সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো |
- ভারতীয় সংবিধানের নির্দেশাত্মক নীতির যে ধারায় সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার কথা বলা হয়েছে
(A) ৪৬ নং ধারায় /
(B) ৪৫ নং ধারায়
(C) ৭৬ নং ধারায় /
(D) উপরের কোনোটিই নয় ।
Ans: (B) ৪৫ নং ধারায়
- ‘ সকলের শিক্ষার অধিকার ’ যে আইনে প্রথম স্বীকৃতি পায় পায়—
(A) শিক্ষার অধিকার আইন /
(B) শিশুর অধিকার আইন /
(C) মানুষের অধিকার আইন এবং শিশুর অধিকার আইন /
(D) ভারতীয় সংবিধানের ৫৪ নং ধারায় ।
Ans: (C) মানুষের অধিকার আইন এবং শিশুর অধিকার আইন /
- আন্তর্জাতিক স্তরে মানবাধিকার সংক্রান্ত সর্বজনীন ঘোষণায় শিক্ষার অধিকারের বিষয়টি আছে—
(A) 15 নং অনুচ্ছেদে /
(B) 22 নং অনুচ্ছেদে
(C) 26 নং অনুচ্ছেদে /
(D) 30 নং অনুচ্ছেদে ।
Ans: (C) 26 নং অনুচ্ছেদে /
- সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার প্রধান বাধা—
(A) অভিভাবকদের নিরক্ষরতা /
(B) সম্পদের অভাব /
(C) জনবিস্ফোরণ /
(D) বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত সুযোগের অভাব ।
Ans: (C) জনবিস্ফোরণ /
- প্রাথমিক শিক্ষার সর্বজনীকরণের উদ্দেশ্য হলো—
(A) সামাজিক ন্যায় ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা /
(B) জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করা /
(C) জাতীয় সংহতি সুনিশ্চিত করা /
(D) উপরের সবক’টি ।
Ans: (D) উপরের সবক’টি ।
- যে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কেন্দ্রীয় স্তরে বয়স্ক শিক্ষার জাতীয় বোর্ড ( National Board of Adult Education ) পরিকল্পনা গড়ে ওঠে–
(A) চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা /
(B) তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা /
(C) ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা /
(D) সপ্তম পঞ্জুবার্ষিকী পরিকল্পনা ।
Ans: (C) ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা /
- ন্যাশনাল লিটারেসি মিশনের কর্মসূচি রূপায়ণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব যার উপর পড়েছে—
(A) AICTE- এর উপর /
(B) SABE- এর উপর /
(C) জেলা বোর্ড অব এডুকেশনের ওপর /
(D) প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের উপর ।
Ans: (C) জেলা বোর্ড অব এডুকেশনের ওপর / 8. সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্যপুরণের জন্য গৃহীত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি—
(A) জাতীয় বয়স্ক শিক্ষা কর্মসূচি |
(B) জাতীয় সাক্ষরতা মিশন /
(C) সৰ্বশিক্ষা অভিযান /
(D) প্রবহমাণ শিক্ষা কর্মসূচি ।
Ans: (C) সৰ্বশিক্ষা অভিযান /
- ‘ Each one teach one ‘ যে আন্দোলনের স্লোগান-
(A) অসহযোগ আন্দোলন /
(B) ভাষা আন্দোলন /
(C) শিক্ষা আন্দোলন /
(D) উপরের কোনোটিই নয় ।
Ans: (C) শিক্ষা আন্দোলন
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – প্রাথমিক শিক্ষার সর্বজনীকরণ (দশম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Education Question and Answer :
- NSS- এর পুরো নাম কী ?
Ans: NSS- এর পুরো নাম হলো National Social Service .
- TLC- এর পুরো নাম কী ?
Ans: TLC- এর পুরো নাম হলো Total Literacy Campaign .
- NEP- এর পুরো নাম কী ?
Ans: NEP- এর পুরো নাম হলো National Education Policy .
- CEP- এর পুরো নাম কী ?
Ans: CEP- এর পুরো নাম হলো Continuing Education Programmes .
- UPE- এর পুরো নাম কী ?
Ans: UPE- এর পুরো নাম হলো Universalization of Primary Education .
- SSA- এর পুরো নাম কী ?
Ans: SSA- এর পুরো নাম হলো Sarba Shiksha Abhijan .
- NCF- এর পুরো নাম কী ?
Ans: NCF- এর পুরো নাম হলো National Curriculum Framework .
- কবে UNESCO শিক্ষার অন্তর্ভুক্তিকরণের পক্ষে সওয়াল করে ?
Ans: 1994 সালে UNESCO শিক্ষার অন্তর্ভুক্তিকরণের উপর জোর দেয় ।
- জাতীয় সাক্ষরতা মিশন কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
Ans: 1988 সালের 5 মে জাতীয় সাক্ষরতা মিশন গড়ে ওঠে ।
- 1948 সালে UNO- র মানবাধিকারের বিশ্বজনীন ঘোষণায় কোন অনুচ্ছেদে প্রতিটি মানুষের শিক্ষার অধিকার স্বীকৃতি পায় ?
Ans: ২৬ নং অনুচ্ছেদে ।
- সর্বশিক্ষা অভিযানের প্রকল্পের কাজ কবে শুরু হয় ?
Ans: সর্বশিক্ষা অভিযানের প্রকল্পের কাজ 2001 সালে শুরু হয় ।
- RFPL- এর সম্পূর্ণ নাম লেখো ।
Ans: Rural Fundamental Literacy Programme .
- SRC- এর পুরো কথাটি কী ?
Ans: State Resource Centre .
- DRC- এর পুরো কথাটি লেখো ।
Ans: District Resource Centre .
- MDG- এর সম্পূর্ণ নাম লেখো ।
Ans: Millennium Development Goal বা শতাব্দীর বিকাশমুখী লক্ষ্য ।
- মিড – ডে মিল কোন সাক্ষরতা কর্মসূচির অঙ্গ ?
Ans: মিড – ডে মিল সর্বশিক্ষা অভিযান সাক্ষরতা কর্মসূচির অঙ্গ ।
- PLC- এর সম্পূর্ণ নাম লেখো ।
Ans: Post Literacy Campaign .
- 3 RS বলতে কী বোঝো ?
Ans: পঠন ( Reading ) , লিখন ( Writing ) এবং গণিত ( Arithmeti (C) |
- VEC- এর সম্পূর্ণ নাম লেখো ।
Ans: Village Education Committee .
- শিক্ষায় Stagnation কাকে বলে ?
Ans: শিক্ষায় Stagnation বা অনুন্নয়ন হলো পরীক্ষায় অসফল হওয়ার কারণে বছরের পর বছর একই শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের থেকে যাওয়া ।
- NAER- এর পুরো নাম কী ?
Ans: National Adult Education Programme .
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – প্রাথমিক শিক্ষার সর্বজনীকরণ (দশম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Education Question and Answer :
- সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ চারটি পদক্ষেপ সংক্ষেপে লেখো ।
Ans: সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য পদক্ষেপ নিম্নরূপ –
- অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা সুনিশ্চিত করা :
পাঁচ থেকে চোদ্দো বছর বয়েসি প্রতিটি ছেলে – মেয়েকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাদানের বিষয়টি সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে সময়ভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে ।
- বিকল্প শিক্ষার সুযোগ : ভারত সরকার সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে সর্বশিক্ষা অভিযান শুরু করেছে । এটি নিয়মতান্ত্রিক শিক্ষার পাশাপাশি একটি বিকল্প শিক্ষা ব্যবস্থা ।
- সকলের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিতকরণ : সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য প্রকল্পের কাজে পঞ্চায়েত , পুরসভা , ওয়ার্ড শিক্ষা কমিটি , বিদ্যালয় পরিচালন কমিটি ও অন্যান্যদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে হবে ।
- ন্যায়বিচার ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা : বুনিয়াদি শিক্ষার সুযোগ সুনিশ্চিত করে সামাজিক ন্যায়বিচার ও প্রাথমিক শিক্ষার সপক্ষে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রকাশ জরুরি হয়ে পড়েছে ।
- ভারতবর্ষে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বলতে কী বোঝো ?
শিক্ষার সর্বজনীকরণের সমস্যাগুলি আলোচনা করো ।
Ans: সংবিধানের ৪৫ নং ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে , ৬-১৪ বছর বয়সি সমস্ত শিশুকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার আওতায় আনতে হবে । অর্থাৎ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাকেই বলে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা । বর্তমানে যদিও প্রাথমিক শিক্ষার বদলে প্রারম্ভিক শিক্ষা কথাটি ব্যবহার করা হয় ।
শিক্ষা সর্বজনীকরণের সমস্যাসমূহ : সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তনের সমস্যাগুলি এইরূপ—
- আর্থিক সীমাবদ্ধতা : সর্বজনীন শিক্ষা প্রচলনের একটি অন্যতম অসুবিধা সরকারি অর্থাভাব । এই যুক্তি ব্রিটিশ যুগ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত একইভাবে তুলে ধরা হচ্ছে ।
- জনসংখ্যার লাগামছাড়া বৃদ্ধি : জনসংখ্যার বিস্ফোরণ সর্বজনীন শিক্ষার পথে আরেকটি বাধা । দ্রুত জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সমান তালে নিরক্ষর মানুষের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে ।
- অভিভাবকদের অক্ষমতা : সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার পথে আর একটি বাধা অভিভাবকদের দারিদ্র্য । দরিদ্র পিতা – মাতা শিশুদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে অনাগ্রহী ।
- শিশুশ্রম প্রথা : শিল্প ও কৃষিব্যবস্থায় এখনও এখানে ব্যাপক হারে শিশুশ্রম প্রথা চলে আসছে । সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার পথে এটিও অন্যতম বাধা । দারিদ্র্যের কারণে অভিভাবকরা শিশুকে স্কুলে না পাঠিয়ে চাষের খেতে বা কারখানায় পাঠিয়ে দেয় । অপরদিকে , শিশুশ্রম প্রথা বিরোধী আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব ।
- স্কুলে না যাওয়া : অপচয় ও অনুন্নয়ন সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার পথে অন্যতম বাধা । শিশুরা প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে কিছুদিন পড়াশোনার পর স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয় । এর ফলে তারা আবারও শিক্ষার মূলস্রোত থেকে হারিয়ে যায় ।
- বিদ্যালয়ের দূরত্ব : ১৯৯৮ সালে এক সর্বভারতীয় শিক্ষা সমীক্ষায় প্রকাশ , প্রায় ২০ % শিশুর ক্ষেত্রে যাতায়াতের সুবিধাজনক স্থানে উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই , ৯ % ক্ষেত্রে শিশুদের কাছাকাছি স্থানে প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই ।
- বয়স্কদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করো ।
Ans: শিক্ষাই মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে যায় । তাই দেশের সব নাগরিককে আর্থিক উন্নয়নে সামিল করতে হলে শিক্ষার প্রসার অবশ্যম্ভাবী । এর জন্য প্রয়োজন বয়স্কদের শিক্ষা । বয়স্কদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ২ টি ভাগে বিভক্ত—
- ব্যক্তিগত উন্নতি : বয়স্ক শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তিগত উন্নতির ক্ষেত্রে কিছু উদাহরণ এইরূপ—
( ক ) শারীরিক বিকাশ : বয়স্ক নিরক্ষর ব্যক্তিরা ততখানি স্বাস্থ্য সচেতন নয় । তাই তাদের শরীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে সুস্থ থাকার শিক্ষা দেওয়া হয় ।
( খ ) মনস্তাত্ত্বিক বিকাশ : দৈহিক উন্নতির সঙ্গে তার মানসিক উন্নতিও ঘটানো হয় । বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাদানের কারণে ব্যক্তির ধারণা , চিন্তন , বিচারকরণ , সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা ইত্যাদির বিকাশ ঘটে ।
( গ ) সামাজিক বোধের বিকাশ : বয়স্ক শিক্ষা বা সামাজিক শিক্ষার দ্বারা ব্যক্তির মধ্যে সামাজিক বোধ জাগিয়ে তোলা যায় । অর্থাৎ সামাজিকীকরণ , সামাজিক ক্রিয়া – প্রতিক্রিয়া , সামাজিক রীতিনীতি , আইন – কানুন সম্পর্কে তারা জ্ঞান লাভ করেন ।
- সামাজিক উন্নতি : সমাজের উন্নয়নের জন্য বয়স্ক শিক্ষায় যে সব বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপিত হয়েছে —
(A) সামাজিক সম্পর্কের উন্নয়ন : মানুষ সমাজবদ্ধ জীব । সে সমাজে বসবাস করে । সমাজে সুন্দরভাবে জীবন কাটাতে হলে পারস্পরিক সুসম্পর্ক থাকা প্রয়োজন ।
(B) সমবায় সংস্থা গঠন : সমবায় হলো সব মানুষের সহযোগিতায় একটি সংগঠন । যে সহযোগিতায় প্রতিটি মানুষ আর্থিক সুযোগসুবিধা পেতে পারে এবং এর ফলে তার আর্থিক উন্নয়ন ঘটে ।
(C) জাতীয় ঐতিহ্যের সংরক্ষণ : শিক্ষা জাতির ঐতিহ্যের সংরক্ষণ ও উন্নয়নে আগ্রহী করে । বয়স্ক মানুষদের মধ্যে জাতীয় ঐতিহ্যের সংরক্ষণ যেমন প্রয়োজন তেমন তার উন্নয়নও একান্ত প্রয়োজন ।
(D) সামাজিক মূল্যবোধের প্রসার : বয়স্ক শিক্ষার প্রসার সমাজে যত বেশি সম্ভব হবে ততই সমাজবদ্ধ মানুষের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধের প্রসার ঘটবে যা সমাজ তথা জাতীয় উন্নয়নে সহায়ক হবে ।
(E) গণতান্ত্রিক উন্নয়ন : বয়স্ক শিক্ষা যত উন্নত তত মানুষের মধ্যে গণতান্ত্রিক চিন্তাধারার উন্মেষ ঘটবে যা রাজনৈতিক চিন্তাধারাকে আরও পরিশোধিত করবে ।
- বয়স্ক শিক্ষার কী কী সমস্যা আছে ? সমাধানের পথগুলি উল্লেখ করো ।
Ans: স্বাধীনতা অর্জনের এতদিন পরও দেশে বয়স্ক শিক্ষা বা সামাজিক শিক্ষা প্রকল্প সফল হয়নি । এর কারণগুলি হলো –
- আগ্রহের অভাব : এই কর্মসূচির সফল রূপদানে সর্বস্তরের মানুষের আগ্রহের অভাব পরিলক্ষিত হয় । বয়স্ক শিক্ষা পরিকল্পনা বৈচিত্র্যপূর্ণ না হওয়ায় বয়স্ক মানুষরা শিক্ষাগ্রহণে বিশেষ আগ্রহী হয় না ।
- পরিকাঠামোর অভাব : আমাদের দেশে জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে , ফলে বয়স্কদের সংখ্যাও বাড়ছে । এত বিরাট সংখ্যক বয়স্ক পড়ুয়াকে শিক্ষাদানের মতো পরিকাঠামো এদেশে নেই ।
- অর্থাভাব : বয়স্ক শিক্ষা প্রসারে অন্যতম বাধা অর্থাভাব । আর্থিক সমস্যার কারণে বয়স্ক শিক্ষার কর্মসূচি ঠিকমতো পরিচালিত হয় না ।
- নেতৃত্বের অভাব : বয়স্ক শিক্ষার কর্মসূচি রূপায়ণে যথাযোগ্য সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভাবও অন্যতম কারণ ।
- সঠিক পদ্ধতির অভাব : সঠিক পদ্ধতিতে বয়স্কদের শিক্ষাদানের ব্যবস্থা এখনও আমাদের দেশে হয়নি ।
বয়স্ক শিক্ষার সমস্যা সমাধান : বয়স্ক শিক্ষার সমস্যা সমাধান করতে যে সকল ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সেগুলি হলো – —
- অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি : বয়স্ক শিক্ষার কর্মসূচিকে সফল করতে হলে সরকারি অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ বাড়াতে হবে ।
- সঠিক নেতৃত্ব প্রদান : কর্মসূচিকে ঠিক পথে চালিত করতে হলে যথাযোগ্য সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে এগিয়ে আসতে হবে ।
- বাস্তবমুখী শিক্ষা পরিকল্পনা : বয়স্ক শিক্ষা পরিকল্পনা যদি বাস্তবমুখী ও বৈচিত্র্যপূর্ণ হয় তবে বয়স্ক মানুষ শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী হবে এবং কর্মসূচি সফলতার পথে এগোবে ।
- সর্বশিক্ষা অভিযান – এর কর্মসূচি উল্লেখ করো ।
Ans: সর্বশিক্ষা অভিযান – এর কর্মসূচিকে প্রধানত দু’ভাগে ভাগ করা যায় ।
যথা – 1. সাধারণ কর্মসূচি ও 2. বিশেষ কর্মসূচি ।
সাধারণ কর্মসূচি—
( ক ) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়ন । ( খ ) পরিপূরক শিক্ষাব্যবস্থা ।
( গ ) পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ ।
( ঘ ) বালিকাদের শিক্ষায় গুরুত্ব ।
( ঙ ) জনগণের অংশগ্রহণ ।
( চ ) ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ ।
( ছ ) শিক্ষক প্রশিক্ষণ ।
( জ ) গুচ্ছ সম্পদ কেন্দ্র গঠন ।
( ঝ ) অর্থ সংগ্রহ ।
( ঞ ) তথ্যভাণ্ডার গড়া ।
বিশেষ কর্মসূচি : বিশেষ কর্মসূচিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে । যথা—
[A] চোদ্দো বছর পর্যন্ত সব ছেলে – মেয়েকে শিক্ষাঙ্গনে নিয়ে আসা ।
[B] শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ধরে রাখা ।
[C] শিক্ষার গুণমান সুনিশ্চিত করা ।
- ( ক ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নথিভুক্তকরণ , ( খ ) পর্ষদ অনুমোদিত বিদ্যালয় , মুক্ত বিদ্যালয় ও বেসরকারি বিদ্যালয় স্থাপন , ( গ ) শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং ( ঘ ) সেতু পাঠক্রম ।
- ( ক ) শিক্ষার্থীদের বসার যথাযথ ব্যবস্থা , ( খ ) গুণমান , ( গ ) শিক্ষক – অভিভাবক সভা , ( ঘ ) পানীয় জল ও শৌচাগার এবং ( ঙ ) সুস্থ সামাজিক পরিবেশ ।
- ( ক ) বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষণ পদ্ধতির ব্যবহার , ( খ ) শিক্ষেণপকরণ ব্যবহার , ( গ ) অনুকূল পরিবেশ গঠন এবং ( ঘ ) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি ।