উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – জাতীয় শিক্ষানীতি (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর

 সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো |

  1. অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড বলতে বোঝায়— 

(A) একটি কর্মসূচি / 

(B) শিক্ষাসহায় উপকরণ সরবরাহ করা / 

(C) বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো গড়ে তোলা / 

(D) প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সাহায্য করা । 

Ans: (A) একটি কর্মসূচি /

 

  1. ‘ সেন্ট্রাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড অব এডুকেশন ’ হলো— 

(A) একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান / 

(B) একটি মহকুমা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান / 

(C) একটি রাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান / 

(D) একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান । 

Ans: (D) একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান । 

 

  1. নারীশিক্ষার প্রসারে জাতীয় শিক্ষানীতিতে কী সুপারিশ করা হয়েছে ? 

(A) পাঠক্রম পুনর্গঠন / 

(B) বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব / 

(C) কুসংস্কার দূর করা / 

(D) ওপরের (A) ও (C) দু’টিই সঠিক । 

Ans: (D) ওপরের (A) ও (C) দু’টিই সঠিক । 

 

  1. “ মর্যাদার বিচারে শিক্ষকদের ঊর্ধ্বে আর কেউ হতে পারে না ” – এই উক্তিটি কোথায় দেখা যায় ? – 

(A) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন / 

(B) জাতীয় শিক্ষানীতি ( 1968 ) / 

(C) জাতীয় শিক্ষানীতি ( 1986 ) 

(D) মুদালিয়র কমিশন । 

Ans: (C) জাতীয় শিক্ষানীতি ( 1986 ) 

 

  1. সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা – 

(A) ব্যক্তির অভিযোজনে সাহায্য করে / 

(B) দেশের আর্থিক উন্নয়ন নির্ভর করে / 

(C) সমগ্র বিশ্বে দেশের সম্মানজনক অবস্থান নিশ্চিত করে / 

(D) ওপরের সবক’টি । 

Ans: (D) ওপরের সবক’টি ।

 

  1. বয়স্ক শিক্ষার ক্ষেত্রে ‘ বয়স্ক ‘ হলেন— 

(A) যারা প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ 18 বছরের ঊর্ধ্বে 

(B) যারা 18 বছর থেকে 35 বছরের মধ্যে 

(C) যারা 15 বছর থেকে 35 বছরের মধ্যে 

(D) যারা 15 বছর থেকে 30 বছরের মধ্যে নয় । 

Ans: (C) যারা 15 বছর থেকে 35 বছরের মধ্যে

 

  1. নবোদয় বিদ্যালয়ের অন্য নাম – 

(A) কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় / 

(B) পাবলিক স্কুল 

(C) পেসসেটিং স্কুল / 

(D) মডেল স্কুল । 

Ans: (C) পেসসেটিং স্কুল /

 

  1. কমন স্কুল এবং নবোদয় বিদ্যালয়ের মধ্যে মিল কোথায় ? 

(A) শিক্ষায় সমতা আনা / 

(B) জাতীয় সংহতি শক্তিশালী করা / 

(C) ওপরের দু’টি সঠিক / 

(D) কোনোটিই নয় । 

Ans: (C) ওপরের দু’টি সঠিক /

 

  1. পশ্চিমবঙ্গের মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হলো- 

(A) ইগনু মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় / 

(B) নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় / 

(C) রবীন্দ্র মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় / 

(D) ওপরের সবক’টি । 

Ans: (B) নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় / 

 

  1. MLL- এর সম্পূর্ণ নাম — 

(A) Minimum Level of Learning / 

(B) Maximum Level of Learning / 

(C) Maintainace of Level Learning / 

(D) Millenium Limit of Learning . 

Ans: (A) Minimum Level of Learning / 

 

  1. জাতীয় শিক্ষানীতি ( 1986 ) -তে কোন স্কুল ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয় ? 

(A) Pace – setting 

(B) special / 

(C) Urban / 

(D) Model . 

Ans: (A) Pace – setting

 

  1. জাতীয় শিক্ষানীতি 1986 সালের কবে প্রকাশিত হয় ? 

(A) 11 এপ্রিল / 

(B) 21 এপ্রিল / 

(C) 21 জুন / 

(D) 20 মে । 

Ans: (B) 21 এপ্রিল / 

 

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – জাতীয় শিক্ষানীতি (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Education Question and Answer : 

  1. কর্মসূচি রূপায়ণের পরিকল্পনার সভাপতির নাম লেখো । 

Ans: কর্মসূচির রূপায়ণের পরিকল্পনার সভাপতি ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন . জনার্দন রেড্ডি ।

  1. ” Challange of Education A Policy Perspective ” – এই উক্তিটি কে করেন ? 

Ans: এই উক্তিটি হলো তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির ।

  1. শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষা কী ? 

Ans: এই ধরনের শিক্ষাব্যবস্থায় শিশুই মূল ভিত্তি । লক্ষ্য নির্ধারণ , পাঠক্রম চূড়ান্তকরণ , শিক্ষণ প্রক্রিয়া , শিক্ষার্থীর সঙ্গে সম্পর্ক সব ক্ষেত্রেই শিশুর চাহিদা ও ইচ্ছেকেই প্রাধান্য দেওয়া হয় । এমন শিক্ষাকে বলা হয় শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষা ৷ 

  1. কর্মসূচি রূপায়ণের পরিকল্পনা কবে রচিত হয় ? 

Ans: কর্মসূচি রূপায়ণের পরিকল্পনা ১৯৯২ খিস্টাব্দে রচিত হয় । 

  1. NIEPA – এর পুরো কথাটি কী ? 

Ans: NIEPA -এর পুরো নামটি হলো – National Institute of Educational Planing and Administration . 

  1. স্বশাসিত কলেজ বলতে কী বোঝো ? 

Ans: যে – সমস্ত কলেজ নিজেরাই ঠিক করে কোন কোন বিষয় ছাত্রদের পড়ানো হবে , পাঠক্রম বাছাই , পাঠদান পদ্ধতি কেমন হবে , পরীক্ষা ব্যবস্থা কেমন হবে এবং পরীক্ষা শেষে নিজেরাই ডিগ্রি প্রদান করে তাদের বলে স্বশাসিত কলেজ । 

  1. জাতীয় শিক্ষানীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ উল্লেখ করো । 

Ans: জাতীয় শিক্ষানীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ – অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড । 

  1. নবোদয় বিদ্যালয় কাকে বলে ? 

Ans: জাতীয় শিক্ষানীতিতে জাতি , ধর্ম , বর্ণ ভেদে সকল মেধাবী শিক্ষার্থীর সুবিধার্থে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা ঘোষণা করা হয় তাকেই নবোদয় বিদ্যালয় বলা হয় । 

  1. অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড বলতে কী বোঝো ? Ans: প্রাথমিক স্কুলগুলির উন্নতিকল্পে ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষানীতিতে যে পরিকল্পনা গৃহীত হয় তাকে অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড বলে । 
  2. নন্ – ফরম্যাল ( Non – formal education ) শিক্ষাব্যবস্থা বলতে কী বোঝো ? 

Ans: আর্থ – সামাজিক বা অন্য কোনো কারণে যেসকল শিশু প্রথাগত শিক্ষায় বঞ্চিত হয় , তাদের জন্য নন্ – ফরম্যাল শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষা প্রদানের কথা দলিলে ব্যক্ত করা হয়েছে । 

  1. POA – এর পুরো নাম কী ? 

Ans: POA – এর পুরো নাম হলো Programme of Action . 

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান – জাতীয় শিক্ষানীতি (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS Education Question and Answer : 

  1. মাধ্যমিক শিক্ষার বৃত্তিমুখীকরণ এবং কারিগরি ও ব্যবস্থাপনার শিক্ষা প্রসঙ্গে জাতীয় শিক্ষানীতির বক্তব্য উল্লেখ করো । 

Ans: বৃত্তিশিক্ষা : জাতীয় শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক স্তর থেকেই বৃত্তিশিক্ষা চালু করার কথা বলা হয়েছে । নীচে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো— 

বৃত্তিশিক্ষার উদ্দেশ্য : মাধ্যমিক শিক্ষার পুনর্গঠনে ধারাবাহিক , সুপরিকল্পিত ও কঠোর বাস্তব শিক্ষার পাশাপাশি বৃত্তিমুখী শিক্ষার অন্তর্ভুক্তিও জরুরি । এর উদ্দেশ্য ব্যক্তির বৃত্তিযোগ্যতা বৃদ্ধি , দক্ষ মানবশক্তি উৎপাদন ও বিকল্প শিক্ষার ব্যবস্থা করা । 

বৃত্তিশিক্ষার বিষয় : 

  1. প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে স্বাস্থ্যশিক্ষা চালু করে ছাত্র – ছাত্রীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করে তোলা জরুরি । উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে তাহলে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য বিষয়ক বৃত্তিমূলক কোর্সে ভর্তি হবে । 
  2. সমাজসেবা , কৃষি ও মার্কেটিং বিষয়ে বৃত্তিমূলক পাঠক্রমের ব্যবস্থা । 
  3. সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃত্তিমুখী পাঠক্রম চালু করা । 
  4. প্রতিবন্ধীদেরও বৃত্তিমূলক পাঠক্রমে শিক্ষিত করে তোলা । 
  5. মহিলাদের জন্যও বৃত্তিমূলক পাঠক্রমের ব্যবস্থা করা । 

কারিগরি ও ব্যবস্থাপনার শিক্ষা : জাতীয় শিক্ষানীতির ষষ্ঠ অধ্যায়ে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে । নীচে এ নিয়ে আলোচনা করা হলো – 

 কারিগরি ও ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার পুনর্গঠন : পরিবর্তনশীল সময় ও বিজ্ঞান – প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞানের বিস্ফোরণের সঙ্গে সংগতি রেখেও কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষায় পুনর্গঠন করা প্রয়োজন । এজন্য প্রয়োজনীয় হলো— 

  1. তথ্যপ্রযুক্তিকে শক্তিশালী করা : জনসম্পদ বিষয়ে তথ্য সরবরাহের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা দরকার । 
  2. বিদ্যালয় স্তরে কম্পিউটার শিক্ষা চালু করা : কম্পিউটার শিক্ষা কর্মসূচিকে বিদ্যালয় স্তরে ও পেশাগত শিক্ষার অঙ্গ হিসেবে জায়গা করে দিতে হবে । 
  3. কারিগরি বিষয়ে গবেষণার উন্নতি : কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে গবেষণার উন্নতির দিকে নজর দিতে হবে । এক্ষেত্রে গ্রামোন্নয়নের কাজ , গ্রামীণ প্রযুক্তির উদ্ভাবন ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করতে হবে । 
  4. প্রবহমাণ শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করা : প্রচলিত প্রবহমাণ শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরও উন্নত করতে হবে । 

সর্বস্তরে দক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি : জাতীয় শিক্ষানীতিতে এই উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে 

  1. আধুনিকতার গুরুত্ব : কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আধুনিক শিক্ষণ ব্যবস্থা , গ্রন্থাগার ও কম্পিউটারের ব্যবস্থা রাখতে হবে । এছাড়ও শিক্ষকতার পাশাপাশি শিক্ষকরা গবেষণা , প্রশাসন সহ অন্যান্য কাজেও যুক্ত হবেন । 
  2. উন্নয়ন কর্মসূচির সমন্বয় সাধন : বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচির মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে । 
  3. মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়দায়িত্ব : প্রযুক্তি , বৃত্তিমুখী ও ব্যবস্থাপনার শিক্ষা ও অন্য ক্ষেত্রেও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সমন্বয় সাধনের কাজ করবে। 
  4. লেডিস হোস্টেলের ব্যবস্থা : মেয়েদের শিক্ষার প্রসারে হোস্টেলের ব্যবস্থা ও খেলাধুলা , সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে তাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে । 
  5. জাতীয় শিক্ষানীতি 1986 ও রামমূর্তি কমিটির পর্যালোচনার প্রেক্ষিতে জনার্দন কমিটির সুপারিশগুলি কী ? 

অথবা , জাতীয় শিক্ষানীতি এবং রামমূর্তি কমিটির পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা উপদেষ্টা পর্যদের জনার্দন রেড্ডি কমিটির সুপারিশগুলি উল্লেখ করো । 

Ans: 1992 সালে জনার্দন রেড্ডি কমিটি জাতীয় শিক্ষানীতির ক্ষেত্রে যেসব সুপারিশ করে তার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি নিম্নরূপ : 

  1. কাঠামো : দেশজুড়ে শিক্ষার কাঠামো হবে 10 + 2 + 3 এবং 10 বছরের শিক্ষার মধ্যে 5 বছর নিম্ন প্রাথমিক , 3 বছরে উচ্চ প্রাথমিক এবং শেষ 2 বছর হবে । মাধ্যমিক । এরপর উচ্চ মাধ্যমিক 2 বছরের এবং উচ্চশিক্ষা হবে 3 বছরের পাঠক্রমে 
  2. প্রাথমিক শিক্ষা : 

(A) 14 বছর পর্যন্ত সব ছেলে – মেয়েকে সর্বজনীন অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা । 

(B) স্কুলছুট সমস্যা সমাধানে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া । 

(C) শিক্ষার ন্যূনতম মান নির্ধারণ করা । 

(D) জাতীয় স্তরে একই পাঠক্রম প্রবর্তন করা । 

(E) দু’টি নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য একটি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন । 

  1. মাধ্যমিক শিক্ষা :

(A) বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় শিক্ষক ও যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা। 

(B) শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ব্যবস্থা , অধিক ছাত্রকে বৃত্তি দেওয়া । 

(C) পরীক্ষা ও মূল্যায়নকে আরও নৈর্ব্যক্তিক করা । 

(D) মাধ্যমিক স্তরের ইতিহাসকে জাতীয় স্তরের পরিপ্রেক্ষিতে তুলে ধরার ব্যবস্থা । 

(E) আর্থিকভাবে দুর্বলদের জন্য নতুন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। 

  1. উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা : 

(A) জাতীয় পাঠক্রম রচনা ও এর ভিত্তিতে পাঠদানের ব্যবস্থা । 

(B) এই শিক্ষাপদ্ধতি সাধারণ বিদ্যালয়েও প্রবর্তন করা। 

  1. উচ্চশিক্ষা :

(A) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামোর উন্নয়ন সাধন । 

(B) স্বায়ত্তশাসিত কলেজ স্থাপন । 

(C) শিক্ষাগবেষণায় উন্নত মানের ব্যবস্থা । 

(D) মুক্ত শিক্ষায় গুরুত্ব প্রদান । 

  1. বৃত্তিগত শিক্ষা :

(A) অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীকে বৃত্তিশিক্ষার আওতায় আনা । 

(B) পরিকল্পিত বৃত্তিমুখী শিক্ষা প্রবর্তন করা । 

(C) বৃত্তিশিক্ষার পর শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা । 

  1. প্রথাবহির্ভূত শিক্ষা : 

(A) স্কুলছুট , কর্মরতদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করা । 

(B) পঞ্চায়েত ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে আরও বেশি করে কাজে লাগানো । 

(C) অধিক অর্থ বরাদ্দ করা । 

  1. অন্যান্য :

(A) বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের ভূমিকার পরিবর্তন । 

(B) সর্বস্তরের পাঠক্রমের মান উন্নয়ন । 

(C) শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমাজচেতনা , ধর্মনিরপেক্ষতা গণতান্ত্রিক আদর্শের বিকাশ । 

  1. জাতীয় শিক্ষানীতি ( ১৯৮৬ ) সম্পর্কে তোমার মতামত ব্যক্ত করো । 

Ans: ১৯৮৫ সালে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯৮৬ সালে ১২ টি অধ্যায় সংবলিত ‘ জাতীয় শিক্ষানীতি প্রকাশিত হয় । এর প্রথম ও শেষ অধ্যায়কে বাদ দেওয়া হলে বাকি দশটি অধ্যায়ে দেশের সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । শিক্ষাক্ষেত্রের সার্বিক মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা বিচারে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ । তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা অসংগতির কারণে এটি সার্বিক সফলতা পায়নি । এর কিছু কারণ উল্লেখ করা যায়— 

কারণসমূহ : প্রথমত : নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী সকলে যাতে শিক্ষার আওতায় আসে এজন্য শিক্ষায় সকলের সমান অধিকারের পাশাপাশি শিশু ও নারীশিক্ষা , অনগ্রসর – সংখ্যালঘু – প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা , বয়স্ক শিক্ষা , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষায় জোর দিতে বলা হয়েছে । তবে শিক্ষানীতি ঘোষণার পর তিন দশক অতিবাহিত হলেও লক্ষ্যপূরণ থেকে দেশ এখনো অনেকটা পিছিয়ে । এর কারণ অগ্রগতির কাজ চলছে লঘুগতিতে । 

দ্বিতীয়ত : উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার কারণেই ভারতের মতো দেশে প্রাথমিক স্তরে ভর্তি হওয়ার পর মাঝপথেই বহু শিক্ষার্থী পড়া ছাড়তে বাধ্য হয় । পারিবারিক অভাবই এর মূল কারণ । নতুন শিক্ষানীতিতে এই ‘ স্কুল – ছুট ’ পড়ুয়াদের পুনরায় শিক্ষার মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কোনো সমাধানসূত্র দেওয়া হয়নি ।

তৃতীয়ত : কোন ভাষায় শিক্ষাদান করা হবে সে বিষয়েও স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি । 

চতুর্থত : শিক্ষানীতিতে দশ বছরের মধ্যে মোট পড়ুয়ার অন্তত ২৫ শতাংশের জন্য বাধ্যতামূলক কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছিল । তবে এতদিনেও সেই ব্যবস্থা করে উঠতে পারেনি কেন্দ্র । 

পঞ্চমত : ১৯৮৬ – র শিক্ষানীতির ভিত্তিতে দেশে দূরশিক্ষা ও মুক্তশিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের জন্য IGNOU , NSOU- সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে । এদের মধ্যে IGNOU ব্যতীত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । 

   পরিশেষে ৮৬’র জাতীয় শিক্ষানীতির বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে যেগুলি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র । যত দ্রুত এই প্রয়াস কার্যকরী হয় সেটাই দেশের পক্ষে কল্যাণকর ।