MCQ | প্রশ্ন ও উত্তর |
- বিভাব নাটকটির রচয়িতা কে —
(A) অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়
(B) শম্ভু মিত্র
(C) মনোজ মিত্র
(D) দীনবন্ধু মিত্র
Ans: (B) শম্ভু মিত্র
- শম্ভু মিত্র কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন ?
(A) ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (D) ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে
- বহুরূপী নাট্যদল কত খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ?
(A) ১৯৫০ – এর ১ মে
(B) ১৯৫১ – এর ১ মে
(C) ১৯৫২ – এর ১ মে
(D) ১৯৫৩ – এর ১ মে
Ans: (A) ১৯৫০ – এর ১ মে
- বহুরূপী নাট্যগোষ্ঠী প্রযোজিত প্রথম নাটকটির নাম । –
(A) পথিক
(B) উলুখাগড়া
(C) অচলায়তন
(D) কৃষ্ণকুমারী
Ans: (B) উলুখাগড়া
- ‘ বিভাব ‘ নাটকটি শম্ভু মিত্র কত খ্রিস্টাব্দে রচনা করেন ?
(A) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (B) ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে
- ‘ বিভাব ‘ হল একটি—
(A) একাঙ্ক নাটক
(B) গীতিনাট্য
(C) পঞ্চাঙ্ক নাটক
(D) পালাগান
Ans: (C) পঞ্চাঙ্ক নাটক
- ‘ বিভাব ‘ নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল—
(A) ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে
Ans: (D) ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে
- ‘ বিভাব ‘ নাটকের নামকরণের উৎস —
(A) কাবুকি নাটক
(B) সংস্কৃত নাট্যশাস্ত্র
(C) নাট্যজগতের নানা অভাববোধ
(D) শম্ভু মিত্রের পরামর্শ ।
Ans: (B) সংস্কৃত নাট্যশাস্ত্র
- ‘ বিভাব ‘ নাটকের তিনটি চরিত্র হল —
(A) শম্ভু মিত্র , অমর চৌধুরি , তৃপ্তি মিত্র
(B) শম্ভু মিত্র , অমর প্রধান , তৃপ্তি মিত্র
(C) শম্ভু মিত্র , অমর মিত্র , তৃপ্তি মিত্র
(D) শম্ভু মিত্র , অমর গাঙ্গুলি , তৃপ্তি মিত্র
Ans: (D) শম্ভু মিত্র , অমর গাঙ্গুলি , তৃপ্তি মিত্র
- ‘ আমাদের মনে হয় এর নাম হওয়া উচিত …. …
(A) স্বভাব নাটক
(B) অভাব নাটক
(C) বিভাব নাটক
(D) ভাব নাটক
Ans: (B) অভাব নাটক
- ‘ আমাদের মনে হয় এর নাম উচিত ‘ অভাব নাটক ‘ ।’- এই উক্তিটির বক্তা—
(A) অমর গাঙ্গুলি
(B) তৃপ্তি মিত্র
(C) জনৈক দর্শক
(D শম্ভু মিত্র
Ans: (D শম্ভু মিত্র
- ‘ বিভাব ‘ নাটকের সঙ্গে যুক্ত নাট্যদলটির নাম –
(A) চেতনা
(B) বহুরূপী
(C) ভারতীয় গণনাট্য সংঘ
(D) নান্দীকার
Ans: (B) বহুরূপী
- ‘ বিভাব ‘ নাটকে চরিত্রের সংখ্যা –
(A) চার
(B) দুই
(C) পাঁচ
(D) তিন
Ans: (D) তিন
- ‘ বিভাব ‘ নাটকটিতে যে অভিনয় রীতির ব্যবহার ঘটেছে , তা হল —
(A) আড়ম্বরপূর্ণ সাজসজ্জা
(B) প্রয়োগ ও নাট্যভঙ্গি – নির্ভর নাট্যরীতি
(C) আলোর কারসাজি
(D) বাচিক অভিনয়
Ans: (B) প্রয়োগ ও নাট্যভঙ্গি – নির্ভর নাট্যরীতি
- ‘ পরদা খুললে দেখা যায় …।’—
(A) মঞঞ্চ ফাঁকা
(B) মঞ সম্পূর্ণ ফাঁকা
(C) মঞ্চ অন্ধকার
(D) মঞ্চে নায়ক দাঁড়িয়ে আছে
Ans: (B) মঞ সম্পূর্ণ ফাঁকা
- ‘ আমাদের মনে হয় এর নাম হওয়া উচিত ‘ অভাব নাটক ‘ , এমন বলার কারণ—
(A) টাকা – মঞ্চ – উপকরণ – এই সব ধরনের অভাব থেকেই এর জন্ম
(B) এই নাটকে দক্ষ অভিনেতা – অভিনেত্রীর অভাব স্পষ্ট
(C) এই নাটকটি খাদ্যাভাবকে কেন্দ্র করে লেখা
(D) এই নাটকে চরিত্রসংখ্যা খুব কম
Ans: (A) টাকা – মঞ্চ – উপকরণ – এই সব ধরনের অভাব থেকেই এর জন্ম
- ‘ থাকবার মধ্যে আছে – যা আছে , তা হল —
(A) একটি ফাঁকা মঞ
(B) প্রচুর আর্থিক সুবিধা
(C) নাটকের প্রতি অদম্য ভালোবাসা
(D) নাটক করার পেশাদারিত্ব
Ans: (C) নাটকের প্রতি অদম্য ভালোবাসা
- ‘ সরকারের পেয়াদা খাজনার খাতা খুলে স্টেজের দরজায় হাজির । ‘ কারণ—
(A) ভালো নাটকের জন্য বাহবা দেওয়া
(B) খাজনা মকুব করার ঘোষণা
(C) নাটক দেখার অদম্য কৌতূহল
(D) খাজনা আদায় করা
Ans: (D) খাজনা আদায় করা
- ‘ কারণ , আমরা তো নাটক নিয়ে ব্যবসা করি না’— তাই সরকার কী করে —
(A) নাট্যগোষ্ঠীকে পুরস্কৃত করে
(B) নাট্য কলাকুশলীদের জেলে পাঠায়
(C) তাদের গলা টিপে খাজনা আদায় করে নেয়
(D) খাজনা মুকুব করে দেয়
Ans: (C) তাদের গলা টিপে খাজনা আদায় করে নেয়
- ‘ আমরা সর্বস্ব দিয়ে থুয়ে আবার বেরিয়ে পড়ি ।
(A) জয় মা কালী
(B) ব্যোমকালী
(C) জয় মা শ্যামাকালী
(D) জয় নটনাথায়
Ans: (B) ব্যোমকালী
- ‘ অনেক ভেবেচিন্তে আমরা একটা প্যাঁচ বের করেছি । —এখানে ‘ প্যাচ ‘ বলতে বোঝানো হয়েছে –
(A) অনাড়ম্বর ভঙ্গিনির্ভর নতুন নাট্যরীতি
(B) মঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে দীর্ঘ বক্তৃতা
(C) পথনাটক করে সাধ মেটানোর ইচ্ছা
(D) অন্যান্য নাটক দেখে সময় কাটানো
Ans: (A) অনাড়ম্বর ভঙ্গিনির্ভর নতুন নাট্যরীতি
- ‘ এক পুরোনো বাংলা নাটকে দেখি লেখা আছে ___ ।’
(A) রাজা রথারোহণম নাটয়তি
(B) রথারোহণম নাটয়তি
(C) রাজা রথারোহণম
(D) প্রজা রথারোহণম নাটয়তি
Ans: (A) রাজা রথারোহণম নাটয়তি
- ‘ রাজা রথারোহণম নাটয়তি ।’— এর অর্থ –
(A) রাজা রথে আরোহণ করলেন
(B) রাজা রথ থেকে নামলেন
(C) রাজা রথে আরোহণ করার ভঙ্গি করলেন
(D) রাজা রথে চড়ে যুদ্ধযাত্রা করলেন
Ans: (C) রাজা রথে আরোহণ করার ভঙ্গি করলেন
( ক ) মারাঠি তামাশা [ সংসদ নমুনা প্রশ্ন ]
- তমে ঘোড়া নেইকরি চঞ্চল খবর নেই আসিবি ‘ — উক্তিটি কোন ভাষার নমুনা ?
(A) গুজরাটি
(B) মারাঠি
(C) অসমিয়া
(D) ওড়িয়া
Ans: (D) ওড়িয়া
- তমে ঘোড়া নেইকরি চঞ্চল খবর নেই আসিবি । এটি যে দেশের যাত্রা নমুনা, তা হল —
(A) গুজরাটি গরবা
(B) ওড়িয়া যাত্রাপালা
(C) প্রাচীন বাংলা নাটক
(D) মারাঠি তামাশা
Ans: (B) ওড়িয়া যাত্রাপালা
- তমে ঘোড়া নেইকরি চঞ্চল খবর নেই আসিবি ‘ — উক্তিটি কে , কাকে করেন ?
(A) রাজা তাঁর দূতকে
(B) রাজা তাঁর বিদূষককে
(C) রাজা তাঁর সেনাপতিকে
(D) রাজা তাঁর মন্ত্রীকে
Ans: (A) রাজা তাঁর দূতকে
- কোন্ দেশের যাত্রায় দ্রুত একটি লাঠি দু – পায়ের মধ্যে ধরে ঘোড়ায় চড়ার ভাব প্রকাশ করেন ?
(A) অসম দেশের যাত্রায়
(B) জাপানের কাবুকি থিয়েটারে
(C) বাংলাদেশের যাত্রায়
(D) উড়ে দেশের যাত্রায়
Ans: (D) উড়ে দেশের যাত্রায়
- ওড়িয়া নাটকে দু – পায়ের ফাঁকে লাঠি গুঁজে হেট্ হেট্ করে বোঝানো হয়—
(A) মোটরে চড়াকে
(B) ঘোড়ায় চড়াকে
(C) লাঙল চালানোকে
(D) দোলনা চড়াকে
Ans: (B) ঘোড়ায় চড়াকে
- ‘ বিভাব ‘ নাটকে কোন্ তামাশার কথা উল্লিখিত হয়েছে ?
(A) মারাঠি তামাশা
(B) জাপানের তামাশা
(C) বাংলার তামাশা
(D) গুজরাটি তামাশা
Ans: (A) মারাঠি তামাশা
- ওড়িয়া যাত্রাপালায় দর্শকেরা অত্যন্ত গাম্ভীর্যের সঙ্গে মেনে নিয়েছিল যে—
(A) দূত ঘোড়ায় চড়ে গেল
(B) চাষি ব্যর্থ মনোরথ হয়ে চলল মন্দিরে
(C) দূত ঘোড়ায় চড়েই এল এবং গেল
(D) দূত ঘোড়ায় চড়েই গেল এবং এল
Ans: (D) দূত ঘোড়ায় চড়েই গেল এবং এল
- মারাঠি তামাশায় যে অভিনেতা জমিদার সেজেছিলেন , তিনিই কিছুক্ষণ পরে হয়েছিলেন—
(A) চাষি
(B) দূত
(C) পুরুত
(D) রাজা
Ans: (C) পুরুত
- ‘ যেমন রবিঠাকুরকে মেনেছিল ।’— নাটককারের মতে শহুরে শিক্ষিতরা রবিঠাকুরকে মেনেছিল কারণ—
(A) ফি হপ্তায় তারা বিলিতি বায়োস্কোপ দেখে
(B) তারা প্যান্টুলুন পরে ইংরেজি বলে
(C) তারা ইংরেজি জানে
(D) সাহেবরা রবিঠাকুরকে মানতে বাধ্য হয়েছিল
Ans: (D) সাহেবরা রবিঠাকুরকে মানতে বাধ্য হয়েছিল
- ‘ এমনি সময় হঠাৎই এক সাহেবের লেখা পড়লাম ।’— সাহেবের নাম —
(A) আইজেনস্টাইন
(B) গেরাসিম লেবেদেফ
(C) আইনস্টাইন
(D) জর্জ বার্নার্ড
Ans: (C) আইনস্টাইন
- রুশ দেশীয় এক বিখ্যাত চিত্র পরিচালক হলেন –
(A) আইজেনস্টাইন
(B) আইজেকস্টাইন
(C) আইনস্টাইন
(D) রুশো
Ans: (A) আইজেনস্টাইন
- ‘ বিভাব ‘ নাটকটির অনুপ্রেরণা হল –
(A) জাপানি কাবুকি নাটক
(B) রবীন্দ্রনাথের নাটক
(C) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের নাটক
(D) দীনবন্ধু মিত্রের নাটক
Ans: (A) জাপানি কাবুকি নাটক
- ‘ কাবুকি ‘ থিয়েটার কোন্ দেশের–
(A) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
(B) জাপান
(C) ভিয়েতনাম
(D) রাশিয়া
Ans: (B) জাপান
- একবার কাবুকি থিয়েটার বলে এক জাপানি থিয়েটার —
(A) মস্কোতে গিয়েছিল
(A) লন্ডনে গিয়েছিল
(C) বার্লিনে গিয়েছিল
(D) সিডনিতে গিয়েছিল
Ans: A) মস্কোতে গিয়েছিল
- জাপানের ‘ কাবুকি ‘ থিয়েটার দেখে উচ্ছ্বাস ঝরে পড়েছিল যাঁর গলায় , তিনি হলেন—
(A) আইনস্টাইন
(B) আইজেনস্টাইন
(C) আইজ্যাক নিউটন
(D) আইভান হো
Ans: (A) আইনস্টাইন
- আইজেনস্টাইন ‘ কাবুকি ‘ থিয়েটার দেখেন—
(A) ওসাকায়খ
(B) জাপানে
(C) মস্কোয়
(D) ক্রেমলিনে
Ans: (C) মস্কোয়
- অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে দুর্গ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন—
(A) এক রাজা
(B) এক নাইট
(C) এক চাষি
(D) এক শিফটার
Ans: B) এক নাইট
- দুজন লোক মস্ত দুর্গদ্বার ধরে দাঁড়িয়ে আছে—
(A) নাটকের ভাষায় এরা কোরাস
(B) নাটকের ভাষায় এরা নেপথ্য গায়ক
(C) নাটকের ভাষায় এরা অভিনেতা
(D) নাটকের ভাষায় এর শিফটার
Ans: (D) নাটকের ভাষায় এর শিফটার
- ‘ সে মরারও বাহার কত ।’— এখানে যার মরার কথা বলা হয়েছে , সে হল –
(A) নাইটের
(B) কাবুকি থিয়েটারের অভিনেতার
(C) ওড়িয়া যাত্রাপালার দূতের
(D) মারাঠা তামাশার কৃষকের
Ans: (B) কাবুকি থিয়েটারের অভিনেতার
- কাল্পনিক যুদ্ধের মৃত্যুকে নাট্যকার বলেছেন—
(A) ইসথেটিক মরা
(B) অস্বাভাবিক মরা
(C) খুব রোমান্টিক
(D) অদ্ভুত মরা
Ans: (A) ইসথেটিক মরা
- ‘ কাবুকি ’ নাটকের দৃশ্যে মৃত স্বামীকে দেখে স্ত্রী যখন কাঁদে ‘ , তখন মৃত লোকটি উঠে চলে গেলেও দর্শকরা কিছু মনে করে না , কারণ—
(A) এটাই নাটকের প্রথা
(B) ভালো অভিনেতা সবাই হয় না
(C) স্ত্রীর দুঃখটাই সেখানে প্রধান
(D) নাটকে এমনই হয়
Ans: (C) স্ত্রীর দুঃখটাই সেখানে প্রধান
- ‘ কী ব্যাপার , নীচে দাঁড়িয়ে কেন ? চলে আসুন ।’— এখানে বক্তা হলেন—
(A) বক্তা শম্ভু মিত্র
(B) বক্তা অমর গাঙ্গুলি
(C) বক্তা তৃপ্তি মিত্র
(D) বক্তা জনৈক দর্শক
Ans: (B) বক্তা অমর গাঙ্গুলি
- অমর গাঙ্গুলির বাড়িতে অসময়ে শম্ভু মিত্রের আগমনের কারণ –
(A) কাবুকি সম্পর্কে আলোচনা
(B) সম্পাদকের চাপ
(C) হাসির খোরাক জোগাড় করা
(D) নতুন দলের খোঁজ করা
Ans: (C) হাসির খোরাক জোগাড় করা
- ‘ তার নাকি দারুণ বক্স অফিস ।’— কীসের ?
(A) প্রেমের নাটকের
(B) দুঃখের নাটকের
(C) হাসির নাটকের
(D) সামাজিক নাটকের
Ans: (C) হাসির নাটকের
- বেশ বাতাস আসছে তো ।’— বাতাস আসার কারণ—
(A) পুবের জানলা
(B) উত্তরের জানলা
(C) দক্ষিণের জানলা
(D) পশ্চিমের জানলা
Ans: (C) দক্ষিণের জানলা
- ‘ আপনি যা চাইবেন তাই পাবেন আমার কাছে ।’- বক্তা –
(A) লভ সিনের নায়ক
(B) শম্ভু মিত্র
(C) সম্পাদক
(D) অমর গাঙ্গুলি
Ans: (D) অমর গাঙ্গুলি
- ‘ হ্যাঁ বল্লভভাই বলে গেছেন—
(A) বাঙালিরা আড্ডাবাজ
(B) বাঙালিরা সংস্কৃতিমনস্ক
(C) বাঙালিরা উদার
(D) বাঙালিরা কাঁদুনে জাত
Ans: (D) বাঙালিরা কাঁদুনে জাত
- অমর গাঙ্গুলি বৌদির কাছে চেয়েছেন—
(A) এক কাপ চা
(B) দেশলাই
(C) দু – কাপ চা
(D) তিন কাপ চা
Ans: (C) দু – কাপ চা
- ‘ হ্যাঁ খেতে পারি , যদি অসুবিধা না হয় ।’— কী খাওয়ার কথা বলা হয়েছে ?
(A) শরবত
(B) ফলের রস
(C) কফি
(D) চা
Ans: (D) চা
- ‘ না না কোনো অসুবিধা হবে না ।’- বলেছেন –
(A) বৌদি
(B) শম্ভু মিত্র
(C) অমর গাঙ্গুলি
(D) নেপথ্য গায়ক
Ans: (A) বৌদি
- ” ঠিক আছে ফেলে দিন না – আবার দেব ‘ — কী ফেলে দিতে বলা হয়েছে ?
(A) খাবার
(B) জল
(C) সিগারেট
(D) চা
Ans: C) সিগারেট
- ওঃ দাতাকর্ণ যে ।’— এখানে উদ্দিষ্ট ব্যক্তিটি হল—
(A) শম্ভু মিত্র
(B) তৃপ্তি মিত্র
(C) বাংলা সরকার
(D) অমর গাঙ্গুলি
Ans: (D) অমর গাঙ্গুলি
- ‘ এত কষ্ট করছি তবু হাসি পাচ্ছে না ! ‘ — বক্তা হলেন
(A) তৃপ্তি মিত্র
(B) অমর গাঙ্গুলি
(C) শম্ভু মিত্র
(D) নাইট
Ans: (C) শম্ভু মিত্র
- ‘ এক্ষুনি সরিয়ে দিচ্ছি । যা যা সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ‘ সেগুলি হল –
(A) মঞ্চের সাজসজ্জা
(B) দুটো চেয়ার ও একটি টেবিল
(C) কল্পিত চেয়ার টেবিল
(D) একটি চেয়ার টেবিল
Ans: B) দুটো চেয়ার ও একটি টেবিল
- অমর গাঙ্গুলির মতে , হিউম্যান ইন্টারেস্ট বা পপুলার অ্যাপিল থাকলে , তবেই –
(A) কান্না পায়
(B) হাসি পায়
(C) দুঃখ হয়
(D) রাগ হয়
Ans: (B) হাসি পায়
- ‘ পৃথিবীতে সবচেয়ে পপুলার লারেলাপ্পা ‘ — বলেছেন—
(A) তৃপ্তি ও অমর
(B) শম্ভু ও অমর
(C) শম্ভু ও বৌদি
(D) সার্জেন্ট ও পুলিশ
Ans: (B) শম্ভু ও অমর
- ‘ পৃথিবীতে সবচেয়ে পপুলার জিনিস হচ্ছে – প্রেম ।’ — উক্তিটি করেছেন –
(A) নাটক
(B) গান
(C) প্রেম
(D) বন্ধুত্ব
Ans: (C) প্রেম
- ‘ হ্যাঁ , হ্যাঁ , শম্ভুদা আপনিই হোন ।’— কী হওয়ার কথা বলা । হয়েছে ?
(A) নায়ক চরিত্র
(B) খলনায়ক চরিত্র
(C) যুবক চরিত্র
(D) সার্জেন্ট চরিত্র
Ans: (A) নায়ক চরিত্র
- Box Office বলেও তো একটা কথা আছে ? ‘ – বক্তা হলেন —
(A) তৃপ্তি মিত্র
(B) অমর গাঙ্গুলি
(C) শম্ভু মিত্র
(D) নেপথ্যে থাকা বাদক
Ans: (D) নেপথ্যে থাকা বাদক
- ‘ আরে , এর মাথায় খালি লভ সিন ঘোরে রেহঃ – এখানে উদ্দিষ্ট ব্যক্তিটি হলেন —
(A) শম্ভু মিত্র
(B) অমর গাঙ্গুলি
(C) তৃপ্তি মিত্র
(D) সার্জেন্ট
Ans: (C) তৃপ্তি মিত্র
- ‘ প্রগ্রেসিভ লভ সিন করার ভাবনা কার মাথায় এসেছিল —
(A) শম্ভু মিত্রের
(B) অমর গাঙ্গুলি
(C) বৌদির
(D) পরিচালকের
Ans: (C) বৌদির
- বৌদির প্রগ্রেসিভ লভ সিন করার সময় নায়ক – নায়িকা ছাড়াও দরকার ছিল —
(A) ডাক্তারের
(B) পুলিশের
(C) অফিসারের
(D) আমলার
Ans: (B) পুলিশের
- ‘ প্রগ্রেসিভ লভ সিন ‘ – অমর গাঙ্গুলির ভূমিকা ছিল —
(A) নায়কের
(B) গায়কের
(C) শোভাযাত্রীর
(D) পুলিশের
Ans: (D) পুলিশের
- এটা অন্য রকমের লভ সিন ‘ — অন্য রকমটি কী ছিল ?
(A) লভ সিন
(B) রোমান্টিক সিন
(C) প্রোঅ্যাকটিভ লভ সিন
(D) প্রগ্রেসিভ লভ সিন
Ans: (D) প্রগ্রেসিভ লভ সিন
- এই দেখো ফ্যাসাদ ‘ — ‘ ফ্যাসাদ ‘ – টি হল —
(A) ‘ লভ সিন ‘ – এর জন্য পুলিশের অভাব
(B) ‘ লভ সিন ‘ – এর জন্য গায়কের অভাব
(C) এমন ফিল্মি ঢঙের গানে বিশ্বভারতী অনুমতি দেবে না
(D) নায়কের ভূমিকায় শম্ভু মিত্র রাজি নন
Ans: (A) ‘ লভ সিন ‘ – এর জন্য পুলিশের অভাব
- শম্ভু মিত্রের মতে কত ইঞ্চি বুক হলে পুলিশ হওয়া যায় ?
(A) ৩০ ইঞ্চি
(B) ৩১ ইঞ্চি
(C) ৩২ ইঞ্চি
(D) ৩৩ ইঞ্চি
Ans: (C) ৩২ ইঞ্চি
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | বিভাব (নাটক) শম্ভু মিশ্র – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Bibhab Question and Answer :
- ‘ বিভাব ’ নাটকটির রচয়িতা কে ?
Ans: ‘ বিভাব ‘ নাটকটির রচয়িতা শম্ভু মিত্র ।
- ‘ বিভাব ‘ কী ধরনের নাটক ?
Ans: শম্ভু মিত্র লিখিত ও নির্দেশিত ‘ বিভাব ‘ একটি প্রয়োগকৌশল – নির্ভর একাঙ্ক নাটক ।
- ‘ বিভাব ‘ নাটকে কারা বাস্তবজীবনের পরিচিতি নিয়ে হাজির হয় ?
Ans: ‘ বিভাব ‘ নাটকে শম্ভু মিত্র , অমর গাঙ্গুলি এবং নাট্যদলের সকলের বৌদি তথা তৃপ্তি মিত্র তিনটি চরিত্রই বাস্তব জীবনের পরিচয় বহন করে ।
- ‘ বিভাব ’ নাটকের বৌদির পরিচয় লেখো ।
Ans: ‘ বিভাব ‘ নাটকের বৌদি হলেন শম্ভু মিত্রের স্ত্রী তৃপ্তি মিত্র । তাঁকে এই নাট্যদলের সভ্য – স্বজন – পরিজনেরা সকলেই বৌদি নামে ডাকতেন ।
- ‘ বিভাব ’ নাটকে অমর গাঙ্গুলি কোন্ নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ?
Ans: ‘ বিভাব ’ নাটকের অমর গাঙ্গুলি ‘ বহুরূপী ‘ নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ।
- ‘ বিভাব ’ নাটকটি কীভাবে শুরু হয় ?
Ans: ‘ বিভাব ‘ নাটকে পর্দা উঠলেই দেখা যায় সাদা আলোয় মঞ্চের মাঝখানে দাঁড়িয়ে শম্ভু মিত্র । তাঁর এক দীর্ঘ কথোপকথনের মাধ্যমে নাটক শুরু হয় ।
- ‘ বিভাব ’ নাটকের নামকরণ হয়েছিল কীভাবে ?
Ans: ‘ বিভাব ’ নাটকে শম্ভু মিত্রের বক্তব্য থেকে জানা যায় , কোনো এক ভদ্রলোক পুরোনো নাট্যশাস্ত্র খুঁজে নাটকটির এমন নামকরণ করেছেন ।
- শম্ভু মিত্রের মতে ‘ বিভাব ‘ নাটকের কী নাম হওয়া সংগত ছিল ?
Ans: শম্ভু মিত্রের মতে ‘ বিভাব ’ – এর বদলে নাটকটির নাম হওয়া উচিত ছিল ‘ অভাব ‘ নাটক ।
- নাটকের নাম ‘ অভাব ‘ রাখতে চাওয়ার কারণ কী ?
Ans: শম্ভু মিত্রের মতে , দুরন্ত অভাব থেকে এই নাটকের জন্ম হওয়ায় , ‘ বিভাব ’ – এর বদলে এর নাম ‘ অভাব ‘ হওয়া সংগত ছিল ।
- ‘ দুরন্ত অভাব থেকেই এর জন্ম ।’— বক্তা ‘ দুরন্ত অভাব ’ বলতে কী বুঝিয়েছেন ?
Ans: নাটকের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা – মঞ্চ – উপকরণ ইত্যাদি সমস্ত বিষয়ে অভাবই তাঁদের নিত্যসঙ্গী হওয়ায় , শম্ভু মিত্র উপরোক্ত মন্তব্যটি করেছেন ।
- ‘ থাকবার মধ্যে আছে ‘ — কী আছে ?
Ans: শম্ভু মিত্রের মতে ‘ নাটক করবার বোকামি ‘ অর্থাৎ নাটকের প্রতি অদম্য ভালোবাসাটুকুই তাঁদের একমাত্র সম্বল ।
- স্টেজের দরজায় হাজির । -কে হাজির ।
Ans: সরকারের পেয়াদা থিয়েটারের দলের কাছ থেকে খাজনা আদায় করার জন্য এসে স্টেজের দরজায় হাজির হয় ।
- ‘ কিন্তু আমাদের কাছে নেন । ‘ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
Ans: গ্রুপ থিয়েটারের দলগুলির সমস্যার কথা বলতে গিয়ে শম্ভু মিত্র বলেছেন , সরকার পেশাদারি নাট্যদলগুলির কাছে টাকা না – নিলেও , তাদের কাছে তা কড়ায়গন্ডায় আদায় করে ।
- “ বিচিত্র সাঁড়াশি ভঙ্গিতে ‘ বলার কারণ কী ?
Ans: গ্রুপ থিয়েটারের দলগুলির কাছ থেকে সরকারের খাজনা আদায়ের নির্দয়তা বোঝাতে শম্ভু মিত্র “ বিচিত্র সাঁড়াশি ভঙ্গি ’ – র কথা বলেছেন ।
- তাই সরকার আমাদের গলা টিপে খাজনা আদায় করে নেয় ।’— এখানে ‘ তাই ‘ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে কেন ?
Ans: পেশাদারি থিয়েটারের দল নাটক নিয়ে ব্যাবসা করলেও সরকার তাদের কাছে খাজনা নেয় না ; অথচ গ্রুপ থিয়েটারের দলগুলিকে তা না – করেও খাজনা দিতে হয় । এই বৈষম্য বোঝাতেই নাট্যকার ‘ তাই ‘ শব্দটি ব্যবহার করেছেন ।
- তাই অনেক ভেবে চিন্তে আমরা একটা প্যাঁচ বের করেছি’— প্যাঁচটির পরিচয় দাও ।
Ans: প্রয়োগকৌশল এবং ভঙ্গিনির্ভর এমন এক অভিনব নাট্যরীতিকে অবলম্বন করতে চেয়েছেন শম্ভু মিত্র , যাতে সিনসিনারি টেবিল – বেঞি – দরজা – জানলার পরিবর্তে কেবল একটা প্ল্যাটফর্ম হলেই চলবে ।
- তমে ঘোড়া নেইকরি চঞ্চল খবর নেই আসিবি ।’— এই নির্দেশ কে , কাকে দিয়েছিল বলে ‘ বিভাব ‘ নাটকে উল্লেখ করা হয়েছে ?
Ans: ওড়িয়া এক যাত্রায় রাজা দূতকে উদ্ধৃত নির্দেশটি দিয়েছিলেন বলে ‘ বিভাব ’ নাটকে উল্লেখ করা হয়েছে ।
- ‘ এক পুরোনো বাংলা নাটকে দেখি … – বক্তা কী দেখেন ?
Ans: শম্ভু মিত্র রচিত ‘ বিভাব ’ নাটকে বক্তা অর্থাৎ শম্ভু মিত্র স্বয়ং এক পুরোনো বাংলা নাটকে দেখলেন লেখা আছে , ‘ রাজা রথারোহণম নাটয়তি ‘ অর্থাৎ রাজা রথে আরোহণ করার ভঙ্গি করলেন ।
- ‘ রাজা রথারোহণম নাটয়তি ।’— কথাটির অর্থ কী ?
Ans: প্রশ্নোদ্ধৃত বাক্যটির অর্থ হল রাজা রথে আরোহণ করার ভঙ্গি করলেন ।
- ওড়িয়া নাটকে দূত ঘোড়ায় চড়ার অভিনয় কীভাবে করে ?
Ans: ওড়িয়া নাটকের দ্রুত দু – পায়ের ফাঁকে একটা লাঠি গলিয়ে হেট্ হেট্ করতে করতে বেরিয়ে গেল এবং ফিরে এল । এভাবেই সে ঘোড়ায় চড়ার অভিনয় করেছিল ।
- ‘ সবাই অত্যন্ত গাম্ভীর্যের সঙ্গে মেনে নিল ‘ — কী মেনে নিল ?
Ans: ওড়িয়া নাটকের দর্শকেরা অত্যন্ত গাম্ভীর্যের সঙ্গেই মেনে নিয়েছিল যে , দ্রুত ঘোড়ায় চড়েই গেল এবং ফিরে এল ।
- ‘ আর একবার এক মারাঠি তামাশায় দেখেছিলাম , –মারাঠি । তামাশায় নাট্যকার কী দেখেছিলেন ?
Ans: মারাঠি তামাশায় নাট্যকার শম্ভু মিত্র দেখেছিলেন এক চাষি । মঞ্চের একপাশে দাঁড়িয়ে জমিদারের কাছে অনেক কাকুতি মিনতি করল , শেষে ব্যর্থ মনোরথ হয়ে ভগবানের কাছে নালিশ জানাতে চলল মন্দিরে । মঞ্চ থেকে না বেরিয়ে তত্তার ওপর বারকয়েক ঘুরপাক খেল । এদিকে যে অভিনেতা জমিদার সেজে চাষির কাছে এতক্ষণ তর্জন গর্জন করছিল সে – ই দর্শকের সামনে একটা দাড়ি গোঁফ এঁটে পুরুষ সেজে ধর্মীয় তর্জন গর্জন শুরু করে দিল এবং মাঠ ভর্তি লোক নিঃশব্দে এসব মেনে নিয়ে দেখল ।
- ‘ মাঠ ভর্তি লোক নিঃশব্দে এসব মেনে নিয়ে দেখলে ।’— কী দেখেছিল ?
Ans: মারাঠি তামাশার যে অভিনেতা জমিদার সেজে হম্বিতম্বি করছিল , সে – ই কিছুক্ষণ পরে পুরুত সেজে অভিনয় করলেও মাঠ ভর্তি লোক এসব নিঃশব্দে মেনে নিয়েছিল ।
- ‘ লোকে মানবে না ।’— কী মানবে না ?
Ans: ওড়িয়া যাত্রাপালা , মারাঠি তামাশা কিংবা পুরোনো বাংলা নাটকে ব্যবহৃত ভঙ্গিনির্ভর নাট্যরীতিকে শহুরে ইংরেজি – শিক্ষিত লোকেরা আধুনিক থিয়েটারে মেনে নেবে না । সাহেবের কথা বলা হয়েছে ?
- ‘এমনি সময় হঠাৎই এক সাহেবের লেখা পড়লাম । — কোন্ সাহেবের কথা বলা হয়েছে ?
Ans: ‘ বিভাব ’ নাটকে শম্ভু মিত্র সাহেব বলতে রুশ দেশীয় চিত্র পরিচালক আইজেনস্টাইনের কথা এখানে বলেছেন ।
- সাহেবে একে সার্টিফিকেট দিয়েছে ।’— কাকে সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: মস্কোতে জাপানের কাবুকি থিয়েটার দেখে আইজেনস্টাইনের দরাজ প্রশংসাকে বোঝাতে শম্ভু মিত্র বলেছেন , ‘ সাহেবে একে সার্টিফিকেট দিয়েছে ।
- ‘ নাইট ’ বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে ?
Ans: মধ্যযুগীয় ইউরোপে রাজতন্ত্রের অনুমোদিত বীর ও সাহসী । যোদ্ধাদের বলা হত ‘ নাইট ‘ ।
- ‘ তাদের অভিনয় দেখে আইজেনস্টাইন সাহেব অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত হয়ে অনেক কথা লিখেছেন ‘ — আইজেনস্টাইন কে ? কী দেখে তিনি উচ্ছ্বসিত হয়ে অনেক কথা লিখেছেন ?
Ans: রুশ দেশীয় এক বিখ্যাত চিত্র পরিচালক আইজেনস্টাইন । একবার কাবুকি থিয়েটার বলে এক জাপানি থিয়েটার মস্কোতে গিয়েছিল , তাদের অভিনয় দেখে তিনি উচ্ছ্বসিত হয়ে অনেক কথা লিখেছেন ।
- ‘ বিভাব ‘ নাটকে উল্লিখিত ‘ কাবুকি ‘ নাটকের বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে লেখো ।
Ans: ‘ বিভাব ‘ নাটক অনুসারে নাট্যভঙ্গির ওপর নির্ভর করে ।
- ‘ এমনি এলাম একেবারে এমনি নয় – বক্তা কোথায় , কী জন্য এসেছিলেন ?
Ans: বিভাব নাটকে শম্ভু মিত্র অমর গাঙ্গুলির বাড়িতে এসেছিলেন । → শম্ভুর আগমনের কারণ তিনি অমরের বাড়িতে এসেছেন হাসাতে কিংবা হাসির নাটকের খোরাক জোগাড় করতে । সম্পাদক তাকে বলেছেন হাসির নাটক করতে হবে , তার নাকি দারুণ বক্স অফিস ।
- শম্ভু মিত্রকে সম্পাদক কী নির্দেশ দিয়েছিলেন ?
Ans: ‘ বহুরূপী ‘ দলের সম্পাদক শম্ভু মিত্রকে হাসির নাটক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ।
- হাসির নাটক করতে হবে , এমন বলার কারণ কী ?
Ans: বহুরুপীর সম্পাদকের মতে হাসির নাটকের দারুণ বক্স অফিস ; অর্থাৎ দর্শকদের চাহিদা কিংবা বাণিজ্যিক সফলতা বেশি । তাই এ ধরনের নাটক করতে হবে ।
- ‘ হ্যাঁ বল্লভভাই বলে গেছেন ‘ — কী বলে গেছেন ?
Ans: বল্লভভাই বলে গেছেন যে বাঙালি কাঁদুনে জাত । ‘
- এমনি এলাম — একেবারে এমনি নয় … ‘ –কে , কোথায় এসেছিলেন ?
Ans: বক্তা শম্ভু মিত্র হাসির নাটকের রসদ জোগাড় করতে অমর গাঙ্গুলির বাড়ি এসেছিলেন বলে এমন মন্তব্য করেছেন ।
- ‘ হ্যাঁ খেতে পারি , যদি অসুবিধা না হয় ।’— কী খাওয়ার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: ‘ বিভাব ‘ নাটকের রচয়িতা তথা অভিনেতা শম্ভু মিত্র অমরের বাড়িতে যখন এসেছিলেন তখন অমর তাঁকে চা খাওয়ার প্রস্তাব দেন । তখন শম্ভু উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন । এখানে চা খাওয়ার কথা বলা হয়েছে ।
- ‘ না না কোনো অসুবিধা হবে না ‘ — বক্তা কে ?
Ans: প্রশ্নোদৃত উক্তিটির বক্তা হলেন বৌদি তথা তৃপ্তি মিত্র ।
- ‘ওঃ দাতাকর্ণ যে ‘ — কে , কাকে , কখন বলেছেন ?
Ans: আলোচ্য উক্তিটি শম্ভু মিত্র অমর গাঙ্গুলিকে বলেছেন । যখন বৌদি অর্থাৎ তৃপ্তি মিত্র চা নিয়ে উপস্থিত হন তখন শম্ভু মিত্র হাতের কল্পিত সিগারেট ফেলে দিতে হবে বলে দুঃখপ্রকাশ করেন । সেই মুহূর্তে অমর গাঙ্গুলি বলেন , ‘ ফেলে দিন না— আবার দেব ‘ সেই পরিপ্রেক্ষিতে শম্ভু মিত্র আলোচ্য উক্তিটি করেন ।
- ‘ আরে এতে হবে না শম্ভুদা ‘ — শম্ভুদা ’ কী করছিলেন ?
Ans: শম্ভু মিত্র কাল্পনিক চেয়ারে বসার ভঙ্গি করে কিংবা টলতে টলতে উঠে দাঁড়িয়ে হাসানোর চেষ্টা করছিলেন ।
- ‘ খামোখা হাসি পেলেই হল ? ’ – হাসির জন্য কী কী প্রয়োজন ?
Ans: অমর গাঙ্গুলির মতে হাসির কাহিনিতে , হিউম্যান ইন্টারেস্ট তথা মানুষের স্বার্থ এবং পপুলার অ্যাপিল বা জনপ্রিয়তার আবেদন থাকলে তবেই মানুষের হাসি পায় ।
- হিউম্যান ইন্টারেস্ট বা পপুলার অ্যাপিলের কথা কে বলেছিলেন ?
Ans: অমর গাঙ্গুলি হাসির কারণ হিসেবে , হিউম্যান ইন্টারেস্ট বা পপুলার অ্যাপিলের কথা বলেছিলেন ।
- বৌদির মতে পৃথিবীতে সবচেয়ে পপুলার সবচেয়ে ইন্টারেস্ট – এর জিনিস কী ?
Ans: বৌদির মতে পৃথিবীতে সবচেয়ে পপুলার সবচেয়ে 1 ইন্টারেস্ট – এর জিনিস হল প্রেম ।
- ‘ আমাদের একটা লভ সিন করা উচিত ।’— এমন বলার কারণ কী ?
Ans: বক্তা তৃপ্তি মিত্রের মতে , পৃথিবীতে সবচেয়ে পপুলার জিনিস হচ্ছে প্রেম । তাই প্রেমের দৃশ্যে অভিনয় করলে সকলের হাসি পাবে , তিনি এমনটাই ভেবেছিলেন ।
- ‘ এই টেবিল – চেয়ারগুলো সরাতে হবে কেন ?
Ans: প্রেমের দৃশ্যে অভিনয় করার প্রয়োজনে মঞ্চ থেকে কাল্পনিক টেবিল – চেয়ারগুলো সরানোর দরকার হয়েছিল ।
- ‘ বায়োস্কোপে দেখেছি ।’— কী দেখার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: ‘ বিভাব ‘ নাটকের অন্যতম প্রধান চরিত্র অমর গাঙ্গুলি বায়োস্কোপে অর্থাৎ সিনেমায় ‘ লভ সিন ‘ দেখার কথা বলেছেন ।
- তৃপ্তি মিত্রের মতে ‘ লভ সিন ‘ করার জন্য প্রথমেই কী দরকার হয় ?
Ans: তৃপ্তি মিত্রের মতে ‘ লভ সিন ‘ করার জন্য প্রথমেই একজন নায়ক – নায়িকার দরকার হয় ।
- ‘ অনেকদিন থেকে আমাদের দলে রয়েছেন ।’— কার সম্পর্কে এমন উক্তি ?
Ans: বক্তা অমর গাঙ্গুলি ‘ লভ সিন ’ – এ তৃপ্তি মিত্রের অভিনয় প্রসঙ্গে এই মন্তব্যটি করেছিলেন ।
- ‘ লভ সিন ’ – এ কে নায়িকা হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল ?
Ans: ‘ লভ সিন ‘ – এ বৌদি তথা তৃপ্তি মিত্র নিজেই নায়িকা হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ।
- ‘ বৌদির কথা শুনে সে স্পষ্টত হতাশ ।’— কে হতাশ হয়েছিল ?
Ans: বৌদির কথা শুনে অমর গাঙ্গুলি স্পষ্টত হতাশ হয়ে পড়েছিল ।
- ‘ তারপর অপ্রস্তুত ভাবটা কাটাবার জন্য ’ — কে অপ্রস্তুত ভাব কাটাবার চেষ্টা করেছিল ?
Ans: অমর গাঙ্গুলি অপ্রস্তুত ভাব কাটাবার চেষ্টা করেছিল ।
- ‘ বৌদির কথা শুনে সে স্পষ্টত হতাশ ।’— তার হতাশার কারণ কী ছিল ?
Ans: ‘ বৌদি ’ লভ সিনে অভিনয়ের জন্য নায়ক হিসেবে শম্ভু মিত্রকে নির্বাচন করায় , অমর গাঙ্গুলি হতাশ হন ।
- ‘ আমাকে অবশ্য মানায় ভালো ’ – কোন্ চরিত্রে কাকে , কেন মানায় ?
Ans: শম্ভু মিত্র রচিত ‘ বিভাব ‘ নাটক থেকে আলোচ্য উদ্ধৃতিটি গৃহীত হয়েছে । নায়ক চরিত্রে শম্ভু মিত্র নিজেকে ভালো মানায় বলে মনে করেন । কারণ তাঁর চেহারা নায়কোচিত ।
- ‘ হাসবার ভঙ্গি করে বলে ‘ — সে কী বলেছিল ?
Ans: বৌদি প্রেমের দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য শম্ভু মিত্রকে বেছে নেওয়ায় হতাশ অমর গাঙ্গুলি হাসার ভঙ্গি করে , শম্ভু মিত্রকেই নায়ক হতে অনুরোধ জানিয়েছিল ।
- ‘ আমাকে অবশ্য মানায় ভালো ‘ — কোন্ প্রসঙ্গে এমন উক্তি ?
Ans: ‘ লভ সিন ‘ – এ নিজের গ্রহণযোগ্যতার কথা ভেবে উচ্ছ্বসিত শম্ভু মিত্র এমন মন্তব্য করেছেন ।
- ‘ এটাই হল বড়ো কথা ।’— বড়ো কথাটি কী ?
Ans: ‘ লভ সিন ‘ – এর ক্ষেত্রে , নায়ক রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছে এটাই হল বড়ো কথা ; সে কোথা থেকে আসছে তা নয় ।
- খালি সে ধাক্কা দিয়ে বেড়ায় ‘ – কে খালি ধাক্কা দিয়ে বেড়ায় ?
Ans: শম্ভু মিত্রের ‘ বিভাব ‘ নাটকের অনুসারে প্রেমের নাটকের দৃশ্যে নায়ক খালি ধাক্কা দিয়ে বেড়ায় ।
- চোখ খুলে চলতে জানেন না ? ‘ — বস্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী ?
Ans: প্রেমের দৃশ্যে অভিনয়কালে নায়ক শম্ভু মিত্রের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় ‘ বৌদি ‘ তৃপ্তি মিত্র এমন মন্তব্য করেছিলেন ।
- ‘ এ বড়ো জখমি লভ সিন ।’— শম্ভু মিত্র এমন কথা বলেছিলেন কেন ?
Ans: ‘ বিভাব ‘ নাটকে প্রেমের দৃশ্যে নায়িকা তৃপ্তি মিত্রের সঙ্গে নায়ক শম্ভু মিত্রের ধাক্কা লাগলে , নায়িকা তাঁকে একটা চড় কসিয়ে দেয় । এ কারণেই নাট্যকার এমন মন্তব্য করেছিলেন ।
- ‘ কল্পিত গাছের ডাল ’ ধরে লভ সিনের নায়িকা কোন্ গান গেয়ে উঠেছিল ?
Ans: নায়িকা তৃপ্তি মিত্র লভ সিনের সময় ‘ কল্পিত গাছের ডাল ’ দরে ‘ মালতী লতা দোলে ‘ গানটি গেয়ে উঠেছিল ।
- ‘ গানটি ফিল্মি কায়দায় গাওয়া হচ্ছিল ।’— এভাবে কার গান গাওয়া হচ্ছিল ?
Ans: লভ সিনে অভিনয়ের সময় নায়িকার লিপে ফিল্মি কায়দায় ‘ মালতী লতা দোলে ‘ — এই রবীন্দ্রসংগীতটি গাওয়া হচ্ছিল ।
- ‘ Box office ‘ বলেও তো একটা কথা আছে ‘ — বক্তা কখন কথাটি বলেছিল ?
Ans: ফিল্মি কায়দায় গাওয়া রবীন্দ্রসংগীত সম্পর্কে শম্ভু মিত্র আপত্তি জানালে , নেপথ্য হারমোনিয়ামবাদক প্রতিবাদ করে প্রশ্নের মন্তব্যটি করেছিল ।
- ‘ সেটা যখন মাথায় পড়বে বুঝবে তখন ।’— ‘ সেটা মাথায় পড়বে কেন ?
Ans: রবীন্দ্রসংগীত গাইবার একটি বিশেষ রীতি আছে । সেই রীতি না মেনে ফিল্মি কায়দায় রবীন্দ্রসংগীত গাইলে বংশদণ্ড মাথায় । পড়তে পারে বলে শম্ভু মিত্র মনে করেন । আর একটি কারণ সেই সময় রবীন্দ্রসংগীতের কপিরাইট বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের হাতে ছিল । তাই ফিল্মি কায়দায় গাওয়া হলে জটিলতা হতে পারে বলে মনে করেন ‘ বিভাব ‘ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র শম্ভু ।
- দেবে ? ‘ — কীসের পারমিশন দেবে ?
Ans: ‘ বিভাব ‘ নাটকে লভ সিনে নায়িকার কণ্ঠে ফিল্মি কায়দায় । গাওয়া ‘ মালতী লতা দোলে ‘ — এই রবীন্দ্রসংগীতটির পারমিশন বিষয়ে সন্দিহান হয়ে শম্ভু মিত্র এমন মন্তব্য করেছেন । কারণ সেই সময় ‘ বিশ্বভারতী ‘ কর্তৃপক্ষের হাতে রবীন্দ্রসংগীতে কপিরাইট ছিল ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | বিভাব (নাটক) শম্ভু মিশ্র – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Bibhab Question and Answer :
1. ‘ আমাদের মনে হয় এর নাম হওয়া উচিত ‘ অভাব = নাটক । — অভাবের চিত্র ‘ বিভাব ’ নাটকে কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে লেখো ।
Ans: বহুরূপী নাট্যদলের এক কালোত্তীর্ণ প্রযোজনা হল ‘ বিভাব ‘ । শম্ভু মিত্রের মতে , এক ভদ্রলোক পুরোনো নাট্যশাস্ত্র ঘেঁটে নাটকটির এরকম নামকরণ করেছিলেন । সংস্কৃত মতে , ‘ বিভাব ’ হল মানুষের মনে রসনিষ্পত্তির কারণ । কিন্তু নাটককার জীবনের বাস্তবতায় দেখেছেন এই নামের বিপরীত ছবি । সেখানে তাঁদের নিত্যসঙ্গী হল অভাব । তাই শম্ভু মিত্রের মনে হয়েছে এর নাম ‘ অভাব নাটক ’ হওয়াই উচিত ছিল । কারণ ‘ বিভাব ‘ – এর জন্মই হয়েছে দুরন্ত অভাব থেকে । তাদের ভালো মঞ্চ , সিনসিনারি , আলো , ঝালর — এসব কিছুই নেই । আর্থিক সংগতি নেই । তা সত্ত্বেও জোগাড় – যন্ত্র করে যদি অভিনয়ের বন্দোবস্ত করা হয় , তাহলে সরকারি পেয়াদা খাজনা আদায় করতে এসে হাজির হয় । সরকারের চূড়ান্ত অসহযোগিতা এবং সব ধরনের প্রতিকূলতার বিচিত্র সাঁড়াশি চাপে জেরবার হয়েও , তাদের মন থেকে যায় না ভালো নাটক করার অদম্য ইচ্ছা ।
প্রথাগত নাটকের ব্যাকরণ ভেঙে শুধু অভিনয়কে পুঁজি করেই । প্রয়োগ ও ভঙ্গিনির্ভর ‘ বিভাব ‘ – এর জন্ম হয় । তাঁরা সব রকমের অভাবকে অতিক্রম করে যান ভাবনা , দৃষ্টিভঙ্গি আর আঙ্গিকের সৌকর্যে । এভাবেই সমকালীন পরিস্থিতির প্রতি তীব্র ব্যঙ্গা এবং তা থেকে মুক্তির অভিনব দিগন্ত উদ্ভাসিত হয়েছে শম্ভু মিত্রের বক্তব্যে ।
2. ‘ অনেক ভেবে চিন্তে আমরা একটা প্যাচ বের করেছি । — উদ্ধৃতাংশটির অন্তর্নিহিত অর্থ বিশ্লেষণ করো ।
অথবা , ‘ বুদ্ধিটা কী করে এল তা বলি । — কোন্ বুদ্ধি এবং তা কীভাবে এল আলোচনা করো ।
Ans: ‘ বিভাব ‘ নাটকের সূচনায় শম্ভু মিত্র গ্রুপ থিয়েটারের দলগুলির বিভিন্ন সমস্যার দিকে আলোকপাত করেছেন । নাটকের জন্য যা যা একান্ত প্রয়োজন অর্থাৎ মঞ্চ – সাজসজ্জা – আলো- এর কোনো কিছুই তাদের নেই । সেইসঙ্গে রয়েছে কোন বুদ্ধি সরকারের ঔদাসীন্য , চূড়ান্ত অসহযোগিতা ও সরকারি খাজনার রক্তচক্ষু ; তাই দুরন্ত অভাবই তাঁদের নিত্যসঙ্গী । কিন্তু এসব বাধা ও প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নাটকের প্রতি অদম্য ভালোবাসাকে পাথেয় করে তাঁরা এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার উপায় খুঁজেছেন । সেখান থেকে বের হওয়ার বুদ্ধির কথাই বলেছেন ।
শম্ভু মিত্র দেখেছিলেন পুরোনো বাংলা নাটকে রাজা রথে । আরোহণ করার ভঙ্গি করলেন । অর্থাৎ ভক্তির মাধ্যমে নাটককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা আছে পুরোনো নাটকে । এর ফলে রথেরও দরকার হত না , ঘোড়ারও দরকার হত না । শুধু অভিনয়ের মাধ্যমে নাট্যঘটনা ফুটিয়ে তোলার প্রথা আগে থেকেই ছিল । যেমন ওড়িয়া যাত্রায় দ্রুত পায়ের ফাঁকে লাঠি গুঁজে ঘোড়ায় চড়ার ভঙ্গিতে যাওয়ার ও আসার দৃশ্যকে বিশ্বাসযোগ্যভাবে ফুটিয়ে তোলে । ঠিক একইভাবে মারাঠি তামাশায় এক চাষি জমিদারের কাছে কাকুতিমিনতি করে ব্যর্থ হয়ে মন্দিরে গেলে , সেই জমিদারই গোঁফ – দাড়ি এঁটে পুরুষের অভিনয় করে । এভাবেই দর্শকের অনুভূতি ও কল্পনার সাহায্য নিয়ে ভঙ্গিনির্ভর অভিনয়ের দেশীয় ঐতিহ্যকে নতুন আঙ্গিকে পরিবেশন করার ‘ বুদ্ধি ’ বা ‘ প্যাচ ‘ – কে অবলম্বন করেই ‘ বহুরূপী ‘ বাংলা নাটকে অনাড়ম্বর আর প্রয়োগ । কৌশলনির্ভর নাট্যরীতির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিল ।
3. তাদের অভিনয় দেখে আইজেনস্টাইন সাহেব অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত হয়ে অনেক কথা লিখেছেন । – আইজেনস্টাইন সাহেব কে ? তিনি কাদের অভিনয় দেখে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন ? সেই অভিনয় দেখে তিনি কী লিখেছিলেন ?
Ans: শম্ভু মিত্র তাঁর ‘ বিভাব ‘ নাটকে আইনজেনস্টাইন সাহেবের পরিচয় দিয়েছেন । তিনি হলেন রুশদেশীয় এক বিখ্যাত চিত্র পরিচালক ।
তিনি মস্কোতে জাপানের ‘ কাবুকি ‘ থিয়েটার দেখে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন ।
একবার জাপানি ‘ কাবুকি ‘ নাটকের অভিনয়ে নাট্যভঙ্গির বহুল ব্যবহার আইজেনস্টাইনকে মুগ্ধ করেছিল । সেখানে এক ক্ষুব্ধ নাইটের দুর্গ থেকে বেরিয়ে দূরে চলে যাওয়ার দৃশ্যে শিফটাররা ক্রমান্বয়ে বড়ো থেকে ছোটো দরজা দেখিয়ে পটভূমিকা বা perspective রচনা করে । আবার কাল্পনিক যুদ্ধের কথা আছে । দুজন লোকের লড়াইয়ের একটা দৃশ্য আছে । সেই লড়াইয়ে সত্যিকার তলোয়ার দিয়ে ঝনঝন করে বাস্তব লড়াই নয় । কাল্পনিক খাপ থেকে কাল্পনিক তলোয়ার বের করে কাল্পনিক যুদ্ধ করতে করতে একজন পেটে কাল্পনিক খোঁচা খেয়ে মারা গেল । সেখানে আলতার রক্ত নেই । সঙ্গে সঙ্গে বীভৎস চিৎকার করে হাত – পা ছুঁড়ে মরা নয় । এ – মরা একেবারে আর্টিস্টিক মরা । হাতটা একবার নড়ে উঠল , মুণ্ডুটা দু – বার নড়ল , চোখটা দু – বার ঘুরল । মৃত্যুর মধ্যেও শৈল্পিক প্রকাশ আছে । তাই এরপর বিধবা স্ত্রীর কান্নার দৃশ্যে মৃত সৈনিকটি উঠে চলে গেলেও , দর্শক কিছু মনে করে না । কারণ স্ত্রীর দুঃখটাই সেখানে প্রধান ।
4. ‘ এই পড়ে বুকে ভরসা এল – কারণ সাহেবে একে সার্টিফিকেট দিয়েছে । প্রসঙ্গ নির্দেশ করে উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য আলোচনা করো ।
Ans: আলোচ্য উদ্ধৃতিটি শম্ভু মিত্র রচিত ‘ বিভাব ‘ নাটক থেকে গৃহীত হয়েছে । প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে বিখ্যাত রুশ দেশীয় চিত্র পরিচালক আইজেনস্টাইনের একটি লেখার কথা বলা হয়েছে । একবার জাপানি ‘ কাবুকি ’ নাটকের অভিনয়ে , নাট্যভঙ্গির বহুল ব্যবহার আইজেনস্টাইনকে মুগ্ধ করেছিল । সেইসময় বিভিন্ন গ্রুপ – থিয়েটারের জন্ম হয় । তাঁরা নিজস্ব নাট্যরীতি তৈরি করে অঙ্গভঙ্গির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন । শম্ভু মিত্রের বহুরূপী নাট্যগোষ্ঠীও সেইরকম অঙ্গভঙ্গিনির্ভর নাটক করলেও ভীত ছিলেন নাট্যমোদী দর্শক এটা ভালোভাবে গ্রহণ করবে তো । তখন তিনি রুশদেশীয় পরিচালক আইজেনস্টাইনের একটা লেখা পড়ে বুকে ভরসা পেলেন । সেই প্রসঙ্গেই আলোচ্য উদ্ধৃতিটির অবতারণা করেছেন শম্ভু মিত্র ।
জাপানি কাবুকি থিয়েটারে আইজেনস্টাইন দেখেন সেখানে এক ক্ষুগ্ধ নাইটের দুর্গ থেকে বেরিয়ে দূরে চলে যাওয়ার দৃশ্যে শিফটাররা ক্রমান্বয়ে বড়ো থেকে ছোটো দরজা দেখিয়ে পটভূমিকা বা perspective রচনা করে । আবার কাল্পনিক যুদ্ধে কাল্পনিকভাবে মৃত সৈনিকের মৃত্যুদৃশ্যে হাত নাড়া – তিরতির করে পা কাঁপা ইত্যাদি ভঙ্গির প্রয়োগে মৃত্যুর অসাধারণ শৈল্পিক প্রকাশ ঘটে । তাই এরপর বিধবা স্ত্রীয়ের কান্নার দৃশ্যে মৃত সৈনিকটি উঠে চলে গেলেও , দর্শক কিছু মনে করে না । কারণ স্ত্রীর দুঃখটাই সেখানে প্রধান । এই কল্পনানির্ভর ভঙ্গিবহুল নাট্যরীতির শিকড় শম্ভু মিত্র প্রথমে খুঁজে পেয়েছিলেন আমাদের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী দেশীয় নাটকে । এই প্রসঙ্গেই তিনি পুরোনো বাংলা নাটক , ওড়িয়া যাত্রাপালা কিংবা মারাঠির তামাশার কথা উল্লেখ করেন । আইজেনস্টাইনের লেখায় এ ধরনের নাটকের দরাজ প্রশংসায় তিনি ভরসা পান । সাহেবের শংসাপত্র থাকায় ‘ বিভাব ‘ – এর নাট্যরীতির কদর বুঝতে এবার শিক্ষিত লোকেরা বাধ্য হবে । কারণ ঔপনিবেশিক শিক্ষায় শিক্ষিত ফাঁপা নকলনবিশ নাগরিক সমাজ তখনই নতুন কিছুকে মানতে পারে , যদি সাহেবরা তা মানে । যেমন রবিঠাকুরকে মেনেছিল । ”
5. ‘ এমনি সময় হঠাৎই এক সাহেবের লেখা পড়লাম । – এমনি সময় বলতে কোন পরিস্থিতির কথা বলা হয়েছে ? সাহেবের নাম কী ? তিনি কী লিখেছিলেন ?
Ans: অলোচ্য উদ্ধৃতিটি শম্ভু মিত্র রচিত ‘ বিভাব ‘ নাটক থেকে গৃহীত হয়েছে । নাট্যকার এই নাটকের সূচনায় প্রাচীন বাংলা নাটক , উড়ে যাত্রা , মারাঠি তামাশা ইত্যাদি থেকে অভিনয়ের এক ভঙ্গিনির্ভর এবং দর্শকের কল্পনার ওপর নির্ভরশীল নিজস্ব ধরন আবিষ্কারের চেষ্টা করেছেন । কিন্তু তিনি ভীত ছিলেন নাট্যমোদী দর্শক তথা ইংরেজি শিক্ষিত ও সাহেবি কেতায় অভ্যস্ত ‘ এমনি সময় ‘ মানুষদের সেই অভিনয়রীতি আদৌ ভালো লাগবে কিনা । এইরূপ পরিস্থিতিতেই তিনি রুশদেশীয় এক চিত্র পরিচালক সাহেবের লেখা পড়ে বুকে ভরসা পান । আলোচ্য অংশে ‘ এমনি সময় ’ বলতে সেই পরিস্থিতিকালীন সময়কেই বোঝানো হয়েছে ।
প্রশ্নোধৃত অংশে উল্লিখিত সাহেবের নাম আইজেনস্টাইন । → তৃতীয় অংশের উত্তরের জন্য ৫ নং প্রশ্নের উত্তরের তৃতীয় অংশটি দ্যাখো ।
6. ‘ সুতরাং হাসতে হলে বেশ কোমর বেঁধে হাসতে হবে ।’— ‘ বিভাব ’ নাটক অবলম্বনে উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো ।
Ans: ‘ বিভাব ’ নাটকে শম্ভু মিত্র সম্পাদকের নির্দেশে হাসির B হাসির উৎস সন্ধান নাটকের রসদ জোগাড় করতে অমর গাঙ্গুলির বাড়ি গিয়ে উপস্থিত হন । হাসির নাটকের দারুণ বক্স অফিস । তাই ‘ বিভাব ’ নাটকের তিন চরিত্র শম্ভু মিত্র , অমর গাঙ্গুলি এবং ‘ বৌদি ‘ তৃপ্তি মিত্র , হাসির নাটকের বিভিন্ন নমুনা মেলে ধরতে থাকেন । অমর গাঙ্গুলি সাফ জানিয়ে দেন , মানুষের আগ্রহের বিষয় কিংবা জনপ্রিয়তার আবেদনের শর্ত না মানলে কারও হাসি পায় না । তখন বৌদি তৃপ্তি মিত্রের পরিকল্পনায় একের পর এক ‘ লভ সিন ‘ অভিনীত হয় । কারণ পৃথিবীতে সবচেয়ে ‘ পপুলার ‘ জিনিস হচ্ছে প্রেম । কিন্তু এতেও কারও হাসি পায় না । তখন জীবনকে উপলব্ধি করতে , হাসির খোরাক খুঁজে পেতে তারা চার দেয়ালের বাইরে বেরিয়ে আসেন । সেখানে শহরের ব্যস্ত রাজপথে শোনা যায় পুলিশের গুলিতে আহত ক্ষুধার্ত মানুষের গোঙানি ও আর্তনাদের শব্দ । যে কৃত্রিম হাসি কিংবা নকল আমোদের মোহে মানুষকে ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয় , তার সঙ্গে আসলে প্রকৃত জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই । তাই সার্থক শিল্প কখনোই কোমর বেঁধে হাসানোর চেষ্টা করে না । তা মানবজীবনের সত্যিকারের স্বরুপকে তুলে ধরে ।
7. ‘ পৃথিবীতে সবচেয়ে পপুলার জিনিস হচ্ছে ‘ প্রেম ‘ — ‘ বিভাব ‘ নাটকের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য আলোচনা করো ।
Ans: শম্ভু মিত্র হাসির নাটকের উপাদান জোগাড় করতে অমর গাঙ্গুলির বাড়িতে এসে উপস্থিত হন । কারণ দলের সম্পাদকের মতে হাসির নাটকের বিরাট বক্স অফিস । কোমর বেঁধে হাসানোর চেষ্টার তাগিদে শম্ভু মিত্র নানান অঙ্গভঙ্গি করেন । কিন্তু অমর গাঙ্গুলি স্পষ্টই জানিয়ে দেন , মানুষের আগ্রহ কিংবা জনপ্রিয়তার শর্ত না – মানলে খামোখা মানুষ হাসে না । তখন বৌদি তৃপ্তি মিত্র পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় বিষয় প্রেম হওয়ায় , প্রেমের দৃশ্যে অভিনয়ের পরিকল্পনা করেন । সেখানে নায়ক – নায়িকার ধাক্কাধাক্কি , নায়িকার রাগ , গাছের ডাল ধরে গান গাওয়ার বিভিন্ন কল্পিত দৃশ্য অভিনীত হয় । কিন্তু শম্ভু মিত্র ও অমর গাঙ্গুলির হাসি পায় না । এখানে লক্ষণীয় , প্রেমের দৃশ্যকে অবলম্বন করে বাণিজ্যিক ছবিতে যেভাবে প্রেমের নামে সস্তা ভাঁড়ামোকে দর্শকের সামনে পেশ করা হয় , ‘ বিভাব ’ নাটকে অবিকল তাই ঘটে । আসলে ‘ প্রেম ‘ – এর ধারণার বিকৃতি ঘটিয়ে এভাবেই মানুষের রুচির অবক্ষয় ঘটানো হয় । শম্ভু মিত্রের লেখায় ‘ ফিল্মি কায়দা ‘ , ‘ ন্যাকামির ভঙ্গি ’ , ‘ জখমি লভ সিন ‘ প্রভৃতি শব্দবন্ধগুলি পপুলার প্রেমের নামে তামাশার এই ভ্রান্ত চর্চাকেই তীব্র শেষ ও বিদ্রূপে বিদ্ধ করে ।
8. পৃথিবীর পপুলার জিনিস প্রম শব্দবন্ধের পরিচয় ‘ আমাদের একটা লভ সিন করা উচিত ।’— ‘ বিভাব নাটক অবলম্বনে ‘ লভ সিন – এর দৃশ্যটি আলোচনা করো ।
Ans: শম্ভু মিত্র দলের সম্পাদকের নির্দেশে হাসির নাটকের খোরাক জোগাড় করতে সহ – অভিনেতা অমর গাঙ্গুলির বাড়ি যান । সেখানে উপস্থিত তৃপ্তি মিত্র , পৃথিবীতে সবচেয়ে পপুলার জিনিস প্রেম হওয়ায় একটি প্রেমের দৃশ্যে অভিনয়ের পরিকল্পনা করেন । তৃপ্তি মিত্র নিজেই এই দৃশ্যের নায়িকা হন এবং শম্ভু মিত্রকে নায়ক নির্বাচন করেন । নায়ক – নায়িকার ধাক্কাধাক্কির দৃশ্যের আয়োজন করা হয় । চলার মাঝপথে দুজনের ধাক্কা লাগলে নায়িকা নায়কের গালে ‘ লভ সিন ‘ – এর দৃশ্য পরিচয় একটা চড় বসিয়ে দেন । এমন অভাবনীয় মারামারির চোটে বিস্মিত শম্ভু মিত্র একে ‘ জখমি লভ সিন ‘ বলে অভিহিত করেন । এইসময় বৌদি কল্পিত গাছের ডাল ধরে ঠোঁট মেলান আর নেপথ্যে ফিল্মি কায়দায় রবীন্দ্রনাথের ‘ মালতী লতা দোলে ‘ গানটি বেজে ওঠে । শম্ভু মিত্র ন্যাকামির ভঙ্গিতে গাওয়া ওই রবীন্দ্রসংগীতের বিরোধিতা করলে নেপথ্য বাদক বলে ওঠেন শুধু নান্দনিক দিক দেখলেই চলে না , ‘ Box office ‘ বলেও তো একটা ব্যাপার আছে । কিন্তু শেষে এ বিষয়ে শম্ভু মিত্র ও অমর গাঙ্গুলি একমত হন যে , এই ‘ লভ সিন ‘ দেখে তাদের হাসি পাচ্ছে না । তখন সকলে আবার নতুন করে ভাবতে শুরু করেন ।
9. ‘ জীবন কোথায় ? ‘ – কে , কাকে বলেছেন ? বস্তুা জীবনকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে করেন ?
Ans: নাট্যকার শম্ভু মিত্রের ‘ বিভাব ‘ নাটক থেকে গৃহীত প্রশ্নোদৃত । অংশটির বক্তা হলেন স্বয়ং নাট্যকার শম্ভু মিত্র । তিনি নাটকের অপর এক চরিত্র অমরকে উদ্ধৃত বক্তব্যটি বলেছেন ।
লভ সিন বা প্রগ্রেসিভ লভ সিন করেও হাসি পেল না । তখন নাটকের সম্পাদক শম্ভু মিত্র বলেন , বাইরেই হাসির খোরাক , পপুলার জিনিসের খোরাক পাওয়া যাবে । বাইরে এসে তাঁরা চলমান জীবনের ছবি দেখেন ; কিন্তু কোথাও হাসির খোরাক নেই । তারা চাল চাই , কাপড় চাই ‘ স্লোগান দিতে দিতে একটি মিছিলকে আসতে দেখেন । পুলিশও আসে মিছিল আটকাবার জন্য । কিন্তু মিছিল কোনো বাধা মানে না । একসময় পুলিশ কোনো উপায়ান্তর না দেখে মিছিলকে লক্ষ করে গুলি চালায় । একটি ছেলে ও একটি মেয়ে চিৎকার করে পড়ে যায় । শোভাযাত্রীরা বসে পড়ে । পুলিশ চলে যায় । এ সময় শম্ভু অমরকে বলেন , ‘ এবার হাসি পাচ্ছে ? ’ বাইরের জগতে বক্তা প্রকৃত জীবনের খোঁজ পেলেন ।
10. জীবনকে খুঁজে পাওয়ার প্রচেষ্টা “ এই ঘরের মধ্যে জীবনকে উপলব্ধি করা যাবে না — হাসিও পাবে না ।’— ‘ বিভাব ‘ নাটক অনুসরণে উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো ।
Ans: ‘ বিভাব ’ নাটকে শম্ভু মিত্র সম্পাদকের নির্দেশে বক্স অফিস সফল হাসির নাটকের খোরাক সংগ্রহ করতে , সহ – অভিনেতা অমর গাঙ্গুলির বাড়ি যান । প্রথমে শম্ভু মিত্র অমর গাঙ্গুলি ও তৃপ্তি মিত্রকে হাসানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন । কারণ অমর গাঙ্গুলির মতে নাটকে মানুষের আগ্রহ কিংবা জনপ্রিয়তার আবেদন না থাকলে মানুষের হাসি পাবে না । তখন তৃপ্তি মিত্র জনপ্রিয়তার কথা ভেবে একাধিক ‘ লভ সিন ’ – এর পরিকল্পনা করেন । কিন্তু তাঁর সেই চেষ্টাও অসফল হয় । এই পরিস্থিতিতে শম্ভু মিত্র চার দেয়ালের গণ্ডি ভেঙে নাটককে রাস্তায় – মাঠে – ঘাটে অর্থাৎ বাস্তব জীবনের কেন্দ্রে নিয়ে যেতে চান । তিনি চান জীবনের সঙ্গে নাটকের ভেদরেখাকে মুছে দিতে । তাই সস্তা – লঘু রসদকে নির্ভর করে গড়ে ওঠা বাংলা নাটকের জনপ্রিয় ছকের প্রতি তীব্র ব্যঙ্গ ধ্বনিত হয় ‘ বিভাব ‘ নাটকে । শম্ভু মিত্র বিশ্বাস করেন শিল্পে মানবজীবনের গভীরতর সত্যের প্রতিফলন ঘটে ; জনপ্রিয়তার দাবি মেটাতে গিয়ে তার সঙ্গে কোনোরকম আপস করা যায় না । আর তেমন ঘটলে শিল্পীর চিন্তার দৈন্যই প্রকাশিত হয় । প্রশ্নোধৃত অংশে এই চিরকালীন সত্যই ধ্বনিত হয়েছে ।
11. ‘ এই ঘরের মধ্যে জীবনকে উপলব্ধি করা যাবে না জীবনকে উপলব্ধি করার জন্য বক্তা কী করেছিলেন ? শেষে তাঁর কীরূপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল ?
Ans: আলোচ্য উদ্ধৃতিটি বিশিষ্ট নাট্যকার শম্ভু মিত্র রচিত ‘ বিভাব ‘ নাটকে শম্ভু অমরকে বলেছেন । ‘ ‘ বিভাব ’ নাটকে দলের সম্পাদকের ইচ্ছাপূরণ করতে হাসির নাটকের খোরাক খুঁজতে তৎপর হন শম্ভু মিত্র , অমর গাগুলি এবং তৃপ্তি মিত্র । অমর গাঙ্গুলির বাড়িতে নাটকের এই তিন চরিত্র নানা নাট্য পরিকল্পনা করেন । শম্ভু মিত্রের চেষ্টা ব্যর্থ হলে তৃপ্তি মিত্রের পরিকল্পনায় ‘ লভ সিন ‘ এবং ‘ প্রগ্রেসিভ লভ সিন ’ – এর দৃশ্য অভিনীত হয় । কিন্তু অমর গাঙ্গুলি ও শম্ভু মিত্রের এসব দেখেও হাসি পায় না । তখন শম্ভু মিত্র অমরকে বলেন চার দেয়ালের গণ্ডির মধ্যে জীবনকে উপলব্ধি করা যাবে না । তখন বক্তা শম্ভু মিত্র অমর গাঙ্গুলিকে নিয়ে শহরের ব্যস্ত রাস্তায় নেমে আসেন , কারণ সেখানেই হাসির খোরাক ও পপুলার জিনিসের খোরাক পাওয়া যাবে ।
শহরের ব্যস্ত রাজপথে হাসির কোনো রসদই চোখে পড়ে না । এমন সময় ভাত – কাপড়ের দাবির জোরালো আওয়াজে মুখর একটি মিছিল এগিয়ে আসে । মিছিল আটকাতে পুলিশ গুলি চালায় । একটি ছেলে ও মেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে । অসহায় বিপন্ন শোভাযাত্রীদের গোঙানির আর হাহাকারের আওয়াজ ভেসে আসে । তখন শম্ভু মিত্র সহ – অভিনেতা অমর গাঙ্গুলি এবং দর্শকদের দিকে একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন — ‘ এবার নিশ্চয়ই লোকের খুব হাসি পাবে ? এ প্রশ্ন আসলে শহুরে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজের প্রতি বিদ্রুপের এক তরবারির মতো ঝলসে ওঠে । সস্তা আমোদ ও ভাঁড়ামির মধ্যে মুখ ঢাকতে চাওয়া মানুষের অগভীর স্বার্থপর মানসিকতাকেই এখানে নাট্যকার কাঠগড়ায় দাঁড় করান । এভাবেই ব্যঙ্গ এবং শ্লেষকে অবলম্বন করে শম্ভু মিত্র সমাজজীবনের প্রকৃত রূপটিকে তুলে ধরেছেন ।
12. কোথাও জীবনের খোরাক , হাসির খোৱাক নেই । বক্তা কে ? ‘ কোথাও জীবনের খোরাক , হাসির খোরাক নেই বলে বক্তা মনে করেছেন কেন ?
Ans: ‘ বিভাব ‘ নাটক থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশটির বক্তা নাট্যকার শম্ভু মিত্র ।
সম্পাদকের নির্দেশে বক্স অফিস সফল হাসির নাটকের খোরাক জোগাড় করতে শম্ভু মিত্র , তৃপ্তি মিত্র এবং অমর গাঙ্গুলি কয়েকটি নাট্যদৃশ্য অভিনয় করেন । শম্ভু মিত্রের কল্পিত চেয়ারে বসার কিংবা টলতে টলতে উঠে দাঁড়ানোর ভঙ্গিতে অমর গাঙ্গুলি ও তৃপ্তি মিত্রের হাসি পায় না । তখন তৃপ্তি মিত্র জনপ্রিয়তার দিকে গুরুত্ব দিয়ে একটি ‘ লভ সিন ’ আর ‘ প্রগ্রেসিভ লভ সিন ’ – এর দৃশ্যের পরিকল্পনা করেন । কিন্তু এই চেষ্টাও বিফল হয় । তখন শম্ভু মিত্রের মনে হয় জীবনকে উপলব্ধি করতে চার দেয়ালের বাইরে যাওয়া প্রয়োজন । সেখানে রাজপথে ব্যস্ত জনজীবনের সঙ্গে তাঁরা মিশে যান । কিন্তু দুজনের চোখে কোথাও হাসির রসদ চোখে পড়ে না । বর্ণহীন শহুরে জীবনের যান্ত্রিক গতানুগতিকতা দেখে মনে হয় জীবন শুকিয়ে যাচ্ছে , কোথাও জীবনের খোরাক নেই । এখানে জীবন ও হাসি সমার্থক হয়ে ওঠে । তাই হাসির প্রয়োজনে সস্তা আমোদ কিংবা ভাঁড়ামির ওপর নির্ভর করার অর্থ জীবনের স্বরুপকে বুঝতে না পারা । জনপ্রিয়তার শর্তপুরণের লক্ষ্যে জীবনকে উপলব্ধি করার এই অসামর্থ্যকেই । এখানে নাটককার ব্যস্তা ও বিদ্রূপে বিদ্ধ করেছেন ।
13. ‘ হঠাৎ পেছন থেকে শোভাযাত্রীদের ক্ষীণ আওয়াজ শোনা যায় । শোভাযাত্রীদের ক্ষীণ আওয়াজে কী শোনা যায় । এরপর কী ঘটনা ঘটেছিল তার বর্ণনা দাও ।
Ans: শম্ভু মিত্র রচিত ‘ বিভাব ’ নাটকে শম্ভু অমর যখন চার দেয়ালের বাইরে রাস্তায় নেমেছে তখন হঠাৎ পিছন থেকে । শোভাযাত্রীদের ক্ষীণ আওয়াজে শোনা শোভাযাত্রীদের দাবি যায় — চাল চাই , কাপড় চাই , চাল চাই , কাপড় চাই ‘ এই দাবি ।
‘ বিভাব ‘ নাটকটি ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে রচিত । স্বাধীনতা পরবর্তী সারাদেশের সাধারণ মানুষের জীবন চরম দুর্দশাগ্রস্ত । এই সম্পাদক শম্ভু মিত্রকে হাসির নাটক করতে বলেছেন । কিন্তু শম্ভু , অমর , তৃপ্তি । চার দেয়ালের মধ্যে হাসির খোরাক পায় না । তখন শম্ভু , অমর চার দেয়ালের বাইরে আসেন । সেখানের পরিস্থিতি আরও কঠিন ও কঠোর । শম্ভু ও অমর স্টেজের মধ্যে রাস্তা দিয়ে চলার ভঙ্গি করেন । রাস্তায় মোটর , বাস , রিকশা , ট্রেন , ট্রাম পরবর্তী ঘটনার চলে যায় । সেইসময় একদল শোভাযাত্রী চাল বিবরণ চাই , কাপড় চাই , চাল চাই , কাপড় চাই দাবি , করতে করতে মিছিল আকারে চলে যায় । তখন শম্ভু অমরকে বলেন এই বিষয় নিয়ে নাটক লিখলে পুলিশ ছাড়বে না । এরপর পুলিশ আসছে দেখে ঝঞ্ঝাট এড়াতে শম্ভু অমরকে নিয়ে ডানদিকের উইং দিয়ে পালিয়ে যান । এরপর মঞ্চে ঢোকে কয়েকজন ছেলে ও মেয়ে । সামনের সারির কয়েকজনের হাতে পতাকা বা ফেস্টুন আছে । খুব ছোটো ছোটো পদক্ষেপে তারা এগিয়ে যায় । তাদের দাবি চাল চাই , কাপড় চাই । অন্যদিকের উইং দিয়ে ঢোকে পুলিশ ও সার্জেন্ট । পুলিশের হাতে বন্দুক ধরে রাখার ভঙ্গি । পুলিশ মার্চ করে শোভাযাত্রীদের কাছে আসে । সার্জেন্ট শোভাযাত্রীদের কাছে এসে শোভাযাত্রীদের ফিরে যেতে বলে । শোভাযাত্রীরা সার্জেন্ট – এর নিষেধাজ্ঞা শোনে না । সার্জেন্ট তখন ক্রুদ্ধ হয়ে পুলিশকে গুলি চালাতে নির্দেশ দেয় । কথিত বন্দুক থেকে গুলি চালায় পুলিশ । বন্দুকের আওয়াজে একটি ছেলে ও মেয়ে চিৎকার করে পড়ে যায় । শোভাযাত্রীদের সকলে বসে পড়ে , তাদের মধ্যে একটা হাহাকার ও গোঙানি শোনা যায় । পুলিশ মার্চ করতে করতে চলে যায় । এরপর সারা স্টেজ লাল আলোয় ভরে যায় । এরপর অমর দৌড়ে এসে আহত মেয়েটির মাথায় হাত দিয়ে দেখতে থাকে । এরপর শম্ভু মিত্র ঢোকে এবং অমরের পিঠে টোকা দিয়ে জানতে চান আর হাসি ) পাচ্ছে কিনা ? আস্তে আস্তে মঞ্চের পরদা নেমে যায় ।
14. ‘ এবার নিশ্চয়ই লোকের খুব হাসি পাবে ? – বলতে নাট্যকার কী বুঝিয়েছেন ‘ বিভাব ‘ নাটক অবলম্বনে আলোচনা করো ।
Ans: ‘ বিভাব ’ নাটকে দলের সম্পাদকের ইচ্ছাপূরণ করতে হাসির নাটকের খোরাক খুঁজতে তৎপর হন শম্ভু মিত্র , অমর গাঙ্গুলি । এবং তৃপ্তি মিত্র । অমর গাঙ্গুলির বাড়িতে নাটকের এই তিন চরিত্র নানা নাট্য পরিকল্পনা করেন । শম্ভু মিত্রের চেষ্টা ব্যর্থ হলে তৃপ্তি মিত্রের পরিকল্পনায় ‘ লভ সিন ‘ এবং ‘ প্রগ্রেসিভ লভ সিন ’ – এর দৃশ্য অভিনীত হয় । কিন্তু অমর গাঙ্গুলি ও শম্ভু মিত্রের এসব দেখেও হাসি পায় না । তখন তাঁরা সত্যিকারের জীবনকে উপলব্ধি করতে চার দেয়ালের বাইরে বেরিয়ে আসেন । যদিও শহরের ব্যস্ত রাজপথে হাসির কোনো রসদই চোখে পড়ে না । এমন সময় ভাত – কাপড়ের দাবির জোরালো আওয়াজে মুখর একটি মিছিল এগিয়ে আসে । মিছিল আটকাতে পুলিশ গুলি চালায় । একটি ছেলে ও মেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে । অসহায় – বিপন্ন শোভাযাত্রীদের গোঙানি আর হাহাকারের আওয়াজ ভেসে আসে ।
এইরূপ অবস্থায় শম্ভু মিত্র সহ – অভিনেতা অমর গাঙ্গুলি এবং দর্শকের দিকে উপরিউক্ত প্রশ্নটি ছুঁড়ে দেন । এ প্রশ্ন আসলে শহুরে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজের প্রতি বিদ্রুপের এক তরবারির মতো ঝলসে ওঠে । সস্তা আমোদ ও ভাঁড়ামির মধ্যে মুখ ঢাকতে চাওয়া মানুষের অগভীর স্বার্থপর মানসিকতাকেই এখানে নাটককার কাঠগড়ায় দাঁড় করান । এভাবেই ব্যঙ্গ এবং শ্লেষকে অবলম্বন করে শম্ভু মিত্র সমাজজীবনের প্রকৃত রূপটিকে তুলে ধরেছেন ।
15. ‘ বিভাব ‘ নাটকের নাট্যকারের সংলাপ রচনার দক্ষতা আলোচনা করো ।
Ans: নাট্যবিষয়ের সঙ্গে নাট্যসংলাপ পরস্পরের পরিপুরক হয়ে উঠলে তবেই নাটক শিল্পসার্থক হয়ে ওঠে । তাই ‘ বিভাব ‘ – এর মতো শ্লেষধর্মী বিদ্রুপাত্মক নাটকের সংলাপের ক্ষেত্রে শম্ভু মিত্র বুদ্ধিদীপ্ত , শানিত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ ভাষার ব্যবহার সংলাপ রচনার দক্ষতা ঘটিয়েছেন । এ নাটকে ভাষার অনেকগুলি স্তর আছে । যেহেতু নাটকের চরিত্রেরা তাঁদের বাস্তব পরিচয় নিয়েই মঞ্চে হাজির হয় , তাই নাট্যকার সচেতনভাবেই এমন সংলাপ রচনা করেন , যাতে চরিত্র তিনটি বাস্তব হয়েও একইসঙ্গে নাটকের চরিত্র হয়ে ওঠে ।
নাটকের সূচনায় শম্ভু মিত্র ঘরোয়া আলাপচারিতার ঢঙে যে দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন , তা কৌতুক – রসবোধ ও শ্লেষে পরিপূর্ণ । কারণ তাঁর লক্ষ্য ঔপনিবেশিক শিক্ষায় শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালির মর্মে আঘাত করা । আবার নাটক শুরু হলে প্রত্যেকের সংলাপ হয়ে ওঠে । সংক্ষিপ্ত , সংযত এবং দ্বন্দ্বময় । এজন্যেই প্রেমের দৃশ্যে ‘ বার্থরেট কী হাই ! ’ – এর সঙ্গে পরে ‘ বিয়ের দু’বছরের মধ্যে গফট্ – এর মতো সংলাপ বক্তব্যকে একইসঙ্গে তীক্ষ্ণতা ও তির্যকতা দেয় । আবার নায়িকা কিংবা পুলিশের মুখে প্রচলিত হিন্দি বুলি চরিত্রগুলিকে জীবন্ত করে তোলে । পুলিশের প্রসঙ্গে যখন স্বয়ং শম্ভু মিত্র বলে ওঠেন , ‘ পুলিশ আসছে । ‘ তখন নাটক যেন জীবনের অন্তর্গত হয়ে যায় । এভাবেই সমাজজীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতাকে নাট্যকার দক্ষতার সঙ্গে প্রয়োগ করে দর্শকমনে চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিতে সফল হয়েছেন ।
16. ‘ বিভাব ‘ নাটকের ব্যস্ততম রাস্তার যে – চিত্র আছে 21 তা নিজের ভাষায় লেখো ।
Ans: বিশিষ্ট নাট্যকার শম্ভু মিত্র রচিত বিখ্যাত নাটক বিভাব । বিভাব নাটকে দলের সম্পাদকের ইচ্ছাপুরণ করতে হাসির নাটকের খোরাক খুঁজতে তৎপর হন শম্ভু মিত্র , অমর গাঙ্গুলি এবং তৃপ্তি মিত্র । চার দেয়ালের মধ্যে হাসির খোরাক না – পেয়ে শম্ভু অমরকে নিয়ে চার দেয়ালের বাইরে আসেন । যদিও সবটাই ভঙ্গিনির্ভর । দুজনে কল্পিত সিঁড়ি দিয়ে নীচে আসেন । একটু হেঁটে তারপর এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আবার হেঁটে যাওয়ার ভঙ্গি করেন । স্টেজে সমস্ত দৃশ্যটি অভিনীত হতে থাকে । স্টেজের মধ্যে রাস্তার দৃশ্যগুলি চলতে থাকে ।
রাস্তায় এসে তারা দেখেন হঠাৎ একপাশ থেকে একজন লোক একটা মোটরের আঁকা ছবি ধরে মুখে হর্ন – এর আওয়াজ করতে করতে তাদের ব্রুস করে চলে যান । তারপর তারা দেখেন অন্য একটি লোক বাস – এর ছবি নিয়ে অন্যদিক থেকে আসে । অমরকে সেই বাস প্রায় চাপা দিচ্ছিল শম্ভু মিত্র তাকে টেনে নেন এবং বাস ড্রাইভারকে বকে ওঠেন । বাস ড্রাইভারও নিজের ভাষায় চেঁচিয়ে ওঠে । সেইসময় আর একজন লোক হাত রিকশার ছবি নিয়ে মুখে টুং টুং করতে করতে চলে যায় । সবশেষে একটা লোক ট্রামের ছবি নিয়ে ঢোকে । মুখে ট্রামের ঘণ্টির ঠ্যাং ঠ্যাং আওয়াজ করে । সে সোজা রাস্তা ধরে মঞ্চের একদিক থেকে অন্যদিকে চলে যায় ।
17. একাঙ্ক নাটক হিসেবে ‘ বিভাব ‘ নাটকটি কতখানি সার্থক তা আলোচনা করো ।
Ans: একাঙ্ক নাটক হল একটি অঙ্কে সমাপ্ত হওয়া নাটক । একটিমাত্র সংক্ষিপ্ত কাহিনি নিয়ে একমুখিন গতিতে খুব দ্রুত চরম পরিণতির দিকে পৌঁছোবে নাট্যকাহিনি । একাঙ্ক নাটকের আঙ্গিক নাটকে চরিত্র সংখ্যাও কম হবে । এই বৈশিষ্ট্যের নিরিখে আমরা ‘ বিভাব ‘ নাটকটি বিচার করব ।
‘ বিভাব ‘ নাটকে দলের সম্পাদকের ইচ্ছাপূরণ করতে হাসির নাটকের খোরাক খুঁজতে তৎপর হন শম্ভু মিত্র , অমর গাঙ্গুলি এবং তৃপ্তি মিত্র । শম্ভু মিত্রের চেষ্টা ব্যর্থ হলে তৃপ্তি মিত্রের পরিকল্পনায় ‘ লভ সিন ’ এবং ‘ প্রগ্রেসিভ লভ সিন ’ – এর দৃশ্য ‘ বিভাব ‘ নাটকের নাট্যগতি অভিনীত হয় । কিন্তু অমর গাঙ্গুলি ও শম্ভু মিত্রের এসব দেখেও হাসি পায় না । তখন তাঁরা সত্যিকারের জীবনকে উপলব্ধি করতে চার দেয়ালের বাইরে বেরিয়ে আসেন । যদিও শহরের ব্যস্ত রাজপথে হাসির কোনো রসদই চোখে পড়ে না । এমন সময় ভাত – কাপড়ের দাবির জোরালো আওয়াজে মুখর একটি মিছিল এগিয়ে আসে । মিছিল আটকাতে পুলিশ গুলি চালায় । একটি ছেলে ও মেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে । অসহায় – বিপন্ন শোভাযাত্রীদের গোঙানির আর হাহাকারের আওয়াজ ভেসে আসে । শম্ভু , অমর ও বৌদি তৃপ্তি মিত্র এই স্বল্পসংখ্যক চরিত্র নিয়ে একমুখিন গতিতে কাহিনি এগিয়ে যায় এবং চরম মুহূর্ত হিসেবে শোভাযাত্রীদের ‘ চাল চাই , কাপড় চাই , ‘ দাবি এবং সার্জেন্টের নির্দেশে শোভাযাত্রীদের দিকে কল্পিত বন্দুক থেকে গুলি চালানো এবং একটি ছেলে মেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে । পুলিশ মার্চ করতে করতে চলে যায় । এরপর সারা স্টেজ লাল আলোয় ভরে যায় । তারপর অমর দৌড়ে এসে আহত মেয়েটির মাথায় হাত দিয়ে থাকে ঠিক তখনই শম্ভু মিত্র স্টেজে ঢুকে অমর এবং দর্শককে জিজ্ঞাসা করে ‘ আর হাসি পাচ্ছে কিনা ? ’ এক অঙ্কের সংক্ষিপ্ত কালসীমায় জীবনের কঠিন – কঠোর বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন নাট্যকার । তাই একাঙ্ক নাটক হিসেবে শম্ভু মিত্র – এর বিভাব নাটক সার্থক ।