সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো
- ‘ যে পূর্ববর্তী ঘটনাকে বাদ দিলে কার্যের হানি হয় না , সেটি সেই অর্থে সেই কার্যের কারণ বা কারণের অংশ নয় ‘ – সূত্রটি মিল – এর
(A) সহপরিবর্তন
(B) অন্বয়ী – ব্যতিরেকী
(C) ব্যতিরেকী
(D) অন্বয়ী ।
Ans: (D) অন্বয়ী
- মিল যে পদ্ধতিকে ‘ প্রধানত আবিষ্কারের পদ্ধতি , প্রমাণের পদ্ধতি নয় ’ বলছেন তা হলো –
(A) পরিবেশ পদ্ধতি
(B) অন্বয়ী পদ্ধতি
(C) ব্যতিরেকী পদ্ধতি
(D) সহপরিবর্তন পদ্ধতি ।
Ans: (B) অন্বয়ী পদ্ধতি
- মিল – এর যে পদ্ধতি কার্যকারণকে পৃথক করতে পারে না তা হলো –
(A) ব্যতিরেকী পদ্ধতি
(B) মিশ্র পদ্ধতি
(C) অন্বয়ী পদ্ধতি সহ অবস্থান থেকে
(D) সহপরিবর্তন পদ্ধতি ।
Ans: (C) অন্বয়ী পদ্ধতি
- ব্যাতিরেকী পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য কয়টি দৃষ্টান্তের প্রয়োজন ?
(A) বহু
(B) 4 টি
(C) 3 টি
(D) 2 টি ।
Ans: (D) 2 টি ।
- মিল – এর যে পদ্ধতিতে ‘ কাকতালীয় দোষ ’ হয় তা হলো –
(A) ব্যতিরেকী পদ্ধতি পদ্ধতি
(B) সহপরিবর্তন পদ্ধতি
(C) অন্বয়ী পদ্ধতি
(D) যুগ্ম পদ্ধতি ( মিশ্র পদ্ধতি ) ।
Ans: (A) ব্যতিরেকী
- মিলের পাঁচটি পদ্ধতির মধ্যে মৌলিক পদ্ধতি কয়টি ?
(A) ১ টি
(B) ৫ টি
(C) ২ টি
(D) ৩ টি ।
Ans: (C) ২ টি
- ” যে পূর্ববর্তী ঘটনাকে বাদ দিলে কার্যের হানি হয় , সেটি সেই অর্থে সেই কার্যের কারণ বা কারণের অংশ ‘ – সূত্রটি মিল এর–
(A) অন্বয়ী
(B) অন্বয়ী – ব্যতিরেকী
(C) সহপরিবর্তন – পদ্ধতির ভিত্তি
(D) ব্যতিরেকী ।
Ans: (D) ব্যতিরেকী ।
- দ্বৈত অস্বয়ী পদ্ধতি হলো—
(A) যুগ্ম পদ্ধতি
(B) ব্যতিরেকী পদ্ধতি
(C) সহপরিবর্তন পদ্ধতি
(D) অন্বয়ী পদ্ধতি ।
Ans: (A) যুগ্ম পদ্ধতি
- অবৈধ সামান্যীকরণ দোষ হয় যে পদ্ধতির ভুল প্রয়োগে—
(A) অন্বয়ী
(B) ব্যতিরেকী
(C) মিশ্র
(D) পরিশেষ ।
Ans: (A) অন্বয়ী
- ______ পদ্ধতিতে আমরা কার্য থেকে কারণে যেতে পারি না
(A) মিশ্র
(B) অন্বয়ী
(C) ব্যতিরেকী
(D) পরিশেষ ।
Ans: (C) ব্যতিরেকী
- ______ পদ্ধতি একটি যৌগিক পদ্ধতি ।
(A) অন্বয়ী
(B) ব্যতিরেকী
(C) অন্বয়ী – ব্যতিরেকী
(D) সহপরিবর্তন ।
Ans: (C) অন্বয়ী – ব্যতিরেকী
- অদ্বয়ী পদ্ধতির সিদ্ধান্ত হলো—
(A) সুনিশ্চিত
(B) সম্ভাব্য
(C) অনিশ্চিত
(D) বিশ্লেষণাত্মক ।
Ans: (B) সম্ভাব্য
- মিলের যে পদ্ধতি কার্যকারণকে সহ – অবস্থান থেকে পৃথক করতে পারে না সেটি হলো –
(A) ব্যতিরেকী পদ্ধতি
(B) সহপরিবর্তন পদ্ধতি
(C) অন্বয়ী পদ্ধতি
(D) মিশ্র পদ্ধতি ।
Ans: (C) অন্বয়ী পদ্ধতি
- মিলের প্রথম অপসারণ সূত্রের ভিত্তি হলো –
(A) পর্যবেক্ষণ
(B) সহপরিবর্তন পদ্ধতি
(C) সদর্থক ও নঞর্থক
(D) তৃতীয় সুত্রের ভিত্তিতে ।
Ans: (D) তৃতীয় সুত্রের ভিত্তিতে ।
- সহপরিবর্তন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অপসারণের –
(A) দ্বিতীয় সূত্রের
(B) চতুর্থ সূত্রের
(C) প্রথম সূত্রের
(D) তৃতীয় সুত্রের ভিত্তিতে ।
Ans: (D) তৃতীয় সুত্রের ভিত্তিতে ।
- মিলের অপসারণের সূত্র হলো –
(A) ৪ টি
(B) ২ টি
(C) ৩ টি
(D) কোনোটিই নয় ।
Ans: (C) ৩ টি
- মিলের পাঁচটি পদ্ধতিকে কীরূপ পদ্ধতি বলা হয় ?
(A) গঠনমূলক
(B) সমালোচনামূলক
(C) পরীক্ষণমূলক
(D) পর্যবেক্ষণমূলক
Ans: (C) পরীক্ষণমূলক
- অপসারণ সূত্রগুলির ভিত্তি কী ?
(A) কার্যের নিয়ম
(B) কার্যকারণ নিয়ম
(C) কারণের নিয়ম
(D) পরীক্ষণের নিয়ম ।
Ans: (B) কার্যকারণ নিয়ম
- অন্বয়ী পদ্ধতির একটি পরিবর্তিত রূপ হলো – (A) পরিশেষ পদ্ধতি
(B) অন্বয়ী – ব্যতিরেকী পদ্ধতি
(C) সহপরিবর্তন পদ্ধতি
(D) ব্যতিরেকী পদ্ধতি ।
Ans: (B) অন্বয়ী – ব্যতিরেকী পদ্ধতি
- অন্বয়ী পদ্ধতি মূল –
(A) প্রমাণের পদ্ধতি
(B) উভয়ই
(C) আবিষ্কারের পদ্ধতি
(D) কোনোটিই নয় ।
Ans: (C) আবিষ্কারের পদ্ধতি
- অপসারণের তৃতীয় সূত্রের ভিত্তি হলো
(A) বচন
(B) পদ
(C) কারণের পরিমাণগত লক্ষণ
(D) কারণের গুণগত লক্ষণ ।
Ans: (C) কারণের পরিমাণগত লক্ষণ
- অন্বয়ী পদ্ধতির সিদ্ধান্তটি হলো –
(A) অনিশ্চিত
(B) বিশ্লেষণাত্মক
(C) সুনিশ্চিত
(D) সম্ভাব্য ।
Ans: (D) সম্ভাব্য ।
- মিলের সহপরিবর্তন পদ্ধতির ভিত্তি হলো
(A) কারণের গুণগত লক্ষণ
(B) কারণের পরিমাণগত লক্ষণ
(C) পর্যবেক্ষণ
(D) পরীক্ষণ ।
Ans: (B) কারণের পরিমাণগত লক্ষণ
- মিলের পদ্ধতিগুলিকে আর কী নামে চেনা হয় ?
(A) উপমামূলক পদ্ধতি
(B) সাধারণ অনুমান পদ্ধতি
(C) আরোহমূলক পদ্ধতি
(D) অবরোহমূলক পদ্ধতি ।
Ans: (C) আরোহমূলক পদ্ধতি
- দ্বৈত – অন্বয়ী পদ্ধতি হলো –
(A) সহপরিবর্তন পদ্ধতি
(B) ব্যতিরেকী পদ্ধতি
(C) অন্বয়ী পদ্ধতি
(D) অন্বয়ী – ব্যতিরেকী পদ্ধতি ।
Ans: (D) অন্বয়ী – ব্যতিরেকী পদ্ধতি ।
- মিল – এর যে আরোহমূলক পদ্ধতিতে দুটিমাত্র দৃষ্টান্ত যাচাই করা হয় সেটি হলো—
(A) সহপরিবর্তন পদ্ধতি
(B) ব্যতিরেকী পদ্ধতি
(C) অন্বয়ী পদ্ধতি
(D) অন্বয়ী – ব্যতিরেকী পদ্ধতি ।
Ans: (B) ব্যতিরেকী পদ্ধতি
- অপসারণের দ্বিতীয় সূত্রের ভিত্তি হলো –
(A) পর্যবেক্ষণ
(B) কারণের গুণগত লক্ষণ
(C) কারণের পরিমাণগত লক্ষণ
(D) পরীক্ষা ।
Ans: (B) কারণের গুণগত লক্ষণ
- মিলের পরীক্ষামূলক পদ্ধতির ক’টি দিক আছে ?
(A) ৩ টি
(B) ২ টি
(C) ৪ টি
(D) ৫ টি ।
Ans: (B) ২ টি
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক দর্শন – মিলের পরিক্ষণমুলক পদ্ধতি (তৃতীয় অধ্যায়) আরোহমূলক তর্কবিদ্যা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Philosophy Question and Answer :
- মিলের সহপরিবর্তন পদ্ধতিটি আলোচনা করো । [ সংজ্ঞা, আকার, সুবিধা ( ২ টি ) , অসুবিধা ( ২ টি ) ]
Ans: সহপরিবর্তন পদ্ধতির সূত্র : যখন কোনো একটি ঘটনা একভাবে পরিবর্তিত হয় , অন্য একটি ঘটনা তখন যদি একইভাবে পরিবর্তিত হয় , তবে পূর্ববর্তী ঘটনাটি পরবর্তী ঘটনার কারণ বা কারণাংশ বা ঘটনা দু’টি কার্যকারণ সম্বন্ধে যুক্ত সহপরিবর্তন সূত্রের ভিত্তি : অপসারণ পদ্ধতির সূত্রানুযায়ী যদি একটি ঘটনার হ্রাস – বৃদ্ধি হয় , অন্য একটি ঘটনার হ্রাস – বৃদ্ধি না হয় , তবে বুঝতে হবে ঘটনা দু’টির মধ্যে কোনো কার্যকারণ সম্বন্ধ নেই । অপসারণ পদ্ধতির এই সুত্রের উপর ভিত্তি করে সহপরিবর্তন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত ।
কারণের পরিমাণগত লক্ষণের উপর ভিত্তি করেও এই পদ্ধতিটি প্রতিষ্ঠিত । পরিমাণগত লক্ষণ বলতে বোঝায় কারণ ও কার্য পরিমাণের দিক থেকে সমান । অর্থাৎ কারণ ও কার্যের মধ্যে সমান পরিমাণ শক্তি থাকে । এই কারণে কারণের পরিমাণের হ্রাস – বৃদ্ধি ঘটলে কার্যের পরিমাণেরও হ্রাস – বৃদ্ধি ঘটে । তাই বলা যায় , পূর্ববর্তী ঘটনার হ্রাস – বৃদ্ধির ফলে যদি পরবর্তী ঘটনার হ্রাস – বৃদ্ধি ঘটে , তবে পূর্ববর্তী ঘটনা অবশ্যই পরবর্তী ঘটনার কারণ ।
সহপরিবর্তনের দু’টি রূপ :
- একমুখী হ্রাসবৃদ্ধি : একমুখী হ্রাস – বৃদ্ধি বলতে বোঝায় , পূর্ববর্তী ঘটনার বৃদ্ধির সাথে সাথে পরবর্তী ঘটনা বৃদ্ধি পায় ; আবার পূর্ববর্তী ঘটনা হ্রাস পেলে পরবর্তী ঘটনাও হ্রাস পায় ।
উদাহরণ : আবহাওয়া যতই উত্তপ্ত হয় , ব্যারোমিটারের পারদস্তম্ভের উচ্চতা ততই বৃদ্ধি পায় । আবার উত্তাপের পরিমাণ যতই কমতে থাকে , তাপমান যন্ত্রের পারদস্তম্ভের উচ্চতা ততই কমতে থাকে । সুতরাং উত্তাপ বৃদ্ধি পারদস্তত্তের বৃদ্ধির কারণ ।
2.বিপরীতমুখী হ্রাসবৃদ্ধি : এক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ঘটনার বৃদ্ধি ঘটলে পরবর্তী ঘটনা হ্রাস পায় । আবার পূর্ববর্তী ঘটনা হ্রাস পেলে পরবর্তী ঘটনা বৃদ্ধি পায় ।
উদাহরণ — ভোগ্যপণ্যের দাম যতই বৃদ্ধি পায় , তার চাহিদা ততই হ্রাস পায় ; আবার দাম যতই হ্রাস পায় চাহিদা ততই বৃদ্ধি পায় । সুতরাং ভোগ্যপণ্যের মূল্যের সঙ্গে চাহিদার কার্যকারণ সম্বন্ধ আছে ।
( ক ) অন্বয়ী পদ্ধতির বিশেষ রূপ হিসাবে সহপরিবর্তন পদ্ধতি :
অন্বয়ী পদ্ধতির বিশেষ রূপ হিসাবে এই পদ্ধতিতে ভিন্ন ভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থার 3 মধ্যে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ঘটনার মধ্যে একভাবে বা ভিন্নভাবে হ্রাস – বৃদ্ধি লক্ষ করে কার্যকারণ সম্বন্ধ স্থাপিত হয় ।
প্রতীকী দৃষ্টান্ত :
পূর্ববর্তী ঘটনা
Abc
A , ef
A₂ gh
পূর্ববর্তী ঘটনা
Abc
A + bc
A – bc ..
A হলো a- এর কারণ ।
( খ ) ব্যতিরেকী পদ্ধতির বিশেষ রূপ হিসাবে সহপরিবর্তন পদ্ধতি :
পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ঘটনা অপরিবর্তিত পারিপার্শ্বিক অবস্থায় একইভাবে বা বিপরীতভাবে হ্রাস – বৃদ্ধি লক্ষ করে যদি কার্যকারণ সম্বন্ধ স্থাপন করা হয় তবে অনুমান করতে হবে সহপরিবর্তন পদ্ধতিতে ব্যতিরেকী পদ্ধতির বিশেষ রূপ প্রয়োগ হয়েছে ।
প্রতীকী দৃষ্টান্ত :
একমুখী পরিবর্তন :
: . A হলো a- এর কারণ । বিপরীতমুখী পরিবর্তন :
পরবর্তী ঘটনা
abc
a + b c
ef
পূর্ববর্তী ঘটনা :
Abc
A + bc
A – bc
a . : . A এবং কার্যকারণ সম্বন্ধে যুক্ত ।
সহপরিবর্তন পদ্ধতির সুবিধা :
- ব্যতিরেকী পদ্ধতিতে না – বাচক দৃষ্টান্তে কারণকে পুরোপুরি বাদ দিতে হয় । কিন্তু উত্তাপ , মাধ্যাকর্ষণ প্রভৃতি স্থায়ী কারণকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া যায় না । এই ক্ষেত্রে সহপরিবর্তন পদ্ধতি প্রয়োগ করে দু’টি ঘটনার মধ্যে কার্যকারণ সম্বন্ধ নির্ণয় করা সম্ভব হয় । অর্থাৎ সহপরিবর্তন পদ্ধতি ব্যতিরেকী পদ্ধতির পরিপূরক হিসাবে কাজ করতে পারে ।
- সহপরিবর্তন পদ্ধতির দু’টি উদ্দেশ্য- কার্যকারণ সম্বন্ধ খুঁজে বের করা , কার্যকারণের পরিমাণগত অনুপাত নির্ণয় করা ।
- বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অন্যান্য পদ্ধতির উপরে এই পদ্ধতির বিশেষ মূল্য আছে ।
সহপরিবর্তন পদ্ধতির অসুবিধা :
- যে সব ঘটনার হ্রাস – বৃদ্ধি অর্থাৎ পরিমাণগত তারতম্য লক্ষ করা যায় , শুধুমাত্র সেসব ঘটনার ক্ষেত্রেই এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা চলে । স্থিতিশীল ঘটনার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অচল ।
- ঘটনার পরিমাণগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কার্যকরী । গুণগত বা জাতিগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায় না ।
- এই পদ্ধতি পরিমাণগত হ্রাস – বৃদ্ধির একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত কাজ করে । এই সীমার বাইরে এই পদ্ধতি কাজ করে না ।
- দৃষ্টান্ত সহ মিলের ব্যতিরেকী পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা ও বিচার করো । [ সংজ্ঞা , আকার , দৃষ্টান্ত , সুবিধা ( ২ টি ) , অসুবিধা ( ২ টি ) ]
Ans: ব্যতিরেকী পদ্ধতির সূত্র : মিল তাঁর A System of Logic গ্রন্থে ব্যতিরেকী পদ্ধতির সূত্রে বলেছেন : “ বিচার্য ঘটনাটি যে দৃষ্টান্তে উপস্থিত আছে এবং যে দৃষ্টান্তে উপস্থিত নেই , সেই দু’টি দৃষ্টান্তের মধ্যে যদি একটি ব্যাপার ছাড়া বাকি সব ব্যাপারে মিল থাকে , তাহলে যে ব্যাপারটির জন্য দু’টি দৃষ্টান্তের মধ্যে পার্থক্য , সেই ব্যাপারটি আলোচ্য ঘটনার কার্য বা কারণ বা কারণের অপরিহার্য অংশ । ”
পদ্ধতিটির ব্যাখ্যা : ব্যতিরেকী পদ্ধতির সূত্রটিকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে , এই পদ্ধতিকে প্রয়োগ করতে হলে কেবলমাত্র দু’টি দৃষ্টান্তের প্রয়োজন হয় : একটি হলো সদর্থক দৃষ্টান্ত এবং অপরটি হলো নঞর্থক দৃষ্টান্ত । পরীক্ষণের সাহায্যে এই দুই রকম দৃষ্টান্ত সংগৃহীত হয় । এই দু’টি দৃষ্টান্তের মধ্যে একটি মাত্র ঘটনার পার্থক্য থাকে এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক ঘটনাগুলির মধ্যে মিল থাকে । প্রথম দৃষ্টাত্তে একটিমাত্র বিশেষ ঘটনা উপস্থিত থাকলে আলোচ্য ঘটনাটিও উপস্থিত থাকে । আর দ্বিতীয় দৃষ্টান্তে একটিমাত্র ঘটনা অনুপস্থিত থাকলে আলোচ্য ঘটনাটিও অনুপস্থিত থাকে । এর থেকে সিদ্ধান্ত করা যায় যে , দৃষ্টান্ত দু’টির মধ্যে যে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে পার্থক্য , সেই ঘটনাটিই হলো আলোচ্য ঘটনার কার্য বা কারণ বা কারণের অপরিহার্য অংশ । ..সুতরাং A হলো a- এর কারণ ।
এখানে ১ নং উদাহরণে পূর্ববর্তী ঘটনা থেকে A- কে বাদ দেওয়ার জন্যে অনুবর্তী ঘটনা থেকে a বাদ পড়লে এবং ২ য় উদাহরণে পূর্ববর্তী ঘটনার সঙ্গে A- কে যোগ করার ফলে অনুবর্তী ঘটনাতে a যোগ হলো । কিন্তু অন্যান্য সব অবস্থা অপরিবর্তিত । সুতরাং A হলো a- এর কারণ ।
বাস্তব উদাহরণ : একটি বায়ুপূর্ণ পাত্রে ঘণ্টা বাজিয়ে দেখা গেল যে , ঘণ্টার শব্দ হচ্ছে । কিন্তু পাত্রটিকে বায়ুশূন্য করে ঘণ্টা বাজিয়ে দেখা গেল যে , ঘণ্টার শব্দ হচ্ছে না । এর থেকে অনুমান করা যায় যে , ‘ বায়ুর উপস্থিতি হলো শব্দের কারণ । ‘
ব্যতিরেকী পদ্ধতির সুবিধা :
- ব্যতিরেকী পদ্ধতি হলো মূলত পরীক্ষামূলক পদ্ধতি । এই জন্য এই পদ্ধতি নিশ্চিতভাবে কার্য – কারণ সম্পর্ক প্রমাণ করতে পারে ।
- অন্যান্য পদ্ধতির সাহায্যে পাওয়া সিদ্ধান্তের পরীক্ষণ ও প্রমাণ এই পদ্ধতির সাহায্যে করা যেতে পারে ।
- প্রয়োগের দিক থেকে এই পদ্ধতি খুবই সহজ ও সরল । কারণ এই পদ্ধতির প্রয়োগের জন্য একটি সদর্থক ও একটি নঞর্থক দৃষ্টান্ত প্রয়োজন হয় । 4. ব্যতিরেকী পদ্ধতি যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারলে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব । ব্যতিরেকী পদ্ধতির অসুবিধা :
- ব্যতিরেকী পদ্ধতির প্রয়োগক্ষেত্র খুবই সীমিত । যে সকল ক্ষেত্রে পরীক্ষণ সম্ভব নয় সেই সব ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায় না ।
- এই পদ্ধতির সাহায্যে কারণ থেকে কার্যে যাওয়া যায় , কিন্তু কার্য থেকে কারণে সোজাসুজি আসা যায় না ।
- ব্যতিরেকী পদ্ধতিকে অসতর্কভাবে প্রয়োগ করলে কাকতালীয় দোষ দেখা দেয় । ধূমকেতু দেখা গেল এবং তার পরেই যুদ্ধ আরম্ভ হলো— এটি একটি ব্যতিরেকী পদ্ধতির ভুল প্রয়োগ ।
- ব্যতিরেকী পদ্ধতি কারণ ও শর্তের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না ।
যেমন— বারুদ আছে + আগুন নেই – বিস্ফোরণ নেই ।
বারুদ আছে + আগুন আছে – বিস্ফোরণ আছে । : . আগুন = কারণ , বিস্ফোরণ – কার্য । অক্সিজেনের উপস্থিতি ইত্যাদি ।
কিন্তু আগুন বিস্ফোরণের একটি শর্ত মাত্র । অন্যান্য শর্তগুলি হলো দাহ্যতা , শুষ্কতা , এই পদ্ধতি বহু কারণের সম্ভাবনা থেকে পুরোপুরি মুক্ত নয়
মন্তব্য : ব্যতিরেকী পদ্ধতির কিছু ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ব্যতিরেকী পদ্ধতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । মিল বলেন , ব্যতিরেকী পদ্ধতি হলো প্রমাণ পদ্ধতির মধ্যে শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি ।