় উত্তাপ ও আর্দ্রতা বেশি সেখানে মাটিতে কর্দমকণা বেশি দেখা যায় , কারণ অবক্ষয় প্রক্রিয়া বেশি মাত্রায় হয় । কিন্তু হিম ও শুষ্ক এলাকায় কম হয় । 

( b ) জীবজগত্ : মৃত্তিকা গঠনে জীবজগতের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । যথা— : 

  1) মৃত্তিকা গঠনে উদ্ভিদের ভূমিকা : বিভিন্ন উদ্ভিদের জৈব অবশেষের পরিমাণ মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক গঠনকে প্রভাবিত করে । মৃত্তিকার জৈব পদার্থের পরিমাণ আবার প্রাকৃতিক পরিবেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় । 

  স্থানীয় স্বাভাবিক উদ্ভিদের প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর মৃত্তিকায় খনিজ পদার্থের পরিবহণ ও তার সঞ্চয় নির্ভর করে । 

  উদ্ভিদের ডালপালা , পাতা , বাকল ইত্যাদি মৃত্তিকার পরিলেখ গঠন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে । 

  2) মৃত্তিকা গঠনে প্রাণীজগতের ভূমিকা : মৃত্তিকায় বসবাসকারী প্রাণী তথা ইঁদুর , পিঁপড়ে , খরগোশ , উইপোকা , কেঁচো , প্রেইরি কুকুর ইত্যাদি প্রাণী বিভিন্নভাবে মৃত্তিকার গঠনকে প্রভাবিত করে । যেমন — কেঁচোর মল নাইট্রোজেন ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ বলে মৃত্তিকা নাইট্রোজেন ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ হয় । সবচেয়ে বেশি হয় । 

  1. চারনোজেম মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য কী কী ? মৃত্তিকার pH বলতে কী বোঝায় ? 

Ans: চারনোজেম মৃত্তিকা হলো কালো মুক্তিকা । চারনোজেম মৃত্তিকা সাধারণত তৃণভূমি অঞ্চলে সৃষ্ট একপ্রকার আঞ্চলিক মৃত্তিকা । 

চারনোজেম মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্যগুলি হলো— 

  1) মন্টমরিলোনাইট কর্দমকণার অবস্থানের জন্যে এই মাটির জলধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি ।

  2) এই মৃত্তিকায় প্রচুর জৈব পদার্থ ও খনিজ পদার্থ থাকে বলে এই মৃত্তিকার উর্বর 

  3) এই মৃত্তিকার স্বল্প পরিবর্তিত রূপ হলো প্রেইরি মৃত্তিকা ।

  4) চারনোজেম মৃত্তিকা কৃষিকাজের পক্ষে আদর্শ । এই মাটির প্রধান ফসল হলো গম , এছাড়া ভুট্টা ও অন্যান্য পশুখাদ্য চাষ করা হয় ।

মৃত্তিকার pH : যে স্কেলের মাধ্যমে কোনো দ্রবণের হাইড্রোজেন আয়নের ( H + ) পরিমাণ প্রকাশ করা হয় তাকে pH স্কেল বলে । মাটির pH- এর মান 7 হলে সেই মাটি নিরপেক্ষ বা প্রশমিত মাটি । মান 7 এর কম হলে সেই মাটি আম্লিক এবং মান 7 – এর বেশি হলে সেই মাটি ক্ষারকীয় । 

  1. মৃত্তিকা সৃষ্টিতে বৃষ্টিপাতের প্রভাব লেখো । মৃত্তিকা সৃষ্টির মৌলিক প্রক্রিয়াগুলি ( Fundamental Process ) ? 

Ans: মৃত্তিকা সৃষ্টিতে বৃষ্টিপাতের ভূমিকা : 1) অধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে হাইড্রোজেন আয়নের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় । ফলে মৃত্তিকা অম্ল প্রকৃতির হয় । 2) অধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে মৃত্তিকার উপরিস্তর থেকে এলুভিয়েশন প্রক্রিয়ায় ক্যালশিয়াম , পটাশিয়াম , ম্যাগনেশিয়াম প্রভৃতি অপসৃত হয় । 3) অধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে প্রচুর উদ্ভিদ ও জৈব পদার্থের সঞ্চয়ের ফলে মুক্তিকাতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় । 4) স্বল্প বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে ক্ষারকীয় পদার্থগুলি ( ক্যালশিয়াম , পটাশিয়াম ) মৃত্তিকার উপরের স্তরে সঞ্ছিত হয় । 5) অধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে মৃত্তিকার স্তরগুলির গভীরতাও বৃদ্ধি পায় । 

মৃত্তিকা সৃষ্টির মৌলিক প্রক্রিয়া : 

  1) হিউমিফিকেশন : মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ মৃত্তিকার মধ্যে বিক্রিয়া করে কালো রঙের যে জৈব পদার্থের সৃষ্টি হয় , তাকে হিউমাস বলে । হিউমাস গঠনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় হিউমিফিকেশন । 

  2) খনিজকরণ : খনিজকরণ হলো মুক্তিকাতে খনিজ পদার্থের প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া । 

  3) এলুভিয়েশন : এই প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকার উপরিস্তর থেকে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ধৌত প্রক্রিয়ায় মুক্তিকার নীচের স্তরে স্থানান্তরিত হয় । 

  4) ইলুডিয়েশন : এই প্রক্রিয়ায় মুক্তিকার উপরিস্তর অর্থাৎ ‘ A ‘ স্তর থেকে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ধৌত প্রক্রিয়ায় মুক্তিকার নীচের স্তরে অর্থাৎ ‘ B ‘ স্তরে সতি হয় । 

মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও । এলুভিয়েশন ও ইলুভিয়েশনের মধ্যে পার্থক্য লেখো । 

মৃত্তিকা গঠনের প্রক্রিয়াগুলিকে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা — প্রাথমিক প্রক্রিয়া , মৌলিক প্রক্রিয়া ও নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া । 

প্রাথমিক প্রক্রিয়া : প্রাথমিক প্রক্রিয়া চার প্রকার । যথা— 

  1) সংযোজন : এই প্রক্রিয়ায় মুক্তিকার উপরের স্তরে সৌরশক্তি , জল , অক্সিজেন , জৈব ও খনিজ পদার্থের সংযোজন ঘটে । 

  2) অপসারণ : এই প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকা থেকে জল বাষ্পীভূত হয় । জৈব পদার্থ জারিত হয়ে জল ও কার্বন – ডাই – অক্সাইড সৃষ্টি হয় এবং উদ্ভূত CO , বায়ুতে মিশে যায় । 

  3) রুপান্তর : এই প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকার মধ্যে অবস্থিত খনিজ পদার্থগুলি ও জৈব পদার্থ বিয়োজিত হয়ে হিউমিফিকেশন ও খনিজকরণ পদ্ধতির মাধ্যমে রূপান্তরিত হয় । 

  4) স্থানান্তর : এই প্রক্রিয়ায় খনিজ পদার্থ ও জৈব পদার্থগুলো জলে দ্রবীভূত হয়ে মুক্তিকার গভীরে স্থানান্তরিত হয় । 

মৌলিক প্রক্রিয়া : 

  1) হিউমিফিকেশন : মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ মৃত্তিকার মধ্যে বিক্রিয়া করে কালো রঙের যে জৈব পদার্থের সৃষ্টি হয় , তাকে হিউমাস বলে । হিউমাস গঠনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় হিউমিফিকেশন । 

  2) খনিজকরণ : খনিজকরণ হলো মুক্তিকাতে খনিজ পদার্থের প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া । 

  3) এলুভিয়েশন : এই প্রক্রিয়ায় মুক্তিকার উপরিস্তর থেকে ‘ A ‘ স্তর বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ধৌত প্রক্রিয়ায় থেকে মুক্তিকার নীচের স্তরে স্থানান্তরিত হয় । 

  4) ইলুভিয়েশন : এই প্রক্রিয়ায় মুক্তিকার উপরিস্তর অর্থাৎ ‘ A ‘ স্তর থেকে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ধৌত প্রক্রিয়ায় মুক্তিকার নীচের স্তরে অর্থাৎ ‘ B ‘ স্তরে সম্ভিত হয় । 

নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া : 

  1) ল্যাটেরাইজেশন : এই প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকার উপরিস্তর থেকে ক্যালশিয়াম , ম্যাগনেশিয়াম প্রভৃতি অপসারিত হয় এবং মৃত্তিকা মধ্যস্থিত লোহা ও অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড থেকে যায় , এইভাবে ল্যাটেরাইট মুক্তিকার সৃষ্টি হয় । 

  2) পডসলাইজেশন : যে প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকার উপরিস্তরে সিলিকা সঞ্চিত হয় এবং লোহা ও অ্যালুমিনিয়াম অপসৃত হয় ধৌত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে , তাকে পডসলাইজেশন বলে । 

  3) গ্লেইজেশন : জলমগ্ন এলাকায় যেখানে মৃত্তিকাতে অক্সিজেনের জোগান কম , সেখানে বিজারণ প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকা গঠনকে গ্রেইজেশন বলে । 

  4) স্যালিনাইজেশন : এই প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকার উপরিস্তরে যৌগিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রবীভূত লবণ সঞ্চিত হয় । এই প্রক্রিয়ায় সোলানচক মৃত্তিকা গঠিত হয় । 

  5) ক্যালশিফিকেশন : চারনোজেম , চেস্টনাট প্রভৃতি মৃত্তিকা গঠনের প্রক্রিয়া , ক্যালশিফিকেশন নামে পরিচিত । 

  6) অ্যালকালাইজেশন : এই প্রক্রিয়ায় মরু অঞ্চলের মৃত্তিকাতে সোডিয়াম লবণ সঞ্চয় হয় ।