সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো |
- ব্রিটিশ ভারতের শেষ ভাইসরয় ছিলেন—
(A) মাউন্টব্যাটেন
(B) এটলি
(C) ক্যানিং
(D) হেস্টিংস ।
Ans: (A) মাউন্টব্যাটেন
- আজাদ হিন্দ বাহিনী সর্বপ্রথম ভারতের যে শহরটি দখল করে সেটি হলো
(A) কোহিমা
(B) নাগপুর
(C) গৌহাটি
(D) দিশপুর ।
Ans: (A) কোহিমা
- গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে—
(A) কলকাতায়
(B) দিল্লিতে
(C) বোম্বাইয়ে
(D) মাদ্রাজে ৷
Ans: (B) দিল্লিতে
- ভারতের ‘ লৌহমানব ‘ হিসেবে পরিচিত—
(A) মহাত্মা গান্ধি
(B) আবুল কালাম আজাদ
(C) বি . ভি . প্যাটেল
(D) সুভাষচন্দ্র বসু ।
Ans: (C) বি . ভি . প্যাটেল
- জাপান কত খ্রিস্টাব্দে পার্ল হারবার আক্রমণ করে ?
(A) ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ।
Ans: (A) ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে
- সুভাষচন্দ্র বসু ফ্রি – ইন্ডিয়া সেন্টার গঠন করেন—
(A) জার্মানিতে
(B) জাপানে
(C) ভারতে
(D) আন্দামানে ।
Ans: (A) জার্মানিতে
- মন্ত্রী মিশন ভারতে আসে –
(A) ১৯৪২ .
(B) ১৯৪৪ খ্রি .
(C) ১৯৪৫
(D) ১৯৪৬ খ্রি .।
Ans: (D) ১৯৪৬ খ্রি .।
- গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে—
(A) কলকাতায়
(B) দিল্লিতে
(C) বোম্বাইয়ে
(D) ইন্দোরে ।
Ans: (B) দিল্লিতে
- ‘ রশিদ আলি দিবস ‘ পালিত হয়–
(A) ২ জানুয়ারি
(B) ১২ ফ্রেব্রুয়ারি
(C) ১৬ মার্চ
(D) ২২ মে ।
Ans: (B) ১২ ফ্রেব্রুয়ারি
- ক্লিপস মিশন ভারতে আসে—
(A) ১৯৪২
(B) ১৯৪৫
(C) ১৯৪৬
(D) ১৯৪৭ খ্রিঃ ।
Ans: (A) ১৯৪২
- রোম – বার্লিন – টোকিও অক্ষচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়—
(A) ১৯৩৫
(B) ১৯৩৬
(C) ১৯৩৯
(D) ১৯৩৭ খ্রিঃ ।
Ans: (D) ১৯৩৭ খ্রিঃ ।
- আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন –
(A) রাসবিহারী বসু
(B) সুভাষচন্দ্র বসু
(C) জওহরলাল নেহরু
(D) কেউই নন ।
Ans: (A) রাসবিহারী বসু
- ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের পার্ল হারবারের ঘটনার ফলে— ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছিল ।
(A) ইংল্যান্ড
(B) ফ্রান্স
(C) রাশিয়া
(D) জাপান ।
Ans: (D) জাপান ।
- স্বাধীন ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি হলেন—
(A) ম্যান্ডেলা
(B) ড . সুকর্ণ
(C) সুহার্তো
(D) হাব্বিবি ।
Ans: (B) ড . সুকর্ণ
- ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে পার্ল হারবারের ঘটনার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছিল—
(A) রাশিয়া
(B) চিন
(C) ফ্রান্স
(D) জাপানের ।
Ans: (D) জাপানের ।
- তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের সর্বাধিনায়ক ছিলেন—
(A) অজয় মুখোপাধ্যায়
(B) মাতঙ্গিনি হাজরা
(C) চৈতু পাণ্ডে
(D) সতীশচন্দ্ৰ সামন্ত ।
Ans: (D) সতীশচন্দ্ৰ সামন্ত ।
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS History Question and Answer :
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতের বড়োেলাট কে ছিলেন ?
Ans: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় ভারতের বড়োেলাট ছিলেন লর্ড লিনলিথগো ।
- ভিয়েতমিন বলতে কী বোঝো ?
Ans: ১৯৪১ সালে ভিয়েতনামের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে হো – চি – মিন গড়ে তোলেন ভিয়েতমিন ।
- আভাস্তি কী ?
Ans: একটি সমাজতান্ত্রিক পত্রিকার নাম ।
- ফুয়েরার এবং ইল – দু – চে কাকে বলা হয় ? Ans: যথাক্রমে হিটলার ও মুসোলিনি ।
- ভারত ছাড়ো প্রস্তাব কবে অনুমোদিত হয় ?
Ans: ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ৪ আগস্ট ।
- ডাচ – ইন্দোনেশীয় চুক্তিতে ‘ লিঙ্গজ্যোতি ’ কারা মধ্যস্থতা করে ?
Ans: ১৯৪৬ সালে ডাচ – ইন্দোনেশীয় চুক্তিতে ব্রিটিশরা মধ্যস্থতা করে ।
- ভারতে কোথায় আজাদ হিন্দ বাহিনী পতাকা উত্তোলন করে ?
Ans: পূর্ব ভারতে কোহিমায় ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে আজাদ হিন্দ বাহিনী ( ১৯৪৫ ) ।
- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের তাৎপর্য এককথায় লেখো ।
Ans: স্বতঃস্ফূর্ত এই গণ – আন্দোলনে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের ভিত প্রতিষ্ঠিত হয় ও কংগ্রেস হৃত মর্যাদা ফিরে পায় ।
- তাম্রলিপ্ত সরকার কোথায় , কার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা হয় ? / সর্বাধিনায়ক কে ?
Ans: মেদিনীপুরের তমলুকে সতীশচন্দ্র সামন্তের নেতৃত্বে ।
- ক্যাবিনেট মিশন / মন্ত্রী মিশনের সদস্যদের নাম কী ?
Ans: স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস , পেথিক লরেন্স , এ . ভি . আলেকজান্ডার ।
- জাতিসংঘের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত ?
Ans: সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে ।
- ওয়াভেল পরিকল্পনা বলতে কী বোঝো ?
Ans: ১৯৪৫ সালের ১৪ জুন কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের কাছে তৎকালীন বড়োলাট ওয়াভেল একটি প্রস্তাব পেশ করেন । এটিই ওয়াভেল পরিকল্পনা ।
- হরিপুরা কংগ্রেসে কে কংগ্রেসের সভাপতি হন ?
Ans: ১৯৩৮ সালে হরিপুরা কংগ্রেসে জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হন সুভাষচন্দ্র বসু ।
- ক্রিপস প্রস্তাব বলতে কী বোঝো ?
Ans: ১৯৪২ সালে ব্রিটিশ মন্ত্রীসভার সদস্য স্ট্যাফোর্ড ক্রিপসের নেতৃত্বাধীন একটি কমিশন এদেশে আসে । স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব সংবলিত যে একগুচ্ছ প্রস্তাব কমিশন পেশ করে সেটাই ক্রিপস প্রস্তাব নামে পরিচিত ।
- মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা বলতে কী বোঝো ?
Ans: মাউন্টব্যাটেনের উপদেষ্টা লর্ড ইসমে কর্তৃক ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রেরিত ভারত ভাগ পরিকল্পনার ভিত্তিতে ভারতীয় স্বাধীনতা আইন পাশ হয় । এটাকেই বলে মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা ।
- কাদের মধ্যে হয়েছিল রোম – বার্লিন – টোকিও চুক্তি ?
Ans: জাপান – ইতালি – জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪০ সালে রোম – বার্লিন – টোকিও চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS History Question and Answer :
- নৌ – বিদ্রোহের কারণ ও গুরুত্ব লেখো ।
Ans: সূচনা : ১৯৪৬ খ্রিঃ ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া ভারতীয় নৌবাহিনীর বিদ্রোহ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা । এই বিদ্রোহের পশ্চাতে অন্যতম উল্লেখযোগ্য কারণগুলি ছিল –
নিম্নমানের খাদ্য সরবরাহ : দীর্ঘদিন ধরে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ভারতের নৌ – সেনাদের অতি নিম্নমানের খাদ্য সরবরাহ করা হতো । এর বিরুদ্ধে নৌ – সেনাদের প্রতিবাদে সরকার কর্ণপাত না করায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ ধূমায়িত হয়ে উঠেছিল ।
বেতন বৈষম্য : সমযোগ্যতা সত্ত্বেও ভারতীয় নৌ – কর্মচারীদের ব্রিটিশ কর্মচারীদের মতো বেতন দেওয়া হতো না । বেতনের ক্ষেত্রে এই বৈষম্য ভারতীয় নৌসেনাদের ক্ষুব্ধ করে তোলে ।
পদোন্নতির সুযোগ না থাকা : ভারতীয় নৌ – কর্মচারীদের কোনোদিনই পদোন্নতি হতো না । অফিসাররা ছিলেন সকলেই শ্বেতাঙ্গ । এছাড়া ভারতীয় নৌসেনাদের চাকরির মেয়াদ শেষে পুনর্বাসনেরও ব্যবস্থা ছিল না । সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে এই স্বল্পতা ভারতীয় নৌসেনাদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভের সঞ্চার করে ।
ব্রিটিশ কর্মচারীদের দুর্ব্যবহার : জাতি বিদ্বেষগত কারণে ব্রিটিশ কর্মচারীদের দেশীয় নৌকর্মচারীদের উপর দুর্ব্যবহারও নৌ – বিদ্রোহের অপর একটি কারণ ।
দক্ষিণ এশিয়ার মুক্তি সংগ্রাম : নৌসেনারা ইন্দোনেশিয়ায় প্রেরিত ভারতীয় নাবিকদের প্রত্যাবর্তন – এর দাবি জানায় । এই স্থানে কর্মসেনাদের এই দাবি না মানায় তারা বিদ্রোহের পথে পা বাড়ায় ।
I.N.A সেনাদের বিচার : আজাদ হিন্দ বাহিনীর সেনাপতিদের লালকেল্লায় বিচার তদানীন্তন ভারতীয় সেনাদের মনে দারুণ ক্ষোভের সঞ্চার করে যার চরম অভিব্যক্তি ঘটে নৌ – বিদ্রোহের মাধ্যমে ।
বিদ্রোহের সূচনা : ১৯৪৬ খ্রিঃ ১৮ ফেব্রুঃ বোম্বাই – এর নৌ – প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘ তলোয়ার ’ জাহাজের ১৫০০ জন নাবিক অখাদ্য আহার গ্রহণে অস্বীকার করে । ঐদিনই জাহাজের যত্রতত্র ‘ জয়হিন্দ ’ , ‘ ইনক্লাব জিন্দাবাদ ’ , ‘ বন্দেমাতরম ’ , ‘ ইংরেজ ভারত ছাড়ো ‘ ইত্যাদি লেখার অপরাধে বলাই দত্তকে গ্রেপ্তার করা হলে নৌ – বিদ্রোহের সূত্রপাত হয় ।
গুরুত্ব : ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের অস্তিমলগ্নে সংঘটিত নৌ – বিদ্রোহের গুরুত্ব অপরিসীম । ডঃ সুমিত সরকার – এর মতে— “ নৌসেনাদের অভ্যুত্থান আজাদ হিন্দ ফৌজের মুক্তিযুদ্ধের থেকেও ছিল অধিক গুরুত্বপূর্ণ । ”
- ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সংকট : নৌবিদ্রোহের দ্বারা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত্তি টলে যায় এবং ইংরেজরা অনুধাবন করেন ভারতীয় নৌসেনাদের উপর ভরসা করে বেশিদিন রাজত্ব চালানো সম্ভব নয় ।
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি : নৌ – বিদ্রোহের দ্বারা হিন্দু – মুসলিম নৌসেনা ও সাধারণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ লড়াই – এ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয় ।
- বীরোচিত সংগ্রাম : নৌ – বিদ্রোহের তীব্রতা ও বিস্তার লক্ষ করে সুমিত সরকার সহ অন্যান্য ঐতিহাসিকদের মতে , নৌ – বিদ্রোহ ছিল বীরোচিত সংগ্রাম যা ব্রিটিশদের ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার সংকেত দিয়েছিল ।
- ক্ষমতা হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত : গবেষক রজনীপাম দত্তের মতে নৌ – বিদ্রোহের ফলে আতঙ্কিত হয়ে ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী মিশন প্রেরণ করেছিল ।
মূল্যা : ভারতের স্বাধীনতা লাভের প্রাক্কালে নৌ – বিদ্রোহ ছিল শেষ উল্লেখযোগ্য সংগ্রাম । রজনীপাম দত্তের মতে “ নৌ নাবিকদের অভ্যুত্থান , সাধারণ মানুষের সমর্থন এবং বোম্বাই – এর শ্রমিক শ্রেণির নায়কোচিত সিদ্ধান্ত ভারতের নবযুগের সংকেত দিয়েছিল যা ছিল ভারতীয় ইতিহাসে এক বৃহত্তম দিক চিহ্ন । ”
- ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান পর্যালোচনা করো ।
Ans: সূচনা : ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের শেষ পর্বে একদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং অন্যদিকে ভারত ছাড়ো আন্দোলন চলাকালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজের ভূমিকা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যমণ্ডিত
- জাতীয় রাজনীতিতে সুভাষচন্দ্র : অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে নেতাজি জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে নিজেকে সংযুক্ত করেন । তাঁর জনপ্রিয়তার কারণে 1937 এবং 1938 খ্রিস্টাব্দে পরপর দু’বার তাঁকে কংগ্রেস সভাপতি মনোনীত এবং নির্বাচিত করা হয় ।
- সুভাষচন্দ্রের দেশত্যাগ : তার বিশ্বাস ছিল শান্তিপূর্ণ আলাপ – আলোচনার মাধ্যমে ইংরেজরা কোনো দিনই ভারতকে স্বাধীনতা দেবে না । তাই তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে বৈদেশিক সাহায্য নিয়ে ভারতকে স্বাধীন করার প্রয়াস চালান । এই জন্যে বিশ্বযুদ্ধকালে 1940 খ্রিস্টাব্দে ভারত রক্ষা আইনে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় যদিও ব্রিটিশের কড়া প্রহরা এড়িয়ে জিয়াউদ্দিনের ছদ্মবেশে দেশত্যাগ করে তিনি বেরিয়ে পড়েন ।
- বৈদেশিক সাহায্য লাভের প্রচেষ্টা : ভারত থেকে কাবুল হয়ে বার্লিনে যাওয়ার পথে নেতাজি মস্কোতে কিছুদিন অবস্থান করেন । মস্কোয় তিনি রুশ নেতাদের কাছে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্যে সাহায্য প্রার্থনা করেন ।
এরপর জার্মানির বার্লিনে পৌঁছে প্রায় 20 জন প্রবাসী ভারতীয়কে নিয়ে গড়ে তোলেন ‘ Free India Centre ‘ । এর কিছুদিন পরেই সেখানে ভারতীয় যুদ্ধবন্দিদের নিয়ে গঠন করেন ‘ Indialigion ‘ । এরপর তিনি হিটলারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী রিবনট্রপ – এর কাছে ভারতীয় মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে সাহায্য প্রার্থনা করেন । এছাড়া তিনি ব্রিটিশ বিরোধী জাপানের কাছ থেকে সাহায্যের আশ্বাস লাভ করার জন্যে জাপানি প্রধানমন্ত্রী তোজোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ।
আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠা : 1943 খ্রিস্টাব্দে 21 অক্টোবর নেতাজি আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করার কথা ঘোষণা করেন যার লক্ষ্য ছিল ভারত থেকে ব্রিটিশ শাসনের উৎখাত করা । © I.N.A- এর নেতৃত্ব গ্রহণ জাপানে ব্যাংককে রাসবিহারী বসুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা INDIAN NATIONAL ARMY ‘ বা ‘ আজাদ হিন্দ ফৌজ ’ – এর পরিচালনার মূল দায়িত্ব 1943 খ্রিস্টাব্দে নেতাজি সুভাষচন্দ্রকে দেওয়া হয় । আজাদ হিন্দ বাহিনীর নেতৃত্ব গ্রহণের পর তিনি গান্ধি বিগ্রেড , আজাদ বিগ্রেড , নেহেরু বিগ্রেডে বিভক্ত করে আজাদ হিন্দ বাহিনীকে পুনর্গঠন করেন ।
ভারত অভিযান : 1943 খ্রিস্টাব্দে 23 অক্টোবর আজাদ হিন্দ সরকার ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে ব্রিটেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে । এরপর আজাদ হিন্দের সেনারা তাইপিং থেকে যাত্রা শুরু করে পাহাড় , পর্বত , নদী টপকে 406 মাইল পায়ে হেঁটে ভারত সীমান্তের দিকে পাড়ি দেন । অবশেষে কোহিমা পর্যন্ত এসে ভারতের মাটিতে তিরঙ্গা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে নেতাজি 1946 খ্রিস্টাব্দে 6 এপ্রিল ‘ দিল্লি চলো ‘ – এর ডাক দেন । এছাড়া তিনি ঘোষণা করেন— “ তোমরা আমাকে রক্ত দাও , আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব । ”
মূল্যায়ন : নেতাজি চরম আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ভারতবাসীর স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন তাই গান্ধিজি আজাদ হিন্দ বাহিনীর মূল্যায়নের বলেছিলেন— “ যদি আজাদ হিন্দ ফৌজ তাদের আশু লক্ষ্যে পৌছাতে পারেনি তবুও তারা এমন কিছু করেছে যে জন্যে তারা গর্ববোধ করতে পারে । ”
- ক্রিপস মিশনের প্রস্তাবগুলি আলোচনা করো । ক্রিপস এই মিশনের ব্যর্থতার কারণগুলি উল্লেখ করো ।
Ans: পটভূমি : ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে বিশ্ব – রাজনীতিতে জটিলতা বাড়ে । জাপান অক্ষশক্তির পক্ষে যোগ দিলে যুদ্ধ পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে । এমতাবস্থায় ভারতে জাপানি আক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দেয় । পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল ভারতীয়দের স্বায়ত্তশাসন এবং স্বাধীনতার দাবি নিয়ে দু’পক্ষের আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন । ব্রিটিশ মন্ত্রীসভার সদস্য , আইনজ্ঞ স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপসের নেতৃত্বে একটি কমিশন ভারতে আসে , এটাই ‘ ক্রিপস মিশন ‘ নামে পরিচিত ।
সূচনা : ১৯৪২ – এর ২৯ মার্চ একগুচ্ছ প্রস্তাব নিয়ে ক্রিপস ভারতে আসেন । ভারতের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আলোচনার পর ক্রিপস ভারতীয়দের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন দীর্ঘমেয়াদি সুযোগসুবিধা সমন্বিত একটি খসড়া পেশ করেন । এটাই ‘ ক্রিপস প্রস্তাব ‘ নামে পরিচিত ।
ক্লিপস মিশনের প্রস্তাবসমূহ : প্রস্তাবগুলি ছিল— 1. কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভাগুলিকে ভারতীয় নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়োগের কথা বলা হয় ।
- প্রাদেশিক আইনসভার নিম্নকক্ষ এবং দেশীয় রাজ্যের সদস্যরা দেশীয় রাজা কর্তৃক নির্বাচিত হবেন ।
- বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ভারতের সংবিধান রচনার জন্য ভারতীয়দের নিয়ে একটি সংবিধানসভা গঠিত হবে ।
- ভারতকে কানাডার মতো ডোমিনিয়ন স্টেট্স – এর মর্যাদা দেওয়া হবে ।
- সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য পৃথক সংবিধান প্রবর্তন করা হবে ।
- সংবিধান অপছন্দ হলে সেই প্রদেশ ভারতীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব সংবিধান তৈরি করতে পারবে ।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতকে নিরাপত্তা দেবে ইংরেজ সরকার ।
- সংবিধান রচনার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভারতের নিরাপত্তার দায়িত্ব ব্রিটিশ সরকার বহন করবে।
প্রতিক্রিয়া : ক্রিপস প্রস্তাব ভারতীয় নেতৃবৃন্দের মনঃপুত হয়নি । দেশভাগের সম্ভাবনাকে প্রশ্রয় দেওয়ায় কংগ্রেস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে । কারণ : 1. এতে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার কথা বলা হয়নি ।
- প্রদেশগুলির বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবি মেনে নেওয়ার অর্থ পরোক্ষে জিন্নার দাবি মেনে নেওয়া ।
- মনোনীত সদস্যরা সংবিধান সভায় আসবেন — এই প্রস্তাব কংগ্রেসের পছন্দ হয়নি ।
- ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ভারতীয়দের কোনো অধিকার ছিল না ।
- প্রস্তাবে অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনের কোনো কথা বলা হয়নি ।
ব্যর্থতার কারণ :
বিভিন্ন কারণে কংগ্রেস , মুসলিম লিগ , হিন্দু মহাসভা প্রভৃতি দল ক্রিপস প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ।
১. অখণ্ড ভারতকে খণ্ডিত করার প্রস্তাব থাকায় হিন্দু মহাসভা আপত্তি জানায় ।
২. প্রস্তাবে ভারতকে পূর্ণ স্বাধীনতা দানের কথা বলা হয়নি ।
৩. মুসলিম লিগের পৃথক রাষ্ট্রের দাবির বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল না ।
৪. ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দিকে নজর দেওয়া হয়নি ।
৫. বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলির দাবিকে উসকে দেওয়া হয়েছিল ।
৬. দেশীয় রাজ্যগুলিতে জনমত উপেক্ষা করে রাজন্যবর্গের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ।
- মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা কী ? এই পরিকল্পনার ফল কী হয়েছিল ? এই পরিকল্পনার বিষয়ে ভারতীয় নেতৃবৃন্দের কী মনোভাব ছিল ?
Ans: পটভূমি : হিন্দু – মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং কংগ্রেস ও লিগের পারস্পরিক দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে ভারতে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি লর্ড ওয়াভেলের স্থলে লর্ড মাউন্টব্যাটেনকে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নেন । তিনি ঘোষণা করেন , ১৯৪৮ – এর জুন মাসের মধ্যে ব্রিটিশ সরকার ভারতের কোনো রাজনৈতিক দলের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে ভারত ত্যাগ করবে ।
মাউন্টব্যাটেন প্রস্তাব / পরিকল্পনা : ১৯৪৭ সালের ৩ জুন লর্ড মাউন্টব্যাটেন এদেশে আসেন । সাম্প্রদায়িক সমস্যা সমাধানে কংগ্রেসকে তিনি দেশভাগের নীতিতে সায় দিতে বলেন । এর আগে ১৯৪৭ – এর ২২ মার্চ দাঙ্গাবিধ্বস্ত ভারতে এসে মাউন্টব্যাটেন ভারতীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ১৩৩ টি বৈঠক করেন । তিনি বুঝতে পারেন যে ভারত বিভাগ ছাড়া সমস্যার সমাধান অসম্ভব । ৩ জুন প্রধান উপদেষ্টা ভি পি মেনন – এর সহযোগিতায় ভারত বিভাগের খসড়া তৈরি করেন তিনি । ওইদিনই এক সাংবাদিক সম্মেলনে মাউন্টব্যাটেন জানান , ভারত ও পাকিস্তান দু’টি পৃথক রাষ্ট্র হবে । ১৯৪৭ – এর ১৫ আগস্টের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে বলেও তিনি জানিয়ে দেন । এই ঘোষণাপত্রটি ‘ মাউন্টব্যাটেন প্রস্তাব ’ নামে বিখ্যাত ।
মাউন্টব্যাটেন প্রস্তাব : প্রস্তাবে বলা হয়—
- বাংলা ও পাঞ্জাব ভাগ করার সময় কোন কোন অঞ্চল ডোমিনিয়নভুক্ত হবে তা ঠিক করবে সিরিল র্যাডক্লিফের নেতৃত্বাধীন ‘ বর্ডার কমিশন ‘ । 2. দেশীয় রাজ্যগুলি সার্বভৌমত্ব পাবে , প্রয়োজনে যেকোনো সময় ডোমিনিয়নে যোগ দিতে পারবে ।
3.কোন ডোমিনিয়নে আসাম , শ্রীহট্ট এবং উত্তর – পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত হবে তা গণভোটে স্থির করা হবে ।
- সংখ্যালঘু প্রধান সিন্ধু , ব্রিটিশ বেলুচিস্তান , উত্তর – পশ্চিম সীমান্ত , পশ্চিম পাঞ্জাব এবং পূর্ব বাংলাকে নিয়ে পাকিস্তানের জন্ম হবে ।
5 পাকিস্তান ও ভারতবর্ষ নামে দু’টি স্বাধীন ডোমিনিয়ন গড়ে উঠবে ।
- প্রত্যেক ডোমিনিয়নের গণপরিষদ নিজস্ব সংবিধান তৈরি করতে পারবে । মাউন্টব্যাটেনের প্রস্তাবে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল । এগুলি হলো—
আজাদের মত : মৌলানা আবুল কালাম আজাদ দেশভাগের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন , “ দেশভাগ হলো এক দৈব দুর্বিপাক । ” তাঁর মতে , ভারতভাগ হলো কংগ্রেসের রাজনৈতিক পরাজয়ের নিদর্শন ।
প্যাটেল ও রাজেন্দ্র প্রসাদের অভিমত : বল্লভভাই প্যাটেল মনে করেন ভারত ভাগ কংগ্রেসের পরাজয় বা নতি স্বীকার নয় , তৎকালীন পরিস্থিতিতে দেশভাগই ছিল সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ । ড : রাজেন্দ্র প্রসাদও মনে করেন , গৃহযুদ্ধের চেয়ে দেশভাগ ভালো । আধুনিক ঐতিহাসিকদের অনেকেই ভারত ভাগ প্রশ্নে কংগ্রেসের অবস্থানকে ‘ বাস্তবসম্মত ’ মনে করেন ।
- ভারত ছাড়ো আন্দোলন কেন ব্যর্থ হলো ? এই আন্দোলনের গুরুত্ব আলোচনা করো ।
অথবা , আগস্ট আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণগুলি সংক্ষেপে লেখো । এর গুরুত্ব কি ছিল ?
Ans: ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ : বিভিন্ন কারণে শেষ পর্যন্ত ভারত ছাড়ো আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছিল । যথা—
ক. উপযুক্ত নেতৃত্বের অনুপস্থিতি : ভারত ছাড়ো আন্দোলন গান্ধিজির একক নেতৃত্বের উপর নির্ভরশীল ছিল । কিন্তু আন্দোলন শুরু হওয়ার পরই গান্ধিজি সহ কংগ্রেস শীর্ষ নেতাদের কারারুদ্ধ করা হয়েছিল । গান্ধিজির অবর্তমানে আন্দোলনকে টেনে নিয়ে যাওয়ার মতো ব্যক্তিত্ব সেসময় দেশে ছিল না ।
খ. তীব্র দমন নীতি : এই আন্দোলন দমনের জন্য ব্রিটিশ সরকার তীব্র দমননীতি অনুসরণ করেছিল । দৈহিক নির্যাতন , গ্রেফতার , ঘর পুড়িয়ে দেওয়া , গুলি চালানো— কোনো কিছুই বাদ দেওয়া হয়নি । :
গ. অন্যান্য দলের বিরোধিতা : কমিউনিস্ট দল ভারত ছাড়ো আন্দোলন মেনে নেয়নি । আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা ব্রিটিশকে মদত দেয় । মুসলিম লিগ – সহ অন্য দলগুলিও কংগ্রেসের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি ।
গ. অসময়ে সূচনা : ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে সুভাষচন্দ্র জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি থাকাকালীন এই আন্দোলন শুরু করার পক্ষপাতী ছিলেন । আর গান্ধিজি আন্দোলনের ডাক দেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্বে । সেসময় ইংল্যান্ড যুদ্ধে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল ।
ভারত ছাড়ো আন্দোলনের গুরুত্ব : যেসব কারণে আগস্ট আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ তা হলো :
ক. স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্ব : ভারত ছাড়ো আন্দোলন ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায় । ব্রিটিশ শাসনকে যে কোনোভাবে দেশ থেকে বিতাড়িত করার সংকল্প এই আন্দোলনে স্পষ্ট হয় ।
খ. জাতীয় বিপ্লব : ৪২ – এর আন্দোলন প্রসঙ্গে নেহরু বলেছেন , “ নেতা নেই , সংগঠন নেই , উদ্যোগ নেই অথচ একটা অসহায় জাতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আর কোনো উপায় না পেয়ে বিদ্রোহী হয়ে উঠল— এ দৃশ্য বিস্ময়ের । ”
গ. ব্রিটিশ শাসনের মৃত্যুঘণ্টা : ভারত ছাড়ো আন্দোলন প্রকৃত অর্থেই ছিল গণবিদ্রোহ । ঐতিহাসিকদের মতে , এই আন্দোলন ব্রিটিশ সরকারকে বুঝিয়ে দিয়েছিল ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান খুব বেশি দূরে নেই । বলা হয় , এই আন্দোলন ব্রিটিশের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছিল ।
ঘ. জাতীয় ঐক্যবোধ : এই
আন্দোলনের ফলে অভূতপূর্ব গণজাগরণ ও জাতীয় ঐক্যবোধ গড়ে ওঠে । এর পরিণতিতে
ব্রিটিশ শাসনের ভিত নড়ে গিয়েছিল । কার্যত আন্দোলনের চাপেই ১৯৪৭ সালে
ইংরেজরা ভারত ছাড়তে বাধ্য হয় ।